শোকের রঙ লাল, নীল, কখনো সাদা!
407
বার পঠিতনিশি কাঁদলে চোখে জল আসেনা। অথবা যখন কান্না করা দরকার তখন সে কাঁদতে পারে না। এই যেমন গত পর্শুদিন রাতে জহিরের বাবা মারা গেলো, সবাই কি কান্না! শুধু নিশির চোখে জল নেই। সবাই কাঁদে আর নিশির চোখের দিকে তাকায়, নিশির চোখে জল নেই! কি বিব্রতকর! নিশি যেন লজ্জায় বাঁচে না, দুঃখে মরে যেতে ইচ্ছে করে। কেন এমন হয়?
অথচ মনসুর চাচা আমাকে কত আদর করতো, ভালোবাসতো। আচ্ছা, কান্না টা কেন আসে, ভালোবাসা, মায়া থেকে? নাকি অন্যকিছু? আমি তো চাচা কে অনেক ভালোবাসতাম! তবে কেন চাচা মারা যাওয়াতে আমার কান্না আসলো না! নিশি কিছুতেই ভেবে পায়না। চাচা মারা যাওয়াতে যত না দুঃখ, তার চেয়ে বেশি দুঃখ সময় মত চোখে জল আসেনা বলে।
চাচা মারা যাবার পর আজ প্রথমবার জহির এসেছে। নিশির টেবিলে বেগুন ভাঁজি আর চিংড়ি মাছের ভর্তা দিয়ে ভাত সাজানো। নিশি জহিরের প্রিয় তরকারি সজনে ডাটা দিয়ে শিং মাছের ঝোল নিয়ে এসে দেখে জহির চুপচাপ খাচ্ছে। আজ দুইদিন পর জহির ভাত খাচ্ছে। কত আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছে। দেখে খুব মায়া লাগছে। হঠাৎ নিশি চোখে জল অনুভব করে চমকে উঠলো। একি! আমি কাঁদছি কেন? কি বিব্রতকর! যখন দরকার তখন মরার চোখের জল কোথায় যায়? নিশি যেন নিজেকেই মনে মনে বকে দিলো।
কিরে তুই কাঁদছিস কেন, তোদের ভাত খেয়ে ফেলছি বলে? চুপ করেন তো জহির ভাই, আমি কি তাই বলেছি? তাহলে এভাবে নিরবে কাঁদছিস যে! চাচার কথা মনে করে কাঁদছি! সেকি! বাবা তো পরশুদিন চলে গেছেন, আর তুই আজ কাঁদছিস? কেন, আপনি বুঝি দুই দিনেই বাবা মারা যাওয়ার শোক ভুলে গেছেন? যেভাবে রসিকতা শুরু করছেন, ভাবে তো তাই মনে হচ্ছে! ছিঃ চাচি কি এমনি এমনি বলে-আপনি একটা পাথর! clomid over the counter
নিশির এমন কাউন্টার আট্যাক দেখে জহির বিস্মিত! আরে হাপিয়ে যাচ্ছিস! একটু দম নিয়ে নে। সত্যি বলতে বাবা মারা যাওয়াতে আমি খুশি হয়েছি। এভাবে কষ্ট পেয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে… বেচারা এবার শান্তিতে আছে। ছিঃ আপনি এভাবে বলতে পারলেন! জহির নিজেও বিব্রত! অনুভূতি গুলি কেমন জানি ভোতা হয়ে গেছে, কোন কিছুই গায়ে লাগছে না।
জহিরের খাওয়া শেষ। নিশি খাবার প্লেট নিয়ে বেসিনে গেলো। জহিরের গত দুইদিন ধরে ঘুমানো হয়না। ঘুমে দু চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। পাশেই নিশির বিছানা দেখে ঘুমের লোভ খুব ভালো ভাবেই টানছে। কিন্তু এখন ঘুমানো যাবে না। বিশেষ করে নিশির বিছানায় তো নয়ই। মেয়েদের একটা আলাদা ব্যাপার থাকে। ওদের ঘর ওদের কাছে একটা আলাদা পৃথিবী। সেখানে অন্য যে কেউ এলিয়েনের মতই, বড্ড বেমানান। অথচ বাড়ি গিয়ে কিংবা অন্য কোন ঘরে গিয়ে ঘুমোবে সেই উপায় নেই। বাপ মরেছে দুইদিন হয়নি অথচ ছেলে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে, ব্যাপারটা খুব ভালো দেখায় না, খুব অসস্থিকর!
মানুষকে কতকিছু ভেবে, মেনে চলতে হয়, কত অভিনয় করে যেতে হয়। এই যেমন জহির কে সর্বদা একটা দুঃখী অসহায় ভাব ধরে চলতে হচ্ছে। এ থেকে সহজে মুক্তি নেই। একটা মানুষ তার বেঁচে থাকার কষ্ট থেকে অব্যহতি পেয়েছে। সকলের খুশি হবার কথা। অথচ সবাই কেমন দুঃখী ভাব নিয়ে চলছে এবং অন্যকেউ বাধ্য করছে! হঠাৎ জহির ভাবতে লাগলো-আমাকে কেউ তো বাধ্য করছে না, তবে কেন আমি এই অভিনয় করে যাচ্ছি!
নিশি, আমি গোসল করবো। বাড়িতে এক্সট্রা লুঙ্গি আছে? দাঁড়ান আমি ভাইয়ার তুলে রাখা লুঙ্গিটা এনে দিচ্ছি। আতিক দেশে ফিরবে কবে রে? আরো ছয় মাস পর। জহির বাথরুমে গোসলে ঢুকলো। নিশি এই ফাকে ওর ঘরের দরজা বন্ধ করে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো।
নিশি নিজেও বুঝতে পারছে না, ওর চোখে আজ এতো জল কোথথেকে এলো। নিশির কান্নার কারন খুব সামান্য। নিশির খুব ইচ্ছে ছিলো জহির ভাই আসার সাথে সাথে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষন কাঁদবে। জহির ভাইয়ের কষ্টের ভাগ নিবে, সান্ত্বনা দিবে। ধীরে ধীরে বলবে- আপনার জন্য আমি তো আছি, প্লিজ আপনি কষ্ট পাবেন না। কিন্তু কিছুই হয়নি। কোনদিন হবেও না। এই মুহুর্তে ভাবনা গুলি বড় চাইল্ডিস লাগছে।
নিশি জানে মনে মনে ও কি ভাবছে। মানুষের ভিতরের আবেগ গুলি মাঝে মাঝে এতো ছেলে মানুষী হয় যে, তার অল্প কিছু প্রকাশ পেলেও চরম অসস্তির কারন হয়ে দাড়ায়, লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করে। ভাগ্যিস জহির ভাই আমার ভাবনা গুলি বুঝতে পারেনি! কোনদিন হয়তো পারবেও না। কিংবা কোনদিন হয়তো জানতেও পারবে না আমি তাকে কতটা ভালোবাসি। যদি জানে তবে সর্বনাশ হয়ে যাবে। জহিরের ভাইয়ের যে স্বভাব, হু হু করে হেসে বাড়ি মাথায় তুলবে। তখন আমার লজ্জায় মরন ছাড়া আর কোন গতি থাকবে না। নাহ! যে চোখের জলের জন্য এতো আকুতি ছিল সেই চোখের জল যে এতো যন্ত্রনার কারন হতে পারে নিশির জানা ছিল না। এক্ষুনি জহির ভাই গোসল শেষ করে দরজায় এসে দাঁড়াবে। এসে যদি দেখে দরজা লাগানো তাহলে কি ভাববে! এর চেয়ে চোখের জল ভিতরে ঝরাই ভালো।
নিশি, তুই কাঁদছিলি? না তো! তবে চোখ ফুলে আছে কেন-এমনি। তুই কি জানিস তুই কত লক্ষ্মী একটা মেয়ে? হ্যা জানি, আপনাকে বলতে হবে না। তুই কি আমার প্রেমে পরে গেছিস? কেন আমি তোমার প্রেমে পরতে যাবো কেন? সেটাই লক্ষ্মী মেয়েরা প্রেমে পরে না, আফসোস! জহির ভাই, তোমার মাথা পুরোটাই গেছে। তুমি আমার ঘরেই ঘুমাও। সেকি! তর ঘরে? আমার ঘরে তোমার কোন সমস্যা? কোন সমস্যা নাই তবে তুই ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’তে চলে এসেছিস, তোকে কেমন বোকা বোকা লাগছে। acquistare viagra in internet
দুরন্ত জয় বলছেনঃ kamagra pastillas
লেখক পচা!!!! এত হতাশা দিলেন কেন মিয়া ভাই!!!!!
কৃষ্ণ গহ্বর বলছেনঃ metformin synthesis wikipedia
অপার্থিব বলছেনঃ
কিছুটা হুমায়ুন আহমেদ ফ্লেভার পেলাম । হুমায়ু্ন আহমেদের অনেক গল্প উপন্যাসের নায়কের নাম জহির। শেষটা কিছুটা অগোছাল বলে মনে হয়েছে।
কৃষ্ণ গহ্বর বলছেনঃ
doctus viagraভাই কিছু বাংলা নাম সাজেস্ট করেন যেগুলা হুমায়ুন আহমেদ ব্যবহার করে নাই
দুরন্ত জয় বলছেনঃ cialis new c 100
viagra vs viagra plusজয়, তারিক, রাইন, কুন্তলা,
মজা লইলাম
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
অংকুর
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
metformin gliclazide sitagliptinপরিণতি কি?