“ধর্মীয় মৌলবাদ একটি মানসিক ব্যাধি” এবং অভিজিৎ রায়ের “বিশ্বাসের ভাইরাস”
1919
বার পঠিত“বিশ্বাস নির্ভর সমাজে ধর্মের প্রভাব ব্যাপক। আমাদের পরিচিতি, রীতিনীতি, বিয়েসহ তাবৎ সামাজিক উৎসবে আমরা ধর্মের অস্তিত্ব খোঁজে পাই। কিন্তু আমরা ক’জনে জানি যে, ধর্মের বিস্তার আর টিকে থাকার ব্যাপারগুলো ভাইরাসের মত করে অনেকটা।” – অভিজিৎ রায় (বিশ্বাসের ভাইরাস)
রাজীব হায়দার শোভন’কে উৎসর্গিত ২০১৪ সালে প্রকাশিত সদ্য প্রয়াত বিজ্ঞান লিখকও, গবেষক এবং প্রকৌশলী ডঃ অভিজিৎ রায়ের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ বইয়ের কিছু অংশ এটি। এই বইয়ে আটটি অধ্যায় আছে। অধ্যায় গুলো নিম্নরূপঃ
প্রথম অধ্যায়ঃ একজন নাফিস এবং বিশ্বাসের ভাইরাস
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ বিশ্বাসের ভাইরাসঃ থাবা বাবার রক্তবীজ
তৃতীয় অধ্যায়ঃ ব্লগার গ্রেফতারঃ ভাইরাসাক্রান্ত বাংলাদেশ rx drugs online pharmacy
চতুর্থ অধ্যায়ঃ ধর্ম কেন ভাইরাসের সমতুল্য efek samping minum obat viagra
পঞ্চম অধ্যায়ঃ ধর্ম কি সত্যিই নৈতিকতার উৎস?
ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ নারীঃ ধর্ম ভাইরাসের প্রধানতম শিকার
সপ্তম অধ্যায়ঃ ধরমগুলো টিকে আছে কীভাবে?
অষ্টম এবং শেষ অধ্যায়ঃ ভাইরাস থেকে মুক্তি।
২৩২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে ডঃ অভিজিৎ রায় প্রচুর রেফারেস্ন , তত্ত্ব এবং তথ্যসহ তার উপজীব্য প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। এতোটা শক্তিশালী লিখনিকে তাঁর বইয়ের প্রথম দুইটি কেসস্টাডি মূলক অধ্যায়ের মত করেই উৎপাটন করার চেষ্টা করেছে মৌলবাদী গুষ্ঠি। ধর্মীয় মৌলবাদে আক্রান্ত কিংবা বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষরুপী জানোয়ারগুলোর হাতে কোন তথ্যও, তত্ত্ব, প্রমাণ কিংবা যুক্তি নাই বলেই তারা মুক্তমনাদের কলম তথা লিখনি থামিয়ে দিতে চায় খুন করে। এই খুনের মিছিল শুরু হয়েছে সক্রেটিসের সময় থেকেই। এই কিছু দিন আগে ফ্রান্সের ১২ জন কার্টুনিস্টকে প্রাণ দিতে হল ধর্মীয় মৌলবাদীদের হাতে। ডঃ অভিজিৎ রায় কেবলই একজন প্রতিভাবান বিজ্ঞান গবেষক ছিলেন না তিনি একাধারে একজন সফল উদ্যোক্তাও ছিলেন। মুকমনা ব্লগের ব্লগারদের লিখনি এই প্রজন্মের বাঙালী পাঠকদের অন্যতম প্রধান পরামর্শদাতা ( Mentor) ছিলেন। তাই বরাবরের মত সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিদের কাছ থেকে বুদ্ধিজীবীদের হিট লিস্টের (ডঃ হুমায়ুন আজাদের প্রয়াণের পর) প্রথমে ছিলেন তিনি।
ইংরেজি ফান্ডামেন্টালিজম (Fundamentalism) বা বাংলা মৌলবাদ শব্দটির শাব্দিক অর্থ হল মূলজাত অর্থাৎ মূল থেকে উপজাত। এখানে মূল শব্দটি দ্বারা ধর্ম বোঝানো হচ্ছে অর্থাৎ আদি কাল থেকেই ধারনাটি ধর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে এই প্রশ্নের কারণে যে মানুষ কি মূল ধর্ম গ্রন্থগুলোকে অক্ষরে অক্ষরে মান্য করবে, নাকি পরিবর্তিত পৃথিবীর বর্তমান বাস্তব প্রেক্ষাপট ও মানব সমাজের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির নিরিখে এবং যুক্তিবাদ ও বস্তুবাদ প্রয়োগ করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের পর মান্য করবে? ধর্মীয় মৌলবাদীরা আক্ষরিক অর্থের মূল ধর্ম গ্রন্থের সব কিছু গ্রহণ করে থাকেন দৈববানী বলে। তারা তাদের দৈববাণী অক্ষরে অক্ষরে পালনে কিংবা এর ব্যত্যয় রোধে মানব সমাজের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিকে এবং যুক্তিবাদ ও বাস্তববাদ প্রয়োগের তাগিদকে অস্বীকার করে জীর্ণতাকে আঁকরে ধরে রাখতে চায়। এই মৌলবাদের আক্রান্ত মানসিক রোগীদের সাম্প্রতিকতম শিকার অভিজিৎ রায়ের লিখা ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ গ্রন্থের প্রধান দুটি অধ্যায়ের সাথে সম্পূরক কিছু তথ্য এবং সমসাময়িক গবেষণার ফলাফল যুক্ত করি।
একজন অক্সফোর্ড গবেষকের সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল কি বলে দেখি। মৌলবাদ বিষয়ে এই গবেষণার ফলাফলের মৌলবাদের ভীত কাঁপিয়ে দিবে। আর তাই হল ক্যাথিরিন টেইলরের সাম্প্রতিক এক স্নায়ুবৈজ্ঞানিক (Neuroscientist) এর গবেষণার ফলাফল। ক্যাথলিন টেইলর (Kathleen Taylor), একজন অক্সফোর্ড গবেষক ও স্নায়ুবৈজ্ঞানিক যিনি নিজেকে শরীরবৃত্ত, শরীর বিশ্লেষণ এবং জেনেটিক্স বিষয়ক বিজ্ঞান লিখক বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন বা দাবী করেন। হাফিংটন পোস্ট (huffingtonpost.com) এ সম্প্রতি (০৩ জুন ২০১৩) প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়; তিনি তাঁর ব্রেইন রিসার্চের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করতে গিয়ে “হে লিটারেরি” উৎসবে (Hay Literary Festival- এই লিঙ্কে সম্পূর্ণ ভিডিও দেখতে পাবেন…) বলেন ‘ধর্মীয় মৌলবাদকে একটি মানসিক অসুস্থতা হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে’; স্নায়ুবিজ্ঞান ভবিষ্যত সম্পর্কে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে, টেলর লন্ডন টাইমসকে বলেন “চমকপ্রদ একটি আধুনিক চিকিৎসা হতে পারে নির্দিষ্ট কোন বিশ্বাসের মানুষকে চিকিৎসা করে সুস্থ করলে!”। “Brainwashing: the science of thought control” নামের গবেষণাধর্মী বইয়ের সম্পর্কে বলছেন লেখক আরও যোগ করেন যে “ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয় না ভেবে বা দেখে একে মানসিক অসুস্থতা বলে গন্য করে চিকিৎসা শুরু করা উচিৎ। এইটা খুবই সুখকর একটি ব্যাপার হবে কেননা ধর্মীয় বিশ্বাস বিশ্ববাসীর জন্যে একটি নরকতুল্য অভিশাপ।”
নিন্মে তাঁর নিজের গবেষণা কর্ম সম্পর্কে টেইলর কি বলেন দেখে নিনঃ

‘Brainwashing’: the science of thought control

‘Cruelty’: human evil and the human brain
ক্যাথলিন টেইলর (Kathleen Taylor) ব্রেইন ওয়াশিং (Brainwashing: the science of thought control), ব্রেইন সুপ্রেমেসী (The Brain Supremacy: notes from the frontiers of neuroscience) ও ক্রুয়েলিটি (Cruelty: human evil and the human brain) নিয়ে ব্যাপক কাজ করেন। তাঁর সকল কাজের সারমর্ম লিখকের নিজের ওয়েব সাইটে দেয়া আছে। তাঁর অনবদ্য কাজের মাঝে এমন একটি বিষয় উঠে এসেছে বারবার যা হয়ত আগামী বিশ্বকে করবে একতাবদ্ধ ও দুর্নিবার। আজ যেহেতু গোটা পৃথিবী ধর্মীয় মৌলবাদ নামক নিরাময় যোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তাই আশা করি অতি দ্রুত আগামীর অনাগত মানব সন্তানদের জন্যে একটি সুস্থ সাবলীল স্বপ্নময় বিশ্ব তৈরিতে এই রোগের চিকিৎসা আবিষ্কৃত হবে মানবকল্যানে। viagra generico prezzo farmacia
ধর্মীয় মৌলবাদকে ভাইরাসই বলি কিংবা মানসিক ব্যাধিই বলি না কেন এ নিশ্চিত যে হাজার বছরের মানুষের নিয়তিবাদী এই বিশ্বাস তথ্য প্রযুক্তির এই বিশ্বায়নের যুগে আসলেই একটি অভিশাপ। এই ভাইরাস কিংবা ব্যাধি কেবল বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে বাধা গ্রস্থই করে না একই সাথে আক্রান্তদের বিজ্ঞান সম্পর্কে ভীতশ্রদ্ধ করে তুলে অনেকটা “রেবিজ” ভাইরাস আক্রান্ত কুকুরের মত। উন্নত বিশ্ব যেখানে ইউরোপ থেকে বল ছুড়ে নিউ ইয়র্কে বল বাস্কেটে ফেলার মত করে নিখুঁতভাবে মহাকাশে দাবড়িয়ে বেড়ায় সেখানে আমাদের মত অন্ধকারে থাকা তীব্র ধর্মীয় মৌলবাদে আক্রান্ত ঘুণে ধরা সমাজে আমরা নিজেদের প্রধানতম ভাষা, সাহিত্য, কিংবা বিজ্ঞান গবেষকদের আক্রান্ত করি। কি নিখুঁত নিশানা, অভিজিৎ রায় আসলে খুন করার কথা করেই ফেললো!
স্বস্থির বিষয় হচ্ছে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এই ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারছে অবশেষে যে উগ্র ধর্মীয় বিশ্বাস একটি মানসিক ব্যাধি। রোগ যখন চিহ্নিত আরোগ্য তখন প্রত্যাসন্ন। ক্যাথলিন টেইলরের মত করে আশাবাদ “ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয় না ভেবে বা দেখে একে মানসিক অসুস্থতা বলে গন্য করে চিকিৎসা শুরু করা উচিৎ। এইটা খুবই সুখকর একটি ব্যাপার হবে কেননা ধর্মীয় বিশ্বাস বিশ্ববাসীর জন্যে একটি নরকতুল্য অভিশাপ।” এই নরকতুল্য ভাইরাস থেকে এই বিশ্ব একদিন মুক্ত হবে আর অভিজিৎ রায়ের মত সকল মানুষই মুক্ত বিহঙ্গের মত সুন্দর পৃথিবীকে সাজাবে মানুষের তরে। আর স্বপ্ন দেখি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রার এই মানব সভ্যতাকে আগামীর কোন আলোকিত দ্বন্দ্ব সংঘাতহীন শান্তিপূর্ণ বিশ্বের। cuanto dura la regla despues de un aborto con cytotec
জন লেননের সেই মহাজাগতিক গানটি দিয়েই অভিজিৎ রায়কে শ্রদ্ধাঃ
Imagine there’s no heaven
It’s easy if you try
No hell below us
Above us only sky
Imagine all the people
Living for today…
Imagine there’s no countries
It isn’t hard to do
Nothing to kill or die for
And no religion too
Imagine all the people
Living life in peace…
You may say I’m a dreamer
But I’m not the only one
I hope someday you’ll join us
And the world will be as one…

অংকুর বলছেনঃ
অনেক গোছানো একটি লেখা। পড়ে ভালো লাগল।
এখন একটু ব্যাখ্যায় আসা যাক। মৌলবাদ এ আসার আগে বলি, যারা মানুষ খুন করতে পারে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ এটা তো কেউ অস্বীকার করবেনা। আসলে ধর্ম তো মানুষের জন্যই। ধর্ম দিয়ে যদি মানুষের উপকার না হয়ে অপকার হয় সেটা তো আর ধর্ম থাকেনা। মৌলবাদীরা সেটা বুঝতে চায়না। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটেও ধর্ম অনেক বড় একটা আবেগের জায়গা। যেইখানে মনুষত্বের অবস্থানও ধর্মের পরে।
এসব মানুষদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, গেট ওয়েল সুন।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। প্রায় মাস খানেক পর লিহতে বসেছি। অসীমের আঁকা দাদার ছবি সামনে। ভাইরাস আক্রান্তরা তাঁর জীবন কেড়ে নিল ঠিকই কিন্তু আমাদের কলম চলবে…
আদর্শ মৃত্যুঞ্জয়ী…
অংকুর বলছেনঃ
সময়োপযোগী এই পোস্টটি স্টিকি করার অনুরোধ করছি
ঘুমন্ত বলছেনঃ
আমিও পোষ্টটি স্টিকি করার অনুরোধ জানাচ্ছি
স্পীকার বলছেনঃ
হুম স্টিকি করার মত পোষ্ট
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ধন্যবাদ… পড়ার জন্য
ঘুমন্ত বলছেনঃ
sildenafil basics 100 mg filmtablettenhats off
তারিক লিংকন বলছেনঃ
হুম!! আশায় একমাত্র ভেলা…
You may say I’m a dreamer
But I’m not the only one
I hope someday you’ll join us
And the world will be as one…
স্পীকার বলছেনঃ
ধর্মীয় বিশ্বাস না বলে ধর্মীয় মৌলবাদ বললে বোধহয় ভালো হয়। বিষয় দুটো আলাদা।
এই রোগে অসুস্থ মানুষদের উদ্দেশ্যেঃ গেট ওয়েল সুন
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ধর্মীয় বিশ্বাস এবং মৌলবাদ একই জিনিস! এইখানে মাঝা মাঝি কিছু নাই। সবাই নিরাময় যোগ্য মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
এ ব্যপারে দ্বিমত আছে আমার viagra type medicine in india
অংকুর বলছেনঃ
জ্বী না ভাই,একমত হতে পারলাম না লিংকন ভাই
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ভাইরাস হোক সেটা এইডসের মরণব্যাধি কিংবা ক্যান্সারের মত কোন কোন স্লো পয়েজনিং ভাইরাস! কিন্তু ভাইরাস তো ভাইরাসই… ধর্মীয় বিশ্বাসী মাত্রই ব্যাধিতে আক্রান্ত!!
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
soulcysters net metforminসহমত…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
উগ্র ধর্মীয় বিশ্বাস একটি মানসিক ব্যাধি আপনার কথাটি ঠিক। এর সাথে সহমত জ্ঞাপন করে বলছি উগ্র ধর্মীয় বিদ্বেষও মানসিক ব্যাধি। এক দিক দিয়ে উগ্র ধর্মীয় বিদ্বষকারী ও উগ্র ধর্মীয় বিশ্বাসকারী এক কাতারের, উভয়েই নিজ নিজ বিশ্বাস স্থাপনের জন্য উগ্রতা প্রকাশ করে। সে অর্থে কি নাস্তিক অর্থৎ ধর্মে যারা বিশ্বাস করছেন না এমন কি ঈশ্বরেও না তারা সবাই কি মৌলবাদ মুক্ত? যদিও মৌলবাদ এর আক্ষরিক অর্থ ধর্মের বিশ্বাসীদের কেন্দ্র করে।
একজন অভিজিৎ রায় এর হত্যার দায় আমি মৌলবাদী ধর্ম বিশ্বাসীদের সাথে উগ্র নাস্তিকদের দেব। উগ্র নাস্তিকেরা এই অভিজিৎ রায় দের লেখা ব্যবহার করে, তার নিজের বিশ্বাস স্থাপনের জন্য অন্যের সাথে লড়াই করে এবং সে লড়াই উগ্র। কিছু ক্ষেত্রে মুক্তির জন্য যুক্তির ব্যবহারের চেয়ে কটুক্তির ব্যবহারই বেশি।
গালি তাদের যেন অস্ত্র জ্ঞান নয়! এসব উগ্র নাস্তিকদের জন্যই নিশানায় আসে অভিজিৎ রায়’য়েরা ।
মুক্তমনা আসলে কি? এটা একটা প্রশ্ন। যদি নিজের বিশ্বাস (ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই) প্রতিষ্ঠার জন্য একজন উগ্রতার আশ্রয় নেয়, যুক্তির বদলে আক্রমণাত্মক কথার আশ্রয় নেয় তবে তার মাঝে আর সেই মৌলবাদী উগ্র ধর্ম বিশ্বাসীর পার্থক্য স্রেফ অস্ত্রের ব্যবহারেরই । হয়তো দেখা যাবে ভবিষৎ এ এরাও অস্ত্র ধরবে।
ঈশ্বরে বিশ্বাস অবিশ্বাস নিজের ব্যক্তিগত ব্যপার, কেউ যদি আমার বিশ্বাস কে রোগ বলে অক্ষ্যায়িত করে সেই বিষয়ে বিপরীত কিন্তু সম পর্যায়ের বিশ্বাসকেও কি আমি রোগ বলব না?
অবশেষে বলব মৌলবাদের উৎখাত হোক মুক্ত চিন্তার বিকাশ হোক। অভিজিৎ দার হত্যার বিচার চাই।
মাসরুফ হোসেন বলছেনঃ
//উগ্র ধর্মীয় বিশ্বাস একটি মানসিক ব্যাধি আপনার কথাটি ঠিক। এর সাথে সহমত জ্ঞাপন করে বলছি উগ্র ধর্মীয় বিদ্বেষও মানসিক ব্যাধি//
তীব্র দ্বিমত। উগ্র ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে হাজার হাজার মানুষকে মানুষ খুন করেছে এবং করছে, উগ্র ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে সর্বশেষ এধরণের কতগুলো ঘটনা ঘটেছে- এ দুটোর মধ্যে পার্থক্য তুলনা করলেই আমি কি বলছি বুঝতে পারবেন।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
মাসরুফ ভাই সময় এখনও বাকি। আজই পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে না, উগ্র ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে একদিনেই এত মানুষ মরে নি।
আর এক ধরনের উগ্রতাকে মানসিক ব্যধি বলছেন আরেক ধরনের উগ্রতাকে কেন বলছেন না? পক্ষপাতিত্ব না করে নিরপেক্ষ ভাবে বলুন।
মাসরুফ হোসেন বলছেনঃ
“তুই আমার নাস্তিক্যবাদকে অপমান করেছিস, এই নে কোপ”- এই জিনিসটা উগ্র নাস্তিকেরা কখনো করেছে কিনা আমি জানিনা, করে থাকলেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু “মাই গড ইজ বেটার দ্যান ইয়োর গড” অথবা “তুই কেন আমার ধর্মকে অপমান করলি”- এই দুই কারণে সৃষ্টির আদি থেকে আজ পর্যন্ত যে পরিমাণ মানুষ হত্যা করা হয়েছে তার তুলনা খুব কমই আছে। একটা উগ্রতা মানুষকে অন্ধ করে দেয়, হাসতে হাসতে স্বর্গের লোভে খুন করতে উৎসাহ যোগায়- আর আরেকটা উগ্রতার দৌড় বড়জোর নির্মমভাবে ব্যংগ-বিদ্রুপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ( হেট ক্রাইমের ঘটনাও আছে, ওতে মানুষ খুনও হয় বিচ্ছিন্নভাবে- তবে ধর্মান্ধদের মত এরকম পাইকারি ভাবে হয়না)।
সময় এখনও বাকি-এটা ঠিক। ভবিষ্যতে যদি উগ্র নাস্তিকের দল তাদের নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে “তুই কেন ধর্মে বিশ্বাস করিস” বলে বোমাবাজি আর নাস্তিক জিহাদী জোশ তুলে চাপাতিবাজি শুরু করে, তখন না হয় দুটো উগ্রতাকে এক পাল্লায় মাপা যাবে।
নিরপেক্ষভাবে কথা বলছিনা কেন? দান্তে এর উত্তর খুব সুন্দরভাবে দিয়েছেন- The darkest places of hell are reserved for those who maintain their neutrality in the time of moral crisis.
একটা সম্পূরক প্রশ্ন হতে পারে এরকম, আমি নিজে আস্তিক না নাস্তিক। এই প্রশ্নের আমি সরাসরি উত্তর দিইনা, যেটা বলি তা হচ্ছে- দ্যাটস বিটুইন মি এ্যান্ড দা ক্রিয়েটর
তারিক লিংকন বলছেনঃ
prednisone side effects in dogs long termজাকির নায়েক টিভি প্রগ্রাম করে অন্য সকল ধর্মকে উড়িয়ে দিলেও তারে কেউ মারতে আসবে না কারণ সেটা তার বাক স্বাধীনতা…
কিন্তু কোন মুক্তমনা ধর্ম সকলকে বিকল প্রমান করলেই সমস্যা। অথচ ধার্মিকেরা নাস্তিকদের সামজিকভাবে নানান ভাবে হেনস্তা করলেও নাস্তিকেরা তাদের যুক্তি দেয়া ছাড়া কিছু বলবে না। এতেই বুঝা উচিৎ বিশ্বাসের ভাইরাস কোনটাকে কেন বলা হয়েছে…
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত…
তারিক লিংকন বলছেনঃ
প্রথমত কথা হচ্ছে কেউ যদি কোন কিছুকে ভুল বা মিথ্যা বলে তার অর্থ এইনা আমি এইটা ব্যাপারে বিদ্বেষ!! আদালতে যখন বিচারক খুনিকে দোষী সাব্যস্ত করে কিংবা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক কাউকে সন্দেহ করে এতে করে তার প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশিত হয় না।
আমি তুই সবাই দুনিয়াতে এসেছি-এসেছে নির্ভেজাল মানুষ হিসেবে। তারপর উত্তরাধিকারে স্থাবর সম্পত্তির মত করে আদর্শিক ব্যাপারগুলোও পেয়ে থাকি। যা সম্পূর্ণরুপে অযৌক্তিক। যাহোক, এইবার আমার ছোটবেলার শ্যাওলা ধরা অভ্যেস থেকে সবাই সহজে মুক্ত হতে পারে না, অভ্যস্ত হয়ে পরে। কিন্তু বিচারকের মতো করেই সকল ধর্মকে পাঠ করে এবং উত্তরাধুনিক কিংবা সমসাময়িক দর্শনগত অগ্রগতি সব কিছু বিচার করেই আমাকে সত্য গ্রহন করতে হবে এবং বাদ বাকি আবর্জনা কিংবা দৃশ্যত জঞ্জালকে জঞ্জাল বলেই ঘোষণা করতে হবে। এতে বিদ্বেষের কিছু নেই… glaxosmithkline levitra coupons
বুঝাইতে পারলাম জিনিস টা?
দুরন্ত জয় বলছেনঃ side effects after stopping accutane
আমি তো বলছি না যে নাস্তিক মানেই উগ্র বা ধর্মে বিদ্বেষকারী দুটাকে এক করে ফেলছেন কেন??
সকল ধার্মিকই যেম্পন মৌলবাদী নয় তেমন সকল নাস্তিকই তো আর মুক্ত মনা নয়!
কিছু কিছু নাস্তিক আছে যারা ধর্মে বিদ্বেষী উগ্র ধর্মে বিশ্বাসীরা যেমন নাস্তিক দেখলেই ধুইতে শুরু করে এরাও ধর্ম বিশ্বাসী একজন পেলে শুরু করে দেয়!
অংকুর বলছেনঃ
ঈশ্বরে বিশ্বাস অবিশ্বাস নিজের ব্যক্তিগত ব্যপার, কেউ যদি আমার বিশ্বাস কে রোগ বলে অক্ষ্যায়িত করে সেই বিষয়ে বিপরীত কিন্তু সম পর্যায়ের বিশ্বাসকেও কি আমি রোগ বলব না?
আসলেই। এটা সম্পূর্ন নিজস্ব ব্যাপার। আপনি যদি মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী হন তাহলে এটা স্বীকার করতেঈ হবে
দুরন্ত জয় বলছেনঃ propranolol clorhidrato 10 mg para que sirve
আর হ্যাঁ পোস্ট ‘তারিক লিংকন’ এর মানের হয় নি। পুরানো সেই ঝাজ নেই।
পুর্বের লিংকন ভাইকে চাই……
তারিক লিংকন বলছেনঃ
পাঠকই পোস্টকর্তার আসল বিচারক। ভবিষ্যতে আরও ভাল হবে…
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আর ঝাঁজের জন্যে বান্দরবন থেকে ধাইন্যা মরিচ নিয়া আসছি, দিবানি পরের বার
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
অপেক্ষায় রইলাম ……
মাসরুফ হোসেন বলছেনঃ
তারিক লিংকন ভাই, আপনে একটা জিনিস ভাই
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ধন্যবাদ মাসরুফ ভাই পড়বার জন্যে…
কিন্তু আমারে জিনিস কইলেন কেন বুঝলাম না!! sildenafil efectos secundarios
মাসরুফ হোসেন বলছেনঃ
ছবিটি দেখলেই বুঝবেন
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
/// দ্যাটস বিটুইন মি এ্যান্ড
দা ক্রিয়েটর///
ভাল আপন নাস্তিক হোন আর আস্তিক হোন আমার সমস্যা নেই।
আপনি পরিসংখান দেখালে উগ্র নাস্তিকের দ্বারা খুনের পরিসংখ্যান আমি দেখাতে পারব না।
আমার প্রশ্ন ছিল একই ধরনের উগ্রতা কেন সমতুল্য হবে না?
আর আরেকটি কথা আমি আগেই উল্যেখ করেছি অভিজিৎ রায়, রাজিব হায়দার এদের মৃত্যুতে শুধু উগ্র আস্তিক নয় উগ্র নাস্তিকেতাও দ্বায়ী।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
একজন আস্তিক কোন নাস্তিককে প্রশ্ন করে নাস্তিক তাকে চায়ের টেবিলে বুঝাবে আর একজন নাস্তিক কোন আস্তিককে প্রশ্ন করলে মৃত্যু পরোয়ানা দিয়ে দিবে কিংবা গাল মন্দ করবে…
আস্তিকদের বিশ্বাসের আবার ভিবিন্ন লেভেল আছে তো সে অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া হয় আর কি! এই জন্যেই গবেষক এবং নিউরোসাইন্টিস্ট ক্যাথেলিন টেইলর একে নিরাময়যোগ্য মানসিক ব্যাধি বলেছেন
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
নাস্তিকের গালা গালি করার উদাহরনও কম নয় কিন্তু ভাই!
মাসরুফ হোসেন বলছেনঃ
অভিজিৎ রায় আর রাজীব হায়দারের মৃত্যুতে উগ্র নাস্তিকতাও দায়ী, এইটা বলে “কেউ উগ্র নাস্তিক হইলে তারে মেরে ফেলাটা ন্যাচারাল রিএ্যাকশন” এইটা বুঝাতে চাচ্ছেন নাকি?
সমস্যাটা এইখানেই। আমারে কেউ আমার মা বাবা বোন স্ত্রী তুলে গালি দিলে আমার প্রচন্ড রাগ হয়, কিন্তু সেই রাগের বশবর্তী হয়ে তার গায়ে যদি আমি হাত তুলি্,দেশের আইন অনুযায়ী আমার স্থান সোজা শ্রীঘর।
উগ্র আস্তিকতা মানুষকে খুনী/ধর্ষক/রক্তপিপাসু উন্মাদ বানিয়ে ফেলে। উগ্র নাস্তিকতা খুব বেশি হলে ইনসেন্সিবল, গালিবাজ বলদ বানায়( অভিজিতদা জীবনেও কাউরে গালি দেন নাই)।
কাজেই, দুইটারে এক পাল্লায় ফেলানো মানে মুড়ি মিছরির এক দর করা।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
// অভিজিতদা জীবনেও
কাউরে গালি দেন নাই// আমি বলিও নি তিনি দিয়েছেন।
// কেউ উগ্র নাস্তিক
হইলে তারে মেরে ফেলাটা ন্যাচারাল
রিএ্যাকশন” এইটা বুঝাতে চাচ্ছেন নাকি?/// কই কইলাম
অপার্থিব বলছেনঃ
এটা সত্য যে নাস্তিক দের মধ্যেও উগ্রবাদী প্রবণতা আছে। তবে নাস্তিকদের উগ্রবাদীতা আর মৌলবাদীদের উগ্রবাদিতার পধ্যে সুষ্পষ্ট পার্থক্য আছে। মৌলবাদীদের উগ্রবাদ তাদের ধর্মীয় আদর্শ কেন্দ্রীক অপর দিকে নাস্তিকদের উগ্র বাদ অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার ব্যক্তি চরিত্রের প্রতিফলন অর্থাৎ কোন নাস্তিকের যদি ব্যক্তিগত জীবনে গালা গালির অভ্যাস থাকে তাহলে তার লেখায় গালাগালি থাকবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্ত অধার্মিক কিংবা নাস্তিকদের প্রতি ধার্মিকদের আচরন অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের ধর্মীয় আদর্শ দ্বারা পরিচালিত হয়। কাজেই এই দুটো জিনিস এক নয় । অধিকাংশ নাস্তিক শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্মের নির্মূল চায় কিন্ত কোন নিরপরাধ ধার্মিকের সামান্য ক্ষতি চান না, অভিজিৎ রায় নিজেও চাইতেন না। তাই অভিজিৎ রায় হত্যার সঙ্গে উগ্র আস্তিকের পাশাপাশি উগ্র নাস্তিকদের দায়ী করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
বিশ্বাস যতক্ষন পর্যন্ত ব্যাক্তিগত বিশ্বাস ততক্ষণ পর্যন্ত কোন সমস্যা নেই কিন্ত বিশ্বাস যখন রাজনৈতিক দর্শনে রুপান্তরিত হয় তখনই হয় আসল প্রব্লেম।অধিকাংশ ধর্মই একটা রাজনৈতিক দর্শন। এ কারনে এর রাজনৈতিক প্রভাব ব্যাপক।
স্টিফেন ওয়াইনবার্গের একটি উক্তি উদ্ধৃত করছি
“ধর্ম মানবতার জন্য এক নির্মম পরিহাস। ধর্ম মানুক বা নাই মানুক, সবসময়ই এমন অবস্থা থাকবে যে ভালো মানুষেরা ভালো কাজ করছে, আর খারাপ মানুষেরা খারাপ কাজ করছে। কিন্তু ভালো মানুষকে দিয়ে খারাপ কাজ করানোর ক্ষেত্রে ধর্মের জুড়ি নেই”
আমার ধারনা এই কথাটি আস্তিক নাস্তিক উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। একজন ভাল মানুষের ভাল কাজ করতে ধর্ম কিংবা নাস্তিকতার কোনটারই কোন প্রয়োজন নেই ,তেমনি খারাপ কাজ করতে এগুলোর প্রয়োজন নেই। কিন্ত আস্তিকতা আর নাস্তিকতার মধ্যকার পার্থক্য ফুটে উঠেছে ভাইনবারগের কথার পরের অংশে।
আমাদের সমাজে এই উক্তিটির অসংখ্য উদাহরন আছে। এ কারনেই ধর্ম সবচাইতে ভয়ংকর ও মানব সভ্যতার জন্য অনেক বড় হুমকি।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ভাই অভিজিৎ দার মৃত্যুতে উগ্র নাস্তিকেরাও আংশিক দোষী তাদের প্রতি যে রোষানল উগ্র আস্তিকদের তারই স্বীকার হয়েছেন অভিজিৎ দা।
আর এ কেমন কথা নাস্তিক গালা গালি করলে হবে স্বভাব জাত বৈষিষ্ট্য আর আর আস্তিক করলে ধর্মের দোষ! একই পাপে ভিন্ন সাজা কেন?
অপার্থিব বলছেনঃ
ভুল বুঝলেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গালাগালি, মারামারির সাথে আস্তিকতা নাাস্তিকতার কোন সম্পর্ক নেই কিন্ত নাস্তিক বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের এর শিকার হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ভিন্ন।নাস্তিক বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের প্রতি ধার্মিকদের আচরন অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের ধর্মীয় আদর্শ দ্বারা পরিচালিত হয়। তাদের কিছু ধর্মীয় কিছু বিধি বিধান এইসব গালাগালি মারামারিকে জাষ্টিফাই করতে শেখায়।কারো কাছে মসজিদ ভাঙ্গা পুণ্যের কাজ বলে মনে হয় কারো কাছে মন্দির ভাঙ্গা আবার কারো কাছে নাস্তিক মারা । এটাই সবচাইতে ভয়ংকর এবং এরই শিকার হয়েছেন অভিজিৎ রায়।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
মসজিদ মন্দির ভাঙ্গা, মানুষ খুন আমি তো সব কিছুরই বিপক্ষে।
এটা অস্বীকার করা ভুল হবে যে উগ্র নাস্তিক ও কিন্তু উগ্র আস্তিকের উগ্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। ব্যপারটা উদাহরণ হয়ে বোঝালে ভাল হত কিন্তু আমি পারছি না।
অংকুর বলছেনঃ
একটা বিষয় ক্লিয়ার করি, ধরুন আমি একজন মানুষ,আমি ধর্মে বিশ্বাসী,হতে পারে সেটা যেকোন ধর্ম। ধরে নেই ইসলাম। আমি নামাজ পড়ছি, শাহবাগে গিয়ে বিচারের জন্য সারাদিন গলা ফাটাচ্ছি। আবার সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তিও ব্যবহার করছি। ধরি আপনি আমার বন্ধু, আপনি নাস্তিক। ধরি আরেকজন বন্ধু আছে, সে হিন্দু,ধরে নেই জয়। এখন তিনটা জিনিস মিলাই, আমার বিশ্বাস ইসলামে,জয়ের সনাতন ধর্মে,আর আপনি বিশ্বাস করেন ধর্ম বলে কিছু নেই। কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। তারপরও আমাদের তিনজনের একসাথে থাকতে কোন সমস্যা নেই। আমরা সবাই যে যার মত আছি, সবার মোটো এক, শান্তি,ন্যায়বিচার। তো আমার বা জয় এর ধর্মে বিশ্বাসী কেউ যদি এসে থাবা বাবা বা অভিজিৎ রায় কে কুপিয়ে দিয়ে যায় সেটার দায়ভার আমরা কেন নিব? আর আপনিই বা কোন অর্থে বলছেন যে আমরা এবং তারা সমগোত্রীয়?
অংকুর বলছেনঃ
আমি যথেষ্ট অপমান বোধ করছি।
অংকুর বলছেনঃ
pregnant 4th cycle clomidএখানে আরেকটু যোগ করি। একাত্তরেও তো পাকিস্তানিরা বলত তারা মুসলমান। তারা ইসলামের জন্য করছে। তখন যদি আপনার আমার মত লোক না থাকত তাহলে কি আমরা বাংলাদেশ পেতাম? এখন নাস্তিক আস্তিক বিশ্বাসী অবিশ্বাসী এসব বাদ দিয়ে মানুষে ফোকাস করেন। তারা মানুষ না,আমরা মানুষ এই কথা ভাবেন। এটা ওদের একটা চাল। আমাদেরকে পৃথক করার। আমরা খুব ভালোবাবেই সেই চালে পা দিয়ে ওদের মোটোকেই প্রচার করে বেরাচ্ছি
অপার্থিব বলছেনঃ
প্রশ্নটা কি আমার উদ্দেশ্যে করলেন? যদি আমার উদ্দেশ্যে করে থাকেন তাহলে বলব আমি আমার মন্তব্যে কোথাও বলি নি যে অভিজিৎ রায় কিংবা অন্য কোন নাস্তিক হত্যার দায় সকল বিশ্বাসীর উপর বর্তায়। কিন্ত যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের বিশ্বাসের সঠিকতা অনুসন্ধান অত্যন্ত জরুরী। blueberry 100 sildenafil review
//এখন তিনটা জিনিস মিলাই, আমার বিশ্বাস ইসলামে,জয়ের সনাতন ধর্মে,আর আপনি বিশ্বাস করেন ধর্ম বলে কিছু নেই। কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। তারপরও আমাদের তিনজনের একসাথে থাকতে কোন সমস্যা নেই।কিন্তু আমরা সবাই যে যার মত আছি, সবার মোটো এক, শান্তি,ন্যায়বিচার।//
আসলে আজকের এই মানব সভ্যতার যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তার পিছনে শুধু মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম আর অধ্যবসায়েরই অবদান। কোন ধর্ম গ্রন্থ কিংবা ধর্মের এতে খুব বেশি অবদান নেই , ভবিষ্যতেও থাকবে না। আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবন যাপন হুবুহ কোন ধর্ম কিংবা ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ী করি না । আমরা মানুষেরা সমাজের পরিবর্তনে সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের মত করে মূল্যবোধের পরিবর্তন করে নিয়েছি। একারনে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কিংবা নাস্তিকদের সাথে একাসাথে থাকতে কিংবা আড্ডা দেওয়া আমাদের কাছে অন্যায় মনে হয় না।হবেও না । কিন্ত প্রশ্ন হল ধর্ম গ্রন্থ গুলো কি এটা এলাউ করে ?
কোরানে অসংখ্য আয়াত আছে যেখানে কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর হিন্দু ধর্ম তো যেখানে নিজেদের অনুসারীদেরকে নানা বর্ণে বিভক্ত করেছেএবং প্রবল বর্ণ বিদ্বেষ ধারন করেছে সেখানে অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি কি সেটা আর বলাই বাহুল্য।
এক শ্রেনীর ধর্মাবলম্বী যাদের আমরা সালাফী কিংবা জঙ্গী যাই বলি না কেন এরা একদিকে এই মানব সভ্যতার বিকাশে ধর্মের কোন অবদান খুজে পায় না , সমাজের এই পরিবর্তিত মূল্যবোধকে মেনে নিতে পারে না। আবার একই সঙ্গে শৈশব থেকে গড়ে ওঠা ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর পরিপূর্ণ ভাবে বিশ্বাস স্থাপন করতে চায় ( যে বিশ্বাস তাদের বলে ধর্ম গ্রন্থের মাঝে মানব সভ্যতা বিকাশ ও সব সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে এবং ধর্ম গ্রন্থের আয়াত গুলো সর্ব কালের জন্য প্রযোজ্য ) । তারা তাদের ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ী পাপ পুণ্য এবং পাপের শাস্তিকে ডিফাইন করে। তাই এসব সালাফি জিহাদিরা বর্তমান সময়ের বিকাশকে অগ্রাহ্য করে ফিরে যেতে চায় মধ্যযুগে যেখানে তাদের ধর্মের ব্যাবহারিক গ্রহণযোগ্যতা ছিল।এই ধর্মীয় বিধান গুলোর ঐশ্বরিকতা এবং সর্ব কালীনতা দাবীর কারনেই মুলত আজকে এই বিধানগুলো নিয়ে এত মত ভিন্নতা । তা না হলে অন্য অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তিদের তৈরী বিধানের মত এগুলোও হয়তো কালের গহব্বরে হারিয়ে যেত কিংবা নানা ভাবে পরিবর্তিত হত। এই বিধান গুলো আবার স্ববিরোধী । কখনো শান্তিপূর্ণ আবার কখনো তীব্র বিদ্বেষময় । এই স্ববিরোধিতার কারনে একই ধর্ম মেনে কেউ হয় মডারেট আবার কেউ হয় জঙ্গী( আই এস কিংবা আর এস এস)
অংকুর বলছেনঃ
ভাই, প্রথমত আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলিনি। লিংকন ভাই কে বলেছি। দ্বিতীয়ত, কুরআন এ কোন কিছুর ব্যাখ্যা দেয়া নেই। এর জন্য হাদিস আছে কিয়াস আছে ইজমা আছে। সময় অনুযায়ী অর্থ বুঝতে হয়। কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে মানা আছে তার মানে এই না যে কাফিরদের দেখলে দুর দুর করে পালাইতে হবে। এখানে বোঝানো হয়েছে তাদের সাথে মিশে কুফরি না করা। যাহোক সেদিকে না যাই। আপনি ওই একই বিষয় টানতেছেন। মানুষ জিনিসটাতে ফোকাস করেন। হিন্দু,মুসলিম,আস্তিক, নাস্তিক বাদ দেন। আর আপনার যদি মনে হয় যারা বিশ্বাস করে তাদের সাথে বসব না,ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম। কিন্তু আমরা কিন্তু অত নিচু মানসিকতা নিয়ে থাকিনা। আমাদের ক্ষেত্রে মনুষত্ব বেশি প্রাধান্য পায়
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ভাল ধরেছেন।
আর একটু সংযোগ করি,এখানের যে নাস্তিক ব্যক্তিটি সে যদি ধর্মবিশ্বাসী অপর দুজনকে প্রতি নিয়ত এই ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে খুচিয়ে যেত তবে ফলাফল কি হত? তারা আলাদা হয়ে যেত। আমি ঠিজ এই শ্রেনী যাতে অনুভুতি অতি বেশি সে ধর্ম বিশ্বাসের অনুভুতিই হোক আর অবিশ্বাসেরই হোক এদের কথাই বলছি এরা সমগোত্রীয়।
আমি অভিজৎ দার হত্যার বিচার চাই, এই আপনি আমাকে যদি খুনীদের সাথে এক কাতারে ফেলে দেন শুধু ধর্ম বিশ্বাসের জন্য তবে আপনাকে কি বলার? অ
অপার্থিব বলছেনঃ
//আর একটু সংযোগ করি,এখানের যে নাস্তিক ব্যক্তিটি সে যদি ধর্মবিশ্বাসী অপর দুজনকে প্রতি নিয়ত এই ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে খুচিয়ে যেত তবে ফলাফল কি হত? তারা আলাদা হয়ে যেত//
কোন বিশ্বাসই সমালোচনার উরধে নয় । কাজেই এ নিয়ে যুক্তি তর্ক হতেই পারে । কারো ভাল না লাগলে সে আপনার ভাষায় আলাদা হয়ে যেতে পারে । এটা তার দৃষ্টি ভংগীর সমস্যা। কিন্ত এর জন্য তো তার তার্কিক বন্ধুটির উপর দোষ দেওয়া যায় না। আর ধর্ম কোন সাধারন তর্কের বিষয় না। সারা পৃথিবীতে জুড়ে সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা, আই এস , আল কায়েদা জঙ্গী উত্থানের কারনে অনেক জায়গায় মানব সভ্যতার অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। কাজেই ভবিষ্যৎ পৃথিবীর স্বার্থে এ নিয়ে আরও বেশি আলোচনা -সমালোচনা হওয়া উচিত। কাজেই সংকীর্ণতাকে ত্যাগ করে এটাকে পজিটিভলি নিতে হবে।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ buy viagra blue pill
আমি ব্যক্তিগতভাবে লেখাটা পছন্দ করিনি। অনেকে গোছানো বলে স্টিকি করার অনুরোধ জানিয়েছে দেখে একটু অবাক হয়েছি। এটা ঠিক আমার কাছে গোছানো লেখা মনে হয়নি।
প্রথমত আমি ঠিক বুঝতে পারিনি আপনি কি অভিজিত রায়ের স্মরণে লিখগেছেন নাকি বিশ্বাসের ভাইরাস বিষয়টা নিয়ে লিখেছেন। শিরোনাম দেখে মনে হয়েছে বিশ্বাসের ভাইরাস বিষয়টা নিয়ে লিখেছেন। সেক্ষেত্রে এই পোস্ট বিশ্বাসের ভাইরাস বিষয়টা বোঝাতে ব্যররথ হয়েছে বলে আমার মনে হয়। যে আগে থেকেই এই ভাইরাস থেকে মুক্ত তারা আপনার ভাষ্য বুঝতে পারলেও ভাইরাস আক্রান্তদের তো আপনি এভাবে বোঝাতে পারবেন না।
;আঙ্গুল দিয়ে নখ কাটা একটি মানসিক রোগ’ এই বলে আমি যদি একজন ডাক্তারের ভাষ্য ভিডিও আকারে তুলে দেই তাহলে কি আমি বুঝাতে পারব? যদিবা কেউ শুধু একটি ভিডিও দেখেই তা মেনে নেয় তাতেও আমরা খটকা থেকে যাবে আদৌ সে বুঝল কিনা। কেননা অনেক কিছু জানা বোঝা বা বলা এখনো বাকি। সে এগুলো না জেনেই কি বুঝেছে সেই জানে?
যাই হোক এই পোস্টের দূর্বলতা সেখানেই। আমার যতটুকু মনে পড়ে এই ভিডিও আমি আগেও পেয়েছিলাম। স্মরণশক্তির আমাকে বিভ্রান্ত না করলে খুব সম্ভবত অভিজিত’দার কোন এক পোস্টেই। ইস্টিশনের পারভেজ আলমের কাউন্টার পোস্ট দিয়ে মুক্তমনায় একটা লেখা দিয়েছিলেন। আপনি সেই লেখাটায় দেখবেন তাঁর বই থাকা সত্তেও যেহেতু অনেকে বইটি পড়েনি তিনি ঐ পোস্টে কত তত্ত্ব, তথ্য এবং যক্তি দিয়ে সুস্পষ্টভাবে বিষয়টা তুলে ধরেছেন। তার ঐ পোশটের মূল বিষয় বিশ্বাসের ভাইরাস ছিল না কিন্তু তারপরও তিনি তা অনেকাংশেই এমনভাবে পরিস্কার করেছেন যে বিশ্বাসোদের নিজেদের নিয়ে সন্দেহ হয়।
আমার ব্যক্তিগত অভিমত এধরনের বিতর্কিত নব্য কোন ধারনা নিয়ে লিখতে হলে আপনাকে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। আপনাকেও অনেক তত্ব, তথ্য যুক্তি তুলে ধরতে হবে। অনেকটা সময় দিতে হবে আলোচনায়। এখানে মন্তব্যও আপনার যথেষ্ট কম। আমি ঠিক বুঝতে পারিনি আপনার যে পোস্ট এত বিতর্কের সৃষ্টি করল সেই বিতর্কগুলো আপনি পরিস্কার করে সমাধান করেননি কেন? মানুষকে বুঝাতে যে পোস্ট মানুষগুলো যখন বুঝল না তখন তাদের বোঝানোর দায়ভারটাও আপনার। অন্য মন্তব্যকারীদের নয়।
শেষ কথা, অভিজিত রায়কে মেরে ফেলার কারণ মৌলবাদীরা জানে অভিজিত রায়ের মত দু’একজন থাকলে এই ভাইরাস টিকে থাকতে পারবে না। মানুষগুলোর মাঝে আশ্রয় নিয়ে যে ভাইরাসের বসবাস সেই পোষক মানুষের মনে যখন ভাইরাসের অস্তিত্ব নিয়ে অভিজিত রায় প্রশ্ন দাঁড় করিয়ে দেন তখন ভাইরাসের দায়িত্ব অভিজিত দাকে মেরে ফেলা। না থাকবে বাঁশ না বাজবে বাঁশি। সেক্ষেত্রে আপনাদের দায়িত্ব বা আমাদের দায়িত্ব অভিজিত রায়ের কাজটা অব্যহত রাখা। এভাবে অল্প করে অস্পষ্টভাবে লিখলে মানুষ বুঝবে না , নাস্তিক থাকবে কিন্তু নাস্তিকেরা যে কাজের নয় তা দেখিয়ে দিবে মৌলবাদীরা। তাই অনুরোধ অভিজিত দা’র ছবি সামনে না রেখে তাঁর লেখা সামনে রেখে সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে লিখবেন।
আমি দূঃখিত যে একাধারে আপনার পোস্টের সমালোচনা করে গেলাম। তবে আপনার লেখার বিষয়টি আমার খুবই পছন্দের। সভ্যতায় এধরনের বিতর্কিত নব্য ধারনার লেখা কম পাওয়া যায়। আমি আশা করব আপনারা সেই ঘাটতি পূরণ করবেন।
আর আপনার কাছ থেকে অনেক ভাল লেখা পাবার একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। এখন এ ধরনের অসম্পূর্ণ লেখা পেলে আশাহত লাগে।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
সাধু… সাধু… সাধু…
আপনার গঠনমূলক সমালোচনা পাথেয় হয়ে থাকবে!!
ভাল থাকবেন… পরে বিস্তারিত উত্তর দিব আশাকরি
Sheikh Taher বলছেনঃ
সুত্র: (কেন এই লেখা? বিশ্ববিদ্যালয়ে
পড়াই। সে সুবাদে অনেকের অনেক
প্রশ্নের জবাব দিতে হয়। জীবনে বহুবার
‘মৌলবাদ’ নিয়ে নানা প্রশ্নের
সম্মুখীন হয়েছি। ঐ সকল প্রশ্নের জবাব
খুঁজতে গিয়ে যা পেলাম, তা নিয়েই
আজকের এ লেখা। মৌলবাদের মূল-
সন্ধানী এ লেখার মুখবন্ধে এটা বলতে
পারি— এ যেন কেঁচো খুড়তে গিয়ে
সাপের সন্ধান পাওয়া ׀ )
মৌলবাদ কোনো উর্দু, আরবি বা ফার্সি
শব্দের বাংলা অনুবাদ নয় ׀
Fundamentalism একটি ইংরেজি শব্দ, যার
বাংলা করা হয়েছে ‘মৌলবাদ’ শব্দটি
দ্বারা ׀
মৌলবাদের জন্ম
ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় যে, শব্দটি
প্রথম ব্যবহার করা হয় আমেরিকায় এবং
১৯২২ সালে׀ ১৮০০ সালের পর থেকে শুরু
হয় বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের
স্রোত ׀ সেই স্রোতধারায় ভেসে
যাবার উপক্রম হয় খ্রিস্টধর্মের অনেক
বিশ্বাস ও প্রচলিত ধারণা ׀
নাস্তিক্যবাদের (aethism) প্রসার
ব্যাপকতা লাভ করে ׀ তখন আমেরিকান
খ্রিস্টানদের Protestant সমাজের একটি
অংশ খ্রিস্টধর্মের হেফাজতের জন্য
একটি আন্দোলন শুরু করে׀ এই আন্দোলনের
পুরোধা ছিলেন Milton এবং Lyman Stewart
নামের দুই ভাই। তারা ছিলেন তেল
ব্যাবসায়ী ׀ তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও
তত্ত্বাবধানে ৬৪ জন লেখক (যাদের
মধ্যে ছিলেন পণ্ডিত, পাদ্রী এমন কি
মন্ত্রীও; কিন্তু কোনো মুসলমান— অবশ্যই
নয়) ধারাবাহিকভাবে ১২টি ভলিউমে
খ্রিস্টধর্মের মূল বিষয়াদি বর্ণনা করেন।
এই ভলিউমগুলোর নাম দেয়া হলো The
Fundamentals. ধীরে ধীরে ধর্ম-কর্ম
ছেড়ে দেয়া অনেক খ্রিস্টান এগুলোর
প্রতি আকৃষ্ট হয় ׀ এই মতবাদের নাম দেয়া
হল Fundamentalism (মৌলবাদ) এবং এই
মতবাদে যারা বিশ্বাস স্থাপন করতে
লাগল তাদেরকে বলা হল Fundamentalist
বাংলায় যার সরাসরি অর্থ হয়
‘মৌলবাদী’।
নিরপেক্ষ পাঠক মাত্রই অকুণ্ঠ চিত্তে
স্বীকার করবেন যে, এই Fundamentalism
বা মৌলবাদের উত্পত্তির সঙ্গে
কোরান-হাদিস-ইসলাম-মুসলমান এবং
কোনো মুসলিম দেশের দূরতম সম্পর্কও
নেই׀কিন্তু এটা বড়ই দুঃখজনক এবং
আফসোসের বিষয় যে, মৌলবাদের
জন্মস্হান এবং সংরক্ষণাগার
আমেরিকা আজ মুসলমানদেরকে
মৌলবাদী বলছে এবং মুসলিম দেশসমূহে
মৌলবাদ খুঁজে বেড়াচ্ছে ׀অথচ
কোথাও কেউ প্রতিবাদ করারও নেই। এর
প্রধান কারণ ভীরুতা এবং অজ্ঞতা ׀ এই
দুটো জগদ্দল পাথরের মত দুনিয়ার সকল
মুসলমান এবং মুসলিম দেশসমূহের ওপর
চেপে বসেছে׀
প্রসঙ্গতঃ এ কথাটি বিশেষভাবে
উল্লেখ্য যে, নাস্তিক্যবাদ (যা
প্রতিহতের জন্য খ্রিস্টান তথা মার্কিন
মৌলবাদের জন্ম) এবং ইসলামী
পরিভাষায় প্রচলিত `কুফর` একই অর্থ বহন
করে না ׀ নাস্তিক্যবাদের (aethism)
অর্থ স্রষ্টাকে অস্বীকার করা এবং
যারা এই কাজ করে তাদেরকে
নাস্তিক(aethist) বলে। পক্ষান্তরে
ইসলামের যে কোনো বিষয়কে
অস্বীকার করাকে `কুফর` বলে ׀ যেমন আবু
জেহেল, আবু লাহাব প্রমূখ স্রষ্টার
অস্তিত্বে বিশ্বাস করা সত্বেও
নিঃসন্দেহে কাফের কারণ তারা
`রিসালাতে` অবিশ্বাসী ছিল׀ এই
যুগেও ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক
`কাদিয়ানীরা` সন্দেহাতীতভাবে
`কাফের` কারণ তারা বিশ্বাস করে না
যে হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ এবং
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল। অথচ
কাদিয়ানিদেরকে কেউ নাস্তিক
বলে না। আরও উদাহরণ দেয়া যায়,
মুসলমানদের মধ্যে সুদ খাওয়াকে
হালাল মনে করলে কেউ নাস্তিক হয়
না কিন্তু সে কাফের হয়ে যায় ׀
একটি ধূর্তামি
খোমেনির অনুসারী কিছু ইরানি ছাত্র
০৪-১১-১৯৭৯ ইংরেজিতে তেহরানস্থ
আমেরিকান দূতাবাসে অতর্কিতে
হামলা চালিয়ে ৬৬ জন
আমেরিকানকে পণবন্দী করে׀ দিন
কয়েক পরে প্রথম দফায় ১৩ জন ও পরে ১ জন
মোট এই ১৪ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়׀
বাকী ৫২ জনকে ছাত্ররা দীর্ঘ সময় ধরে
আটক রাখে ও বিভিন্ন দাবী-দাওয়া
উত্থাপন করতে থাকে ׀ এই ৫২ জন সুদীর্ঘ
৪৪৪ দিন বন্দীদশায় অতিবাহিত করার
পরে ২১-০১-১৯৮১ তে মুক্তি পায় ׀ ঐ
সময়ে পশ্চিমা মিডিয়া খোমেনির ও
ইরানের বিপ্লবের আদর্শকে `প্রচারের
জন্য` ইসলামী মৌলবাদ (Islamic
Fundamentalism)` পরিভাষাটি তৈরি
করে׀ এ কথা সর্বজনবিদিত যে
খোমেনি ছিলেন একজন কট্টর শিয়া׀
খোমেনির চিন্তা-চেতনা-মতবাদ
ইত্যাদি ইসলামের শ্বাশত ধ্যান-
ধারণার সাথে সাংঘর্সিক׀ সুতরাং
এখানেও একথা স্পষ্ট হয়ে গেল যে,
`ইসলামী মৌলবাদ` আর `দ্বীন ইসলাম`
কস্মিনকালেও এক জিনিস নয় ׀
বাংলাদেশে মৌলবাদ
‘বাংলাদেশে মৌলবাদ বিস্তার লাভ
করছে’ কিংবা ‘বাংলাদেশ
মৌলবাদীদের দখলে চলে যাচ্ছে’
ইত্যাদি বলতে বলতে ইদানিং কিছু
কিছু বিদেশি ও তাদের এদেশি বশংবদ
দেশবাসীর ঘুম হারাম করে দেবার
উপক্রম করেছে ׀ এ কথাগুলোতে আসলে
কি কোনো সত্য নিহিত আছে? এ
প্রশ্নের সোজা সাপ্টা উত্তর হচ্ছে
`না` ׀ জঘন্য মিথ্যাচার ছাড়া এগুলো
আর কিছুই নয় ׀ মিথ্যাচার এ জন্য বলা
হচ্ছে, কারণ এদেশে জনসংখ্যার ৫% জনও
খ্রিস্টান নয় ׀তাহলে এদেশে
Fundamentalism বা মৌলবাদ কীভাবে
বিস্তার লাভ করে? দ্বিতীয়ত
খোমেনির মতবাদই (যাকে কদর্থে
ইসলামী মৌলবাদ বলা হয়ে থাকে) বা
কীরূপে প্রতিষ্ঠা পাবে যেখানে
এদেশের মুসলমানদের ৫% জনও শিয়া নয়!
এদেশে শিয়াদের কোনো মাদ্রাসা
নেই; অধিকন্তু এদেশের প্রতিটি ইসলাম
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (কওমী কিংবা
আলীয়া) ও সেসবের নেতৃবৃন্দ
শিয়াদেরকে ইসলাম হতে বিচ্যুত একটি
গোমরাহী দল বলে বিশ্বাস করে। এতে
কারো কোনো সন্দেহ থাকলে যে
কোনো মসজিদ-মাদ্রাসার ইমাম-
ওস্তাদদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখুন
উনারা কী বলে। ঢাকার
মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে
অবস্থিত শিয়া মসজিদ ছাড়া এদেশের
আর কোথাও শিয়াদের কোনো
কার্যক্রম নেই׀ অতএব, ইরান কর্তৃক
রফতানিকৃত তথাকথিত ইসলামী
মৌলবাদ খুঁজতে হলে সর্বাগ্রে সেটা
শিয়া মসজিদেই তালাশ করা উচিত ׀
অথচ সেখানে সেনা-পুলিশ-র্যাব
অভিযান পরিচালিত হতে কখনো
শোনা যায়নি׀ এর কারণ কি অজ্ঞতা,
না অনিচ্ছা— সেটা দেশের সরকারই
বলতে পারবেন ׀
বরং আমরা দেখি যে মৌলবাদ খুঁজতে
আর মৌলবাদী ধরতে আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনী প্রায় সময়ে বিভিন্ন
মাদ্রাসায় অভিযান চালায়, অনেক
ক্ষেত্রে নিরীহ ছাত্র-ওস্তাদদের ধরে
এনে নির্যাতন চালায় ׀
সেলুকাস! সত্যিই বিচিত্র׀ যাদের
আজীবন সাধনা মৌলবাদের (চাই
সেটা আমেরিকার হোক কিংবা
ইরানের হোক) বিরুদ্ধে, তাদেরকে
অপবাদ দেয়া হয় মৌলবাদী নামে!
একটি উদাহরণ দিচ্ছি׀ ধরা যাক,
বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতীব
সাহেবকে অথবা মুফতি আমিনীকে
অথবা চরমোনাইর পীর সাহেবকে
কিংবা হাটহাজারী মাদ্রাসার
মুহতামিম সাহেবকে মৌলবাদী নামে
অভিহিত করা হল ׀ এর মানে হচ্ছে
উনারা খ্রিস্টান ধর্মীয় মতবাদ প্রচার
করছেন׀ প্রিয় পাঠক! এর চেয়ে আজীব
বা হাস্যকর কথা আদৌ শুনেছেন কি?
বরং প্রকৃত সত্য এটা, যেখানে
মাদ্রাসা নেই সেখানেই মৌলবাদ
বিস্তার লাভ করে ׀ প্রমাণস্বরূপ পার্বত্য
চত্তগ্রামের সাজেক নামক এলাকার
কথা উল্লেখ করা যায় ׀ এলাকটি আজ
খ্রিস্টান প্রধান যদিও বছর বিশেক
আগেও তা ছিল না।
মৌলবাদী নয় মুসলমান
মৌলবাদ একটি পারিভাষিক শব্দ যার
রযেছে সুনির্দিষ্ট অর্থ׀ মসজিদ-মন্দির-
গির্জার অর্থ যেমন সুনির্দিষ্ট, পাদ্রী–
পুরোহিতকে ইমাম সাহেব বললে যেমন
ভুল হয়, যুদ্ধকে জিহাদ বলা যেমন সত্যের
অপলাপ, উপবাস যেরূপ রোজা হয় না,
পীর-বুজুর্গকে সাধু-সন্ন্যাসী বলা যেমন
ভুল ঠিক তেমনি একজন মুসলমানকে
মৌলবাদী বলে অভিহিত করা চরম
অসাধুতা׀ যারা এ কাজ করে তারাই
জ্ঞানপাপী׀
অনেক সময় অনেক নিষ্ঠাবান
মুসলমানকেও রাগের মাথায় বলতে
শোনা যায় “আমিও একজন মৌলবাদী।”
যিনি একথা বলেন তিনি মৌলবাদের
মানে জানেন না এবং না বুঝে
নিজকে অনেক বড় মিথ্যাবাদী
বানাচ্ছেন׀ একজন মুসলমানের পক্ষে
নিজকে মৌলবাদী দাবি করা চরম
অজ্ঞতার নিদর্শন׀ যে চুরি করে নাই
সে কক্ষনো নিজকে চোর বলে স্বীকার
করবে না, যতই সে রাগের মাথায় থাকুক
না কেন ׀ তদ্রুপ মৌলবাদের মানে
জানা আছে এমন কোনো মুসলমান
নিজকে কস্মিনকালেও মৌলবাদী
ভাবতে নারাজ, স্বীকার করাতো
দূরের কথা׀ বাস্তব হচ্ছে, মুসলমান মাত্রই
মৌলবাদের বিরোধী׀
ধোঁকায় পড়ে অনেকে বলতে পারেন
যে মৌলবাদী দ্বারা তারা ঐ সকল
মুসলমানদেরকে বুঝাতে চাচ্ছেন যারা
ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিষয়ের প্রতি
আস্থাশীল׀ এটা এক মারাতামক
বিভ্রান্তি׀ এর কোনো দরকারই নেই।
আর আমাদের মহান প্রতিপালকও
দ্বীনের রাহবারদের কী বলতে হবে
তা শিখিয়ে দিয়েছেন “কথায় কে
উত্তম ঐ লোক অপেক্ষা যে আল্লাহ্র
প্রতি মানুষকে আহবান করে, নেক কাজ
করে এবং বলে , ‘নিশ্চয়ই আমিতো
মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত ’ (৪১: ৩৩)।”
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ড্যাফোডিল
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি
sparvez@daffodilvarsity.edu.bd