ধর্মান্ধ-তা নয়, মানসচক্ষুই অন্ধ
235
বার পঠিতমহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে হত্যার ষড়যন্ত্রকারী আবু জেহেল রক্ষা পেয়েছিল। কিন্তু হুমায়ুন আজাদ রক্ষা পান নাই, থাবা বাবা ওরফে রাজীব রক্ষা পান নাই, আজকে অভিজিৎ-কেও রক্ষা করতে পারে নাই।
আবু জেহেল কি নাস্তিক ছিলেন?? কই তাকে তো কেও দিনে দুপুরে কুপিয়ে মারে নাই। নবীজী বার বার তাকে ধর্মের পথে আহবান জানিয়েছিলেন, কখনো কুপিয়ে হত্যা করার কথা ভাবেন নাই। missed several doses of synthroid
“(আল্লাহ্র) দীনের ব্যাপারে কোন জোর জবরদস্তি নেই,……”
-সূরা আল বাকারা-২৫৬
” আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।…
-সূরা আল বাকারা-১৯০
“……কোন মানুষকে হত্যা করার কিংবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করার শাস্তি বিধান ছাড়া অন্য কোন কারনে কেউ যদি কাউকে হত্যা করে, সে যেন গোটা মানব জাতিকেই হত্যা করলো;……”
-সূরা আল মায়েদা-৩২
কোরআনের কোন আয়াতে খুনীদের উৎসাহ দেয়া হয়েছে ? কোন আয়াতে বিধর্মী কিংবা নাস্তিক জবাই করতে বলা হয়েছে ? যুক্তিবাদীর যুক্তি সইতে না পারলে তাকে কতল করতে হবে এমন জঘন্য বিধান ইসলামে কোন কালে ছিলো না, এখনও নাই। যে আপনার ধর্মের বিরুদ্ধে যুক্তি দেয়, পারলে তার যুক্তির ভুল তুলে ধরে পাল্টা যুক্তি দিন। আর তা করতে না পারলে সহনশীল থাকুন। লেখা আর যুক্তি সহ্য হবে না বলে কি আপনি একজন মানুষের এইরকমভাবে খুন হওয়াকে সমর্থন করবেন?
আপনার ঈমান কতটা দূর্বল, যে বইয়ের কয়েকটি লাইনে তাতে চিড় ধরবে। আপনার বিশ্বাস কতটা ঠুনকো, কয়েকটি কথায় তা ভেঙে যাবে। আপনার অনুভূতি কতটাই কাঁচা, যে মেরে ফেলতে হয় মানুষকে। দোষটা কোথায়? ঐ নাস্তিকের বইয়ের লাইনে নাকি আপনার ঈমানে বিশ্বাসে তাকওয়াতে? সারা পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য নাস্তিক বা অন্য ধর্মের মানুষ আছে; তাদের কথা আছে এসব পড়ে বা জেনে এতদিন কেন অনুভূতিতে আঘাত লাগল না? নাকি বাঙ্গালিরা পার্সি বা ইংরেজি জানে না বলে অনুভূতিতে আঘাত লাগেনি? মুহাম্মদ (সা:) ইসলাম প্রচার করেছেন, খোদার উপর ঈমান আনতে বলেছেন। যারা আনেনি তাদের তো তিনি মেরে ফেলেননি।
কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা নিজের মত দিলে এক আয়াতের অসংখ্য অর্থ পাওয়া যায়। তাই বলে আমরা আমাদের নিজেদের ব্যাখ্যাকে সৃষ্টিকর্তার আদেশ হিসেবে চালিয়ে দিবো নিজের মতকে জাহির করার জন্য। নাস্তিকদের বই না হয় নাই পড়লাম যেহেতু তাতে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে (!!!! ঈমান- এতই সহজ একটা ব্যাপার!!! ) কিন্তু নিজের ধর্মগ্রন্থটাকে তো ঠিক মত পড়। তোমার সৃষ্টিকর্তা সত্যিই কি করতে বলেছেন তা যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করতে শিখো। সত্য গ্রহন করো।
ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বা নাস্তিকদের রক্ত শরীরে মেখে ধার্মিকরা কতটুকু পরিশুদ্ধ হয় তা আমাদের জানা নেই। নাস্তিকেরা আমাদের জ্ঞানের পথে এগিয়ে নিতে তার মরদেহ দান করে যায়। আর আমরা ধার্মিকেরা নিজেদের দেহ বাঁচিয়ে সেই নাস্তিকের দেহ ব্যাবচ্ছেদ করে জ্ঞানপিপাসু ডাক্তার গবেষক হই।
শক্তি দাও সত্যকে জানার, সঠিক পথে চলার আর তোমাকে বুঝার। আমিন!!! doctus viagra
মিনহাজ শিবলী বলছেনঃ
শক্তি দাও সত্যকে জানার, সঠিক পথে চলার আর তোমাকে বুঝার। আমিন!!!
আল্লাহ তাদেরও শক্তি দিক posologie prednisolone 20mg zentiva
অংকুর বলছেনঃ
ইসলামে কোথাও বলা হয়নি। এইগুলা আসলে পলিটিক্স। নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ধর্মকে নিজের মত করে বানায় নেয়া। স্বার্থ,সবই স্বার্থ। যুক্তি,আর সহনশীলতার উপ্রে কিছু নাই। সাধারণ মানুষ এইটা বুঝেনা। যেভাবে উসকানো হয় উসকে যায়