টমেটো কিংবা পেন্সিল কম্পাসের গল্প
297
বার পঠিততুহিন বসেছে বাসের দ্বিতীয় সারিতে। জানালার পাশের সিটটা খালিই ছিল। সেখানে বসে নি। বিশেষ কারণে। বাসের ভিড় এখনও তেমন একটা বাড়ে নি। তবে এতক্ষণে বেশ কয়েকটা “মাল” ওঠার কথা ছিল। এখনও একটাও ওঠে নি। বাস মালিবাগ থেকে মৌচাকের দিকে এগোচ্ছে। মৌচাক মোড়ে বাস থামতেই অবশেষে উঠল, সেই অতি আকাঙ্ক্ষিত বস্তু – একটা খাসা মাল। সম্ভবত, নর্থ সাউথে পড়ে। উত্তর-দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয়। তুহিন মনে মনে হাসল। এইসব আজগুবি নাম যে তারা কোথায় পায় আল্লাই জানে। নাম হচ্ছে তাদের কলেজের। রাজউক। সেইরকম ভাব!
তুহিন মালটার দিকে তাকাল। খাসা চেহারা। এই প্রাইভেট ভার্সিটির মেয়েগুলো না…! এত সুন্দর কীভাবে হয়? দেখলেই ইচ্ছে করে টমেটোর মত কামড়ে দিতে।
তুহিন মেয়েটার চুলের গোঁড়া থেকে দেখতে শুরু করল। সিল্কি চুল। একেবারে তুলোর মত মোলায়েম। চোখ দু’টো টানা টানা। কাজল আর হালকা নীল আই লাইনারে বেশ মানিয়েছে। টসটসে গাল আর ঠোঁট দু’টো না…! উম্মাহ! দেখলেই চেপে ধরতে ইচ্ছে করে।
তুহিনের দৃষ্টি আরও নিচে নামতে শুরু করে। বুকে এসে স্থির হয়। মাথা নষ্ট ম্যান! এত সুন্দর কীভাবে হয়? চোখ দিয়ে ধর্ষণ করার ব্যবস্থা থাকলে, মেয়েটা এতক্ষণে দশবার কুলোটা হয়ে যেত।
… … …
রাফিন বসেছে, শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় সারিতে। সেটাও বিশেষ কারণে। সামনের দিকে অনেকগুলো সিট খালি পড়ে আছে। ওখানে বসা যাবে না। বাসের সামনের দিকে ভিড় বেশি থাকে। তাই “মাল”গুলো পেছনের দিকে চলে আসে।
আজকেরটা আসছে না। তুহিনের প্রতি রীতিমত হিংসে হতে থাকে রাফিনের। বাইঞ্চোতটা একা একা মজা নিচ্ছে। দাড়া শালা! তোকে মজা নেওয়াচ্ছি। আমি নিতে পারি না মজা? prednisone side effects in dogs long term
রাফিন সামনের দিকে এগোতে শুরু করল। বাস শাহবাগে চলে এসেছে। ঢাকা কলেজ একটু পরেই। এই মালটাকে ছেড়ে দিলে আজকের জার্নিটাই বোরিং হয়ে যাবে। রাফিন এগোতে এগোতে গিয়ে মেয়েটার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। তুহিন আর মেয়েটার মাঝখানে যেন তুহিন দেখতে না পায়। হা হা! শালা এবার বোঝ, কত ধানে কত চাল?
হঠাৎ বাসটা ব্রেক কষল। রাফিন মেয়েটার ওপর পড়ে গেল। অসাবধানতা বশত হাতটা বুকের ওপর পড়ল। ব্যাপার না। পড়তেই পারে। রাফিন তো ইচ্ছে করে পড়ে নি। সব দোষ ব্যাটা ড্রাইভার। থ্যাংকস ড্রাইভার মাম্মা। এত তুলতুলে বুক কীভাবে হয়? পুরো মা-খ-ন!
মেয়েটা তার ভ্যানিটি ব্যাগে হাত ঢোকাল। কী যেন বের করছে? ভাড়া না’কি? এখনই নেমে যাবে না তো আবার? মজাই তো নেয়া হল না। মেয়েটা যেন এখন না নামে।
… … …
মহুয়া বাসে ওঠার সাথে সাথে ছেলেটাকে খেয়াল করল। হা করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। যেন গিলছে। মহুয়া অন্য দিকে তাকিয়ে রইল। অনেকটা জেনেশুনে এড়িয়ে চলার মত। লোকাল বাসে উঠলে এদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া অসম্ভবের কাছাকাছি। এদের দিকে মনোযোগ না দেয়াই ভাল। রাস্তা দিয়ে কুকুর ঘেউ ঘেউ করবেই। তাদের দিকে নজর দিতে হয় না। মহুয়া খুব ভাল করেই জানে, এসব যুক্তি নিজেকে নিজে প্রবোধ দেয়ার মত। আসলে এসবে কিছু হয় না। মহুয়ার অস্বস্তি হচ্ছে। প্রচণ্ড অস্বস্তি হচ্ছে। কিন্তু, কিচ্ছু করার নেই।
একটু পর খেয়াল করল, আরেকটা ছেলে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আগের ছেলেটা এখন আর তাকে দেখতে পাচ্ছে না। খানিকটা স্বস্তিবোধ করল মহুয়া।
কিন্তু, স্বস্তিটা খুব বেশিক্ষণ টিকে থাকল না। ড্রাইভার হঠাৎ ব্রেক কষল। আর ছেলেটা তার ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ল। সেটা ঘটনা না। ঘটনা হচ্ছে, ছেলেটা মহুয়ার বুক চেপে ধরল। এতটা অসভ্যতা কোন ছেলে করতে পারে, মহুয়া কখনও কল্পনাও করতে পারে নি। তার ওপর এরা মহুয়ার চেয়ে বয়সে ছোট। কলেজ স্টুডেন্ট।
… … …
মহুয়ার শিরদাঁড়া শক্ত হয়ে উঠল। আস্তে ভ্যানিটি ব্যাগে হাত ঢোকাল। জ্যামিতি বক্স খুলে সেখান থেকে পেন্সিল কম্পাসটা বের করল। তারপর সুযোগ বুঝে ছেলেটার দু’পায়ের মাঝ বরাবর চালিয়ে দিল। viagra generico prezzo farmacia
… … …
বাসের সবাই হঠাৎ করে সামনে তাকাল। একটা ছেলে গো গো শব্দ করতে করতে নিচে পড়ে গেল। ছেলেটা তার একটা স্পর্শকাতর অঙ্গ চেপে ধরে আছে। কেন ধরে আছে বোঝা যাচ্ছে না।
side effects after stopping accutane
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ভাল হয়নি। আপনার লেভেলে উঠেনি এটা, কম্পাস ব্যগ থেকে বের করা সেটা এতে অনেক সময় লাগবে।
আর এতন্যরাওতো ধরতো ততক্ষনে! does enzyte work like viagra
পারভেজ এম রবিন বলছেনঃ
এটা দুবছর আগের লেখা।
পিসি ঘাটতে ঘাটতে পেয়ে গেলাম। দিয়ে দিলাম। prednisolone for cats diarrhea
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
তাই তো কই এমন কেন!
তারিক লিংকন বলছেনঃ
বর্ণনাশৈলীতে অভিনবত্ব আছে। তবে তুহিনের দৃষ্টিভঙ্গিটার পর মহুয়ারটা হলে আরও জমত! একই সাথে একজন নিরপেক্ষ দর্শকের অভিব্যক্তি হলেও মন্দ হত না। অনেকদিন পর আপনার লিখা পড়ে ভাল লাগলো…
জন কার্টার বলছেনঃ
ভালো লিখেছেন ভাই…
রবিন রেজোয়ান বলছেনঃ
আরো গুছিয়ে লেখা যেত মনে হয়। লেখায় অযত্নের ছাপ স্পষ্ট।