বিশ্বকাপ-২০১১ : কিছু অকল্পনীয় যন্ত্রণা, কিছু অভাবিত গৌরব…
412
বার পঠিত ovulate twice on clomidদৃশ্যপটঃ ৫ই মার্চ,২০১১
স্থানঃ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম,মিরপুর, ঢাকা।
বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্টইন্ডিজ, বিশ্বকাপ ২০১১। can you tan after accutane
উত্তেজনায় হাত পা কাঁপছে ছেলেটার। এমনিতেই বাংলা মায়ের প্রতিনিধি হিসেবে যখন ওই ২২ গজে গিয়ে দাঁড়ায় ১১ জন বীরযোদ্ধা, এক অনির্বচনীয় গর্বে বুকটা ভরে যায় তার। আর এতো বিশ্বকাপ, তাও আবার নিজের দেশে, সে কিভাবে স্থির থাকে? টিকিট পাবার জন্য কি অকল্পনীয় সংগ্রামটা সে করেছে, সেটা সে ছাড়া আর কেউ জানে না। যদিও টিকিট না পাবার কষ্টটা এই মুহূর্তে একেবারেই নেই। মামার বাসায় বিশাল হলরুমে প্রায় দুইডজন কাজিন আর ফ্রেন্ডসার্কেল মিলে একটা ছোটখাট স্টেডিয়াম বানিয়ে ফেলেছে তারা। ভারতের সাথে ঠাণ্ডা নিরুত্তাপ সূচনা আর তার পরের ম্যাচেই অকল্পনীয় থ্রিলে আয়ারল্যান্ডকে হারানোর পর আজ তুলনামূলক খর্বশক্তির ওয়েস্টইন্ডিজের সাথে একটা ম্যাচে অনেকেই অনেক রকম আশার জোয়ারে ভাসছেন। যদিও কয়েকদিন আগেই রাঙ্কিঙ্গে ওদের পেছনে ফেলে ৮ নম্বর হয়ে গেছে বাংলাদেশ, তারপরও ছেলেটা ওর কাজিনদের মতো “আজকা ওয়েস্টইন্ডিজের খবর আছে, অগোরে পশ্চিম ভারতীয় দীপপুঞ্জে নির্বাসন দিমু” টাইপের হুমকিধামকি ছাড়ছে না। কিন্তু তার কাজিনরা ঠিকই জানে, আজ যদি বাংলাদেশ জেতে, তবে এই ছেলেকে আর এখানে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঠিকই স্টেডিয়ামের সামনে গিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেবে। প্ল্যাকার্ডে আর ব্যানারে ছোটখাট স্টেডিয়ামে পরিনত হওয়া হলরুমে স্ট্রাইক নিলেন তামিম।
২০১১ সালের বিশ্বকাপের ১৯তম ম্যাচের প্রথম ওভার করতে আসা কেমার রোচের করা অফ স্ট্যাম্পের বাইরে প্রথম দুটো বল সেই পুরনো টোপ দিয়ে গেল তামিমকে। কিন্তু তামিম কি আর সেই টোপে ভোলেন? মুখের কথা মুখেই আছে, অফ স্ট্যাম্পের প্রায় এক হাত বাইরের ৩য় বলটা তামিম গ্যালারিতে নিয়ে ফেলতে চাইলেন। বলটা জমা পড়ল সেকেন্ড স্লিপে ওয়েস্টইন্ডিজ দলপতি ডারেন সামির হাতে। পিনপতন নীরবতা নেমে এল পুরো হলরুমে। সেই নীরবতা বজায় থাকলো ৩য় ওভারে সামির বলে ইমরুল কায়েস অতি জঘন্য এক শট খেলে আউট হবার সময়ও। যাক, সমস্যা নাই। আমাদের অন্যতম ভরসা মুশফিক নেমেছেন। ৫ম ওভারে সামির একটা নিরীহ বলে যখন মুশফিক একটা আলতো ক্যাচ তুলে দিলেন সারয়ানের হাতে, ছেলেটা খুব বিস্মিত হল। কিন্তু সে কি জানতো, আজ বিস্ময়ের সব মাত্রা ভেঙ্গে যাবার দিন!! ব্যাটিং অর্ডারের মেরুদণ্ড সাকিব আল হাসান যখন সুলিমান বেন নামের এক অতি অক্ষাত বোলারের খুবই নির্বিষ একটা বলে বোল্ড হয়ে গেলেন, তখনও সেই দিনটার ভয়াবহতা বোঝা যায়নি। সেটা ধীরে ধীরে পরিস্কার হল যখন বাংলাদেশের পতাকা গায়ে জড়িয়ে বন্ধুর বেশে থাকা কিছু ফাকিস্তান আর রেনডিয়ান জারজ মুখোশটা খুলে বাংলাদেশকে টিটকারী করতে শুরু করল। অন্যদিন হলে ওদের ফাকিরেনডি বাপদের পুটুঁ ছারখার করে ফেলত বাকি সবাই। কিন্তু এতোবড় একটা রুমের প্রায় ৩০ জন মানুষ আজ যেন পুরোপুরি নির্বাক হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে ছেলেটা বন্ধুদের সাথে রসিকতা করে বলতো, জানিস, আমাদের ব্যাটিং অর্ডারের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশটা হল লোয়ারমিডলঅর্ডার আর লোয়ার অর্ডার। কেননা ছোটবেলার থেকেই সে দেখে এসেছে, প্রথম ৫ উইকেট অতি দ্রুত চলে যাবার পর খালেদ মাসুদ পাইলট আর বোলারদের সংগ্রাম শুরু হত। সেই ভয়াবহ ৫ই মার্চে কেউ দাঁড়াবার মতো ছিল না। মাথা ঠুকি একের পর এক ব্যাটসম্যান অতি সাধারন বলে নিতান্তই তুচ্ছভাবে আউট হতে থাকলেন। এক জুনায়েদ ছাড়া ২০য়ের ঘরেও জেতে পারলেন না কেউ। সবচেয়ে মারাত্মক যন্ত্রণা যেটা, তা হল এই নিদারুন আত্মহত্যার মিছিল কোনোভাবে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। বাংলাদেশের খেলা হচ্ছে, এই মুহূর্তে অন্য কোন চ্যানেলে যাওয়াটা যেমন অসম্ভব, ঠিক তেমনি এই অকল্পনীয় যন্ত্রণা চোখে চেয়ে দেখাটা ভয়াবহ এক শাস্তি। মাথা ঠুকি এরইমাঝে হঠাৎ দেখা গেল খেলোয়াড়েরা ড্রেসিংরুমে ফিরছেন, মাত্র ৫৮রানে অলআউট বাংলাদেশ। হঠাৎ করেই ছেলেটার কানে এল, তাঁর এক ফ্রেন্ড হাসতে হাসতে বলছে, নিজেদের দেশে কি গোয়ামারাটাই না খাইল বাঙ্গালদেশ, ওরা নাকি আবার বিশ্বকাপ জিততে চায়, আবাল আর কারে কয় … ছেলেটা ঠিক বলতে পারবে না, কখন সে উঠে দাঁড়িয়েছে আর কখন তাঁর বন্ধুকে লাত্থি দিয়ে ফেলে পাড়ানো শুরু করেছে। অন্যরা না ধরলে হয়তো সেদিন ভয়াবহ কিছু একটা ঘটে যেত।
ওয়েস্টইন্ডিজ ব্যাটিংয়ে নামলো। ততক্ষনে হলরুমে একটা বিশাল পরিবর্তন এসেছে। যাবতীয় ভাদা-পাদা-আবাল-শুষিল এই অর্থহীন খেলার কোন মানে না পেয়ে চলে গেছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশকে অন্তরের গহীনে ধারন করা কয়েকটা পাগল কি এক অদ্ভুত কারণে বসে আছে। শাফাক আর নাহিয়ানকে দেখে মনে হচ্ছে ৫৮ হল পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্কোর। আজ বাংলাদেশ ওয়েস্টইন্ডিজকে ২০ রানেই অলআউট করে ফেলবে। ওদিকে রায়হান বারবার বলছে, দ্রুত তিনটা উইকেট নিতে পারলেই আমরা ওদের চাপে ফেলতে পারব। নো টেনশন বস। একটু ওয়েট করো, এখনই উইকেট পড়ব। কিন্তু ছেলেটাকে দেখে কিছু বোঝার উপায় নেই। এই প্রথমবার বাংলাদেশের খেলা হচ্ছে কিন্তু তাঁর ননস্টপ বকবক আর চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। তারউপর একটু আগে আকিবকে এভাবে পেটালো… আচ্ছা, টিভির মনিটরে বারবার শহিদ জুয়েল স্ট্যান্ডের বসে যে বাচ্চা মেয়েটার প্রার্থনায় রত হাত দুটো দেখাচ্ছে, স্রষ্টা কি সেই প্রার্থনা কবুল করে নিতে পারেনা? এত প্রার্থনা ,এতো ভালোবাসা এভাবে ফিরিয়ে দেয়া যায়? কিন্তু রুপকথা প্রতিদিন ঘটে না। আর তাই দুঃস্বপ্নের পালা আর দীর্ঘ না করে কিছুক্ষনের মধ্যেই ওয়েস্টইন্ডিজ জিতে গেল। মাঠে থাকা মানুষগুলো কষ্টে, রাগে,অভিমানে হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড আর ফেস্টুনগুলো মাঠে ছুড়ে মারতে লাগলেন। কাঁদতে মনিটরের সামনে বসে থাকা পাগলগুলো একে একে চলে গেল। একমাত্র ছেলেটা ছাড়া। তাঁর চোখে পানি নেই। আছে দেশের প্রতি অপরিমেয় ভালবাসা নিদারুন নির্মমতায় অগ্রাহ্য হওয়ায় বাঁধভাঙ্গা অব্যক্ত কিছু নির্বাক অভিমান…
দৃশ্যপটঃ ১১ই মার্চ,২০১১
স্থানঃ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড, বিশ্বকাপ ২০১১। missed several doses of synthroid
সেই যন্ত্রণার ৫ই মার্চের পর পার হয়ে গেছে ৬দিন। যন্ত্রণার ঘা তে কিছুটা প্রলেপ পড়েছে, আজ আবার সবাই এক হয়েছে সেই হল রুমে। আজ বাংলাদেশের বাঁচামরার লড়াই। পুণ্যভূমি চট্টগ্রামে বরাবরই বাংলাদেশ দুর্জয়, তাই আজ সেই নিদারুন দুঃস্বপ্ন ভোলার আশায় সবাই একটু বেশীই উৎসাহী। শুধু ছেলেটা ছাড়া। এহেন আশাভঙ্গ সহ্য করতে পারেনি, তাঁর উপর ভয়াবহ অনিয়মে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, প্রচণ্ড জ্বরে কাতরেছে সে পুরোটা সপ্তাহ। তবে আজ তাকে খেলা শুরুর দুই মিনিট আগে ঠিকই রুমের এক কোনায় চাদর গায়ে তাকে দেখা গেল। ব্যাটিংইয়ে নেমেছে ইংলিশরা। শফিউলের একের পর এক আগুনের গোলায় ব্যাট ছোঁয়াবার সুযোগ পাচ্ছেন না ম্যাট প্রায়র। মুশফিকের উৎসাহমূলক তর্জনগর্জনে মনে হচ্ছে ইংলিশ ওপেনারদের হাঁটু কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে। ব্রেকথ্রু এনে দিলেন রাজ্জাক। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে রাজ্জাকের প্রথম বলে মুশফিক যেই মুহূর্তে প্রায়রকে স্ট্যাম্পিং করলেন, সেই মুহূর্তে হঠাৎ সবাই আবিস্কার করল ইয়েস বলে ছেলেটার চিৎকারের কাছে তাদের সম্মিলিত চিৎকারও কিছুই না। সেই পুরনো চিৎকার, সেই বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস। ৫২ রানের মধ্যে আরও দুবার সবাই সেই আনন্দে মাতল। মাত্র ১৭ ওভারের মধ্যে ইংল্যান্ডের তিনজন টপঅর্ডার সাজঘরে, এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে?
কিন্তু তারপরই শুরু হল টেনশনপর্ব। প্রায় ২২ ওভারে ১০৯ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনল জোনাথন ট্রট আর ইয়ন মরগানের জুটি। একটা বড় স্কোরের সব পথই পরিস্কার। ত্রাতা হয়ে এলেন নাইম। মরগানকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রনে ভারসাম্য আনলেন। এদিকে ১৮২ রানে শেষ কাঁটা ট্রটকে ফেরালেন সাকিব। আবেগের আতিশয্যে ছেলেটার বন্ধু মেহরিনা সাকিবরে ভরা মজলিশে একটা উম্মাহ ভালোবাসা ভালোবাসা ভালোবাসা দিয়ে ফেলল। ধীরে ধীরে ওদের পরিধি ছোট হয়ে আসতে আসতে আটকাল ২২৫ রানে। আয়ারল্যান্ডের চেয়ে মাত্র ২০ রান বেশী। ততক্ষনে ছেলেটার লাফালাফি দেখে মনে হবার উপায়ই নেই সে অসুস্থ, তার গায়ে জ্বর। এদিকে বিকাল হয়ে গেছে, দুপুরের খাবার কিংবা ঔসুধ, কিছুই খায়নি সে। ছেলেটার মা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে গেলেন কিছু খাইয়ে ঔসুধ খাওয়াবার জন্য। খাবারটা নাকে মুখে কোনরকমে খাওয়ানো গেল, কিন্তু ট্যাবলেটের পাতা থেকে ট্যাবলেট ছেড়ার আগেই সে হাওয়া। বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হয়েছে, সে কিভাবে ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য ওয়েট করে?
রুমে ঢুকার আগে রাস্তা থেকেই বিশাল চিল্লাচিল্লি শুনে তাড়াতাড়ি ঢুকতে গিয়ে দরজার কাছে ছেলেটা উশটা খেল। উশটা বলতে একেবারে রামউশটা। কিন্তু সেইদিকে তাকাবার সময় নাই, আগে ঢোক, তারপর কথা… বত্রিশপাটির হাসি ঢুকে তোঁ পুরাই মাথা নষ্ট , তামিম আর কায়েস মিলে ইংল্যান্ডের সাদা চামড়াগুলোর নাকেরজল চোখের জল এক করে ফেলছেন। সুখ বেশিক্ষন সইল না, তামিম ফিরলেন ৫২তে। জুনায়েদ কেন আজাইরা রানটা নিতে যেয়ে উদ্ভটভাবে রানআউটটা হলেন, সেটা বিশ্লেষণ করার আগেই রাকিবুল আউট। এতটাই বিচ্ছিরি সেই বোল্ড যে, ছেলেটার ইচ্ছা হইল ওরে মনিটর থাইকা টান দিয়া বাইর কইরা আইনা একটা রামউশটা মারতে। :মানেকি: সাকিব এসেই হাল ধরলেন কায়েসের সাথে। ১৫৫ রানে যখন একটা ভালো আস্কিং রানরেট রেখে কায়েস আউট হলেন , তখন মোটামুটি নির্ভার মিনি স্টেডিয়ামে থাকা পাগলগুলো। মুশি নামছেন, চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু একটানা ডট দিতে দিতে শুধু নিজেরই না, দলেরও বিপদ ডেকে আনলেন মুশি। হঠাৎ বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো সোয়ানের একটা অতিনিরীহ দর্শনবলে সুইপ করতে গিয়ে যখন সাকিব আউট হলেন, হঠাৎ করেই সব ধূসর লাগতে লাগল। ১৭ নম্বর বলে প্রথম সিঙ্গেল নেয়া মুশি আউট হলেন ২৪তম বলে, মাত্র ৬ রান করে। আস্কিং রানরেট বাড়ছে, ক্রিজে হাল ধরার মতো একমাত্র রিয়াদ ছাড়া আর কেউ নেই। হঠাৎ করেই অবাক হয়ে ছেলেটা বুঝতে পারল, প্রায় ১০ মিনিট ধরে বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে কোন স্লোগান হয়নি, চিৎকার করে “সাদা চামড়া নিপাত যাক” বলেনি কেউ। নিজেই দুবার স্লোগান দিল ছেলেটা, অদ্ভুতভাবে তার সাথে গলা মেলালনা কেউ। কেন মেলালনা, সেটা পরিস্কার হয়ে গেল মনিটরে তাকান মাত্র। মাত্র ৬ মিনিট আর তিন ওভারের ব্যবধানে নাইম আর রাজ্জাক ফিরে গেছেন। রিয়াদের সাথে শফিউল আর রুবেল ছাড়া আর কেউ নেই। venta de cialis en lima peru
হঠাৎ করেই পেছন থেকে মুকুল বলে উঠল, শালার আমি একটা আস্তা কুফা, আমি যখনই খেলা দেখতে বসি, তখনই বাংলাদেশ খারাপ খেলে। আমি গেলে নিশ্চয়ই ভালো খেলবে। কেউ কিছু বলার আগেই মুকুল চলে গেল। আর মেহরিনাকে দেখা গেল, চোখদুটো বন্ধ করে এক কোনায় চুপচাপ প্রার্থনা করছে। হঠাৎ করেই ছেলেটার মনে হল, আরে হারার আগে হেরে যাওয়ার মানে কি? গলার সবগুলো রগ ফুলিয়ে সে চিৎকার করে বলে উঠল বাং-লা-দে-শ… বাং-লা-দে-শ… :salute: প্রান ফিরে এল যেন রুমের মাঝে। হাতের কাছে বোতল, পেপার যে যা পেল, সেটা দিয়েই চিৎকার করে গোলা ফাটিয়ে বলতে লাগলো, বাং-লা-দে-শ… বাং-লা-দে-শ… বাসার সবাই ছুটে এলো কি হয়েছে জানতে। কেউ কিছু বলল না, কাওকে কিছু বলতে হল না। যারা এল, সবাই বিনাবাক্যে গলা মেলাল। কেননা তখন ১৬ কোটি মানুষের অভাবিত, অপরিমেয়,অকল্পনীয় ভালবাসার প্রতীক হয়ে, স্টেডিয়াম আর স্টেডিয়ামের বাইরে থাকা ১৬ কোটি বাঘের গর্জন হয়ে গ্রায়েম সোয়ানের একের পর এক বলকে নিদারুন উন্মত্ততায় মাঠের বাইরে আছড়ে ফেলছেন টিংটিঙে, নিতান্তই হালকাপাতলা এক যুবক, শফিউল ইসলাম। শফিউলের অভূতপূর্ব সাহসিকতায় সামনে এগিয়ে মারা শটগুলোয় চার হলেও যে বাঁধভাঙ্গা গর্জনে মাতছে সবাই, অভিভাবকের মতো একটা একটা সিঙ্গেল নিয়ে মাহমুদ্দুল্লাহর ধীরে ধীরে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়াতেও সমান গর্জন শোনা যাচ্ছে জনতার কাছ থেকে।
অবশেষে এলো এই মাহেন্দ্রক্ষন। ৩০ গজে সব ফিল্ডারকে এনে স্ত্রাউস শেষ চেষ্টা করলেন। কিন্তু অফ স্ট্যাম্পের সামান্য বাইরে পাওয়া বলটা অসম্ভব দক্ষতায় কভার দিয়ে রিয়াদ যখন বাউনডারীতে পাঠালেন, সেই মুহূর্তটা ব্যাখ্যা করা পৃথিবীর সবচেয়ে অসম্ভব কাজ। জিতছিরে বলে চিল্লাতে চিল্লাতে কে কাকে বুকে জড়িয়ে ধরল আর কে কাকে কোলে তুলে নিল, সেইটা আসলে সঠিকভাবে বলা সম্ভব না। তবে কিছুক্ষন পর যখন ছেলেটার চাদর মাটিতে পড়ে থাকতে দেখল সবাই, আর নাহিয়ানের গায়ে থাকা বাংলাদেশের পতাকাটা কেউ খুঁজে পেল না, তখন সবাই বুঝে গেল, পাগল ছেলেটাকে আপাতত জ্বর গায়ে পতাকাটা শরীরে জড়িয়ে জয় বাংলা বলে চিৎকার করতে করতে স্টেডিয়ামের দিকে ছুটছে, তাকে আর শত চেষ্টা করেও এখানে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আজ যে দেশের ১৬ কোটি মানুষ জিতেছে… আজ যে বাংলাদেশ জিতেছে… আজ কি ঘরে থাকা যায়??
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
অসাধারণ সেই স্মৃতিগুলা…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
সত্যিই অসাধারন… ভোলার কোন উপায় নাই… nolvadex and clomid prices
তারিক লিংকন বলছেনঃ can levitra and viagra be taken together
আসলেই!! এই পোলা ক্যান যে এতো ক্রিকেট পাগল আমি বুঝি না।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ভাই কি বিরক্ত হয়ে গেলেন?