সমঝোতা হবে কি ??
227 metformin tablet
বার পঠিতগত কয়েকদিনে আমাদের দেশের রাজনৈতিক পটভুমিতে একটি নাটককে কেন্দ্র করে যে বক্তব্য বিবৃতি মিডিয়াতে আসছে, তা শুধু হতাশাজনকই নয়, ভয়ঙ্করও বটে।
তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী’র কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং তাঁদের দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের যখন প্রধানমন্ত্রী পদের মর্যাদা এবং প্রটোকল সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকে তখন তারা কিসের জন্য রাজনীতি করছেন তা আমার বোধগম্য হয়না। private dermatologist london accutane
বেগম খালেদা জিয়া দেশের একটি শীর্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন এবং শেখ হাসিনা অন্য আরেক শীর্ষ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রি, এই হিসেবে দুজন একই কাতারের মানুষ হলেও এদের মধ্যে একজন যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহন করেন, তখন দুজনকে এক কাতারে দেখা অন্যায়।
প্রধানমন্ত্রী কোন দলের প্রধানমন্ত্রী নয়, উনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যখন কোন রাস্ট্রীয় সফরে বিদেশ যান, তখন উনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করতেই যান, উনার বক্তব্য তখন পুরো দেশের বক্তব্য হিসেবেই বিবেচিত হন। তাই যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদ্য প্রয়াত পুত্রশোকে বিহ্বল বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে শান্তনা দেয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন তখন এটিকে শুধু একজন পার্টি প্রধান আরেক পার্টি প্রধানের কাছে যাওয়া হিসেবে দেখা উচিত হবে না। এটি একজন মা আরেকজন মা কে শান্তনা দেয়ার জন্য যাওয়া, শুধু তা ই নয়, রাস্ট্রের প্রধান ব্যাক্তি হিসেবে রাস্ট্রের পক্ষ থেকে, এদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে একজন মা কে তাঁর পুত্রশোকে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর চেস্টা। তাঁকে গেট আটকে ঢুকতে না দেয়াকে শুধু পার্টি প্রধান কে অসম্মান করাই নয়, রাস্ট্রকে প্রত্যাখ্যান করা এবং এদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধির কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া।
এরা তাহলে কার জন্য রাজনীতি করছেন ? রাস্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া মানে তো এদেশের ১৬ কোটি মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করা। আপনি রাস্ট্রের প্রধান ব্যাক্তিকে অসম্মান করে, ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধিকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে মানুষের কাছে কি মেসেজ দিতে চেয়েছেন ? শুধু সেদিন নয় তাঁর পরেও তাঁর দলের মুখপাত্ররা যেভাবে এই ঘটনাকে ব্যাখ্যা করার চেস্টা করছেন তা শুধু হতাশাজনকই নয়, ন্যাক্কারজনকও বটে।
প্রধানমন্ত্রী ফিরে যাওয়ার পরপরই, বেখম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী জিয়ার শিমুল বিশ্বাস বললেন, উনি প্রধানমন্ত্রীর আসার খবর পেয়ে শোক বই নিয়ে নিচে নেমে দেখেন প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন তিনি নাকি এক মিনিটও দাঁড়াননি। অথচ আমরা টিভি’র পর্দায় লাইভ দেখলাম প্রথমে বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তারপর শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং সাথে সাথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো নেতৃবৃন্দের সাথে গেটের সামনে এসে দাঁড়ালেন। কোন একটি চ্যানেল তো এই দৃশ্য গেটের ভেতরে দাঁড়িয়েও লাইভ দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৬/৭ মিনিট দাঁড়িয়ে ফিরে গেলেন। একজন ভিক্ষুকও ভিক্ষা চাইতে এসেও বন্ধ দরজার সামনে ৬/৭ মিনিট দাঁড়াবে না। সেখানে একজন প্রধানমন্ত্রী আগে থেকে খবর দিয়ে তাঁর দলের সবচে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সাথে নিয়ে যখন আসলেন তখন কি না শিমুল বিশ্বাস শোক বই নিয়ে তাঁর সাথে গেটের বাইরে দেখা করবেন ? কত বড় স্পর্ধা হলে এরকম কথা বলতে পারে একজন মানুষ, প্রধানমন্ত্রী কি রাস্তায় দাঁড়িয়ে শোকবই স্বাক্ষর করার জন্য এসেছিলেন ? একজন প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা কি শিমুল বিশ্বাস জানেন না।
সেদিন বেগম খালেদা জিয়া শোকে বিহ্বল হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ডাক্তারের পরামর্শে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল (যদিও, সেসময় সেই বাড়িতে উপস্থিত থাকা সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেনঃ “সো ফার আই থিঙ্ক, এটা সত্যি নয়”), কিন্তু বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের কথা অনুসারে জানা যায় সেসময়, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, সেলিনা রহমান সহ অন্তত ৬ জন প্রেসিডিয়াম মেম্বার উপস্থিত ছিলেন, সেসময় তারাও তো আসতে পারতেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে। এতটুকু সৌজন্য তো আশা করতে পারি দেশ বরেন্য এই নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে। কিন্তু তাও পাওয়া গেল না।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ঝানু রাজনীতিবিদ, তা না হলে কি ৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত তিনটি ভিন্ন দলের ৫ টি ভিন্ন সরকারের মন্ত্রি পদে আসীন থাকতে পারতেন। তাই তো যখন তিনি বুঝলেন প্রধানমন্ত্রী বন্ধ দরজা দেখে ফিরে যাওয়ার দায় কিছুটা হলেও তাঁর কাধে আসবে, তাই তিনি তাড়াহুড়ো করে সাংবাদিকদের কাছে এসে জানালেন তাঁদের মতের বাইরেই গেটে তালা আগে থেকেই দেয়া ছিল। অর্থাৎ তিনি নির্দোষ। কিন্তু জনাব শিমুল বিশ্বাস এবং জনাব মওদুদ দুজনের কথাই যদি সত্যি হয় অর্থাৎ খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে, এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দের অজ্ঞাতেই গেটে তালা ঝুলছিল, তাহলে কোটি টাকা দামের প্রশ্ন, গেটে তালা দেয়ার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছে ? উত্তরের অপশন চারটিঃ ক) গায়েবী আওয়াজ, খ) খালেদা জিয়া এক মুহুর্তের জন্য ঘুম ভেঙ্গে তালা দেয়ার কথা বলে আবার ঘুম, গ) শিমুল বিশ্বাস ঘ) লন্ডন থেকে তারেক রহমান। এর সঠিক উত্তর দেবে জনগন।
গতকাল চ্যানেল আই এর তৃতীয় মাত্রায়, বিএনপির সুপার ডুপার বাম্পার নেতা মেজর (অব) আখতারুজ্জামান বলেছেন আরো এক বিশেষ ফর্মুলা, উনার মতে প্রধানমন্ত্রীকে গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে বিএনপি দেখাতে চেয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে কিছুই না, উনিও বেগম খালেদা জিয়ার গেটে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীকে ইচ্ছে করেই সেখানে দাঁড় করিয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করার প্রতিশোধ নিয়েছেন নিয়েছেন খালেদা জিয়া। গত পরশু একাত্তর টিভিতেও সিনিয়র সাংবাদিক সাদেক খানও প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন, উনি বলেন শেখ হাসিনার সাথে দেখা না করার সিদ্ধান্ত ঘুমিয়ে থাকা নয়, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করলে চলমান আন্দোলনের গতিবেগ কমে যেতে পারে বা একটি সমঝোতা হয়ে যেতে পারে, তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেননি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে অবরোধের নামে চলমান চোরাগুপ্তা পেট্রোল বোমা হামলা এবং মানুষ হত্যা বন্ধ করার জন্য বারবার যে আলোচোনা এবং সমঝোতার কথা বলা হচ্ছে সেটা কার সাথে হবে, কিভাবে সম্ভব এবং আসলেই কি এর মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করা সম্ভব। achat viagra cialis france
গ্রামে গঞ্জেও দেখা যায় দুই ভাই বা দুই পরিবারের মধ্যে বহুকাল ধরে চলে আসা দন্দ ঝগড়া অনেক সময় কোন আনন্দ উতসব বা মৃত্যু’র মধ্য দিয়ে সমঝোতায় চলে আসে। ঠিক এভাবেই বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে চলমান এই দূরত্ব কমিয়ে আনার চেস্টা যখন বারবার নানা পক্ষ থেকে করা হচ্ছিল। তখন পুত্র হারানোর শোকে মুহ্যমান বেগম খালেদা জিয়াকে শান্তনা দেয়ার জন্য যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, তখন সমগ্র জাতি আশায় বুক বেধেছিল যে এবার বুঝি বরফ গলবে, একজনের শোকে আরেকজন মাথায় হাত রাখলে তাঁদের মধ্যেকার রাগ ক্ষোভ সব সেই বরফ গলা পানিতে ধুয়ে যাবে। হয়তো দেশের জনগনের উপর চেপে বসা এই হরতাল অবরোধের সমাপ্তি হবে। কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। জানি না এই সমঝোতার সব পথ রুদ্ধ হয়ে গেল কি না। nolvadex and clomid prices
ব্যারিস্টার রফিক উল হক একজন আশাবাদী মানুষ, উনি বলেছেন সমঝোতার পথ এখনও আছে। পুত্র শোক কাটিয়ে উঠে হয়তো বেগম খালেদা জিয়া হয়তো ছেলের কুলখানী করবেন, এতে যদি তিনি ফোন করে প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দেন এবং প্রধানমন্ত্রী যদি উদারতা দেখিয়ে আবার দেখা করতে যান তাহলে এই সমঝোতা হতে পারে। হয়তো কল্পনাটা একটু বেশীই হয়ে গেল, দোষ কি সুখস্বপ্ন দেখতে। প্রধানমন্ত্রীকে যতটুকু চিনি, কুলখানীর দাওয়াত পেলে উনি আবার যাবেন। এই তো কয়েকদিন আগে চ্যানেল আই তে সকালের একটি লাইভ গানের অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পি রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্মদিনে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সামাজিক সৌজন্য দেখাতে প্রধানমন্ত্রী কার্পন্য করেন না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া সেই দাওয়াত ঠিকমতো দিবেন কি না সেটা নিয়ে একটু সংশয় আছে। উনি যদি আবার সেই শিমুল বিশ্বাসের হাতে শোকবই পাঠানোর মতো কোন দাওয়াত পত্র পাঠিয়ে দেয় তাহলে হবে না। অন্তত একটা ফোন করেও যদি হয় তাহলে দেখা যেতে পারে। কিন্তু দুজনের সর্বশেষ ফোনের রেকর্ড তো আরো খারাপ। posologie prednisolone 20mg zentiva
১৬ কোটি মানুষের সংশয়ঃ সমঝোতা হবে কি ??
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ধরেন আমি আপনার একজন নিকট আত্মীয়কে পুড়িয়ে মারলাম বা আপনি একটা গ্রামের প্রধান আমি আপনার গ্রামের একজন নিরীহ শিশু, কিংবা নারী অথবা যেকোন মানুষকে পুড়িয়ে মারলাম আমার সাথে আপনি সংলাপে বসবেন? বসা উচিৎ?
এম আর আখতার মুকুল বলছেনঃ
all possible side effects of prednisoneস্বাভাবিক অবস্থাতে একেবারেই বসবো না,
কিন্তু আমি যদি দেখি, আমি আপনার সাথে সংলাপে না বসলে আপনি আরো মানুষ পুড়িয়ে মারবেন, তখন সেই মানুষদের বাঁচাতে হলে, ইচ্ছের বিরুদ্ধে হলেও আমার সংলাপে বসা উচিত। কারন সেই মানুষগুলি তো আমার ভাই, আমার বাবা এরাই তো আমার সব।