শীতের সকালে পুড়ছে কেউ সাথে জ্বলছে দেশ
353
বার পঠিত nolvadex and clomid pricesএক
আজকে কুয়াশা তেমন একটা নাই কিন্তু বাতাসটা একটু বেশি তারপরও আলী মিয়া ঘামছে।বাহিরে আলো হয়ে গেলো এখনো সব কাজ শেষ হয় নাই। রাতে নেতা কয়েকবার ফোন দিছে সকালের আগে আগে তার সবকিছু চাই মানি চাই,না হলে ১টা টাকা ও দিবে না।কয়েকদিন ধরেই আলী মিয়ার ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না তাই এই ক্ষণিকের সুযোগে টাকা কামানোর সুযোগ হাতছাড়া করা যায় না কারণ টাকাটা যে তার খুব দরকার। হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে আলী মিয়া আরেকটা জর্দার কোটায় শক্ত করে টেপ মারছে যাতে সহজে বাস্ট না হয়। যত তাড়াতাড়ি পারে তার কাজ শেষ করে নেতার কাছে ককটেল গুলো পৌছে দিতে হবে।
সুমনের সারা রাত ঠিক মত ঘুম হয় নাই।তারপরও এত সকালে বিছানা ছাড়তে হবে নেতা বলছে সকালে চায়ের দোকানের পিছনে দেখা করতে,আজকের কাজটা যদি ভালো ভাবে করতে পারে ক্ষমতায় গেলে সুমনের পোস্ট পাক্কা।আজকে সাড়ে ৩বছর ধরে সুমন নেতার পিছনে ঘুরছে এলাকায় নেতার দলে একটা পোস্ট পাবার আশায় সেখানে আজকে নেতা তাকে নিজেই পোস্ট এর কথা বলছে এমন সুযোগ বারবার আসে না।বিছানা ছেড়েই সুমন ছুটে গেলো কলপারে না হলে বস্তির মানুষ গুলোর জন্য তার দেরী হয়ে যাবে।আর মা যদি দেখে ফেলে তাহলে তো সব শেষ যেতেই দিবে না কোথাও যে করেই হোক তার চোখ ফাকি দিতে হবে।
তিন
আজ খুব ভোরে আমেনার ঘুম ভেঙে গেছে।তার পাশেই শুয়ে আছে তার ছেলে,ছেলের ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে মা।নিজের গায়ের চাদরটা ছেলের গায়ে জড়িয়ে দিলো একটু শান্তি করে ঘুমাক না ছেলেটা কিছুক্ষন পরেই তো ছুটতে হবে স্কুলে।আজ কত দিন ধরে একটা নতুন শীতের জামার জন্য বায়না ধরেছে ছেলেটা আমেনা কিনে দিতে পারছে না।মাসের মাঝখানে টাকা এখন হিসেব করে খরচ করতে হয় তারমাঝে কি করে বাড়তি খরচ করে।তার কি এখন সেইদিন আছে স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যাবার পর থেকে মানুষের বাড়িতে কাজ করে নিজের আর ছেলের জন্য খাবার জোড়ার করে,ছেলের পড়াশুনা খরচ দিয়ে বাকি কাজ সারতে তাকে কর্য করতে হয় প্রায়ই।তারপর ও তার মানিকের জন্য সামনের মাসে একটা নতুন শীতের জামা কিনতে হবে একটা মাত্র ছেলে তার আদর করে নাম রেখেছে মানিক।
চার
হাবিলদার রফিকের মেজাজ বেজায় গরম,কোথাও রাগ দেখাতে না পেরে সব রাগ দেখায় তার স্ত্রীর উপর। জামা কাপড় পড়তে পড়তে আজ সে মনে মনে গালি দিচ্ছে পুলিশের উপরের পুলিশের কর্তাদের উপরে বসে বসে শুধু হুকুম আর সব কাজ যেন তাদের।কে কোথায় বোমা মারবে কে কোথায় আগুন লাগাবে তার সব কিছু যেন তাদেরই খুজে বের করতে হবে আর উপরে বসে বসে তারা মজা নিবেন। হুকুমের গোলাম পাইছে সবাইরে। পারলে বাহ বাহ আর না পারলেই লাথি আরে বাবা এত মানুষের মাঝে ক্যামনে বুঝুম কেডার কি কামে যাচ্ছে।শীতের ভিতর এই সাধ সকালে ডিউটি করতে কার ভালো লাগে।গালি দিতে দিতেই বাসা থেকে বের হয়ে হাঁটা শুরু করলো হাবিলদার রফিক।কিছুক্ষণ হাবিলদার সাহেব বাসে উঠে পরলো এখন শুধু পৌছার অপেক্ষা।
পাঁচ
চায়ের দোকানটা এখনো খোলে নাই কিন্তু আসে পাশে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমাগত।ওদিকে আলী মিয়া সুমন,রুবেল,তুহিন কারোই দেখা নাই।নেতা একটা সিগারেট ধরালো নিজের সাথে নিজে ভাবছে আসলে এই মানুষ গুলা কামের না সময় মত আসতে পারে না এরা।আসলে এখন তারা ক্ষমতায় নাই তো তাই মানুষ তাদের কথায় দাম দেয় না ক্ষমতায় গেলে সবগুলারে সুদে আসলে ভরা হবে তখন বুঝবে ঠেলার নাম বাবাজি। সিগারেট টা শেষ হবার আগেই আলী মিয়া চলে এসেছে।নেতার হাতে বাজারের ব্যাগটা দিয়ে বললো ভাল মাল বানাইতে সময় লাগে।নেতা কিছু বললো না কারণ এখন এদের হাত রাখা লাগবে কিছু বলা যাবে না সময় হলে মজা দেখাবে।টাকা পড়ে দিবে আলীকে বিদায় করলো। viagra in india medical stores
ছয়
হাবিলদার সাহেব বসে আছে বাস্তায় পাশের বেঞ্চে পাশের জন ঝিমাচ্ছে বড্ড রাগ লাগছে কিন্তু কিছু বলছে না।
নেতা বসে আছে সামনে দাঁড়ানো রুবেল,তুহিন আর অনেকে।সবার পাশে এক কোনায় সুমন,সে এদের কেউ কে চিনে না তারপরও দাঁড়িয়ে আছে সবার সাথে।নেতা কিছুক্ষন ভাবল এখন এদের কিছু বলা ঠিক হবে না তাই কি করে শুরু করবে বুঝতে পারলো না।কাশি দিকে গলা ঝাকিয়ে শুরু করলো দেশের এখন দূর অবস্থা সেটা তোমরা জানো সবাই,আর এই দূর অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে পারো শুধু তোমরাই।এদের কাছ থেকে ক্ষ্মতা কেড়ে নিতে হবে আর সেজন্য তোমাদের সাহায্য চায় দল তোমরা যদি সফল হয়ে দলকে ক্ষমতায় আনতে পারো তার প্রতিদান তোমরা পাবে।ব্যাগে থেকে কৌটা গুলো নিজেদের সুবিধা মত নিয়ে নাও তারপর ঝাপিয়ে পর তোমরা। নেতা উঠে গেলো সবাই কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে তারপর ব্যাগ থেকে জিনিস গুলো বের করা শুরু করলো। can levitra and viagra be taken together
সকাল ৯টা মানিকের আর ভালো লাগেনা সকাল সকাল কার ভালো লাগে প্রতিদিন স্কুলে যেতে কবে যে লেখাপড়া শেষ হয়ে যাবে,কবে যে তার আর পড়তে হবে না।হাটছে আর ভাবছে সে যখন অনেক বড় হবে তখন আর সে মাকে মানুষের বাড়িতে কাজ করতে দিবে না,সারা দিন সে মায়ের কোলে শুয়ে থাকবে আর গল্প শুনবে বাবার গল্প তার বাবা কথা মা এখন বলে না তখন ঠিকই বলবে।
সাত
রাস্তায় বাস চলা শুরু হয়েছে মানুষ কাজে যাচ্ছে ভিড় বাড়ছে।আশেপাশে পুলিশ নেই এটাই ভালো জায়গা সুমন ভাবছে,ভাবনা শেষ হবার আগেই মিছিল শুরু হয়ে গেলো সামনের ছেলে গুলো ব্যান্যার ধরে ফেলেছে। স্লোগান চলছে “রাজপথ ছাড়ি নাই খ তোমায় ভয় নাই”।মানুষ ছুটছে যে যেথায় পারছে।কিছু বুঝে উঠায় আগেই সামনের দিক থেকে পুলিশ আসছে।সুমনে পকেট থেকে ককটেলটা বের করলো হাত কাপছে তার আর কানে ভাসছে ক্ষমতায় গেলে পোস্ট পাক্কা।ফায়ার এর শব্দ মানুষের চিল্লাপাল্লা দিক বেদিকে দৌড়াচ্ছে,সুমন চোখ বন্ধ করে ছুড়ে মারলো পরক্ষনেই মাটিতে পড়ে গেলো।বুকে কি জানি একটা লাগলো খুব ব্যাথ্যা হচ্ছে তার মনে হচ্ছে সবকিছু ঘুরছে শুধু।
মানিক বুঝতে না হা করে বোকার মত দাঁড়িয়ে আছে কি হচ্ছে এসব মুহূর্তেই তার চোখ আধার হয়ে গেলো।কান মাথা গরম হয়ে পানি পড়ছে মানিক রাস্তার পড়ে গেলো সারা গায়ে ঝ্র ঝর করে রক্ত পড়ছে যাকে সে পানি ভেবেছিলো।
হাবিলদার রফিকের মেজাজ গরম সবগুলা পালিয়ে গেছে শুধু একটা পড়ে আছে কিন্তু তার থেকেও মেজাজ গরম কারণ সবাই ফাকা গুলি ছুড়লেও সেই একমাত্র লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিলো আর তারই ফল রাস্তায় পড়ে থাকা ছেলেটি।উপর থেকে আবার ভালো ধাক্কা খেতে হবে তাকে।
আমেনা হাউমাউ করে কাঁদছে মানিক কে নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলের ইমারজেঞ্ছি বিভাগে।কাঁদতে কাঁদতেই ফোন দিলো তার বাবার নাম্বারে।
আলী মিয়া মাত্র খেতে বসেছে এর মাঝেই মেয়ে আমেনার ফোন।মেয়ের কান্না শুনে নিজেকে সামলে নিলো সবকিছু শুনলো বুঝতে পারলো টাকা লাগবে,হাতে টাকা নেই নেতার কাছ থেকে টাকা নিতে হবে।
হাবিলদার রফিক সুমনের লাশ নিয়ে মর্গের সামনে দাঁড়ানো ছেলেটার ঠিকানা বের করা দরকার সাথে তো কিছুই নেই কি করে বের করবে সে এত কিছু।
নেতা বিছানায় শুয়ে আছে চোখে ঘুম ঝাড়ানো একটা ঘুম দেয়া খুব জরুরী মোবাইলে সিমটা চেইঞ্জ করে শুয়ে পড়লো ছেলেগুলো সব কাজ ঠিক মত করলেই চলে ভাবতে ভাবতে।
আলী মিয়া একের পর এক ফোন দিয়ে যাচ্ছে নেতার মোবাইলে আর অপরপাশ থেকে বলছে”দুঃখিত এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না দয়া করে কিছুক্ষন পড়ে আবার ট্রাই করুন”
আমার মানুষ গুলোকে পুড়িয়ে আমার দেশ টা কে জ্বালিয়ে এভাবে আর কত দিন ???
(ঘটনাটি কাল্পনিক)
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ metformin synthesis wikipedia
গল্পটা কাল্পনিক হতে পারে কিন্তু ঘটনাগুলো খুবই সত্য, নির্মম বাস্তব…
লাল সবুজের ফেরিওয়ালা বলছেনঃ
গত তিন দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল এ আসা যাওয়া করছি বন্ধুর জন্য,মিনিটে মিনিটে এসব দেখছি ভাই আর ভালো লাগে না।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ভাল লাগলো। অনেক সুন্দর করে এগিয়েছে।
বর্তমান এই একই পরিস্থিতি নিয়ে আমার লেখা একটি গল্প দিয়েছি পরশু http://sovyota.com/?p=5642 দেখে নিতে পারেন। আমার টা ভাল হয় নি।
তবে আপনার গল্পটি অনেক ভাল হয়েছে। এই নেতা গুলো মানিকদের বিপথে নেয়। বেঁচে থাকলে মানিকও নেতার জায়গায় যেত হয়তো!
লাল সবুজের ফেরিওয়ালা বলছেনঃ zovirax vs. valtrex vs. famvir
জয় দা আপানার লেখাটা আমি আগেই পড়ছি।কোথায় আপনার লেখা আর কোথায় আমার কি সব যে বলেন।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ achat viagra cialis france
renal scan mag3 with lasixভাই আমি জানি আমার দৌড় কত দূর……
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
দুর্দান্ত লেগেছে ভাই… venta de cialis en lima peru
লাল সবুজের ফেরিওয়ালা বলছেনঃ
ধন্যবাদ আপু
banglakobita বলছেনঃ
আজকের কবিতা: মুখচোরা মিছিল
ভিজিট করুন: https://bit.ly/2BuvXxr