আমার দেশের হারিয়ে যাওয়া বীর এ.টি.এম. হায়দার
312 metformin slow release vs regular
বার পঠিতবল বীর-বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!
বল বীর-বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’ ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া, উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!
১২ জানুয়ারী ছিলো এ.টি.এম.হায়দার এর জম্নদিন । তাই তাকে উৎসর্গ করলাম কাজী নজরুলের কবিতার কয়েক লাইন।
লে. কর্নেল আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দার। যিনি লে. কর্নেল এ. টি. এম হায়দার নামেই সমধিক পরিচিত। পারিবারিক ডাক নাম মুক্তু। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যিনি প্রথমে দুই নং সেক্টরের সহ-অধিনায়ক ও পরে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। একজন গেরিলা কমান্ডার হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অভূতপূর্ব অবদান রাখার জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন।
এ. টি. এম হায়দারের জন্ম ১৯৪২ সালের ১২ জানুয়ারি, কলকাতার ভবানীপুরে। বাবা আলহাজ মোহাম্মদ ইসরাইল। তিনি বৃটিশ ও পাকিস্তান পুলিশ বিভাগের ইন্সপেক্টর হিসাবে চাকুরি করতেন। মা আলহাজ হাকিমুন নেসা একজন গৃহিনী। পরিবারের দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে লে. কর্নেল হায়দার ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কান্দাইল গ্রামে। ইসরাইল সাহেবের পরিবার ছিল উচ্চ শিক্ষিত এবং গ্রামের মধ্যে প্রভাবশালী। শিক্ষা-সংস্কৃতি চর্চায় এই পরিবার ছিল অনেক উদার। buy viagra blue pill
ইসরাইল সাহেব পুলিশের চাকুরি করার কারণে তাঁর পরিবারকে ভারতীয় উপমহাদেশের নানা স্থানে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে। কখনো কলকাতা, কখনো করাচি, কখনো লাহোর, কখনো ঢাকা নানা স্থানে চাকুরিগত কারণে বদলি হয়েছেন। ইসরাইল সাহেব নিজে ছিলেন খুব সৎ ও সরল প্রকৃতির মানুষ। প্রথম জীবনে তিনি একজন ভাল ফুটবলার ও কুস্তিগীর ছিলেন। ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার সময় অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা প্রতিরোধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সম্ভবত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বনিবনা না হওয়ার কারণে ইসরাইল সাহেব ১৯৪৭ সালে স্বেচ্ছায় পাকিস্তান পুলিশের চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পরে তিনি গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে ফিরে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। ampicillin susceptible enterococcus
এ.টি.এম হায়দার স্কুল জীবন শুরু করেন পাবনার বীণাপানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে কিশোরগঞ্জ রামানন্দ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি) পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। ছাত্রজীবন থেকেই হায়দার একজন ভালো খেলোয়ার, সাতাঁরু ও স্কাউট ছিলেন। তিনি ১৯৫৮ সালে একজন স্কাউট হিসাবে পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোর জাম্বুরীতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে হায়দার কিশোরগঞ্জ সরকারী গুরুদয়াল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (আই.এ) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর হায়দার উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে চলে যান। সেখানের লাহোর ইসলামিয়া কলেজ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে বি.এস.সি. ডিগ্রী লাভ করেন। পরে লাহোরস্থ পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিদ্যায় ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রথম পর্ব পড়াকালীন সেনাবাহিনীতে ভর্তির জন্য আবেদন করেন। এবং পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে কমিশনের জন্য মনোনীত হন। এ.টি.এম হায়দার ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।
তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানি নির্যাতন থেকে দেশকে মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশে পরিণত করতে। চাকরি জীবনের শুরু থেকেই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্মম বৈষম্যের চিত্র দেখেন। পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি বলে নিজেও শিকার হন সেই বৈষম্যের। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এই রাজনৈতিক বৈষম্য বেশ ভালভাবেই নাড়িয়ে তোলে তাঁকে। পূর্ব পাকিস্তান বনাম পশ্চিম পাকিস্তান বৈষম্যের কারণে তখন সকল বাঙালি অফিসার ও সৈনিকদের মন বিষিয়ে উঠেছিল। তাঁরা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারছিলেন নিজেদের যোগ্যতা থাকার পরও বাঙালি বলে তাঁদেরকে উপরে উঠতে দেয়া হয় না। কর্মক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত সহ্য করতে হয় নির্যাতন আর অবহেলা। খুব সাহসী অফিসার যাঁরা তাঁরাই কদাচিৎ এসব বৈষম্য-নির্যাতন আর অবহেলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হতো না। বরং বৈষম্য যেন আরো বেড়ে যেত। এই বৈষম্যের চক্রাকারে যেন আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার ও সৈনিকদের জীবন। সকলের পিঠ যেন একেবারে দেয়ালে গিয়ে ঠেকেছে।
এদিকে পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে গোটা ষাটের দশক উত্তাল রাজনৈতিক স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে। ‘৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ‘৬৪-র শ্রমিক আন্দোলন, ‘৬৬-র ছয় দফা, ছাত্র সমাজের এগার দফা নানা দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরিপুষ্ট হয়ে পড়েছে।
হায়দার পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমী কাকুলে ট্রেনিং করেন এবং কমিশন প্রাপ্তির পর গোলন্দাজ বাহিনীর অফিসার হিসাবে নিয়োজিত থাকেন। পরে তিনি চেরাটে S.S.G. (Special service group) ট্রেনিং-এ কৃতিত্বের সাথে উর্ত্তীর্ণ হন। উল্লেখ্য, চেরাটের এই ট্রেনিংটি ছিল মূলত গেরিলা ট্রেনিং। এখানে ৩৬০ জন অফিসারের মধ্যে বাঙালি ছিলেন মাত্র দুইজন। ট্রেনিং শেষ করার পর মুলতান ক্যাণ্টনমেন্টে তাঁর প্রথম পোস্টিং হয় এবং ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানেই অবস্থান করেন।
তৃতীয় কমান্ডো ব্যাটালিয়নের একজন ক্যাপ্টেন হিসাবে ১৯৬৯ সালের শেষে অথবা ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে এ. টি.এম হায়দারকে কুমিল্লা সেনানিবাসে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে পুনরায় বদলি করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এবং ১৫/২০ দিন পর তাঁকে আবার কুমিল্লায় নিয়োগ দেয়া হয়। soulcysters net metformin
এ.টি.এম হায়দারের ছোট বোন ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে কর্মরত ছিলেন। তিনি তখন কুমিল্লাতেই অবস্থান করছিলেন। ১৯৭১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রোজার সময় হায়দার ও সেতারা বেগম দুই ভাইবোন মিলে কিশোরগঞ্জে বেড়াতে যান। হায়দারের ছুটি ছিল পনের দিনের আর সেতারা বেগমের ছুটি ছিল এক মাসের। হায়দার ছুটি কাটিয়ে কুমিল্লা গিয়ে চাকুরিতে যোগদান করলেন। এরমধ্যে দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে লাগল। সেতারা বেগম ছুটি কাটিয়ে চাকুরিতে যোগ দেয়ার জন্য ঢাকায় আসেন। কিন্তু হায়দার তাঁকে চাকুরিতে যোগ না দিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এ.টি.এম. হায়দারের ছোট বোন ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম ও একমাত্র ছোট ভাই এ.টি.এম সফদার (জিতু) মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এ.টি.এম সফদার ভারতের মেলাঘরে অবস্থিত ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ নেন এবং শালদানদী এলাকায় বিভিন্নযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের আগরতলাস্থ ৯২ বি. এস. এফ. ক্যাম্পের সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধ বিষয়ক যোগাযোগ ও খবরাখবর (অফিসিয়াল) আদান-প্রদান করতেন।
ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম বিশ্রামগঞ্জে বাংলাদেশ হাসপাতালে কাজ করতেন। পাঁচশত বেডের এই হাসপাতালে তিনি একজন কমান্ডিং অফিসার হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। হাসপাতালটি সম্পূর্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা পরিচালিত ছিল।
১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মুক্তিবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা চা বাগান পরিবৃত আধা-পাহাড়ী এলাকা তেলিয়াপাড়ায় অবস্থিত দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলের সদর দপ্তরে একত্রিত হন। এটি ছিল হবিগঞ্জ জেলায়। কর্নেল এম.এ.জি ওসমানী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রব, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর শাফায়েত জামিল, মেজর মইনুল হোসেন চৌধুরী এবং আরো অনেকে সেদিন সেখানে একত্রিত হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র প্রতিরোধের প্রথম দিকনির্দেশনা আসে এই সম্মেলন থেকেই। এ সম্মেলন যখন অনুষ্ঠিত হয় তখনো গোটা দেশের সম্যক পরিস্থিতি অবগত হওয়া যায়নি। জানা সম্ভব হয়নি ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট যশোরে; ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সৈয়দপুরে কী অবস্থায় আছে। সভায় চারজন সিনিয়র কমান্ডারকে অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেজর শফিউল্লাহকে সিলেট, বি.বাড়ীয়া অঞ্চলে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান মেজর খালেদ মোশাররফ। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মেজর জিয়াউর রহমান এবং কুষ্টিয়া-যশোর অঞ্চলের অধিনায়ক হন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী। কর্নেল এম.এ.জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর সর্বময় নেতৃত্ব দেওয়া হয়।
এ.টি.এম. হায়দার মার্চ মাসের ২৬/২৭ তারিখে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে পলায়ন করেন এবং বি-বাড়িয়ায় আবস্থিত চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অন্যান্য অফিসারদের সাথে মিলিত হন। সেখান থেকেই তেলিয়াপাড়া চলে যান। কিছুদিন পর ৬/৭ জন সৈন্য নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসেন এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের উপর তারের ঘাট পুল এবং মুসুল্লী রেলওয়ের পুল দু’টি বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেন। এই অপারেশনের পর হায়দার সহ গোটা দল তেলিয়াপাড়া হতে প্রথমে ভারতের মতিনগর ও পরে সেখান থেকে আগরতলার মেলাঘরে চলে যান।
মেলাঘরে এ.টি.এম. হায়দার দুই নম্বর সেক্টরের সঙ্গে কাজে যোগদান করেন। এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন খালেদ মোশাররফ। হায়দার সেকেন্ড ইন কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। দুই নং সেক্টরের হেডকোয়াটার ছিল মেলাঘরেই। সেখানে অবস্থিত মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে কমান্ডো, বিস্ফোরক ও গেরিলা ট্রেনিং সহ হায়দার মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ গ্রহণ করাতেন। মেলাঘরে হায়দার প্রথম একটা স্টুডেন্ট কোম্পানি গঠন করেন। এই কোম্পানিকে তিনিই ট্রেনিং প্রদান করতেন।
সাত অক্টোবর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ‘কে-ফোর্স’ গঠিত হলে এ.টি.এম. হায়দার দুই নং সেক্টরের কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ১৬ ডিসেম্বর প্রথম ঢাকা বেতার ও টিভি থেকে ‘আমি মেজর হায়দার বলছি, মুক্তিবাহিনীর প্রতি নির্দেশ…’ শিরোনামে একটি কথিকা পাঠ করেন। এ. টি. এম. হায়দার স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭২ সালে হায়দার কুমিল্লা সেনানিবাসে ১৩ ইস্ট বেঙ্গল প্রতিষ্ঠা করেন। তখন তাঁর পদবী ছিল মেজর। এরপর তিনি ১৯৭৪ সালে লে. কর্নেল পদে উন্নীত হন এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসে অষ্টম বেঙ্গলের কমান্ডিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ লাভ করেন।
১৯৭৫ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত হায়দার কিশোরগঞ্জে ছুটি কাটান। তারপর ২১ অক্টেবর চট্টগ্রামের রুমা সেনানিবাসে কাজে যোগদান করেন। অক্টোবরের ২৭/২৮ তারিখের দিকে তিনি তাঁর বাবার একটি টেলিগ্রাম পান। টেলিগ্রামে পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত ঝামেলা সমাধানের জন্য তাঁকে ঢাকায় আসতে বলা হয়। হায়দার ৩রা নভেম্বর ঢাকায় আসেন। তখন ঢাকা সেনাবাহিনীতে এক চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ক্যু এবং পাল্টা ক্যু-এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। সেনাবাহিনীতে চলছে রক্তারক্তি অবস্থা।
লে. কর্নেল হায়দার কোনো কিছুতে অংশগ্রহণ না করলেও তিনি এই চরম অবস্থার শিকার হন। ৬ নভেম্বর দিবাগত ভোররাতে শেরেবাংলা নগরে খালেদ মোশাররফ ও লে. কর্নেল হায়দারকে হত্যা করা হয়। এরপর তাঁর লাশ কয়েকদিন সেখানে পড়েছিল। হায়দারের লাশ সংগ্রহের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফর উল্লাহ জিয়াউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেন। ১৯৭৫ সালের ১১ নভেম্বর তাঁর লাশ শেরেবাংলা নগর থেকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে চিরনিন্দ্রায় শায়িত করা হয়। ব্যাক্তিগত জীবনে মেজর হায়দার ছিলেন অবিবাহিত।
আর আমরা চিরদিনের মত হারিয়ে ফেলি আমাদের এই বীরকে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত। এই বীরদের হারানোর ব্যাথা বয়ে বেড়াচ্ছে আজো এই দেশ তাইতো এখনো ধুকে ধুকে এগিয়ে চলছে সামনে।
pregnant 4th cycle clomid
অংকুর বলছেনঃ
মেজর হায়দার এর মত ক্লিন ব্যাকগ্রাউন্ডের কোন অফিসারের কথা আমার জানা নেই। ২ নং সেক্টরের গেরিলারে জন্য তিনি ছিলেন হিরো,ছিলেন বন্ধু। স্যালুট এই বীর যোদ্ধাকে।
শেষ প্যারায় লিখেছেন “বীর প্রতীক “, আসলে বীর উত্তম হবে। ঠিক করে নিবেন। লেখাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। মেজর হায়দারের জন্মদিন আমি ভুলেই গিয়েছিলাম।
অপার্থিব বলছেনঃ prednisolone dosing chart
মেজর হায়দারের মোটামুটি পূর্ণাঙ্গ জীবনী জানানোর জন্য আপনার অসংখ্য ধন্যবাদ প্রাপ্য। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের নোংরা রাজনীতির নির্মম বলি হয়েছিলেন এই মানুষটি। শুভ জন্মদিন মেজর। মেজর হায়দার ও ক্যাপ্টেন সেতারার বীর সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য তাদের বাবা -মার প্রতি রইলো স্যালুট।
তারিক লিংকন বলছেনঃ pharmacy tech practice test online free
diflucan one time dose yeast infectionঅসাধারণ এক যোদ্ধাকে নিয়ে অসামান্য এই পোস্টটি দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
আর মহান এটিএম হায়দারকে হৃদয়ের গভীর থেকেই বিনম্র শ্রদ্ধা!! বাংলাদেশ নামক দেশটির সাথেই বেঁচে থাকবেন আজীবন তিনি… স্যালুট
Iqbal Mahmud Anik বলছেনঃ
ভালো লাগল।মেজর হায়দারের ব্যাক্তি জীবন সম্পর্কে জানলাম
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
যদ্দুর জানি উনাকে খালেদ মোশাররফ আর কর্নেল হুদার সাথে সকালে হত্যা করা হয়, ১০ম বেঙ্গলের অফিসার্স মেসের সামনে… কর্নেল হামিদের ” তিনটি অভ্যুত্থান ও না বলা কিছু কথা” , জহিরুল ইসলামের “মুক্তিযুদ্ধে মেজর হায়দার ও টার বিয়োগাত্মক বিদায়” এই বই দুইটা পড়ে দেখতে পারেন। এখানে স্পষ্ট বলা আছে তার মৃত্যু হয়েছিল সকালে…
এছাড়া আর সব ঠিক আছে। চমৎকার একটা কাজ করেছেন ব্রাদার… কিপ ইট আপ…
লাল সবুজের ফেরিওয়ালা বলছেনঃ
ওকে ডন ভাই clomid trying to get pregnant