থ্রিলারঃ বদলা (পর্ব ২)
330
বার পঠিতথ্রিলারঃ #বদলা
পর্বঃ২
———
আঠার ঘন্টা আগে, সিলেট.
সকাল দশটা,
টপ সিক্রেট স্নাইপিং ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি.
একটু পর পর হেবি ক্যালিবার রাইফেলের গর্জনে কেঁপে উঠছে পুরো এলাকা।।
রাইফেলের শক্তিশালি স্কোপে চোখ রেখে টার্গেটের দিকে চেয়ে আছে বিশাল দেহি কর্পোরাল সোহেল আহমেদ। পাশেই হালকা পাতলা দেহের স্পটার জাহিদ কারেকশন দিচ্ছে,
ফাইব ইঞ্চ লেফট, টু ইঞ্চ হাই,অন মায় মার্ক-ফায়ার!!
সুপারসনিক বেগে হেবি ক্যালিবারের বুলেট বেরিয়ে গেল ব্যারেল ছেড়ে । ভারী রাইফেলটার রিকয়েলের ধাক্কায় মুখ কুঁচকে গেল কিছু সময়ের জন্য।
৩০ বছর বয়সী কর্পোরাল সোহেল সেকেন্ড জেনারেশন মিলিটারি সার্ভিসম্যান। তার বড় ভাই বিজিবিতে কর্মরত, ল্যান্স কর্পোরাল শরীফুর রহমান।বলা উচিৎ সৎ ভাই,যদিও সারা জীবন আপন ভাইয়ের মতই আদর পেয়ে এসেছে তার কাছ থেকে। বাবা ১৯৭১ এ ইপিআর এ ছিলেন,বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে শহীদ হন দেশের জন্য। বাবা যখন মারা যায় তখন তার বড় ভাই মায়ের পেটে। পরে মা আবার বিয়ে করেন, সেই ঘরে সোহেল আহমেদের জন্ম।
পড়াশুনায় খুব ভাল ছিল সোহেল,স্কুলে প্রথম সারিতে থাকত সব সময়। কিন্তু কলেজে থাকা কালীন সময়ে নিজের বাবাও মারা যাওয়ায় অকুল পাথারে পড়ে পরিবার। বড় ভাইয়ের একার বেতনে সংসার চলছিল না,নিজের পড়াশুনার খরচ চালানো তো দুরাশা। খুব কষ্ট লাগলেও পড়াশুনা ছেড়ে বাধ্য হয়ে আর্মিতে যোগ দেয়।
তার পরই কার্যক্ষেত্রে তার প্রতিভা ফুটে উঠে শুরু করে। বিএমএ, স্নাইপার স্কুল,এডভান্স কমান্ডো ট্রেনিং-আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। একাগ্রতা,কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে টপ লেভেলের একজন স্নাইপার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
এখন “বাংলাদেশ আর্মি স্পেশাল ফোর্সের” স্নাইপার সেলের একজন ইন্সট্রাক্টর হিসেবে দায়িত্বরত। শুধু মাত্র সেরাদের সেরারাই ইন্সট্রাক্টর হওয়ার দূর্লভ সম্মান লাভ করার যোগ্যতা রাখে।
এরকম টপ সিক্রেট অর্গানাইজেশনে ইন্সট্রাক্টরের দায়িত্ব পালন করতে হলে নিজের স্কিল গুলোতে শান দিয়ে রাখতে হয় সব সময়, তাই সুযোগ পেলেই সে নিজেকে ঝালিয়ে নেয়।
-রেডি! গলা শুনা গেল স্পটারের,।বুলেট ড্রপ, উইন্ড রেসিস্ট্যান্স & ডিরেকশন সব বলে গেল একে একে..
পাশে রাখা কাগজে খস খস করে নোট নিল সোহেল। হিসেব কষে ইলিবেশনের মান বের করে স্কোপের মধ্য দিয়ে আবার টার্গেটের দিকে তাকাল। হাই পাওয়ারড টেলিস্কোপের মধ্য দিয়েও প্রায় এক মাইল দুরের ডামি টার্গেটটাকে পিপড়ার মত লাগছে।
বোল্ট টেনে আরেকটা বুলেট চেম্বারে চেম্বারে নিয়ে আসল,টার্গেটের দিকে আরেক রাউন্ড মৃত্যদূত উগরে সম্পুর্ন প্রস্তুত। ট্রিগারে আঙ্গুল বসে যাচ্ছে, এমন সময় কাধে আঙ্গুলের টোকা খেয়ে পাশ ফিরে তাকাল,ইশারায় কানের হেডফোন খুলতে বলছে তার জাহিদ। রাইফেলের গগনবিদারী শব্দের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্র্যাকটিসের সময় এটা পড়ে নেয় সবাই।
-কি?
-তাকিয়ে দেখ, টাইগার ডাকে,কোর্ট মার্শাল!!ফলেই খ্যাক খ্যাক করে হাসল জাহিদ।
মেজর রুহুল আমিনকে ব্যাটালিয়নের সবাই আড়ালে আবডালে টাইগার ডাকে। তিনি তার বাঘের মত গর্জন দেয়ার জন্য বিখ্যাত,তার কমান্ডে সবাই রাইফেলের থেকে বেশি ভয় পায় এই গর্জনকে।
বেয়াড়া হিসেবে যথেষ্ট নাম ডাক আছে সোহেলের।
“আবার কি মুসিবত” মনে মনে গত এক মাসের কার্যকলাপ মনে করার চেষ্টা করছে,নাহ কোনো অকাজের কথা তো মনে পড়ছে না!
“না জানি কপালে কি আছে”
ধীরে সুস্থে ম্যাগাজিনটা বের করে রাইফেলের পাশে রেখে বোল্ট টেনে চেম্বারের বুলেটটাও বের করে নিল।এটাই নিয়ম,সব সময় অস্ত্রকে সেফ মুডে রাখতে হয়।সব কিছু মাটিতে রেখে উঠে দাঁড়িয়ে পোশাকটা ঠিক করে নিল, বুটের ফিতা প্যাচ খেয়ে আছে কিনা কয়েকবার চেক করে দেখল,নাহ সব কিছু ঠিকই আছে।
ধীরে সুস্থে মেজর রুহুলের সামনে এসে স্যালুট দিল,
-”স্যার”
-”আমার সাথে আসো” মেজরের বাঘের ন্যায় কন্ঠ আজকে কেমন যেন ঠান্ডা শুনাচ্ছে। আরও ভরকে গেল সোহেল, নাহ আজকে কপালে দুর্ভোগ আছে নিশ্চিত।
নিজের অফিস রুমে মেজর রুহেল ঠান্ডা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন সোহেলের দিকে,ঠিক বুঝতে পারছেন কিভাবে কথাটা বলবেন।
-সোহেল তোমার মনে আছে তোমাকে কমান্ডো ট্রেনিংয়ের সময় কি বলেছিলাম?
-জ্বী স্যার। glyburide metformin 2.5 500mg tabs
সোহেলের কমান্ডো ট্রেনিয়ে প্যারা জাম্প কোর্সের সময় তার পাশে ছিল মেজর রুহেল। নতুনেরা যেন ভয় না পায় একারনে প্রথমবার জাম্প করার সময় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জাম্প মাস্টাররা সাথে থাকেন, নতুন ক্যাডেটদের নিরাপত্তার বিষয় টা দেখেন,সাথে তারা মানসিক ভাবে কিছুটা সাহসও পায়।
সোহেল কিছুটা ঘাবরিয়ে গিয়েছিল নিজের প্রথম জাম্পের সময়।পেছন থেকে তখন রুহেল আহমেদ তাকে জিজ্ঞেস করেন সে কি এত ভয় পাচ্ছে,
সোহেল বোকার মত উত্তর দেয়,মারা যাওয়ার ভয় স্যার যদি প্যারাসুট না খুলে!!
রুহেল আহমেদ হেসে বললেন, listen up son, its not how you live, its about how you die.
সোহেল সেই মুহুর্তে এর অর্থ কিছুই বুঝেনি কিন্তু আল্লাহর নাম নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে শুন্যে। এটা প্রায় চার বছর আগের ঘটনা।
-জ্বী স্যার মনে আছে!
-তোমার একজন ভাই আছে,রাইট?
ভাইয়ের কথা শুনে অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল সোহেলের,কিন্তু মুখে তার ছাপ ফুটে উঠতে দিল না।
-জ্বি স্যার,বিজিবি তে আছে,ল্যান্স নায়েক(ল্যান্স কর্পোরাল),এখন বান্দরবানের পোস্টিংয়ে আছে।
-আমরা দুজনেই জাত সৈনিক ,যা বলার সরাসরিই বলছি তোমাকে।আজকে সকালে বান্দবানে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ৫৫ নং পিলারের কাছে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে,সকালে রুটিন টহলের সময় মায়ানমার বর্ডার পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালায় বিজিবির উপর,তার পর থেকেই শরীফ নিখোঁজ।
-কখনকার ঘটনা এটি? শান্ত ভঙিতে জিজ্ঞেস করল সোহেল
-সকাল আটটার দিকের, একটু আগে আমি আমার বন্ধুকে ব্যাক্তিগত ভাবে জিজ্ঞেস করেছি,ইন্টিলিজেন্স রিপোর্ট বলছে শরীফ শহীদ হয়েছে। আই অ্যাম সরি সান!
খবরটা শুনে কিছুক্ষনের জন্য থমকে গেল সোহেল, চকিতে শরীফের ছোট বাচ্চাদুটোর কথা মনে পড়ল।নিজে এখনও বিয়ে করেনি, বাবা মা মারা যাওয়ার পর মাথার উপর ছায়া বলতে ছিল এই বড় ভাই। এক মুহুর্তের মনে হল দুনিয়াটা উলট পালট হয়ে যাচ্ছে। achat viagra cialis france
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সোহেলের দিকে তাকিয়ে আছেন রুহেল আহমেদ। সোহেলের এক্সপ্রেশন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করছেন।
ব্যাপারটা টের পেয়ে সোহেল মুহুর্তে নিজেকে সামলে নিল,
–স্যার আমার মিশন?
প্রশ্ন না,যেন অনুরোধ জানাল তাকে পাঠানোর জন্য।
তীব্র আঘাতের মুহুর্তেও ছেলেটার মানসিক দৃঢ়তা দেখে মনে মনে কিছুটা খুশি হলেন মেজর রুহেল।
অবশ্য তিনি এরকম কিছুই আশা করছিলেন।একবার একটা রিয়েল লাইফ এক্সারসাইজ ছিল,মিশন ছিল রাতের অন্ধকারে প্যারা জাম্প করে নির্দিষ্ট জায়গায় নেমে তার পর ভারী ব্যাকপ্যাক কাধে বিশাল একটা দুরত্ব হেটে গিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দুরের লক্ষ্য বস্তুতে শুট করা। জাম্পের সময় বেকায়দায় ল্যান্ডিংয়ের ফলে পাজরের হাড়ে চির ধরে যায় সোহেলের। হেডকোয়ার্টার থেকে মেসেজ আসে মেডিকাল ইভ্যাক করার জন্য। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভাঙ্গা পাজরের হাড় নিয়ে প্রায় দশ কিলো হেটে গিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষে হিট করে।ছেলেটার শারীরিক এবং মানসিক জোর প্রশ্নাতীত।
-”কিছুদিন ধরেই মায়ানমার পুলিশ উল্টাপাল্টা আচরন করছিল, কিন্তু সরাসরি আক্রমন করে বসবে এটা কেও বুঝতে পারে নি।
গুলাগুলি ঘটনার পর সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে,সীমান্তে আর্মি জড় হচ্ছে। ০৮’ এর মত ফুল স্কেল যুদ্ধ বাধার সম্ভাবনা আছে কিনা আমরা খতিয়ে দেখছি ।আপাতত পর্যবেক্ষন এবং ইন্টেলিজেন্স গ্যাদারিংয়ের জন্য একটা রিকন টিম ভেতরে ঢুকাতে চাচ্ছি আমরা।
-স্যার! চোখে প্রশ্ন নিয়ে তাকাল সোহেল.
তার চোখের ভাষা বুঝতে পেরেই যেন বললেন তিনি, metformin tablet
-কিন্তু হাই কমান্ডের অনুমতি ছাড়া গুলি চালানো যাবে না,নট ইয়েট। রিকম টিমের কাজ হবে শুধু বর্ডারের ভিতরে মায়ানমার সেনাবাহিনির কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করা এবং ইনফরমেশন কালেক্ট করা।
তুমি যদি কথা দাও নিজে ইমোশনালি কম্প্রোমাইজড হবে না তাহলে তোমাকে পাঠাতে আমার আপত্তি নেই,তোমার উপর সম্পুর্ন আস্থা আছে আমার।
-স্যার কোটি টাকা খরচ করে বছরের পর বছর
আমাকে এই কাজের জন্য ট্রেনিং দেয়া হয়েছে,আমি সম্পুর্ন তৈরি। চোখ মুখে দৃঢ়তা ফুটে উঠল সোহেলের
-ওকে দেন, সন্তুষ্ট চিত্তে বললেল মেজর রুহেল আহমেদ
তোমাকে আর জাহিদকে আপাতত পাঠানো হবে। প্রয়োজন হলে পরের শিফটে আরও টিম ড্রপ করা হতে পারে। এক ঘন্টার মাঝে আমার অফিসে রিপোর্ট করো।একটা হারকিউলিস অপেক্ষা করবে তোমাদের ড্রপ করার জন্য। পথে বিস্তারিত ব্রিফিং করা হবে তোমাদের, এভ্রিথিং ক্লিয়ার?
-ইয়েস স্যার! ঠকাস করে স্যালুট দিয়ে ঘুরে দাঁড়াল সে।
দরজার উদ্দেশ্যে পা বাড়াবে এমন সময় তার কাঁধে হাত রাখলেন মেজর রুহেল আহমেদ,
-”শরীফের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না,তুমি তোমার সুযোগ পাবে!”
ঠোটের কোনায় এক চিলতে নির্দয় হাসি ফুটে উঠল সোহেলের, যা জানার জানা হয়ে গিয়েছে তার……
(চলবে)
viagra vs viagra plus
ইকবাল মাহমুদ অনিক বলছেনঃ synthroid drug interactions calcium
বুঝতে পারলাম,তবে শহীদ হওয়া ঐ বিজিবি সৈনিকের আসল নাম দিলেন না কেন?
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ clomid over the counter
আর্মির কিছু রুলস রেগুলেশন আছে এ ব্যাপারে। নেম, প্লেস, র্যাংক, ব্রিগেড ব্যাটালিয়ন ইত্যাদি সম্পর্কে রিয়েল ইনফরমেশন ব্যাবহার করতে গেলে সম্ভবত তাদের পারমিশন লাগে।
গল্পটা যেহেতু আমি লিখেছি নিজের মত করে,সেটা তাদের ভাবমুর্তির সাথে নাও যেতে পারে।তাই একচুয়াল নেম ব্যাবহার করিনি।
ইকবাল মাহমুদ অনিক বলছেনঃ posologie prednisolone 20mg zentiva
ধন্যবাদ,
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ
ব্লাক ইগলস ব্যাটালিয়ন, এটি শুধু মাত্র স্নাইপারদের নিয়ে গঠিত।
কিন্তু ব্লাক ইগল নামের পরবর্তে বিশেষায়িত টিম ব্যাবহার করতে হয়েছে :/
মুক্ত বিহঙ্গ বলছেনঃ