আজাইরা কথন… পর্ব ১
281
বার পঠিত১
চঞ্চলাবতী, তোমার পায়ের তলায় পিষ্ট শিশির-
সবুজ বুকে বিলায় ত্রাণ
নূপুর তালে নেচে উঠেসুর্য্য দেবের করুণ দাণ!
২
দু’চোখ ভরা রাতের কথা পায়না খুঁজে ভাষা
নাই বলে তাই হারায় না সে; রাজকন্যার চুলের কাঁটা।
স্বপ্ন দিয়ে চোখ ঢাকা থাক মনে মনে রুপ কথা,
ফুলের গন্ধে লেগে থাকুক ভালোবাসার শোক-গাথা!
৩
পাতার বাঁশি বাজে শুনো তনূ দেহ নাচে
স্বর্নলতা দেহ বরন
ছুইলে মন নাচে গো ছুইলে মন জাগে! doctus viagra
৪
মেঘের আঁচড়ে লাগিয়েছ কাজল চোখে!
কিছু শিশির ভালোবেসে হতে চেয়েছিলো জল দু-চোখে;
তুমি প্রশ্রয় দাওনি বলে,
কপালের নীলটীপ বিষাদ রহস্য রইলো অজানা!
চঞ্চলাবতী, তোমার নরম হাতে করেছো দান সবুজ মরুভূমি
ভাঙ্গলে চুড়ি লাল হবে তাই আজন্ম বাহাদুরি!
৫
চঞ্চলাবতী,তোমার শরীরে লেগে থাকে কবিতার গন্ধ
অথচ অন্ধের মতো খুঁজে মরি, বকুল তলায় প্রেমের কবিতা!
৬
ভর দুপুরে দীঘির জলে কাহার ছবি আঁকি
বুঝতে না চাই খামচে তাকাই চিনতে নাহি পারি!
৭
রাত জেগে পাহারা দেই ঘুম,
যেন ঘুমগুলি ঘুমিয়ে না পরে ভোরের পরে
স্বপ্ন হোক শিশিরাক্ত বাস্তব উপ্যাখ্যানে!
প্রিয় ভোর তুমি জেগে থাকো সারাবেলা;
বন্দী করে নিজেকে একটি শিশির বিন্দুতে-
কথা দিচ্ছি ক্লান্ত হবোনা এক মুহুর্ত, তোমার সৌন্দর্য দর্শনে! can you tan after accutane
৮
অতঃপর আর একটি নতুন ভোর
কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে আছে বেঁচে থাকার প্রেরণা!
দু-ফোটা স্বচ্ছ শিশির বিন্দুতে-
খুঁজতে ইচ্ছে করেনা আর জীবনের রুপ।
প্রিয় ঘাসফুল, তোমাকে ঈর্ষা!
৯
কংক্রিটের দেয়ালে শিশির জমেনি বলে-
পাথুরে শ্যাউলায় পিচ্ছিল খায় অনুভূতি!
ভাবনার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়,
খুঁজে মরি এক মুঠো রোদ্দুরে হাসতে থাকা-
এক চোখ সবুজ প্রকৃতি!
কবিতা, তুমি আমার প্রেম নও,
তবু প্রেম কেন কবিতার মত লাগে!
গাঁজার ধুঁয়া বিচ্ছিরী ছাই-
ওষ্ঠে লাগাই মধু চুমুর তরে!
১০
শিশিরের সাথে আজও সখ্যতা গড়ে উঠেনি বলে
উহা শরীরের লোম ছুঁয়ে শীতল শিহরণ দেবার আগেই-
আমার ঠান্ডা লেগে যায়!
চঞ্চলাবতী, এবার বুঝলে তো-
তোমার আঁখির শীতল চাহনি, কেন আমি উপেক্ষা করি!
১১
চঞ্চলাবতী, তুমি পাহাড় ঘেরা দীঘির জলে কম্পিত শব্দের সুখ
পাতার বনে ছায়ার জলে ঘোড়সারোয়ারের ভুক!
গায়েব তুমি ঋষিধ্বনি ঢঙ্গী তোমার ঠোঁট
চোখে তোমার কাজল রেখা, অঙ্গে ধর মানসপট!
১২
শহুরে প্রেমগুলি মেলেনা ডানা চাঁদের আলোয়, তবু-
সোডিয়ামের নিয়ন আলোয় রাঙিয়ে নেয় ভালোবাসা।
মধ্যবিত্ত প্রেমগুলি চরে বেড়ায় রিকশায়, প্যাডেলের হিসেবে;
আলো আঁধারের খেলায় গোপন চুম্বনের গতিতে!
১৩
চঞ্চলাবতী, তুমি ভালোবাসার ফীকে রঙে
জ্বলতে থাকা শিশির ফুল
রোদের হাসি দেখতে চাহি
হারিয়েছি তোমার কোল!
১৪
অনুভূতির চূড়ায় বসে ধরবো আকাশ,
ছুঁয়ে যাবে স্নিগ্ধ ভোর, নীল চোখে!
বঁধুয়ার ভেজা আঁচল ছরাবে জল,দুলে উঠবে বাতাসে।
ঘাসফুলগুলি বেঁচে থাক ততোক্ষণে, আহা শিশির ভেজা ভোরে!
১৫ missed several doses of synthroid
অতঃপর আমার সকল দীর্ঘশ্বাসের শেষ আশ্রয়স্থল,
আকাশটাও আজ তোমার দখলে!
মেঘেরা আজ ভীষন ব্যস্ত তোমার বিস্ময় ভরা চোখে,
খুঁজে পেতে আপন রঙের ছায়া!
১৬
কেন সন্ধ্যা নামে, আমার একলা বারান্দায়
কফির মগে বাড়তে থাকে বিস্বাদের ঘনত্ব!
কেন একাকীত্বের ঘোর লাগে অবিশ্রান্ত মনে?
ক্ষুদ্র সে অপূর্নতাও যেন ধেয়ে আসে অন্ধকার হয়ে-
জোনাকির দল কথা রাখেনি আজ!
১৭
প্রিয় ঘাসফুল, তোমার শরীরে মলিন দুপুর রোদ-
খেলে যায় প্রত্যাশার হতাশা,
প্রতিশ্রুতিশীল ভোরের শিশির
ভুলে যায় আপন রুপের রহস্য!
১৮
অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথির মতোই এই শীতের সন্ধ্যায়
বৃষ্টি ছিল আজ সবার চোখে অবহেলিত।
কারো শুষ্ক অনুভূতিই ভিজিয়ে দিতে পারেনি বলে-
বালিকাদের চোখে বৃষ্টি নিয়ে কোন কর্দমাক্ত কবিতার
জন্ম নিতে দেখিন।
অথচ অনেকদিন পর আজ নিজেকে পেয়েছিলাম একা!
খুঁজে পেয়েছিলাম নিজেকে, নিজের মত করে-
দু’ফোটা বৃষ্টিজলে!
১৯ can levitra and viagra be taken together
প্রতিটি ভোর জাগতে দেখি শুকনো শরীরে!
স্নান হয়না’কো শিশিরজলে;
বিলাসিতা প্রেমিক তরে!
লাল হয়ে যাচ্ছে কুসুম, গরম হবার প্রাক্বালে-
কমলা তুমি নষ্ট রঙে
ধুকছো তুমি কার ঠোঁটে,
কষ্টগুলি লেপ্টে আছে পাঁজর ভাঙার শব্দে’রে!
২০
এই সন্ধ্যা-বিকেল খেলায় ঘরে ফেরার তাড়া নেই তো আমার,
শুধু শুন্যঘরে অপেক্ষায় থাকা কিছু অন্ধকার খুঁজে ফিরে বিষাদ চোখে,
ভাবনাগুলি ঝাপসা মনে কড়া নাড়ে অতীত ঘরে!
একটা মোমের আলোয় পুড়িয়ে দেব সকল বিষণ্ণতা,
যখন তুমি থাকবেনা, থাকবে তোমার ছায়া!
২১
তবু সন্ধ্যার আকাশ মেঘে কাহার ছায়া যেন,
এঁকে যায় বিষন্ন ছবি আপন মনে;
রক্তিম গোধূলির সমাপ্তিতে, অন্ধকার হয়ে-
আশ্রয় নিয়েছিল তোমার সন্ধ্যা-প্রদীপ তলে।
অথচ ভেবে রেখেছিলে কোন এক মধ্য রাতে
তোমার বিরহে পুড়ে যাওয়া কোন এক নক্ষত্র;
এলো খোঁপায় পরবে খসে, জ্বালবে আলো তোমার মনে।
২২
খুব করে চেয়েছিলাম একটি উদাসী দুপুর; বটের ছায়া,
যেখানে বসে চোখ বন্ধ করলেই পাবো দেখা-
মন ব্যকুল হবার একমাত্র ‘কারন’,
যাকে ভালোবাসা ভেবে আপন করতে চেয়েছি দীর্ঘকাল!
অথচ হতচ্ছাড়া মেঘ বারবার ঢেকে দেয় ভাবনার সকল পথ,
বৃষ্টিজলে মুছে দেয় সকল পদচিহ্ন।
আমি আঁকতে পারিনা কোন ম্যাপ কল্পনায়,
সমস্ত জল রঙ শুষে নিয়েছে এক বিরহিণীর কবিতা।
২৩
যা কিছু ছিল, সব তোর কুয়াশার ঘরে
আবদ্ধ মনের ছল;
হারিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন ছিল কি বল?
জানি বলবে লোকে পাগল আমি
খুঁজি কেন শিশির স্নাত ভোরবেলায়,
রোদ্র স্নানে নগ্ন মনে গোপন তুমি রোদের ছায়ায়।
এমনি এক মধ্যরাতে ঝিঁঝিঁ পোকার গানে
সুর দিয়েছিলো কিছু অব্যক্ত ব্যথা।
অথচ সে রাতের আকাশে কোন মেঘ ছিল না-
তবু জোছনার আলো জাগাতে পারেনি প্রাণ, নিথর শরীরে;
নিশ্চুপ অপেক্ষায় ছিল কয়েক মূহুর্ত, পলকহীন চোখে
অনাদরে ক্লান্ত হয় রাত- ঘুমিয়ে পড়ে অন্ধকারে!
২৫
প্রিয় ঘাসফুল,
তোমার শিশির স্নাত শরীরে,
খুঁজে পাই প্রেমিকার ঘার্মাক্ত নাকে-
বিন্দু বিন্দু লজ্জিত সুখ!
বিঃ দ্রঃ কেউ কবিতা কিংবা অনুকাব্য ভেবে ভুল করবেন না। আমি কবি নই। কবিতা লেখার দুঃসাহস দেখানোর মতো সাহসীও আমি নই।
চারুলতা বলছেনঃ
বাহ সুন্দর। all possible side effects of prednisone
কৃষ্ণ গহ্বর বলছেনঃ
ধন্যবাদ
তারিক লিংকন বলছেনঃ
“চঞ্চলাবতী, তোমার পায়ের তলায় পিষ্ট শিশির-
সবুজ বুকে বিলায় ত্রাণ
নূপুর তালে নেচে উঠেসুর্য্য দেবের করুণ দাণ!” — চমৎকার
“শিশিরের সাথে আজও সখ্যতা গড়ে উঠেনি বলে
উহা শরীরের লোম ছুঁয়ে শীতল শিহরণ দেবার আগেই-
আমার ঠান্ডা লেগে যায়!
চঞ্চলাবতী, এবার বুঝলে তো-
তোমার আঁখির শীতল চাহনি, কেন আমি উপেক্ষা করি!” — অনবদ্য…
“প্রিয় ঘাসফুল,
তোমার শিশির স্নাত শরীরে,
খুঁজে পাই প্রেমিকার ঘার্মাক্ত নাকে-
বিন্দু বিন্দু লজ্জিত সুখ”— আহারে…
ভাল লাগলো! কে বলেছে আপনি কবিতা লিখতে পারেন না?