রক্তচরিত্রঃ ০১
3087
বার পঠিত
৪৮ সালে মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ততকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ গঠিত হয়। মাওলানা ভাসানী ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেক্রেটারি। ছিলেন টাঙ্গাইলের যুবনেতা শামসুল হক, শেখ মুজিব এবং খন্দকার মোশতাক আহমেদ ছিলেন দলের যুগ্ম সম্পাদক। কিছুদিন পর শামসুল হকের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে মাওলানা ভাসানী শেখ মুজিবকে দলের কার্যকরী সম্পাদক মনোনীত করেন। ভাসানী মুজিবের সাংগঠনিক ক্ষমতায় ইতোমধ্যেই চমতকৃত হয়ে উঠেছিলেন। তার উপর ঢাকা রাজশাহীর ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারীদের ধর্মঘট এবং ’৪৮ এর প্রথম ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবের ভুমিকাও ছিলো মোশতাকের চেয়ে তীব্র ও কার্যকর। মুলত মুজিব মোশতাক দ্বন্দ এখান থেকেই শুরু।
‘৫৪র সাধারণ নির্বাচনে মোশতাক কৃষক শ্রমিক পার্টিতে যোগ দেন। কেএসপির চিপ হুইপ হিসেবে তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটানোর কাজে সহায়তা করে চলেন। ’৬৪ সালে তিনি আবার আওয়ামীলীগে ফিরে আসেন। মুজিব তাকে কৃতকর্মের জন্যে ক্ষমা করে দিয়ে দলে টেনে নিলেন। মুজিব দলে নেন আরো অনেককেই। একসময় আওয়ামীলীগ থেকে পদত্যাগকারী এডভোকেট সালাম খান ফিরে আসেন, আসেন জহিরুদ্দীন। মুসলিম লীগ থেকে আসেন শাহ আজিজুর রহমান। মুজিব হয়তো খুব কমই বুঝতে পেরেছিলেন কিভাবে একটি দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল চক্র দলে আসন গেড়ে নিচ্ছে, যার জন্য একসময় চরম মূল্য দিতে হবে তাকে, তার পরিবারকে, নবজাতক বাংলাদেশকে। মোশতাক পরবর্তীতে মুজিবের লাশের উপর দিয়ে শপথ নিয়েছিলেন, জহিরুদ্দীন ছিলেন জিয়ার আমলে পাকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। শাহ আজিজুর রহমান একাত্তরে পাকিস্তান সরকারকে সমর্থন দেন, নুরুল আমিন ও গোলাম আজমের পক্ষ নিয়ে ১৯৭১ সালে জাতিসংঘে পাকিস্তান কূটনৈতিক দলের নেতৃত্ব দেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যার কথা অস্বীকার করেন এবং অন্যান্য মুসলিম দেশকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে আহ্বান জানান। জিয়ার আমলে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন এবং গোলাম আজমকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। erectalis tadalafil
মোশতাক ছিলেন মুজিবের চেয়ে বয়সে বড়, তাছাড়া আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা কালে তার এবং মুজিবের পজিশন ছিলো এক। একজন লব্ধ প্রতিষ্ঠিত আইনজীবি হিসেবে তিনি নিজেকে মুজিবের চেয়ে বুদ্ধিমান ও বড় নেতা মনে করতেন। কিন্তু শেখ মুজিবের অভাবনীয় জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক ক্ষমতার মুখে তার ভাবনাগুলো নিরন্তর ক্ষোভে পরিণত হতে থাকে। পার্টিতে ফিরে আসার পর সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীন, মনসুর আলীর উপরে নিজের অবস্থান না হওয়ায় তার ক্ষোভ আরো ঘণীভূত হয়।
শীঘ্রই মোশতাক ঠিক করে নেন কাকে কাকে নিয়ে তার গ্রুপ ঠিক করতে হবে। ঢাকার অভিযান প্রেসের একটি কক্ষে চলে গোপন সভা, সভায় যোগ দেন মুন্সীগঞ্জ আওয়ামীলীগের শাহ মোয়াজ্জেম, ফরিদপুরের কে এম ওবায়দুর রহমান, ভোলার তোফায়েল আহমদ, কুষ্টিয়ার শাহ আজিজুর রহমান, জহিরুদ্দীন, ইত্তেফাকের রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাহেরুদ্দিন ঠাকুর এবং মানিক মিয়ার বড় ছেলে ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেন।
আয়ুববিরোধী আন্দোলনের সময় মোশতাক গ্রুপ রহস্যজনক ভুমিকা পালন করে। আন্দোলন যখন চরমে ওঠে, আয়ুব খান শেখ মুজিবসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আহ্বান করেন। মুজিব তখন জেলে, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামী হিসেবে বিচারাধীন। আয়ুব খান ঘোষণা দেন, বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্যে শেখ মুজিবকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে। মোশতাক গ্রুপ প্রস্তাবটি সাথে সাথে লুফে নেয়, ইত্তেফাকের সম্পাদক মানিক মিয়া তাদের সমর্থন করেন। তিনি বলেন আয়ুব খানের মত লোকের দেয়া প্যারোলে মুক্তি এবং আলোচনার প্রস্তাব গ্রহন না করাটা হবে বোকামী। কিন্তু এ বক্তব্যের বিরোধীতা করে তাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, গণঅভ্যুত্থান আয়ুবের ভিতকে কাপিয়ে দিয়েছে। তাই তিনি যদি মুজিবের সাথে আলোচনা করতে চান তবে তাকে প্রথমে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বেগম মুজিব কুর্মিটোলা কারাগারে শেখ মুজিবের সাথে দেখা করে বলেন, প্যারোলের প্রস্তাবে রাজী হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। মোশতাক গ্রুপের চাপকে উপেক্ষা করে শেখ মুজিব ঘোষণা দেন, কেবলমাত্র একজন মুক্ত মানুষ হিসেবেই তিনি প্রস্তাবিত বৈঠকে যোগ দিবেন।
’৭০ এর নির্বাচনে মোশতাক আবার সক্রিয় হয়ে ঊঠেন। তড়িঘড়ি করে নিজের গ্রুপের কয়েকজনকে নমিনেশন পাইয়ে দেন। আওয়ামীলীগ বা ছাত্রলীগ বা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না হয়েও তাহেরুদ্দিন ঠাকুর নমিনেশন পেয়ে যান। সিলেটে অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ওসমানী কেবল নির্বাচনের টিকেটই পান না, রাতারাতি সিলেটের একজন বড় নেতা বনে যান।
বাংলাদেশে গণহত্যার প্রতিবাদে যখন দিল্লীতে পাকিস্তানী হাই কমিশনের দুজন কর্মচারী পাকিস্তান সরাকারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেন, সেসময় তাজউদ্দীন কোলকাতায় পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার হোসেন আলীর কাছে একটি আবেদন করেছিলেন। হোসেন আলী তা সরাসরি উপেক্ষা করেছিলেন। কিছুদিন পর হোসেন আলীর রাওয়ালপিন্ডিতে বদলি হওয়ার নির্দেশ আসে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপারটি শিকেয় তুলে তিনি তাজউদ্দীনের কাছে দূত প্রেরণ করেন। ওই রাতেই তিনি তাজউদ্দীনের সাথে সাক্ষাত করেন। তিনি হোসেন আলীকে সুস্পষ্টভাবে আশ্বাস দেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলে তার সকল মিশনের সদস্যকে নিয়মিত বেতনের চেয়ে অধিক হারে সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে। বদলীর নির্দেশ হোসেন আলীর জন্যে শাপে বর হয়ে আসে, তিনি আনুগত্যনামায় স্বাক্ষর করলেন। কর্মচারীরা আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। হোসেন আলীরও দেশপ্রেমের অভাব ছিলো না। কিন্তু সেই সাথে হোসেন আলীর ক্ষেত্রে ছিলো অন্য কিছুর যোগ, যা সেসময় কেউ জানতে পারেনি।
কোলকাতায় পাক হাই কমিশনের ৭৩ জন কর্মচারীর সকলেই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেন, কেবল ফার্স্ট সেক্রেটারী আই আর চৌধূরী সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় নেন। পরে অবশ্য তিনিও বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দেন। একাত্তরের ১৭ এপ্রিল প্রবাসী সরকার গঠিত হলে তাজউদ্দীন প্রধানমন্ত্রী হন। এতে মোশতাক ক্ষুব্ধ হন, অপরদিকে তাজউদ্দীনও মোশতাককে বৈদেশিক মন্ত্রনালয়ের দায়ীত্ব দিয়ে চুপচাপ থাকেন নি, ঐ মন্ত্রনালয়ের উপর সদাসতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছিলেন। কোলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক মন্ত্রনালয়ের একটী অফিস খোলা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিলো অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। এখানে বসতেন চট্টগ্রাম সমবায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহবুব আলম চাষী। একসময় তিনি ভুট্টোর প্রিয়পাত্র ছিলেন। পরে সে চাকরী ছেড়ে সমবায় অফিস গড়ে তোলেন। মার্কিন সাহায্যে গড়ে ওঠা কুমিল্লা একাডেমী এবং কুমিল্লা সমবায় সমিতিতেও তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। এই ভদ্রলোক মোশতাকের সুপারিশে বৈদেশিক সচিব নিযুক্ত হন। তার সাথে সেখানে আরো বসতেন সড়াইলের এমপি তাহেরুদ্দীন ঠাকুর এবং চট্টগ্রামের এমপি অধ্যাপক খালেদ।
পশ্চিমা কিছু শক্তি যখন বুঝতে পারলো যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না, তখন তারা অন্য পথ অবলম্বন করা শুরু করলো। তারা একই সাথে পাকিস্তান সামরিক জান্তাকে সমর্থন করতে থাকে এবং ত্রাণ ও সাহায্যের মাধ্যমে মুজিবনগর সরকারেও অনুপ্রবেশ করতে থাকে। সাহায্যের নামে বিদেশী বেশ কয়েকটি সংস্থা বিভিন্ন সেক্টরের অভ্যন্তরে ঢুকে পরে। ফলশ্রুতিতে প্রবাসী সরকারের মধ্যেই একটি দক্ষিণপন্থী চক্র দিনে দিনে শক্তিশালী হয়ে উঠে। সৈয়দ নজরুল এবং তাজউদ্দীনের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টির চেষ্টাও করা হয়। শীঘ্রই মুজিবনগর সরকারে অন্তঃকোন্দল দেখা দেয়। মোশতাকের নির্দেশে একটা গ্রুপ হোসেন আলীর বাসভবনে মিলিত হতেন নিয়মিত। তাহেরুদ্দীন ঠাকুর, মাহবুব আলম চাষী, ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম, ডাঃ টি হোসেন, চট্টগ্রামের আজাদী পত্রিকার সম্পাদক মোঃ খালেদ নার মোশতাক ছাড়াও এই গ্রুপটা নিজেরাও অবাক হয়ে গিয়েছিলো তারা মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীকে দলে পেয়ে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এই অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলের ভূমিকা চির রহস্যাবৃতই থেকে যাবে। বিশেষ নির্দেশে তিনি মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতেন। সেক্টর কমান্ডাররা খুব কমই তার নির্দেশের পরোয়া করতেন। মুলতঃ সরকারের দেয়া সামগ্রিক যুদ্ধনীতির ওপর ভিত্তি করে তারা নিজ নিজ প্লান প্রোগ্রাম করতেন।
একাত্তরে, মোশতাক গ্রুপ তাদের পরিকল্পনায় স্থির করে, একটি পশ্চিমা দেশের মাধ্যমে ইয়াহিয়ার কাছে আবেদন জানানো হবে। তারা প্রস্তাব করবে যে, বাংলাদেশকে স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার দিয়ে কনফেডারেশনের মাধ্যমে এখনো পাকিস্তানের সঙ্গহতি রক্ষা করা সম্ভব। বৈদেশিক সচিব মাফবুব আলম চাষী একটি গোপন ডেসপ্যাচও পাঠান। মোশতাক ভেবেছিলেন, সেই বৈঠকে ওসমানীর অন্তর্ভুক্তি মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বিধাবিভক্ত করে ফেলবে। জনগনকেও বোঝানো যাবে যে শেখ মুজিবকে বাচানোর জন্য এছাড়া আর কোনো রাস্তা নাই। এসময় বৈদেশিক মন্ত্রনালয় থেকে একটি হ্যান্ডবিল ছাপিয়ে বিলি করা হয়, যার শিরোনাম ছিলোঃ “স্বাধীনতা অথবা বঙ্গবন্ধু ?” হ্যান্ডবিলে বোঝানো হয় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যেকোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে হবে। এর জন্য প্র্যোজনে মুক্তিযুদ্ধও স্থগিত রাখা যায়। আর তাজউদ্দীন চায় না শেখ মুজিব দেশে ফিরে আসুক, কেননা তাহলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
’৭৫ এর এপ্রিলে তাজউদ্দীন এক সাক্ষাতকারে বলেন, একাত্তরের পচিশে মার্চ আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় পাচ নেতার সমন্বয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। মুজিব কোন পদ নিবেন না। সৈয়দ নজরুল প্রধানমন্ত্রী এবং তাজউদ্দীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন। মোশতাক হবেন পরিষদের স্পীকার। সৈয়দ নজরুল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান থেকে সকল পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যাহারের ঘোশণা করবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন এই ঘোষণা কার্যকর করবেন। এরপর মুজিব ঢাকায় জাতীয় পরিষদের বৈঠক আহ্বান করবেন। বৈঠকে তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রস্তাব করবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে পরিষদে এই প্রস্তাব পাশ হবে এবং এর মধ্য দিয়ে আইনগতভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মলাভ ঘটবে।
খন্দকার মোশতাক এই পরিকল্পনাটি জুলফিকার আলী ভুট্টোর কাছে ফাস করে দিলেন। পাকিস্তান সামরিক বাহিনী সে রাতেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উপর ঝাপিয়ে পরে।
[ সাঈদ তারেক এর 'মধ্যরাতের হত্যাকান্ড' অবলম্বনে ]
cipro allergy to pcn
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ইতিহাস বড় বিচিত্র, ইতিহাস বড় নির্মম… ইতিহাস বড় যন্ত্রণার…
রক্তচরিত্রের ২য় পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকলাম জনাব… side effects of doxycycline in kittens
অর্ফি বলছেনঃ
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ মাইকেল কর্লিওনি। ২য় পর্বও আসবে, আশা করি
ইকবাল মাহমুদ অনিক বলছেনঃ
অসাধারন সব তথ্য।অনেক অস্পষ্টতা স্পষ্ট হল।২য় পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
হুম, অনেক অস্পষ্টটা দূর হল… ২য় পর্বের জন্য আমিও অপেক্ষায় জনাব
উদ্ভ্রান্ত পথিক বলছেনঃ
গোল বাধল — তোফায়েলের অন্তর্ভুক্তি দেখে…
সত্যি বড় যত বিচিত্র এ দেশ তার চেয়ে বড় বিচিত্র তার ইতিহাস
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
অনেক অজানা ইতিহাস জানলাম।
মেঘবতী বলছেনঃ
যা কিছু খটকা ছিল তা পরিষ্কার হল। যুক্তি দিয়েই পরিষ্কার হল।
আপনার লেখাগুলোর শৈল্পিক উপস্থাপনে আমি বারবারই মুগ্ধ হই। গম্ভীর ধরনের কিছু লেখাও আপনি কিভাবে কিভাবে যেন উপস্থাপন করে ফেলেন, যেটা পড়তে বাধ্য হতে হয়। স্যালুট স্যার। লিখা চালিয়ে যান।
অর্ফি বলছেনঃ
আপনার লেখার ভক্ত আমি অনেক আগে থেকেই। প্রতিটি লেখাকে নিজের সন্তানের মত করে প্রস্তুত করার একটা অদ্ভুত গুণ আছে আপনার। সাথে থাকবেন।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
বিনা বাক্যে সহমত আপনার সাথে মেঘ…
হিমেল নাগ রানা বলছেনঃ
খুব দ্রুত আর একটু সংক্ষিপ্ত মনে হল। পর্বসংখ্যা বাড়িয়ে ঘটনার আরেক্টু ভিতরে ঢুকতে পারেন বলে মনে হল! যাই হোক – ফলো করা শুরু করলাম। ধন্যবাদ!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
সহমত। কলেবরটা একটু কমিয়েই ফেলেছেন লেখক। পরবর্তী পর্বগুলোতে যদি কলেবর বাড়ানো সম্ভব না হয়, তবে পর্বসংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ…
ইলোসিয়া মৌনিন বলছেনঃ
মীরজাফরের পরে যদি সিক্যুয়েল হয় তা হল খন্দকার মোশতাক।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
একজ্যাক্টলি। তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে মীরজাফরের চেয়ে বড় ক্ষতিটা করছে মুশতাক। সে শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যায়ই জড়িত ছিল না, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা কয়রে সব আশা ভরসা ধ্বংস কয়রে দিয়েছিল
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
ওরে তো টুকরা টুকরা করে কেটে ফেলা উচিৎ ছিল।
অর্ফি বলছেনঃ
কখনো কখনো মীর জাফরকেও কম মনে হয়…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
শয়তানীতে মীর জাফর মোশতাকের কাছে দুধের শিশু
নবাব মীর মুহাম্মাদ কাসিম আলী খান বলছেনঃ
doxycycline side effects webmdকুমিল্লার কোনও এক গ্রামের ছেলে হিসেবে আমি খন্দকার মোশতাকের আত্মীয়। ছেলেবেলা থেকে তার বীরত্বের (!) কল্পকাহিনী শুনে এসেছি। বড় হয়ে বুঝেছি, আমাদের প্রজন্মকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। তাই, আমি, মীর জাফর আলী খানের জামাতা নওয়াব মীর কাসিম আলী খান হওয়া সত্ত্বেও, এসেছি আরেকটি বক্সারের যুদ্ধ করতে, আরেকবার দখলদারদের থেকে বাংলার মানুষকে মুক্ত করতে। viagra en uk
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
সভ্যতায় আপনাকে স্বাগতম হে বীর…
মুশতাককে আজো এই প্রজন্মের অনেক বুদ্ধিবেশ্যা রক্ষাকর্তা হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করেন। সে নাকি মুজিবের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করছিল। বুঝেন তাইলে একবার, যেই মুজিবের জন্ম না হইলে বাংলাদেশের জন্ম হইত না, সেই মুজিবের হাত থেকে নাকি জাতিকে উদ্ধার করছে বেইমান মুশতাক। কই যাই?
নবাব মীর মুহাম্মাদ কাসিম আলী খান বলছেনঃ
ধন্যবাদ হে ডন!
আমার শ্বশুর মীর জাফরও নাকি সিরাজ-আলেয়ার হাত থেকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যাকে রক্ষা করেছিল বলে শুনেছি। শোনা কথায় এতো কান দেবার কি দরকার হে ডন?
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
হে বলে ডাকায় মনক্ষুন হলেন নাকি ভাই?
নবাব মীর মুহাম্মাদ কাসিম আলী খান বলছেনঃ
মনঃক্ষুণ্ণ হইনি… আম্রাআম্রাইতো
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
হেল ইয়াহ…
আমরা আমরাই তো…
Big Fat Fool বলছেনঃ
আমার একটু রেফারেন্স চেক করে দেখতে হবে, তবে আমি যতটুকু জানিঃ
ভাসানী যখন আওয়ামী লিগের সভাপতি তখন খন্দকার মোসতাক শেখ মুজিবের সিনিয়র পজশনে ছিল কিন্তু ভাসানী শেখ মুজিবের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর একগুয়েমি স্বভাবের কারনে শেখ মুজিবের সাথেই আলোচোনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতেন সেটা মোসতাক পছন্দ করতেন না (খন্দকার মোসতাক সব সময়ই আপোষ করায় বিশ্বাসী চরিত্রের ছিলেন) । পড়ে তিনি আওয়ামী লিগ ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেন। ইতমধ্যে ভাসানী চলে গেলে শেখ মুজিব যখন সভাপতি হন তখন মোসতাক গং আওয়ামী লীগে ফিরে আসলেও মোসতাক তার হারানো সিনিয়রিটি ফিরে পান না, এ ছারাও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার ভুমিকার কারনে পরে তাঁকে ততোটা গুরুত্ব না দিলেও দলে ছিলেন এবং পররাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের মতো একটা গুরুত্বপুর্ন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
আর ঠিক এই সুজোগটিই নেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা, তারা মোসতাক মুজিব দ্বন্দ্ব সম্পর্কে জানতেন এবং মোসতাকের বিদেশী কানেকশন ব্যাবহার করে মুজিব হত্যার ধকল সামাল দেয়ার চেস্টা করেন এবং সফলও হন। আর সেই গুটি কয়েক উচ্ছিস্টভোজীর দল মোসতাকের মন্ত্রিসভায় থাকায় অনেকেই মনে করেন শেখ মুজিবের হত্যাকান্ড আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীন ব্যাপার এবং এখনো আওয়ামী লিগ সরকারই ক্ষমতায় আছে। তখন দেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থা এবং মিডিয়া এতো দুর্বল ছিল যে জাতীয় কোন গুরুত্বপুর্ন ঘটনাও সাড়া দেশে পৌছাতে অনেক সময় লেগে যেতো।
উদ্ভ্রান্ত পথিক বলছেনঃ
ছাত্রলীগের স্বর্ণযুগ কখন ছিল? আর সেই সময়টায় মুস্তাক ভাই জীবিত আছিল!!! ক্যামনে কেউ কি পারে নাই মাত্র একটা হ্যা একটা কিছু দিয়ে ওকে মারতে। আর সুশীল সমাজের গুষ্টিকিলাই, রাজাকারের ছেলে মেয়ের সাথে সন্তান বিয়ে দাও, আবার বিয়েতে উপোঢৌকন পাঠাও আর রাতে আওয়ামীলীগ আওয়ামীলীগ বলে জিকির পার! সব মুস্তাকের বীর্য!
মুশতাক আজও মরে নাই
প্রতি রাতে, বারোটার আশে পাশে
আমি অনেক মুশতাকের ক্লোন
অনেক টিভিতে দেখতে পাই।
আর হ্যাঁ এদের জ্বালায় পত্রিকা পড়ার জো নাই….
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
চমৎকার বলেছেন ব্রাদার
propranolol tabletki 40 mg
জন কার্টার বলছেনঃ
রক্তচরিত্র চলতে থাক! অনেক কিছু জানার আছে। ধন্যবাদ অর্ফি কে!
তবে এম.এ.জি ওসমানী এর সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছি। আশা করছি তাকে ঘিরে থাকা রহস্য নিয়ে একটা পান্ডুলিপি প্রস্তুত করবেন!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
জেনারেল ওসমানীকে নিয়ে আরও জানতে চাই…
অর্ফি বলছেনঃ
জেনারেল ওসমানীর ভুমিকা চিরকালই রহস্যাবৃত ছিলো… এই রহস্যের জট খোলার মত মানুষ এখন খুব কমই আছেন…
অর্ফি বলছেনঃ
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ কার্টার… রক্ত চরিত্র ছিলো… আছে…
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অনেক কিছুই জানতাম না!! আর খন্দকার মোশতাকেরা সবসময় থেকে যায় মানবজাতির অগ্রগতির বাধা হয়ে দাড়াতে… চলতে থাক এই অসামান্য পোস্টের লিখনি…
ইনামুজ্জামান শুভ বলছেনঃ clomid dosage for low testosterone
তথ্য সম্পন্ন…..ধন্যবাদ
নাদের চৌধুরী বলছেনঃ
তোফায়েল আহমেদের নাম দেখে অবাক হতে হলো! আচ্ছা মুক্তিযুদ্ধে জেনারেল ওসমানীর অবদান যদি একটু ব্যাখা করতেন তাইলে খুশি হতাম
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
মাঝে মাঝে কিছু কিছু সত্য আমাদের বড়ই অবাক করে…
প্রশান্ত বলছেনঃ
ভাল লাগল পড়ে…
অনেক কিছু জানতে পারলাম।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
composition du medicament cialisপরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
অপেক্ষার পালা আর শেষই হচ্ছে না…
metformin and insulin bodybuilding