প্রতিশোধ
296
বার পঠিতভাগনে দুইটা প্রায়ই বিরক্ত হয়ে বলে, সারাদিন এতো কি লিখো মামা, তোমার হাত ব্যথা করে না? আমি শুধু হাসি। গত পরশুদিন আমার লেখাটা ওদের দেখাচ্ছিলাম, ওরা তো অবাক। তোমার লেখা এতোজন পড়ে? বিব্রতবোধ করতে করতে বলি, সেইটাই তো বুঝতে পারছি না, এতো মানুষ কেন পড়ছে? তখন হুট করে ওরা একটা প্রস্তাব দিল, তাহলে আমরা যদি একটা গল্প লিখি, সেইটা যদি তোমার একাউন্ট দিয়ে পোস্ট হয়, তাহলে তো অনেক মানুষ পড়বে। আমি হাসিমুখে বললাম, অবশ্যই। বাধ্য ছেলেমেয়ের মতো দুজন গল্প লিখতে চলে গেল।
ওরা গল্পটা লিখেছে, পড়তে পড়তে অবাক হয়ে আবিস্কার করেছি আমিও বোধহয় এতো সহজে এভাবে লিখতে পারতাম না। মাঝে মাঝে নতুন প্রজন্মকে নিয়ে বড্ড আফসোস হয়, মুক্তিযুদ্ধটা ওদেরকে বোধহয় হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে শেখাতে পারলাম না। আজ ওদের গল্পটা পড়ে ভেজা চোখ উপলব্ধি করলাম, আমার আর কোন আফসোস নেই। রক্তাক্ত জন্মইতিহাস হৃদয়ের খুব ভেতর থেকে অনুভব না করলে ১২ বছর আর ১০ বছরের দুইটা বাচ্চার পক্ষে এরকম গল্প লেখা যায় না…
প্রতিশোধ articles on kamagra polo
ফারিন তাসমিয়া, মুবতাসিক নাফে মোস্তফা(সাকিন), নাজমুস সাকিব বিন মোস্তফা
রফিকের বয়স ছিল ১১ বছর। সে ছিল খুব বাবা ভক্ত। বাবা ছাড়া তার চলত না। নিজের জানের চেয়েও বাবাকে বেশি ভালোবাসতো। সে বন্ধুদের সাথে খেলতে খুব পছন্দ করত। সবকিছু খুব সুন্দরভাবেই চলছিল। diflucan dosage for ductal yeast
একদিন সে মাঠে তার বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করছিল। সেই মাঠের পাশেই ছিল রবিউলের বাড়ি। রবিউল রফিকের পুরনো বন্ধু। রফিক দেখতে পেল রবিউল ও তার পরিবার বাড়ির ভারী আসবাবপত্র ছাড়া বাকি সব নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। রফিক রবিউলের কাছে জিজ্ঞেস করল, কিরে দোস্ত, কই যাচ্ছিস? রবিউল জবাব দিল, “কেন, জানিস না, পাকিস্তানী মিলিটারি গ্রামে এসে গেছে। আল্লাহই জানে কখন কাকে মেরে ফেলবে। তাই আমরা কলকাতা চলে যাচ্ছি। তুইও তাড়াতাড়ি তোর বাবা-মাকে নিয়ে চলে যা, নইলে কখন খুন হবি, ঠিক নাই। আচ্ছা, দোস্ত আমরা গেলাম” বলে রবিউল ও তার পরিবার হাঁটতে শুরু করতল। রফিক ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারল না। রফিক মনে মনে ভাবলো, পাকিস্তানীরা আমাদের কেন মারবে? আমরাও মুসলমান, তারাও মুসলমান, তারা আমাদের কেন মারবে? ঘটনাটা বুঝতে সে তার বন্ধু সাফিরের কাছে গেল। সাফির রফিক বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান। সে নিশ্চয় জানে কি হচ্ছে। রফিক সাফিরের বাড়ি গিয়ে দেখলো, তার পরিবারও চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রফিক সাফিরের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,”পাকিস্তানীরা নাকি বাঙ্গালীদের মেরে ফেলছে, ব্যাপারটা কি বল তো। সাফির বলল, পাকিস্তানীরা অনেক দিন ধরেই আমাদের অত্যাচার করছে,আমাদের সব টাকা ওরা নিয়ে যাচ্ছে, যখন তখন আমাদের অত্যাচার করছে। আমরা যখন এর প্রতিবাদ করলাম, তখন ওরা আমাদের মেরে ফেলছে। রফিক বললো, ওরাও মুসলমান, আমরাও মুসলমান। মুসলমান মুসলমানকে মারতে যাবে কেন? সাফির বললো, ওরা তো ইসলাম প্রতিষ্ঠার নাম দিয়েই এইসব করছে। তুই তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যা।
রফিক ভয় পেয়ে দ্রুত বাড়ি চলে গেল। রফিকের বাবা মা ওর ব্যাপারে প্রচণ্ড চিন্তিত ছিল। যেই রফিক বাড়িতে ঢুকলো, তার মা তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। এবং বলল, পাকিস্তান মিলিটারিরা গ্রামে ঢুকেছে আর তুইও আসতে দেরী করলি? আজকে থেকে তোর বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধ। মিলিটারি তোকে মেরে ফেললে আমরা কিভাবে বাঁচবো?
এক মাস পর——-
রফিকের বাড়ির সামনে একটি জিপ এসে দাঁড়াল। গাড়ি থেকে দুজন অদ্ভুত পোশাক পড়া লোক নেমে আসলো। তারা দুজন রফিকের বাবার সামনে গিয়ে অদ্ভুত ভাষায় কথা বলতে লাগলো। তারপর রফিকের বাবা তাদের সাথে গাড়িতে গিয়ে উঠলেন, ওঠার আগে রফিককে বললেন, বাবা কিচ্ছু হবে না, আমি একটু পরেই চলে আসবো। এই বলে রফিকের বাবা ওই দুটি অদ্ভুত লোকের সাথে গাড়িতে উঠে পড়ল।
বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেল কিন্তু তার বাবা ফিরে এল না। সেদিন সন্ধ্যা বেলায় রফিক খবর পেল তার বাবা মারা গেছে। বাজারের পাশের নদীতে তার লাশ ভাসছে। রফিক তার মাকে নিয়ে দ্রুত ছুটে গেল। বাবার লাশ দেখে কিছুক্ষন সে আর কিছুই ভাবতে পারল না। ভয়ংকর ঘৃণা সৃষ্টি হল তার পাকিস্তানিদের প্রতি। একদিন গভীর রাতে রফিকের দরজায় টোকা পড়ল। রফিক ভয় পেয়ে গেল। তার মা শান্তভাবে গিয়ে দরজা খুললেন, দেখলেন দুইজন সশস্ত্র যুবক দাড়িয়ে আছে। দুজনের মধ্যে একজন বলল, মা, আমরা মুক্তিযোদ্ধা। আমরা বহুদূর থেকে আসছি। একটু আশ্রয় দেবেন? মা তাদের ঘরে নিয়ে বসালেন, হাত মুখ ধুয়ে তাদের খেতে দিলেন। তারা খুব তৃপ্তি নিয়ে খেলো, খাবার সময় রফিক তাদের পাশে বসে তাদের অস্ত্রগুলো দেখতে লাগলো। একসময়য় জিজ্ঞেস করল, এইগুলা ইয়ে কি পাকিস্তানীদের মারা যায়? তারা বলল, হ্যাঁ। রফিক বলল, সেই পাকিস্তানী, যারা আমার বাবাকে মেরেছে? তারা বলল, হ্যাঁ। রফিক কিছুক্ষনের জন্য চুপ করে থাকলো। তারপর সে খুব আস্তে আস্তে জিজ্ঞেস করল, আমাকে তোমাদের সাথে নিবে? যারা আমার বাবাকে মেরেছে, তাদের আমি ছাড়বো না। তাদের মরতে হবে। ওরা অবাক হয়ে রফিকের দিকে তাকিয়ে থাকলো, কিছু বলতে পারল না।
সেই রাতে রফিক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পালিয়ে যায়। তাকে আর কেউ কখনো দেখেনি।
তারপর অনেক দিন পেরিয়ে গেছে, রফিকের মা এখনো তার ছেলের পথ চেয়ে বসে আছেন। ছেলে তার ফিরে আসবে, মায়ের কোলে ফিরে আসবে। কিন্তু রফিক ফিরে আসে না, রফিকেরা ফিরে আসে না…
তারিক লিংকন বলছেনঃ
turisanda cataloghi ciproএই গল্প ১০-১২ বছরের দুই বাচ্চার লিখা? অসাধারণ…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
সত্যিই অসাধারন…
আমিই ফার্স্টে বিশ্বাস করতে পারি নাই…
শিশিরস্নাত দ্রোহি বলছেনঃ
price comparison cialis levitra viagraছেলে তার ফিরে আসবে, মায়ের কোলে ফিরে আসবে। কিন্তু রফিক ফিরে আসে না, রফিকেরা ফিরে আসে না…
হ্যা আমাদের অনেক রফিকরা এখনো ফেরেনি, কবে আর ফিরবে তারা?
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
তারপরও চিরকাল ওদের ফেরার অপেক্ষায় রইব ভাই…
দুর্বার প্রলয় বলছেনঃ
ডন ভাই, আমি বাচ্চা গুলার কাছে শিখতে চাই, এতটা অনুভব কীভাবে করলো। আমি এখনও মুক্তিযুদ্ধের কোন ঘটনা ঘুছিয়ে লিখে শেষ করতে পারিনি, ওরা কি করে পারলো??
অসাধারন, আমি মুগ্ধ।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ accutane prices
আমিও প্রথমে অবাক হয়েছিলাম, কি অসাধারন গাঁথুনি গল্পের, কি চমৎকার সমাপ্তি… খুব খুশি হয়েছি ভাই… rx drugs online pharmacy
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
অসাধারণ। সত্যি অসাধারণ… বিশেষ করে শেষ লাইনগুলা। funny viagra stories
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
একজ্যাক্টলি