কোর্স নং CSE-800
641
বার পঠিত১)
প্রিয়তিকে আমি প্রথম দেখি ইউনিভার্সিটি লাইফের প্রথম দিনে ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে। এক তীব্র শীতের সকালে নুতু্ন দিনের উজ্জল স্বপ্ন চোখে একে গিয়েছিলাম ক্যাম্পাসে ।কিছুটা ভয় আর রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম মিলনায়তনের সামনে। হঠাৎ মেয়েদের জটলায় দীর্ঘ চুলের একটা মেয়ের দিকে আমার দৃষ্টি পড়ে যায়। এরকম দীর্ঘ চুলের রূপসী কোন মেয়ে আমি আমার জীবনে দেখিনি ।কেমন যেন ভীত চোখে তাকিয়ে চারপাশের সবকিছু দেখছিল সে। জগতের সব মায়া যেন শুধু তার ঐ অপূর্ব চোখ জোড়ায় ভর করেছে ।প্রথম দেখায় আমার মনে হল এই মেয়েটির চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে আমি যেন অনন্তকাল পার করতে পারব । অদ্ভুত সুন্দর ঐ চোখ জোড়া দেখেই মেয়েটির প্রেমে পড়েছিলাম । কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করছিলাম এই মেয়েটি যেন আমার ডিপার্টমেন্টে পড়ে ।ঈশ্বরের কৃপায় হোক কিংবা কাকতালীয় যাই বলি না কেন পরদিন ক্লাসে গিয়ে আবিষ্কার করলাম যে প্রিয়তি আর আমি একই ডিপার্টমেন্টে একই সেকশনে পড়ছি । সেই দিনটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় দিন গুলোর একটি। ভার্সিটি লাইফের প্রথম দিন আর প্রথম প্রেমের আনন্দ যেন মিলে মিশে একাকার হয়েছিল আমার মধ্যে। তীব্র সুখকর একটা অনূভতি নিয়ে ঐদিন বাসায় ফিরি।
আমি মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ছেলে। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির আর দশটা ভীতু লাজুক ছেলের চেয়ে ব্যাতিক্রম ছিলাম না আমি। ভালবাসার কথা বলতে গেলে অদ্ভুত একটা পিছুটানআমাকে পিছন থেকে টেনে ধরত। মেয়েটি কি রাজী হবে,ক্লাসের সবাই কি হাসাহাসি করবে এই জাতীয় চিন্তা মাথায় আসতো সবসময়। বেশ কয়েকবার বলি বলি করেও ভালবাসার কথা বলতে পারিনি। এভাবে দেখতে দেখতে এক সেমিষ্টার পার হয়ে গেল।দ্বিতীয় সেমিষ্টারের শুরুতে একদিন প্রিয়তিকে দেখি ক্যাফেটেরিয়ার সামনে হাসিমুখে একটা ছেলের সঙ্গে গল্প করতে। তীব্র ঈর্ষা কী জিনিস সেদিনই প্রথম উপলব্ধি করি আমি।আমার ইচ্ছা হয় ঐ ছেলেটিকে মেরে একেবারে তক্তা বানিয়ে দিতে ।এত মেয়ে থাকতে কেন সে প্রিয়তির সঙ্গে হেসে হেসে গল্প করে। শুনেছি সেই ছেলেটি ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের ছেলে তাই বাস্তবতার খাতিরেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করি। ঐ দিনই সিদ্ধান্ত নেই যা হবার হবে কিন্ত যে করেই হোক প্রিয়তিকে আমার ভালবাসার কথা বলতেই হবে। একদিন ডাটা ষ্ট্র্যাকচার ল্যাব শেষে ল্যাবের মধ্যেই অপেক্ষা করছিলাম আমি কারন তখনও প্রিয়তির প্রোগ্রাম করা শেষ হয়নি। উল্লেখ্য প্রিয়তি খুব ভাল প্রোগ্রামার আর প্রোগ্রামিং এর কোন কিছুই আমার মাথায় ঢোকে না । যথারীতি ঐ দিনও প্রোগ্রাম না পেরে স্যারের ঝাড়ি খেয়েছি কিন্ত তাতেআমার বয়েই গেছে। আজ আমার লক্ষ্য অন্য। আজ যে করেই হোক প্রিয়তিকে আমার ভালবাসার কথা বলতেই হবে। এক পর্যায়ে প্রিয়তির দিকে এগিয়ে যাই আমি।
-প্রিয়তি তুমি কি প্রোগ্রামটা পেরেছ?
-হ্যা
-তোমার কোডটা কি একটু দিবে?
-নিতে পার।
আমি হাসিমুখে পেন ড্রাইভটা এগিয়ে দেই।প্রিয়তির দিকে এক পলক তাকিয়ে থেকে বললাম- প্রিয়তি শোন তোমার সঙ্গে আমার একটু কথা আছে।
-হ্যা বল।
-তোমাকে আমার প্রচণ্ড ভাল লাগে, আমি তোমাকে ভালবাসি।
জানি প্রেম নিবেদনের এই স্টাইলটা অনেক পুরনো ।যুগে যুগে বহু প্রেমিকই এই লাইনগুলো দিয়েই প্রেম নিবেদন করেছে। আমি একটু ব্যতিক্রম হতে চেয়েছিলাম। কিভাবে ভালবাসার
কথা বলব তা নিয়ে অনেকবারই ভেবেছি। বেশ কয়েক বার প্রাকটিসও করেছি কিন্ত প্রয়োজনের মুহূর্তে যথা রীতি সব ভুলে গিয়েছি। অতিরিক্ত টেনশনে মাঝে মধ্যে মাথা কাজ করে না আমার
প্রিয়তি নিজের হতভম্ভতা দ্রুত কাটিয়ে ঊঠে বলে-ধন্যবাদ। কিন্ত এটা সম্ভব নয়।
-কেন সম্ভব নয় জানতে পারি ?
-সব কেনর উত্তর হয় না।
আমাকে আর কোন প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়েই প্রিয়তি হন হন করে চলে যায়। আমি হতভম্ভ হয়ে প্রিয়তির চলে যাওয়া দেখি। আমি বিমর্ষ হই কিন্ত ভেঙ্গে পড়ি না । আর এত সহজে হতাশ হবার পাত্রও আমি নই। কোন এক কবি বলেছিলেন “রমণীর মন সহস্র বছরের সখা সাধনার ধন”। আমিও সহস্র বছরের সাধনার জন্য প্রস্তত হই । এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হওয়ায় বন্ধু মহলে আমার প্রেষ্টিজ মোটামুটি পাংচার হবার দশা।বন্ধু মহলে প্রেষ্টিজ বাঁচানোর তাগিদেই হোক অথবা নিজের মনের তাগিদ যাই বলি না কেন ভালবাসার এই লড়াইয়ে জেতার জন্য আমি মরিয়া।একদিন মনে হল আচ্ছা ফেসবুক থেকে প্রিয়তিকে একটা মেসেজ পাঠালেইতো পারি। ঐ দিনই ফেসবুকে মেসেজ অপশনে গিয়ে প্রিয়তিকে উদ্দেশ্য করে লিখলাম
“প্রিয়তি তুমি কেমন আছ? তুমি কি জান প্রতিটি দিন, প্রতিটি নিঃসঙ্গ রাত্রি, প্রতিটি শুভ্র সকালে আমি তোমাকে প্রচন্ড মিস করি। তোমার সঙ্গে কাটানো খুব অল্প কিছু মুহূর্ত আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় কিছু ক্ষণ। খুব ছোট কিন্ত আশ্চর্য সুন্দর এই জীবনে চলার পথে আমি কি তোমার সঙ্গী হতে পারি?”
ফিরতি মেসেজের প্রতীক্ষায় আমি সারাটি দিন সারাটি রাত আমি ফেসবুকের সামনে পড়ে থাকি কিন্ত না কোন রেসপন্স নেই । ভোরের দিকে একটু চোখ বুঝে আসলে আমি ঘুমাতে যাই । পরদিন ঘুম থেকে উঠে বিস্মিত হয়ে আবিষ্কার করি যে প্রিয়তি ফেসবুকে আমাকে ব্লক করেছে। তীব্র হতাশায় আমার যেন কান্না পেতে লাগলো। মেয়েরা এত নিষ্ঠুর হয় কেন? প্রকৃত ভালবাসা চিনতে মেয়েদের এত দেরী হয় কেন? যাই হোক আস্তে আস্তে আমিও স্বাভাবিক হতে লাগলাম। বাস্তব নামের নির্মম সত্যটুকু উপলব্ধি করতে খুব বেশি সময় লাগলো না আমার। বুঝতে পারলাম যে কোন কারনেই হোক প্রিয়তি আমাকে পছন্দ করে না। ভাল প্রোগ্রাম পারিনা এটাই সেই কারন কিনা কে জানে?
২)
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মানুষ নাকি কবি হয়। আমিও ইদানীং কবিতা লিখি। শক্তি চট্টোপাধ্যায়, অমিয় চক্রবর্তীর কবিতা বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়ি। কখনো নিজের মনে আবৃত্তি করি। একদিন কিছু বন্ধু বান্ধব নিয়ে চিরকুমার সংঘ গঠন করে ফেলি।চিরকুমার সংঘের প্রতিটি সভায় বেশ জ্বালাময়ী ভাষায় প্রেম ভালবাসার কুফল বর্ণনা করি। আজ কালকার তথাকথিত প্রেম ভালবাসা যুবসমাজের কত বড় ক্ষতি করছে তা বেশ ব্যাখ্যা সহ উপস্থাপন করি। প্রতি বছর ভ্যালেন্টাইন্স ডের আগের রাতে চিরকুমার সংঘের পক্ষ থেকে মিছিল বের হয়। আমি সেই মিছিলের নেতৃত্ব দেই। সেই মিছিলের স্লোগানহয় এরকম “কেউ পাবে, কেউ পাবে না,তা হবে না তাহবে না। ভালবাসা দিবস মানি না ,মানবো না।” এভাবে দেখতে দেখতে ভার্সিটি লাইফের শেষ বছরে পা দিলাম। এদিকে কবিতা আর চিরকুমার সংঘের পাল্লায় পড়ে আমার রেজাল্টের মোটামুটি বারোটা বাজার দশা। টেনে টুনে কোন রকম পাশ করি। একদিন ক্লাসে গিয়ে শুনি সবাই বলাবলি করছে আজ নাকি থিসিসের নোটিশ দিবে। থিসিসের কথা শুনতেই আমার গলা শুকিয়ে আসে। খানিকটা দুশ্চিন্তা নিয়ে নোটিশ বোর্ডের সামনে যাই । বিস্মিত হয়ে আবিষ্কার করি যে প্রিয়তি আর আমার থিসিস একই স্যারের আন্ডারে। বন্ধুদের মধ্যে যাদের থিসিস সুপারভাইজার স্যার তুলনামুলক বন্ধু সুলভ তাদের চোখে মুখে যেন ঈদের আনন্দ খেলা করে আর যাদের ভাগ্য ততাটা সুপ্রসন্ন নয় তাদের বিমর্ষ মুখ দেখে বাধ্য হয়ে আমারই স্বান্তনা দিতে হয়। এদিকে আমার দুশ্চিন্তা কোন স্যারকে নিয়ে নয় বরং আমার থিসিস সহপাঠিনীকে নিয়ে।যাই হোক একদিন আমি আর প্রিয়তি থিসিসের ব্যাপারে কথা বলতে স্যারের কাছে গেলাম। আমার সঙ্গে কথা বলতে প্রিয়তির অস্বস্তি লক্ষ্য করে শেষ পর্যন্ত আমিই ওর দিকে যাই ।
-প্রিয়তি ,কি ব্যাপারে থিসিস করলে ভাল হয় তোমার কোন ধারনা আছে?
-না, দেখি স্যার কি বলেন।
-স্যারের সঙ্গে কি দেখা করেছ?
-না।
-চল আজ ক্লাস শেষে স্যারের সঙ্গে দেখা করে আসি।
-ঠিক আছে।
সেদিন প্রথম একসঙ্গে আমরা স্যারের সঙ্গে দেখা করতে যাই।স্যারটি বেশ তরুন, সুদর্শন। অতি সম্প্রতি বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরেছেন ।স্যার প্রথমেই আমাদের রেজাল্ট জানতে চাইলেন। প্রিয়তির ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্ট শুনে তাকে বেশ মুগ্ধই মনে হল। আমার রেজাল্ট শুনে ভ্রূ কুচকে বললেন তোমার রেজল্টের অবস্থা তো খুব খারাপ,থিসিস করতে পারবে তো?
আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকি। স্যার বললেন -এক কাজ কর। তোমরা দুজন একই বিষয় নিয়ে কাজ কর। সেক্ষেত্রে প্রিয়তি তোমাকে হেল্প কর তে পারবে। কি বিষয়ে কাজ করবে তা আগে ঠিক কর তারপর আগামীকাল আবার দেখা কর।ঠিক আছে।
আমরা দুজন একসঙ্গে বলি -ঠিক আছে স্যার।
স্যারের রুম থেকে বের হয়ে আমি প্রিয়তিকে জিজ্ঞেস করি-কি ব্যাপারে থিসিস করলে ভাল হয় তোমার কোন আইডিয়া আছে?
-না , দেখি সবাই কি করছে।
- কে কোন বিষয়ে কাজ করছে জান কিছু?
-একেকজন একেক বিষয় নিয়ে কাজ করছে তবে আমার ধারনা বায়োমেট্রিক্স নিয়ে কাজ করলে ভাল হবে।
-ঠিক আছে।
অবশ্য এই কথা বলা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না আমার কারন কোন বিষয়েই আমার খুব একটা ধারনা নেই।
পরদিন আমরা স্যারকে জানালাম যে আমরা বায়োমেট্রিক্স নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। স্যার বললেন -ঠিক আছে ।তবে তোমরা কাজ করবে দুটো ভিন্ন এপ্লিকেশন নিয়ে। প্রিয়তি কাজ করুক আইরিশ রিকগনিশন নিয়ে আর তুমি কাজ কর ফিঙ্গার রিকগনিশন নিয়ে। এরপর থেকে সপ্তাহে দুই দিন আমরা এক সঙ্গে স্যারের সাথে দেখা করতে যাই। স্যার না থাকলে ডিপার্টমেন্টের বাইরের লিচু গাছটির নিচে একসঙ্গে বসে থাকি ।বায়ো মেট্রিক্সের কঠিন বিষয় গুলো প্রিয়তি আমাকে বোঝায়। আমি অনিচ্ছা স্বত্বেও সেগুলো বোঝার চেষ্টা করি, কিছু বুঝি ,কিছু বুঝি না তবুও প্রিয়তির মুখের দিকে তাকিয়ে আগ্রহ নিয়ে শুনি । এর বাইরেও আমরা অনেক গল্প করি। আমি জানতে পারি যে প্রিয়তিরা দুই বোন এক ভাই, সে তার একমাত্র ছোট ভাইটিকে প্রচণ্ড ভালবাসে। আমি জানতে পারি প্রিয়তির প্রিয় রং আকাশী , জন্ম দিন ৫ ই আগস্ট । প্রিয়তির সাবলীল কথাবার্তা শুনে মনেই হয় না যে কোন এক কালে আমি ওকে প্রেম নিবেদন করে ছিলাম।আমরা যেন কতদিনের বন্ধু, আমাদের পরিচয় যেন কত কালের।
একদিন আমি আর প্রিয়তি লিচুতলায় স্যারের জন্য অপেক্ষা করছি । দুই ঘণ্টা হয়ে গেল স্যারের কোন খবর নেই। বসে থাকতে থাকতে দুজনই প্রচণ্ড বিরক্ত । প্রিয়তিকে একটু বেশিই বিরক্ত বলে মনে হচ্ছে। আমি বললাম- কিরে শরীর খারাপ নাকি?
-কেন কি হইছে?
-মনে হয় জ্বর আসতাছে।
-কই দেখি ।
আমি প্রিয়তির কপালে হাত দিয়ে দেখি জ্বরে ওর গা পুড়ে যাচ্ছে ।
-জ্বরে তো তোর গা পুড়ে যাচ্ছে আর বলছিস কিছু হয়নি। তোর আর বসে থেকে কাজ নেই যা হলে চলে যা।
-স্যার আবার কি বলে না বলে …।
-তুই চলে যা , আমি তো আছিই ।
-আচ্ছা ঠিক আছে আমি গেলাম। ফেসবুকে তোকে নক করবো , স্যার কি বলেন না বলেন আমাকে জানাস।
প্রিয়তি চলে যেতে থাকে। আমি পিছন থেকে প্রিয়তিকে ডাকি। viagra en uk
প্রিয়তি পিছনে ফিরে তাকিয়ে বলে- কিছু বলবি। accutane prices
-আমি ফেসবুকে ব্লকড। দয়া করে তুই কি আমাকে আনব্লকড করবি? can you tan after accutane
আমার বলার ভঙ্গি শুনে হেসে ফেলে প্রিয়তি । হাসতে হাসতেই বলে -আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি মুগ্ধ হয়ে ওর হাসি দেখি। সেই পরিচিত ভুবন ভোলানো হাসি। এই মেয়েটা এত সুন্দর করে হাসে কিভাবে?
৩)
প্রিয়তি কয়েকদিন ডিপার্টমেন্টে আসে না ।খোজ নিয়ে জানলাম যে ওর অ্যাপেন্ডে সাইটিসের অপারেশন করতে হবে। বেশ সিরিয়াস অবস্থা। ঢাকায় নিতে হবে খুব শিঘ্রই ।ঢাকায় যাওয়ার আগের দিন ওর সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। বললাম -কোন চিন্তা করিস না, দেখিস তুই একদম ঠিক হয়ে যাবি
-হু। কিন্ত থিসিসের কি হবে?
-জাহান্নামে যাক থিসিস।তুই তোর শরীর নিয়ে ভাব।
- তুই স্যারকে একটু আমার ব্যাপারে বলিস। venta de cialis en lima peru
-আচ্ছা ঠিক আছে বলব । এসব নিয়ে বেশি টেনশন করিস না তো।
বললাম বটে কিন্ত টেনশন না করে উপায় নেই। ফাইনাল পেপার সাবমিট আর প্রেজেন্টেশনের আর মাত্র ১৫ নিন বাকি। প্রিয়তিকে ছাড়া একসঙ্গে এত কিছু করব কিভাবে ভাবতেই শরীরের রক্ত যেন হিম হয়ে যায় । স্যারের সঙ্গে দেখা করে সব কিছু খুলে বলি। স্যার বলেন -দেখ কত দুরকি করতে পার । পরের ১৫ দিন আমি শুধু থিসিস নিয়েই পড়ে থাকি । লাইব্রেরী থেকে কিছু বই আনিয়ে পড়তে থাকি। আস্তে আস্তে আমার বুক সেলফের কবিতার বইয়ের জায়গা দখল করে প্রোগ্রামিং এর বই। আমি রাত জেগে পড়াশোনা করি । ফাইনাল পেপার ও প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরি করি নিজের জন্য এবং প্রিয়তির জন্যও যেন প্রিয়তি ফিরে এসে প্রেজেন্টেশন দিতে পারে।
অবশেষে আমার পরিশ্রম স্বার্থক হয়। ফাইনাল প্রেজেন্টেশন খুব ভাল ভাবে সম্পন্ন করি । প্রিয়তিও সুস্থ হয়ে ফিরে এসে প্রেজেন্টেশন দেয়। আমার থিসিস পেপারের জন্য স্যারদের কাছে প্রশংসা লাভ করি ।আমার মত একটা উচ্চ শ্রেণীর গরধবের পক্ষে কি করে এরকম একটা পেপার লেখা সম্ভব হল তা অনেক স্যারের মাথায় ঢোকে না। তাদেরকে বেশ বিমর্ষ বলে মনে হয়।
প্রেজেন্টেশন শেষে প্রিয়তির সঙ্গে দেখা।মিষ্টি করে হেসে সে জিজ্ঞেস করে- কিরে কি খবর কেমন আছিস?
-এই তো । তারপর বল তোর শরীর এখন কেমন ? acne doxycycline dosage
-ভাল। দীপক তুঁই আমার অনেক বড় একটা উপকার করেছিস। তুই না থাকলে যে কি হত ? তোর এই উপকার আমি …
-জীবনেও শোধ করতে পারবি না এই তো। এই সব ডায়লগ বহুত শুনছি পারলে নুতুন কিছু বল ।
-নুতুন কিছু! আচ্ছা ঠিক আছে। চাকরি পেলে প্রথম বেতনের টাকায় তুই যা চাবি তাই তোকে কিনে দিব।
-কি বলিস এই সব।
-শিউর।
-বাদ দে তো এই সব।
-বাদ দিব কেন? বল তুই কি চাস?
-কিছুই চাই না । বাদ দে তো।
-আচ্ছা তুই তো পাঞ্জাবি খুব পছন্দ করিস তাই না ?
- কি করে জানলি?
-আগে না কি সব সংগঠন করে বেড়াতি , তখন দেখতাম তোকে পাঞ্জাবী পরে ঘুরতে।
-চির কুমার সংঘের কথা বলছিস?
-হ্যা। আর ভাল কথা আমি কিন্ত আর চির কুমারী থাকছি না , বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
-মানে?
-মানে হল হাসপাতালে বসে শুয়ে বসে দিন পার করছি । এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার সামনে থিসিসের স্যার দাঁড়িয়ে। গোলাপের একটা তোড়া আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন কেমন আছ প্রিয়তি ? দীপকের কাছ থেকে সব কিছু শুনে চলে আসলাম।আমি বললাম- দাঁড়িয়ে আছেন কেন স্যার বসেন।লক্ষ্য করলাম গোলাপের তোড়ার সঙ্গে নীল রঙের একটা কার্ড ঝোলানো।স্যার বললেন- প্রিয়তি আমি চলে যাবার পর তুমি কার্ডটি খুলে দেখবে কেমন?আমি বললাম -ঠিক আছে স্যার। স্যার চলে যাবার পর কার্ডটি খুলে দেখি সেখানে গোটা গোটা অক্ষরে সুন্দর করে লেখা “প্রিয়তি , আমি খূব একটা গুছিয়ে কথা বলতে পারি না শুধু একটা কথাই বলতে চাই এবং তা হল আমি তোমাকে ভালবাসি। আমরা কি সারা জীবনের জন্য পরস্পরের সঙ্গী হতে পারি ?” তারপর সব কিছু পারিবারিক ভাবেই ঠিক হল।
আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই। হদয়ে প্রচন্ড স্রোতের রক্ত ক্ষরন অনুভব করি। তারপরও মুখটা যতটা সম্ভব হাসি হাসি করে বলি -কংগ্রাচুলেশনস ।
-থ্যাংস। kamagra pastillas
-আচ্ছা ঠিক আছে। আজ তাহলে আসি রে ।
আচ্ছা। আর শোন বিয়েতে কিন্ত অবশ্যই আসবি আর ফোনে তো যোগাযোগ হবেই।
-ওকে।
সেটিই ছিল প্রিয়তির সঙ্গে আমার শেষ দেখা। এরপর আর কখনো প্রিয়তির সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। আমি ইচ্ছে করেই দেখা করিনি । এমনকি ওর বিয়েতেও যাইনি। শুনেছি প্রিয়তিরা এখন জার্মানিতে থাকে ।তবুও কি করে যেন প্রিয়তি আমার ঢাকার ঠিকানা যোগাড় করে একটা প্যাকেট পার্সেল করে পাঠিয়ে দেয়।সেই প্যাকেট খুলে দেখিএকটা নীল রঙের পাঞ্জাবী । সেই পাঞ্জাবিটা এখনো আমার আলমারিতে সযত্নে রাখা আছে। আমি সেটা কখনো পরিনি কারন আমি চাই না এই পাঞ্জাবীটা পুরনো হয়ে যাক। প্রিয়তির স্মৃতি হিসেবে এটিকে আকড়ে ধরে রাখতে চাই সারা জীবনের জন্য। তবে থিসিসের পর থেকে প্রোগ্রামিং নিয়ে আমার ভীতিটি কেটে যায়। পাশ করার পর একটা সফটওয়্যার কোম্পানি তে যোগ দেই ।কিছু দিন পর এক বন্ধুকে নিয়ে নিজেই একটা কোম্পানি দাঁড় করিয়ে ফেলি। গত বছর আমার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি বেসিসের এ্যাওয়ার্ড পায়। ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে এই যাপিত জীবনের দিন গুলো যে কিভাবে পার হয়ে যাচ্ছে কে জানে। তবে কর্ম ব্যস্ত একেকটি দিন শেষে যখন বাসায় ফিরি, নিস্তরঙ্গ রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে যখন একেকটি নিঃসঙ্গ রাত পার করি তখন প্রিয়তির কথা খুব করে মনে পড়ে ।কেমন আছে এখন প্রিয়তি? স্বামী সন্তান নিয়ে নিশ্চয় সুখেই আছে। লক্ষ্য করি যে প্রিয়তির কথা ভাবতে গিয়ে কষ্টের এক গুচ্ছ তীব্র অনুভূতি আমার হৃদয়কে গ্রাস করে। জন্ম নেয় একটা অন্তহীন আক্ষেপও ,কখনো নিজের প্রতি কখনো প্রিয়তির প্রতি । আমি কষ্ট ও আক্ষেপের এই অনুভূতি গুলোকে ত্যাগ করতে পারি না , ত্যাগ করতে চাইও না কারন এই অনুভূতি গুলোর সঙ্গে জড়িত আমার অপূর্ণ ভালবাসা। আমি কষ্ট ও আক্ষেপের এই তিক্ত অনুভূতিগুলোকে সঙ্গী করে বেঁচে থাকি।
পুনশ্চ ইউনিভার্সিটি লাইফে ঐ একটি কোর্সেই আমি এ+ পাই । কোর্স নং CSE-800-Project & Thesis-1।
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
আপনি খুব সুন্দর করে গল্প লিখতে পারেন। গুছিয়ে এবং সুন্দর ব্যাখ্যায়। শব্দের ব্যাবহারও চমৎকার। তবে গল্পের নায়ক দীপক সম্পর্কে আমার দুইটি কথা ছিল।
এখানে দীপক প্রথম দেখাতেই একটি মেয়েকে পছন্দ করে ফেলে এবং খুব দ্রুত সেই পছন্দ ভালবাসায় রুপ নেয়। মফস্বলের ছেলে বলেই হয়ত দীপকের ভালবাসায় অনেকটাই তাড়াহুড়োর ব্যাপার ছিল। হতেই পারে। মফস্বলের ছেলেরা একটু বেশিই আবেগ প্রবন হয় বলেই হয়তবা। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে ভালোভাসার প্রপোজ করাটাকে আমার কাছে একটু বেশিই খাপ ছাড়া মনে হয়েছে। অনেকটা তামিল ছবির নায়কদের মত।
আবার প্রিয়তির থেকে প্রত্যাক্ষ্যাত হয়ে দীপকের শিশু সুলভ আচরণেরও প্রকাশ পায়।সে চিরকুমার সংঘের নেতৃত্বে চলে আসে। এখানেও কেমন যেন একটা খাপ ছাড়া ভাব। সব কিছুই যেন খুব দ্রুত ঘটে চলছিল।
আবার হঠাত করে দেখা গেল একজন আরেকজনকে তুই করে বলছে। খুব ভাল বন্ধু এবং খুব ভাল শত্রুই কেবল একে অপরকে তুই সম্ভোদন করে। তুই সম্পর্কটিতে আসার একটা বর্ণনা থাকলে ভাল হত। আবার এটাও হতে পারে এই অংশটা আমি বুঝতে পারিনি।
আবারও বলছি, আপানার লেখার হাত খুব ভাল। প্রকৃতি খুব অল্প মানুষকে এই ক্ষমতা দেন। আপনার পরবর্তী গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। অহেতুক কিছু দোষ ধরার চেষ্টাকে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।
অপার্থিব বলছেনঃ
এই তাড়াহুড়োটা তৈরী হয়েছে তীব্র ঈর্ষা থেকে যখন সে গল্পের নায়িকাটিকে দেখেছিল ক্যাফেটেরিয়ায় অন্য এক টি ছেলের সঙ্গে হাসিমুখে গল্প করতে।
ইউনিভার্সিটিতে পড়া কালীন প্রেমে ব্যার্থ কিছু বন্ধুর শিশু সুলভ আচরণ দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছিল।সেখান থেকে কিছুটা ধার করেছি তবে মানছি যে ঘটনা প্রবাহ একটু দ্রুত হয়ে গেছে।
এক সঙ্গে থিসিসের কাজে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটানোয় তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গতা তৈরী হয়েছিল তাই আলাদা করে তুই সম্পর্কটিতে আসার বর্ননা দেয়ার প্রয়োজন মনে করি নি। সেটা করতে গেলে গল্পের আকার আরো খানিকটা বড় হত।
সবশেষে আপ নার যৌক্তিক সমালোচনা আর সুন্দর উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ । viagra in india medical stores
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
আপনি খুব সুন্দর করে গল্পে আমার দ্বিধা গুলোর সমাধানের চেষ্টা করেছেন। ভবিষ্যতে আপনার লেখার প্রতি আমার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল। আপনি ঠিকই বলেছেন, গল্পের আকার একটা বড় ফ্যাক্ট। আর এর জন্য দায়ী ব্লগের অনভ্যস্ত পাঠক শ্রেনী। এরা বড় লেখা পড়তে চায়না।অনেক ব্লগেই এখন ফেসবুকের মত ছোট ছোট স্ট্যাটাস আকারের লেখা দেয়া হচ্ছে। লেখা না পড়েই দায়সারা মন্তব্য করা হচ্ছে। মন্তব্যে অহেতুক ইমোর ব্যাবহার অনেকটাই বিরক্তিকর।গঠন মূলক আলোচনায় তারা আগ্রহী নয়।অনেকেতো ব্লগ লিখেই গায়েব হয়ে যায়,প্রতি মন্তব্য করার প্রয়োজনটুকুও মনে করেনা।
তবে ব্যাতিক্রমও আছে। আপনাদের মত কিছু লেখক ব্লগ গুলোয় লেখেন বলেই আমার মত কিছু অধম এখনো ব্লগ ছেড়ে দিতে পারেনি। আশা করি সভ্যতায় নিয়মিত লেখা দিবেন।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
শঙ্খনীল কারাগারের সাথে একমত…
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
সহমত পোষনে প্রীত হলাম ইউর হাইনেস।
দুর্বার প্রলয় বলছেনঃ
glyburide metformin 2.5 500mg tabsভাল লিখেছেন অনেক, এমন আরো গল্পের অপেক্ষায় থাকবো।
অপার্থিব বলছেনঃ private dermatologist london accutane
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
অপার্থিব বলছেনঃ
সহমত ।
আমার লেখালেখি শুরুর খুব বেশি দিন হয়নি। কাজের ব্যাস্ততার ফাকে সময় পেলে একটু আক টু লেখি। উৎসাহ দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জন কার্টার বলছেনঃ
clomid over the counterলেখা ভালো লেগেছে…………
অপার্থিব বলছেনঃ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
ইউরিডাইস রিবর্ন বলছেনঃ
metformin synthesis wikipediaচমৎকার হৃদয়স্পর্শী, ভাল লাগলো
অপার্থিব বলছেনঃ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
অনেক ভালো লাগলো
half a viagra didnt work
অপার্থিব বলছেনঃ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ