ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করা এই দেশে অপরাধ দুর্নীতি কখনো নয়
379
বার পঠিতঘটনা সংক্ষেপঃ সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এমপির বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে বলছে সরকার। বিশেষ করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাবস্থায় সরকারের মূল্যবান সম্পত্তি বিনা টেন্ডারে বিক্রি, হস্তান্তর ও ইজারা দেওয়ার অভিযোগগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে। ইতিমধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে লতিফ সিদ্দিকীর সব অনিয়ম-দুর্নীতির নানা তথ্য-উপাত্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। অথচ এই সেদিনও সরকারের পক্ষে টিভি টকশোগুলোর অন্যতম সরভ কণ্ঠস্বরের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তাহলে কেন আজ তিনি বিরাগভাজন? কারণ কারো অজানা নয় তাও তার সেই বিখ্যাত বক্তব্যটি একটু দেখি;
‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।’ তিনি বলেন, ‘এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার (জনশক্তি) নষ্ট হয। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এভারেজে (গড়ে) যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায়; প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়।’
তাবলিগ জামাতের সমালোচনা করে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘তাবলিগ জামাত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।’ [তথ্যসূত্রঃ দৈনিক পত্রিকাসমূহ]
এমন হাজারো দুর্নীতিবাজ আজও সরকারে বা সরকারের বাইরে থেকে মসজিদ, মাদ্রাসা কিংবা মাজারে % দিয়ে নিজেদের দুর্নীতিকে জায়েজ করছেন অথচ আজ যেসব কথা দুনিয়ার ৬০০ কোটি মানুষ মানে তা বলার জন্যে মৌলবাদী মুসলিমদের রোষানলে পরেছেন আর সরকার জাত বাঁচাতে করেছেন তাকে বলি। কট্টর মুসলমানদের ভাবখানা এমন যতখুশি দুর্নীতি করুন সমস্যা নেই কিন্তু ঈশ্বর আল্লা খোদাকে কঠাক্ষ করবেন তো খেল খতম। এইবার একটু এই ধর্মীয় মৌলবাদ এবং মৌলবাদীদের ভবিষ্যৎ কি দেখে নিন-
ইংরেজি ফান্ডামেন্টালিজম (Fundamentalism) বা বাংলা “মৌলবাদ” শব্দটির শাব্দিক অর্থ হল ‘মূলজাত’ অর্থাৎ মূল থেকে ‘উপজাত’। ধর্মীয় কিংবা মার্ক্সবাদী অথবা বাদবাকি সকল বাদীদের মৌলবাদী অর্থাৎ মূলজাত না বলে এখন ‘মলজাত’ বলতে মন চাই। এখানে মূল শব্দটি দ্বারা ধর্ম বোঝানো হচ্ছে অর্থাৎ আদি কাল থেকেই ধারনাটি ধর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে এই প্রশ্নের কারণে যে মানুষ কি মূল ধর্ম গ্রন্থগুলোকে অক্ষরে অক্ষরে মান্য করবে, নাকি পরিবর্তিত পৃথিবীর বর্তমান বাস্তব প্রেক্ষাপট ও মানব সমাজের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির নিরিখে এবং যুক্তিবাদ ও বস্তুবাদ প্রয়োগ করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের পর মান্য করবে? ধর্মীয় মৌলবাদীরা আক্ষরিক অর্থের মূল ধর্ম গ্রন্থের সব কিছু গ্রহণ করে থাকেন দৈববানী বলে। তারা তাদের দৈববাণী অক্ষরে অক্ষরে পালনে বা তার ব্যত্যয় রোধে মানব সমাজের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির নিরিখে যুক্তিবাদ ও বাস্তববাদ প্রয়োগের তাগিদকে অস্বীকার করে জীর্ণতাকে আঁকরে ধরে রাখতে চায়।
আসলে আলোচ্য বিষয় মৌলবাদ কি পাঠককে বুঝানো না হয়ে মূল আলোচ্য বিষয় হওয়া উচিৎ এর থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আলোকে অতিবেগবান ও প্রগতিশীল মনুষ্যজাতিকে একটি কল্যাণকর আগামীর দিকে ধাবিত করা। এর জন্যে কিছু সমসাময়িক বৈজ্ঞানিক গবেষণার অগ্রগতি ও তার ফলাফল তুলে ধরব। তার আগে একটু দেখা উচিৎ ধর্মীয় মৌলবাদের কারণ কি কি?
ধর্মীয় মৌলবাদের কারণসমূহঃ
ক) ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত কোন ধর্ম গ্রন্থের কল্যাণকর পরিবর্তন মানুষের পক্ষে সম্ভব না। যেহেতু ধর্মগুলো দৈব বানী বলে বিবেচিত ধার্মিকদের কাছে তাই এই বানী সমূহের ব্যত্যয় ও মানুষ কর্তৃক পরিবর্তন বা পরিবর্ধন অথবা পরিমার্জন হোক এইটা প্রত্যেকটা ধর্মের ধর্মগুরুরা চায়না।
খ) যে কোন প্রকার সংশোধন যেহেতু কোন গ্রন্থের দুর্বলতা প্রমান করবে তাই ধর্ম গ্রন্থগুলোর স্বতন্ত্রতা (uniqueness) প্রমানের জন্যে তারা এই ব্যাপারে অনমনীয় বা দৃঢ় থাকে। buy kamagra oral jelly paypal uk
গ) নিরক্ষর আর অতি ধর্মভীরু মানুষদের জিম্মি করে রাখার অস্ত্র হিশেবে যেহেতু ধর্মগুলো শিদ্ধহস্ত তাই ধর্মগুরুদের এমন কোন ইচ্ছা নাই যার কারণে তাদের একছত্র আধিপত্য হারাতে হয়।
ঘ) পৃথিবীতে ধর্মের সংখ্যা ১০০৯টি এবং যার কোনটিই তার শ্রেষ্ঠত্বের দাবী পরিহার করেনি। প্রত্যেক ধর্মের দাবী হলো-সে ধর্মই একমাত্র সঠিক ধর্ম-শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এমন অবস্থায় নিজ ধর্মের সঠিকত্ব অস্বীকার করলে সে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আর থাকেনা।
ঙ) শেষ কিন্তু অন্যতম মূল কারণ যেইটা আমার কাছে মনে হয় তা হল পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আধিপত্য ধরে রাখার মূল অস্ত্রই ধর্ম। আর বেশীরভাগ পরিবর্তনের বা পরিমার্জনের দরকার এই ইস্যুতে। তাই যেকোন একটা বিষয়ে ছাড় দিলেই তাদের মূল হাতিয়ারটি হারাতে হতে পারে।
-এমনসব ভীতি কিংবা উপলব্ধি থেকে ধর্মীয় মৌলবাদের সৃষ্টি। side effects of quitting prednisone cold turkey
আর তাই মৌলবাদের শীর্ষে থাকা দেশসমূহে স্ব স্ব ধর্মের প্রতি কেউ যৌক্তিক কিংবা যেকোন প্রকারের আঘাত করলেই তারা খ্যাপা কুকুরের মত দৌড়াতে থাকে, কারণ আর কিছুই না। মৌলবাদদের দিন শেষ হয়ে এসেছে তারাও বুঝে গেছে তাদের পিঠ এখন হিমালয়ে ঠেকেছে আর যাওয়ার যায়গা নেই। মৌলবাদ বিষয়ে আরও অনেক আলোচনায় করা যায় তবে কথা না বাড়িয়ে আজ এমন একটি গবেষণার ফলাফলের কথা বলব যা মৌলবাদের ভীত কাঁপিয়ে দিবে। আর তা হল সাম্প্রতিক এক স্নায়ুবৈজ্ঞানিক (Neuroscientist) এর গবেষণার ফলাফল।
“Brainwashing: the science of thought control” নামের গবেষণাধর্মী বইয়ের সম্পর্কে বলছেন লেখক
ক্যাথলিন টেইলর (Kathleen Taylor), একজন অক্সফোর্ড গবেষক ও স্নায়ুবৈজ্ঞানিক যিনি নিজেকে শরীরবৃত্ত, শরীর বিশ্লেষণ এবং জেনেটিক্স বিষয়ক বিজ্ঞান লিখক বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন বা দাবী করেন। হাফিংটন পোস্ট (huffingtonpost.com) এ সম্প্রতি (০৩ জুন ২০১৩) প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়; তিনি তাঁর ব্রেইন রিসার্চের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করতে গিয়ে হে লিটারেরি উৎসবে (Hay Literary Festival- এই লিঙ্কে সম্পূর্ণ ভিডিও দেখতে পাবেন…) বলেন‘ধর্মীয় মৌলবাদকে একটি মানসিক অসুস্থতা হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে’; স্নায়ুবিজ্ঞান ভবিষ্যত সম্পর্কে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে, টেলর লন্ডন টাইমসকে বলেন “চমকপ্রদ একটি আধুনিক চিকিত্সা হতে পারে নির্দিষ্ট কোন বিশ্বাসের মানুষকে চিকিৎসা করে সুস্থ করলে!” তিনি আরও যোগ করেন যে “ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয় না ভেবে বা দেখে একে মানসিক অসুস্থতা বলে গন্য করে চিকিৎসা শুরু করা উচিৎ। এইটা খুবই সুখকর একটি ব্যাপার হবে কেননা ধর্মীয় বিশ্বাস বিশ্ববাসীর জন্যে একটি নরকতুল্য অভিশাপ।”

ক্যাথলিন টেইলর (Kathleen Taylor) ব্রেইন ওয়াশিং (Brainwashing: the science of thought control), ব্রেইন সুপ্রেমেসী (The Brain Supremacy: notes from the frontiers of neuroscience) ও ক্রুয়েলিটি (Cruelty: human evil and the human brain) নিয়ে ব্যাপক কাজ করেন। তাঁর সকল কাজের সারমর্ম লিখকের নিজের ওয়েব সাইটে দেয়া আছে। তাঁর অনবদ্য কাজের মাঝে এমন একটি বিষয় উঠে এসেছে বারবার যা হয়ত আগামী বিশ্বকে করবে একতাবদ্ধ ও দুর্নিবার। আজ যেহেতু গোটা পৃথিবী ধর্মীয় মৌলবাদ নামক নিরাময় যোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তাই আশা করি অতি দ্রুত আগামীর অনাগত মানব সন্তানদের জন্যে একটি সুস্থ সাবলীল স্বপ্নময় বিশ্ব তৈরিতে এই রোগের চিকিৎসা আবিষ্কৃত হবে মানবকল্যানে। তাই স্বপ্ন দেখি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রা এই মানব সভ্যতাকে সামনে কোন আলোকিত দ্বন্দ্ব সংঘাতহীন শান্তিপূর্ণ বিশ্বের।
দুর্নীতিবাজ (যদি তিনি সত্যিই তাই হয়ে থাকেন) লতিফি সিদ্দিকির বিচার হোক আর অকর্মণ্য অলস মৌলবাদদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আর যদি সত্যিই কোন বিশ্বাসকে কিংবা কারো অনুভূতিকে আঘাত করবার জন্য লতিফ সিদ্দিকির বিচার করতে হয় তবে তার আগে দেশের সকল মৌলবাদীদের অন্য ধর্মের বিশ্বাসীদের বিশ্বাসে এবং ধর্মহীনদের অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্যে বিচার করা উচিৎ। তবুও আশার কথা হল ‘রোগ যখন চিহ্নিত আরোগ্য তখন প্রত্যাসন্ন…’
clomid over the counter
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
এক ধর্মের অনুসারীরা যেমন বলে অন্য ধর্ম পালন করলে নরক / দোযোখে যাবে। উপরের ব্যক্তির কথাও তেমনই মনে হল। আর ধর্ম বিস্বাসীরা যেমন স্ব স্ব বিশ্বাস কে শেষ্ঠ বলে আপনারাও তার বিপরীত নন। আপনারা আপনাদে বিশ্বাস কে (নাস্তিকতাকে) শেষ্ঠ বলছেন সঠিক বলছেন। সে অর্থে আপনাদেরও চিকিৎসা প্রয়োজন।
এবার আসি ধর্ম গ্রন্থের কথায়। ধর্ম গ্রন্থ কিছু করতে পারে না? কে বলল! মানুষের মাঝে ধর্ম ভীতি আছে বলে আজও তারা সৃঙ্খল আছে, এটা অস্বীকার করবেন কি করে? আর ধর্ম বলেই ধর্ম গ্রন্থ কে আপনি এভাবে উপস্থাপন করছেন। গ্রন্থ গুলোর কিছু কথা সময়ের সাপেক্ষে মানা যায় না, তাই বল সম্পূর্ণকে ভুল বলতে পারেন না।
আর আপনার উপস্থাপিত বক্তব্যের মাধ্যমে একজন অজ্ঞ পাঠক হিসেবে আমার মনে হচ্ছে ধর্মে বিস্বাস করা মানেই মৌলবাদী। আপনিই উত্তর দিন, ধর্মে বিশ্বাস করা মানেই কি মৌলবাদী!
পরিশেষে বলব লতিফ সিদ্দীকির বিচার হোক তবে দূর্নীতির জন্য, ধর্মে আঘাত করার অভিযোগে নয়।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
para que sirve el amoxil pediatricoদুরন্ত জয়ের মত একই প্রশ্ন আমারো… পোস্টকর্তার মতামত জানতে চাচ্ছি…
তারিক লিংকন বলছেনঃ cialis new c 100
নাস্তিকতা কোন বিশ্বাস না! আর সকল ধর্মকে অন্তঃসারশূন্য বললেই মানুষ নাস্তিক হয়ে যায় না। আর এই শব্দটার প্রতি আমার অল্প বিস্তর অনীহা আছে। যুক্তির কথা হচ্ছে আমি কেবল নিজের উপর আস্থা রাখি কিন্তু কাউকেই বিশ্বাস করি না। মাঝে মাঝে কিছু আপন লোকের উপরও আস্থা রাখি যেমন- মা। মাকে বা নিজেকে বিশ্বাস করি এই কথাটা বিদ্রূপাত্মক মনে হয়…
আইনস্টাইনের কোটটা মনে পড়ে গেলো। যারা ভয়ে বা লোভে সৎ তারা আসলে আমার মতে সবচে বড় বদমাইশ! বুঝাইতে পারলাম জিনিসটা? মৌলবাদী হয়তো না তবে মলজাত বলা যায়। হাজার বছর আগের সকল টেকনোলজিই আজ মলের থেকেও অদম সবাই মানে কিন্তু বিশ্বাস করে তার থেকেও পুরাতন আবর্জনাকে আফসুস…
শেষ লাইনের জন্যে টেক অ্যা ভাও…
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
হাজার বছর আগেও ত্যাগ ও গ্রহণের জায়গা যথাক্রমে পায়ু ও মুখ। ভাউ অন্য রাস্তা বের করেন ।
মহাশয়। উত্তর যখন না তাহলে এভাবে উপস্থাপন করার অর্থ হল ধর্মের প্রতি আক্ষেপ।
আর ভাই নাস্তিকতা বিশ্বাস না শুনে হাসি পেল।
যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না তারা নাস্তিক, এটা কি ভুল? যদি ভুল না হয় তাহলে নাস্তিক বিশ্বাস করে ঈশ্বর বলে কিছু নেই। তাহলে কি দাড়ালো নাস্তিকতা বিশ্বাস নয় কি?
আর প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ মতামত কে যেমন শ্রেষ্ঠ ও সঠিক বলে, নাস্তিকেরাও তো ব্যতিক্রম করছে না।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আপনি একটি বিষয় ভুল করেছেন। মানুষ যা ধারণ করে তাই ধর্ম, মানুষ যা তা ধর্ম না। পায়ু কিংবা মুখ এইসব হচ্ছে মানুষের অংশ আর ধর্ম হচ্ছে মানুষের কৃষ্টি-কালচারের অংশ যা প্রতি মুহূর্তেই পরিবর্তিত হয়েছে মজার বিষয় প্রাণীর অঙ্গও বিবর্তিত হয়। কিন্তু এই বিবর্তন আর পরিবর্তন দুই বিষয়ে দুই রকম।
একটা ছুট উদাহরণ দেই আপনি উত্তরাধিকারে যে ধর্ম পেয়েছেন তা হচ্ছে সনাতন সবচে পুরাতন তার পর ১৪০০ বছর আগ পর্যন্ত এইসব এসেছে একের পর এক এবং ব্যর্থ হয়েছে সফলভাবে মানুষকে পথ দেখাতে। তারপর অন্ধকার যুগ পেরিয়ে মানুষ এখন আধুনিক যুগে প্রবেশ করেছে। গত ১৪ বছরে জ্ঞান বিজ্ঞান যতটা এগিয়েছে বিশ্বাস ঠিক ততটাই পিছিয়ে পরেছে এবং এই অবস্থা উন্নত বিশ্বে আরও শোচনীয়। ধর্ম মানুষের অঙ্গের মত অবিচ্ছেদ্য কিছু হলে পোশাকের মত হাজারটা ভার্সন আসত না, কিন্তু এসেছে! অর্থাৎ নেনো টেকনোলজি যেমন আমাদের পোশাকের ধারণাকে পাল্টে দিবে ১০০% সুতার আবিষ্কারের মত করে ঠিক তেমনি সত্যের উন্মোচন মানুষকে নতুন পথে দেখাচ্ছে এবং দেখাবে…
‘যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না তারা নাস্তিক, এটা কি ভুল? যদি ভুল না হয় তাহলে নাস্তিক বিশ্বাস করে ঈশ্বর বলে কিছু নেই। তাহলে কি দাড়ালো নাস্তিকতা বিশ্বাস নয় কি?”
– কতটা হাস্যকর ব্যাপারটা! একটা উদাহরণ দিলেই বুঝতে পারবেন। আমি আপনাকে একটা খালি গ্লাস নিয়ে বললাম পানি খেতে আর একজন নাস্তিককে বললাম। আপনি খেলেন কারণ আপনি বিশ্বাস করেন এইখানে পানি আছে, আর নাস্তিকটা জানে এইখানে পানি নাই তাই সে পানি পান করে নি! আপনারটা বিশ্বাস কিন্তু নাস্তিকেরটা না… যারা নাস্তিক তাদের কিছু বিশ্বাস করতে হয় না, তাদের অভিধানে বিশ্বাস বলে কোন শব্দ নেই অর্থাৎ শব্দটি থাকলেও তার কোন ব্যবহার নেই।
নাস্তিকরা কোন ইভেন্ট করে না বার্ষিক কোন উৎসব করে না, কোথাও প্রচার করে না, কিংবা তাদের কোন পরকাল না থাকাতে কেবল জাগতিক তাগিদ থেকে কাছের লোকজনের সাথে নিজের ধারণা শেয়ার করে। নাস্তিকতা তাই কোন যুক্তিতেই বিশ্বাস কিংবা ধর্ম টাইপ কিছু না।