ফিলিপ হিউজের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী ও আমাদের ক্রিকেট
328
বার পঠিত about cialis tabletsফিলিপ হিউজের নাম প্রথম শুনি ২০০৯ সালে যখন সাউথ আফ্রিকা সফরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার টেষ্ট দল ঘোষিত হয়। ম্যাথু হেইডেনের অবসরের সুবাদে অষ্ট্রেলিয়ার ওপেনিং পজিশনে তখন বেশ বড় ধরনের শূন্যতা।দেশের মাটিতে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেষ্ট সিরিজ হেরে অষ্টেলিয়ার নির্বাচকেরাও তখন তুমুল চাপে। ফিরতি সফরের টেষ্ট দলে তাই জায়গা হয় ২০ বছর বয়সী এক তরুন বাহাতির। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান বন্যার সুবাদে ফিল হিউজ নামের এই তরুণ তখন অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটে বেশ পরিচিত মুখ। মাত্র বিশ বছর বয়সে অষ্ট্রেলিয়ার মত শক্তিশালী ঘরোয়া কাঠামোর টেষ্ট দলে ডাক পাওয়াটাই প্রমান করে এই তরুণের প্রুতিভার মাত্রা কতটা। ২০ বছর বয়সেই অভিষেক হয় সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেস বার্গে ।এক নবাগত তরুণের ব্যাটিং দেখার আগ্রহ নিয়ে ঐ দিন বসেছিলাম টিভির সামনে অথচ বেচারা কিনা প্রথম ওভারেই ষ্টেইনের বলে শুন্য রানে কট বিহাইন্ড। দ্বিতিয় ইনিংসে স্ট্রোক সমৃদ্ধ ৭৫ রানের ইনিংস দিয়ে প্রথম নিজেকে চেনান তিনি। পরের টেষ্টে ডারবানে ষ্টেইন, এনটিনি , মরকেলদের পেস বলিং এর বিপক্ষে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ক্রিকেট বিশ্বে নিজের আগমনী বার্তা ঘোষণা দেন ফিলিপ হিউজ।তখন থেকেই ফিলিপ হিউজের খেলা নিয়মিতই ফলো করতাম। ঐ বছরই ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে টানা ৩ ম্যাচে সেঞ্চুরি করে আবার আলোচনায় আসেন তিনি। ফলশ্রুতিতে আশেজে ইংলিশ বোলারদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হন । আন অর্থোডক্স টেকনিক আর শর্ট বলিং বিপক্ষে দুর্বলতা আবিষ্কার করে আ্যাশেজে অ্যান্ডারসন ব্রডরা বেশ সফলই হয় তার বিপক্ষে । শর্ট বোলিং এর বিপক্ষে টানা বেশ কয়েক বার আউট হন। তখন কে জানত যে এই শর্ট বোলিং এর বিপক্ষে দুর্বলতাই খুব তাড়াতাড়িই তার জীবনের ইনিংসের ইতি টেনে আনবে । আশেজের তৃতীয় টেস্টে প্রথম দল থেকে বাদ পড়ার অভিজ্ঞতা হয় তার । এর পর থেকে দলে আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন তিনি। তারপরও যখনই সুযোগ পেয়েছেন নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন । প্রথম অস্ট্রেলীয় হিসেবে ওয়ান ডে অভিষেক সেঞ্চুরি , প্রথম অস্ট্রেলীয় হিসেবে লিস্ট এ ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরির কৃতিত্ব আছে তার। দশম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির বিশ্ব রেকর্ডে অ্যাশটন অ্যাগারের সঙ্গীও ছিলেন তিনি। এটা সত্যি যে হিউজের প্রতিভার পূর্ণ বিচ্ছুরণ হয়তো সেভাবে হয়নি কিন্তু বয়সতো ছিল মাত্র ২৫।কে জানে সেরা সময়গুলো হয়তো সামনেই পড়েছিল। ফিল হিউজ নামটা তাই হয়তো এক চিরআক্ষেপ হিসেবেই ক্রিকেট বিশ্বে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সত্তর-আশির দশক ছিল ফাষ্ট বোলারদের জন্য স্বর্ণযুগ। ম্যালকম মার্শাল ,ডেনিশ লিলি, ইয়ান বোথামরা দাপটের সংগে ক্রিকেট মাঠে রাজত্ব করতেন।ওভারের পর ওভার বাউন্সার ছুড়তেন । বাউন্সার হতে ব্যাটসম্যান দের প্রুতিরক্ষার জন্য হেলমেটের প্রচলন তখনও সেভাবে হয় নি । ব্যাটসম্যানদের তাই অনেক ক্ষেত্রেই গ্রিলযুক্ত হেলমেট ছাড়াই সে সময়ের দুর্দান্ত ফাষ্ট বোলারদের মোকাবেলা করতে হত ।মজবুত টেকনিক আর ইষ্পাত কঠিন কঠিন মানসিক দৃঢতাই ছিল তাদের প্রধান সম্বল । এটিকে কাজে লাগিয়েই সে সময়ের অনেক ব্যাটসম্যানই সফল হয়েছেন ।কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অতিরিক্ত টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেট আর ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটের সুবাদের অধিকাংশ ব্যাটসম্যানের শর্ট পিচ বলিং এর বিপক্ষে দুর্বলতা প্রকট ।এশিয়ার ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে এই দুর্বলতার মাত্রা আরও বেশী । ফলে অষ্ট্রেলিয়া সাউথ আফ্রিকায় গিয়ে এশিয়ার দেশ গুলোর নাকানি চুবানি খাওয়া যেন স্বাভাবিক ব্যাপার ।সতিকারের ফাষ্ট বোলিং এর বিপক্ষে মুখোমুখি হবার অবচেতন আতঙ্ক হয়তো এক্ষেত্রে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে । ফিল হিউজের মৃত্যু এই আতঙ্ক বাড়াবে বৈ কমাবে না।
আমাদের দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান সম্ভবত এশিয়ার টেষ্ট খেলুড়ে দেশ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বাজে।এদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট বানানো হয় ষ্পিনারদের কথা মাথায় রেখে। নিয়মিত ২০ ওভার বোলিংও ফাষ্ট বোলারদের ভাগ্যে জোটে না ।প্রিমিয়ার লীগের দল বদলে তাই জাতীয় দলের ফাষ্ট বোলার দের দলহীন থাকাটাও দুর্লভ নয় এ দেশে। জাতীয় লিগ নামক ফাষ্ট ক্লাস টুর্নামেণ্ট আয়োজিত হয় পিকনিক ক্রিকেটের আমেজে ।পাশাপাশি আছে টাকা পয়সার সমস্যা।অধিকাংশ ব্যাটসম্যানই জাতীয় দলে আসে সত্যিকারের ফাষ্ট বোলিং মোকাবেলার যথাযথ প্রুস্তুতি ছাড়াই আর উচ্চতার সমস্যা তো রয়েছেই।বিসিবির হর্তা কর্তারা সবই জানেন সবই বোঝেন কিন্তু আসল কাজের কিছুই করেন না।সবাই যেন নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত । আগামী দুইটি বিশ্বকাপ যখন অষ্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডে তখন দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হয় বৈ কি।দূর্নীতিতে মগ্ন বিসিবির কর্তাদের সম্বিত ফিরবে কি ?
বিসিবির উচিত যে কোন মুল্যে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান শক্তিশালী করা । পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটের মানও উন্নত করা উচিত যাতে ভাল মানের ফাষ্ট বোলাররা উঠে আসে ।ভাল মানের ফাষ্ট বোলার উঠে আসলে ব্যাটসম্যানরাও ফাষ্ট বোলিং মোকাবেলার উপযুক্ত প্রুস্তুতি নিয়ে জাতীয় দলে আসবে। দীঘ মেয়াদে লাভ হবে আমাদের ক্রিকেটের।সময় হয়েছে খেলোয়াড়দের কাউন্সেলিং এর উপরও জোর দেওয়ার যাতে খেলোয়াড়দের মনোবল আরো দৃঢ হয় ।ফিল হিউজের মৃত্যুর পর এটাই হয়তো এখন অনেক বেশী জরুরী। can your doctor prescribe accutane
খেলাধূলা জাতি গঠনে যতই ভূমিকা রাখুক না কেন দিন শেষে তা এক প্রকার বিনোদনই বটে ।খেলোয়াররা সেই বিনোদনের মহান দুত। একজন বিনোদন দূতের এরকম নির্মম মৃত্যু তাই সত্যিই হৃদয় বিদারক, মেনে নেয়ার মত নয় ।পাশাপাশি শন আ্যাবোট নামের ঐ উঠতি ফাষ্ট বোলারটিকে সারাটি জীবন যে তীব্র মানসিক যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে সেটিও অত্যন্ত দুঃখজনক। খুব স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারে ফিলিপ হিউজ তার কীর্তির কল্যাণেই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ।বিদায় ফিলিপ হিউজ, চির শান্তিতে থাকুন ।
তারিক লিংকন বলছেনঃ zoloft birth defects 2013
আজ বিডি নিউজে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে প্রায় ১১ জনের একটা লিস্ট দেখলাম। খুবই দুঃখজনক নিঃসন্দেহে। রমণ লাম্বা থেকে হিউজ সকলের ত্যাগ সভ্য সমাজের এই রাষ্ট্রীয় যুদ্ধকে যেন আরও মানবিক করে সে বিষয়ে বোধহয় ভাববার সময় হয়েছে।
ওয়ার্কপ্লেস সেইফটির মত প্লে-গ্রাউন্ড সেইফটি নিয়ে বিষদ কাজ করতে হবে ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষকদের।
আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি সবার সামনে নিয়ে আসবার জন্য… ovulate twice on clomid
অপার্থিব বলছেনঃ
কিছু দিন আগে অষ্ট্রেলীয় এক কোম্পানী নুতুন এক হেল মেট তৈরী করেছিল যা ব্যাটস ম্যানদের বাড়তি আরো কিছু সুরক্ষা দেয়। কিন্তু আই সি সির কিছু কর্তা ব্যাক্তি ঐতিহ্য প্রীতির কারনে সেই হেল মেট বাতিল করেছিল।খেলোয়াড়দের সুরক্ষা আর ব্যাটসম্যান দের ফাষ্ট মোকাবেলায় দক্ষতা দুটোই বাড়ানোর প্রুতি আই সি সির দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
শ্রদ্ধাঞ্জলি