গণহত্যা’৭১:কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া কিছু ইতিহাস (পর্ব-০৫)
414 can levitra and viagra be taken together
বার পঠিত can your doctor prescribe accutane“ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশে যে হত্যাকাণ্ডচালিয়েছে তা নাদির শাহ’র নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে। বাংলাদেশে লুটপাট, বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করা পোড়ামাটি নীতিতে ইয়াহিয়া খান দিল্লীর সুলতানমাহমুদকেও হার মানিয়েছে। বাংলাদেশ নিধনে ইয়াহিয়া মুসলিনীকেও হার মানিয়েছে।ইয়াহিয়া খান হার মানিয়েছে হিটলারকেও”
_________ জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড এর কয়েকটি লাইন।
এই লাইনগুলো অনেকবার শুনলেও ৭১ এসংঘটিত গণহত্যার ব্যপকতা নিয়ে এই সিরিজটি লিখবার আগে কখনই ভাবিনি আর ভাবলেও এতোটা ভাবতে পারিনি। জীবন্ত মানুষগুলোকে একের পর এক জবাই করে কখনোবা টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়েছে। কি বীভৎসতা !! যদিও গণহত্যা সম্পর্কিত বেশিরভাগ তথ্যই হারিয়ে গিয়েছে যথাযথা সংরক্ষণের অভাবে কিন্তু যেটুকু খুঁজে পাওয়া যায়, সেটুকু পড়লেও আঁতকে উঠতে হয় রীতিমতো ! কখনোবা নিজের অজান্তেই চোখ থেকে বেরিয়ে আসে জল। লেখার মতো সমস্ত শক্তি যেন হারিয়ে ফেলি। এরপরেও লিখবার চেষ্টা করি অন্তত যেটুকু ইতিহাস এখনো অক্ষুণ্ণ রয়েছে সেটুকুকেই সবার সামনে তুলে ধরবার প্রয়াসে।যাহোক, এবার মূল প্রসঙ্গে যাওয়া যাক। গত পর্বে লিখেছিলাম চুকনগর বধ্যভূমি এবং পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমিতে সংঘটিত গণহত্যার ইতিহাস। এই পর্বটিতে রয়েছে পাহাড়তলি এবং ফয়েজ লেক বধ্যভূমিতে সংঘটিত গণহত্যার বিবরণঃ-
পাহাড়তলি বধ্যভূমি
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে হানাদার বাহিনী হামলা চালায় পাহাড়তলিতে। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে প্রায় ২০ হাজারের অধিক মানুষকে হত্যা করে ওরা। মুক্তিযুদ্ধের পর সেখানকার প্রায় পৌনে ২ একর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মানুষের মাথার খুলি, কঙ্কাল ও হাড়গোড়।পাহাড়তলি গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী এ.কে.এম আফছার উদ্দিন এর কাছ থেকে জানা যায় সেখানে সংঘটিত বীভৎসতার বেশ কিছু ঘটনা। তাঁর জবানিতে-
“ সেদিন ছিল বুধবার। রমজানের ২০ তারিখ। সকালে ফজরের নামাজের পর সবাই মসজিদ থেকে বের হচ্ছি, এমন সময়ে একজন বিহারি এসে অভিযোগ করলো যে- মসজিদের পেছনে পাহাড়ের কিনারে ৪ জন বিহারিকে হত্যা করেছে বাঙালিরা। আমাদের সবাইকে লাশগুলো দেখানর জন্য নিয়ে গেলো সেখানে। আমি, আকবর হোসেন আর ৪ জন মুসুল্লি গেলাম তাঁর সাথে। দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী রাস্তা পার হয়ে যখন খোলা জায়গায় গেলাম, তখন দেখলাম অগনিত অবাঙালি নানান অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং পূর্বদিক থেকে এই দিকে শোরগোল করতে করতে কারা যেন অগ্রসর হচ্ছে। আমি আর আমার সঙ্গীরা এসব দেখে খুব ভয় পেয়ে গেলাম। দূর থেকে আওয়াজ শুনলাম, “খতম কর”। কয়েকজন বন্দুকধারী লোক দেখলাম যারা আমার অতি পরিচিত কিন্তু তাঁরা সবাই বিহারি ছিল। দূর থেকে দেখলাম আমার পরিচিত একজন লোক নাম, আকবর খান। তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালি দিচ্ছে। তিনিও বিহারি ছিলেন। তিনি চিৎকার করে বলল- “ইহাছে ভাগো, শালা বাঙালি লোক। ভাগনে মত দাও, খতম করো”। এই কথা শোনার পর আমি আর আমার সঙ্গীরা এক পা-দু পা করে পালাতে লাগলাম আর আরও যারা বাঙালি ছিল তাঁদের সতর্ক করে দিলাম বিহারি আসছে বলে। আমার সঙ্গী আকবর হোসেন তাঁর পরিবারের কাছে যেতে চাইলে তাঁকে আটকে রাখা হয় আর আমাকে নেয়া হয় পুলিশ ফাঁড়িতে। সকাল তখন সাড়ে ৭ টা। আমি ফাঁড়িতে অস্থিরভাবে পায়চারি করছি। কলোনির দিকে তাকাতেই দেখলাম বাঙালিরা এদিক ওদিক ছুটছে। আর নানান কথা বলে, ভয় দেখিয়ে বিহারিরা অনেক বাঙালিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার লুট করছে। দেখলাম পুলিশ ফাঁড়িতে আরও ১১ জনকে ধরে আনা হয়েছে। অবস্থা ক্রমস খারাপ দেখে আমি সুযোগ বুঝে বের হয়ে গেলাম সেখান থেকে। এরপর সোজা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের বাড়িতে গেলাম। সে আমাকে তাঁর গাড়িতে করে ডবলমুরিং থানায় নিয়ে গেলো। কিছু কর্মচারীর কাছে জানলাম থানার ও.সি পাঞ্জাবি লাইনের দিকে গেছে। ওসি ফেরার পর বিনীতভাবে তাঁকে সকালের সব কিছু জানালাম এবং এসবের কারন জানতে চাইলে কেউই আমাকে কোন সদুত্তর দেয় নি। বেলা সাড়ে ১০ টায় ডি .এস . পির সাথে দেখা করতে আবার ফাঁড়িতে গেলাম। তখন জানলাম যে যে লাশগুলোকে কেন্দ্রকরে এতো উত্তেজনা সেগুলো আসলে কোন বিহারির লাশ না। কিছুক্ষণ পর দেখলাম অনেক লোককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফাঁড়ির পেছনের পুবদিকের উঁচু ভিটার কাছে। কিন্তু সেদিকে যাবার সাহস পেলাম না। আমাদের মসজিদের ইমামকেও ধরে নেয়া হয়।
এতক্ষণ যা বিবরণ দিলাম তা যদি এখানেই শেষ হতো তাহলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতাম। কিন্তু এরপরের দৃশ্য দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারিনি। দেখলাম, ঝিলের আশেপাশে উঁচু ভিটার উপরে-নিচে অসংখ্য দ্বিখণ্ডিত লাশ বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে। এক জায়গায় অনেকগুলো মাথা জড়ো করে রাখা হয়েছে। আরেক জায়গায় একটা গর্তে অনেক গুলো পা দেখলাম। এই বীভৎস দৃশ্য দেখে জ্ঞান হারাবার উপক্রম হল আমার। এখানেই শেষ নয়। পরদিন, পাহাড়ের খামারের এক কর্মচারীর কাছ থেকে জানলাম ওদিকের পাহাড়ের পাশে নাকি আরও অনেক লাশ পরে আছে। আমি সেটা শুনে আমার ৩ জন সঙ্গী সাথে নিয়ে গেলাম সেদিকে। সন্ধ্যার দিকে সেখানে পৌঁছে যা দেখলাম তা এখনো দুঃস্বপ্ন মনেহয়। দেখলাম অগণিত মৃতদেহ। এবার দেখলাম সব মেয়েছেলের লাশ। উলঙ্গ অবস্থায়। একটা গর্ভবর্তী মৃত নারীর পেটে থেকে অর্ধেক অংশ বেরিয়ে ছিল তাঁর পেটের সন্তানের এবং বাচ্চাটিও পচনশীল অবস্থায় ছিল। একেকটি গর্তে ১০ থেকে ১৫ টি লাশ রাখা হয়েছে। এসব দেখে আমার একজন সঙ্গী অজ্ঞান হয়ে গেলো। আমি কোনোরকম নিজেকে সংযত রেখে গুণতে লাগলাম লাশগুলোকে। গুনে দেখলাম প্রায় এক হাজার বিরাশিটি যুবতী মেয়ের লাশ। অধিকাংশ লাশেরই পেট ছুরি দ্বারা আঘাত করা ছিল। পরে জানতে পারি, এই মেয়েদের ধরে আনা হয়েছিল চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে।এদের অধিকাংশই শিক্ষিতা ও ভদ্রঘরের মেয়ে বলে মনে হয়েছিল। দীর্ঘদিন আটকরাখার ফলে তারা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ও ভোগের অযোগ্য হওয়ায় হত্যা করে অজ্ঞাতস্থানে এনে ফেলে দিয়েছে”। renal scan mag3 with lasix
তাছাড়া আরও অনেক প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায় যে এখানে কাউকেজবাই করে, আবার কাউকে কাটা স্থানে লবণ-মরিচ ছিটিয়ে, কারও মুখ এসিডে ঝলসেদিয়ে পাকিস্তানি সেনারা আনন্দ করত। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররামানুষ জবাই করে দুটি বড় ড্রামে রক্ত জমা করে রাখত। এমনকি রক্তের স্রোতপাশের ছড়ার পানিতেও বয়ে যেত। স্বাধীনতার পর এখানকার শুধু একটি গর্ত খুঁড়েই ১হাজার ১০০টি মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছিল। সংগৃহীত কঙ্কাল এখনও চট্টগ্রামসেনানিবাসের স্মৃতি অম্লান জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। দেশের অন্যান্য বধ্যভূমির মতো এই বধ্যভূমিটিও সংরক্ষণ না করায় হারিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশে বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়।২০০৭ সালে গঠিত কমিটির একজন অন্যতম সদস্যদাতা ছিলেন শারারিয়ার কবির। তিনি জানান-
“সাক্ষ্যদাতারা বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পরেও সংলগ্ন খালে মাছ ধরতেগিয়ে জালে উঠে এসেছিল মানুষের কঙ্কাল। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমসপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ স্থানে বাঙালিদের ধরে এনে হত্যা করেছেবিহারিরা”।
ছবি ও সাক্ষ্যদাতাদের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহরিয়ার কবির বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুসারে এখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে হত্যাকরা হয়। এ ধারণা সত্যি হলে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি”।
তাছাড়াও কমিটিরকাছে ১৯৭১ সালে এ বধ্যভূমিতে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেন কাজী আমিনুলইসলাম, আবুল হোসেন, রাইসুল হোসেন সুজা, মাহবুবুল আলম, শহীদুল্লাহ পাটোয়ারী, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ও মশিউর রহমানসহ ২১ জন প্রত্যক্ষদর্শী, যা পরের দিনবিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এদিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রামসার্কিট হাউসে বসে লিখিত সাক্ষ্য নেয় বিশেষজ্ঞ কমিটি।
সেদিন রাইসুলহোসেন সুজা ছিলেন ১৬ বছরের তরুণ। ওই সময় তার বাবা আকবর হোসেন ছিলেন রেলওয়েকর্মচারী। এ জল্লাদখানায় বিহারিদের হাতে তার বাবাও নিহত হন। সুজার বড় ভাইমোঃ রকিবুল হাসান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে বিহারিরা তার বাবাকে হত্যা করেছেবলে তিনি দাবি করেন। সুজা বলেন,
“৭১সালের ১০ নভেম্বর। সকাল ৭টার সময় আমার বাবাকে পাঞ্জাবি লেনের বাসা থেকেধরে নিয়ে যায় বিহারিরা। সঙ্গে ছিল স্থানীয় কিছু আলবদর। বাবাকে মেরে ফেলাহয়েছে শুনে সন্ধ্যার আগে সেখানে গিয়ে দেখি চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। সেদিনকয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল বিহারিরা। কারও কারও মুখ এসিডে ঝলসানো।সবার গলা কাটা আর পেট ফাঁড়া ছিল।এখনযেখানে ইউএসটিসির অর্ধনির্মিত ভবন সেখানেই সব লাশ একটি গর্তের ভেতর ফেলাহয়েছিল। কোনো কোনো লাশের মাথা বিচ্ছিন্ন করে পাশের একটি গর্তে ফেলা হয়”।
শেষপর্যন্ত গর্তে হাজারো লাশের মাঝে সুজা তার বাবার লাশ খুঁজে পাননি। ওইখানেরক্ত ভর্তি দুটি বড় ড্রাম রাখা ছিল। জবাই করার স্থানে একটি বড় আকারের পাথরওছিল যেটাতে ছুরি ধার দেয়া হতো। তবে মানুষ খুন করে কেন তারা রক্ত জমাকরেছিল তা তার বোধগম্য নয় বলে জানান।
কাজী আমিনুল হারিয়েছেন বাবা ওদুই ভাইকে। বাবা আর চার ভাইয়ের সঙ্গে আমিনুলকেও বিহারিরা ধরে এনেছিলজল্লাদখানায়। আমিনুল ও বড় ভাই কাজী আনোয়ারুল ইসলাম পালাতে পারলেও বিহারিদেরহাতে প্রাণ দেন বাবা ও অন্য দুই ভাই। তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে ঝাউতলাএলাকায় দোহাজারী ও নাজিরহাট রুটে চলাচলকারী দুটি ট্রেন থামিয়ে কয়েক হাজারবাঙালিকে জল্লাদখানায় ধরে আনে বিহারিরা। তাদের মধ্যে তারাও ছিলেন। অনেকলোকের জটলা থেকে বড় ভাইকে নিয়ে তিনি পশ্চিমে ছড়ায় নেমে পেছনের জঙ্গল এলাকাপার হয়ে পালিয়ে যান। buy kamagra oral jelly paypal uk
পাহাড়তলীবধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিনজানান, স্বাধীনতার পর এ বধ্যভূমির শুধু একটি গর্ত থেকেই প্রায় ১ হাজার ১০০মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়। সংগৃহীত কঙ্কাল এখনও সংরক্ষিত রয়েছে চট্টগ্রামসেনানিবাসের স্মৃতি অম্লান জাদুঘরে। একাত্তরের এপ্রিল থেকে ১৫ ডিসেম্বরপর্যন্ত এখানে ২০ হাজারের মতো বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকায় হত্যা করে রায়েরবাজারে এনে ফেলে রাখা হতো। আরচট্টগ্রামে লোকজনদের ধরে এনে হত্যার কাজটি চলত পাহাড়তলীতে। যেখানে বধ করাহয় সেটাই বধ্যভূমি। সে হিসেবে পাহাড়তলী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি।
ফয়েজ লেক বধ্যভূমি
চট্টগ্রামের গণহত্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে এই বধ্যভূমিটিতে। তৎকালীন পাঞ্জাবি লেনের পাশে এই ফয়েজ লেক। রক্তপিপাসুপাঞ্জাবি ও বিহারিদের মাত্র একদিনের হত্যাকাণ্ডে পাহাড়তলীর ফয়েজ লেককেদেশের বৃহত্তম বধ্যভূমিতে পরিণত করে। রেল কলোনিবাসীদের বিহারিরা নির্বিচারেহত্যা করে। সেখানে রেলস্টেশনে লোকাল রুটের দোহাজারীগামী রেল থামিয়েও তারাগণহত্যা চালায়। বাঙালি কলোনি থেকে নারী-পুরুষকে ধরে এনে পা বেঁধে জল্লাদদিয়ে মাথা দ্বিখণ্ডিত করে হত্যা করা হতো। তাদের হত্যা করে বাঙালিদের দিয়েজোরপূর্বক গণকবর খুঁড়িয়ে সেই কবরেই মাটিচাপা দেওয়া হতো। সেনানিবাসে বন্দিনারীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে হত্যা করে এনে এসব গণকবরে পুঁতে রাখত। বিহারি আর পাকিস্তানিরা মিলে অসংখ্য লোককে জবাই করে, গুলো করে, বেয়ানট চার্জ করে হত্যা করা হয় এখানে। সেখান থেকে ভগ্যক্রমে বেঁচে ফিরে আসা আবদুল গোফরানের বিবৃতিতে ফুটে আসে পাকি হায়নাদের নৃশংসতার চিত্র। তাঁর একটি সাক্ষাৎকার পাওয়া যায় রশীদ হায়দারের লেখা “১৯৭১: ভয়াভয় অভিজ্ঞতা” বইতে। সেখান থেকেই আবদুল গোফরানের কথাগুলো তুলে দিলাম-
“পাহাড়তলির আকবর শাহ মসজিদের কাছে আমার একটা দোকান ছিল। ১০ই নভেম্বর, ১৯৭১সকাল ৬ টার দিকে প্রায় ৪০-৫০ জন বিহারি আমার দোকানে এসে জোর করে আমাকে নিয়েযায়। তারা আমাকে ফয়েজ লেকে নিয়ে যায়। সেখানে আমি দেখতে পাই পাম্প হাউজেরউত্তর পাশে লেকের ধারে অনেককে হাত বেঁধে রাখা হয়েছে। বিহারিদের হাতে ছুড়ি, তলোয়ার বা শার্প অন্য কোন অস্ত্র ছিলো। বিহারিরা প্রথমে বাঙ্গালিদের মারধোরকরছিল আর অস্ত্রধারীদের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল। একদল অস্ত্রধারী বিহারিরাঅসহায় মানুষগুলোর পেটে ঘুষি মারছিল আর তলোয়ার দিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করছিল।আমি বেশ কয়েক গ্রুপ বাঙ্গালিকে এভাবে মেরে ফেলতে দেখি। একজন বিহারি আমারদিকে আগায় আর আমার সোয়েটার খুলে নেয়। তখন আমি তাকে ঘুসি মেতে লেকে ঝাঁপদেই। অন্যপাড়ে যেয়ে আমি খোপের আড়ালে লুকাই। তারা আমার খোঁজে আসলেও আমিভাগ্যক্রমে লুকিয়ে থাকতে সক্ষম হই। ঝোপের আড়ালে থেকে আমি আরো অনেককেএকইভাবে হত্যা করতে দেখি।
দুপুর দুইটা পর্যন্ত এই হত্যাকান্ড চলতে থাকে। এ সময়ের দিকে তারা ১০-১২জন বাঙ্গালির একটি দলকে আনে। আর তাদেরকে দিয়ে গর্ত খুড়িয়ে লাশগুলো কবরদেয়ায় এবং তাদেরকেও মেরে ফেলে অবশেষে। তারপর আনন্দে চিৎকার করতে করতেবিহারিগুলো চলে যায়। তখনো অনেক লাশ আশেপাশে পড়ে ছিল”।
এই বধ্যভূমির ওপর গড়ে উঠেছে জিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসির এ একাডেমিক বিল্ডিংটি নির্মাণের সময়প্রগতিশীল সমাজের বাধা, এমনকি মাটি খুঁড়তে গিয়ে মানুষের হাড়গোড় বেরিয়ে এলেওবন্ধ হয়নি এ নির্মমতা। এ জমিতে ২০০৭ সালে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেইউএসটিসি। বর্তমান ইউএসটিসির নির্মাণাধীন জিয়া ইনস্টিটিউট অব বিজনেসঅ্যাডমিনিস্ট্রেশন ভবনের পাশে ২০ শতাংশ জমিতে স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেই বধ্যভূমি।
তথ্যসূত্রঃ doctorate of pharmacy online
- http://www.samakal.com.bd/print_edition/details.php?news=233&action=main&option=single&news_id=313219&pub_no=1255&view=archiev&y=2012&m=12&d=13 tome cytotec y solo sangro cuando orino
- http://www.alokitobangladesh.com/editorial/2014/01/04/44217 acquistare viagra in internet
- http://www.somewhereinblog.net/blog/rashedsaysblog/28782251
- http://64.150.182.63/bangla/details.php?id=171746&cid=37
- “১৯৭১: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা”- রশীদ হায়দার।
[চলবে...] private dermatologist london accutane
তারিক লিংকন বলছেনঃ metformin tablet
অসাধারণ একটা সিরিজ! খুব কাজের কাজ করতেছেন একটা।
ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না! শ্রদ্ধাবনত সালাম…
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম…
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
অসংখ্য ধন্যবাদ
একজন আইজুদ্দিন বলছেনঃ
লেখকের বড় অনুপ্রেরণা হল তার পাঠক।
কষ্ট পাই যখন দেখি এই ধরনের তত্থবহুল লেখায় কারো মন্তব্য দেখি না।
একজন লেখক হওয়ার চাইতে একজন যোগ্য সমালোচকের মূল্য কি খুব কম?
একজন সমালোচক কি একজন যোগ্য লেখক হতে পারে না?
আসুন, লেখক সমালোচকের চারনভুমি করে সভ্যতাকে বাঁচিয়ে তুলি।
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
সহমত আইজুদ্দিন ভাই। will metformin help me lose weight fast
তারিক লিংকন বলছেনঃ kamagra pastillas
আমারও একই কথা!! অথচ কিছু চটকদার পোস্টে হিটের বাহার দেখলে অবাক হতে হয়… all possible side effects of prednisone