ঈদ ,পূজা এবং কিছু স্মৃতি
444
বার পঠিতযখন খুব ছোট ছিলাম তখন ঈদের দিন কি আনন্দটাই না করতাম। সারা বছর ঈদের প্রতীক্ষায় বসে থাকতাম । বারবার মনে হত মুসলমান্ দের কেন বছরে মাত্র দুটো ঈদ ।ঈদের দিন নুতুন জামা পড়ে ঘোরাঘুরি,আম্মার হাতের সেমাই খাওয়া আহা কী মধুর দিনই না ছিল সেগুলো!সেই সঙ্গে মনে এক ধরনের গর্বও অনুভব হত। আমরা মুসলমান আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, আমাদের ধর্মীয় ঊৎসব গুলো কতই না সুন্দর,কতই না আনন্দময় । রমজানে দীর্ঘ সিয়াম সাধনার পর আসে পবিত্র ঈদ উল ফিতর ,ত্যাগের অনূপম মহিমাময় শিক্ষা দেয় পবিত্র ঈদ উল আযহা ,পবিত্র ভাগ্যরজনী শবে বরাত আর কত কি ।আর হিন্দুরা কত টাকা পয়সা খরচ করে মূর্তি বানায় , সেই মূর্তিগুলোকে কয়েকদিন ধরে পুজা করে আবার সেগুলোকেই নদীর পানিতে ডুবায় স্বর্গীয় আনন্দ নিয়ে ।কী হাস্যকর। হিন্দুদের এই উদ্ভট উপাসনা রীতি দেখে আমার হাসি পেত ,মনে মনে আল্লাহর উদ্দেশ্যে বলতাম তার কী অসীম নিয়ামত যে তিনি আমাকে মুসলমান হিসেবে সৃষ্টি করেছেন ।আল্লাহর প্রুতি কৃতজ্ঞতায় আমার দয় ভরে উঠতো ।যখন প্রথম হাইস্কুলে উঠি তখন একদিন আবিস্কার করি যে প্রুতিদিন টিফিনের পর ধর্ম ক্লাসে আমাদের ক্লাসের ছাত্ররা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় । আমাদের হিন্দু বন্ধুরা চলে যেত অন্য রুমে হিন্দু ধর্মের ক্লাস করতে আর আমরা মুসলমানরা ঐ রুমে থেকেই ইসলাম ধর্মের ক্লাস করতাম। ধর্ম যে কি করে মানুষ কে বিভাজিত করে সেটা প্রথম উপলব্ধি করি সে সময় । আমাদের ধর্মের স্যার ক্লাসে ঢুকেই আগে জিজ্ঞেস করতেন কারা কারা যোহরের নামায আদায় করে নাই ? পড়া পারুক আর না পারুক কেউ যোহরের নামাজ আদায় না করলে তার কপালে জুটতো বেতের বাড়ি। নিয়মিতই বেতের বাড়ি খেতাম। একদিন কৌতুহলবশত আমার এক হিন্দু বন্ধুর কাছ থেকে ওদের ধর্ম বইটা চেয়ে নিলাম। ঐ দিন বেশ আগ্রহ নিয়ে ওদের ধর্ম বইটা পড়লাম এবং জানলাম গণেশের মাতৃভক্তি সহ বহু নীতি কথা ।ঐ দিনই মনে হল আচ্ছা আমার জন্ম একটা মুসলিম পরিবারে হয়েছে দেখে আজ আমি মুসলমান । আমার জন্ম যদি কোন হিন্দু পরিবারে হত তাহলে আমি হতাম হিন্দু । কার জন্ম কোথায় হবে এটাতো ঈশ্বর নির্ধারিত, তাহলে শুধু মুসলিম পরিবারে জন্ম নেবার কারনে আমি একদিন না একদিন বেহেস্তে যাব আর হিন্দুরা চিরকালই জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে এটা ঈশ্বরের কেমন ন্যায়বিচার ? প্রসঙ্গত ছোটবেলা থেকেই শিখেছি আমরা মুসলমান ,আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি । একজন মুসলমান একদিন না একদিন বেহেস্তে যাবেই তা সে যত খারাপ কাজই করুক না কেন কিন্তু বিধর্মীদের ঠিকানা চিরকালই জাহান্নাম ।
যাই হোক এক সময় ভাবতাম যে ধর্ম যত ক্ষতিকারকই হোক না কেন ধর্মের অন্তত একটা ভাল দিক রয়েছে তা হল ধর্মীয় উৎসব। ব্যস্ত যাপিত জীবনের দুঃখ কষ্ট থেকে অন্তত কিছুদিনের জন্য মুক্তি দেয় ধর্মীয় উৎসব । গরীবরা অন্তত একদিন ভাল মন্দ কিছু খেতে পায় সেটাই বা মন্দ কি ? কিন্তু আসলেই কি তাই। একটু খেয়াল করলেই বুঝা যায় যে মুসলমানরা ঈদের মাংস, ফিতরার টাকা কোন গরীব দুঃখীর কষ্ট লাঘবের জন্য দান করে না ,দান করে পরকালে সওয়াবের লোভে। ঈদের দিন মাংসের লোভে ফকীর -মিসকিন দের দীর্ঘ লাইন দেখে ধনী মুসলমানদের অন্তর খুশিতে ভরে উঠে। সীমাহীন সুখের বেহেস্তের ছবি ভাসে তাদের চোখের সামনে । পরেরবার আরো অধিক ও আরো বড় পশু কোরবাণীর নিয়ত করে তারা । ফলশ্রুতিতে কোরবাণীর পশুর সংখ্যা ও আকারের সমানুপাতে বাড়তে থাকে ঘুষ ,দুর্নীতি, অবৈধ মজুদদারী । ফলে আমাদের মত সাধারণ মানুষদের শোষন করে ধনীরা রয়ে যায় চিরকাল ধনী,গরীবরা রয়ে যায় চিরকালই গরীব। ঈদের আগে শপিং মল গুলোয় টাকার উড়াউড়ি আর দূর্গা পূজায় বনানীর মত অভিজাত পূজা মন্ডপগুলোর আভিজাত্য দেখলে বুঝা যায় ধার্মিকদের ধর্ম চর্চার নমুনা। ঈশ্বর আর তার ধর্ম যেন শুধুই ধনী ,পুরুষ আর শক্তিমানদের জন্য।দুর্বলদের প্রতি তার না আছে করুণা, না আছে ভালবাসা ।
আমাদের সমাজে একটা কথা বহুল প্রচলিত কথা আছে, ধর্ম যার যারা, উৎসব সবার ।একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় যে এটাও একটা বাস্তবতা বিবর্জিত কথা । মুসলমানদের ঈদ উল ফিতরের সব চেয়ে কল্যাণময় দিক হিসেবে উল্লেখ করা হয় ফিতরাকে । অথচ এই ফিতরার টাকা অন্য ধর্মাবলম্বী কোন দরিদ্রকে দেওয়া হয় না কারন ধর্ম গ্রন্থ সেটা এলাউ করে না।কোরবানীর ঈদেও গরীব দঃখী দের জন্য বরাদ্দ মাংস অন্য ধর্মাবলম্বীদের দেওয়া হয় না ।আমাদের এলাকায় বেশ কিছু খ্রিষ্টান মিশনারী সংগঠন রয়েছে যারা কি না খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহনের বিনিময়ে দরিদ্র সাওতাল উপজাতির লোকদের নানা রকম আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে থাকে । কিন্তু অন্য ধর্মের দরিদ্র কেউ তাদের আর্থিক সহযোগীতা পায়েছে বলে আমার জানা নেই। হ্যা অন্য ধর্মের কেউ যদি বেড়াতে আসে তাহলে এক বাটি সেমাই কিংবা দেবীর প্রসাদের লাড্ডু খেতে দেওয়া হয় বটে কিন্তু তাতে উৎসব সবার হয়ে যায় না ।আসল সত্যিটা হল ধর্মীয় উৎসব কখনই সর্বজনীন ছিল না,থাকবেও না এবং ধর্ম সেটা কখনই হতেও দিবে না। তাই যদি হত তাহলে প্রতি বছর দুর্গা পূজার আগে মূর্তি ভাঙ্গার খবর পত্রিকায় দেখা যেত না।ধর্ম পদে পদে মানুষকে সাম্প্রদায়ীকতা শেখায়, উৎসবও তার বাইরে নয়।ধর্মের রাহুগ্রাস থেকে যদি কখন ও এই সভ্যতা মুক্ত হয় তবে আনন্দ উদযাপনের জন্য প্রয়োজন হবে না কোন ঈদ, কোন পূজা কিংবা অন্য কোন কৃত্তিম উৎসবের ।সমান অধিকারের পৃথিবী গড়ার যে আনন্দ তার কাছে সব আনন্দই বৃথা ।আজ হোক কাল হোক একদিন না একদিন ঠিকই এই আনন্দ উপভোগ করবে উত্তর প্রজন্ম। একদিন আমাদের এই পৃথিবী হবে শুধুই মানুষের । cialis new c 100
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আমি সেটা মনে করি না আমি একজন হিন্দু, আমি বন্ধুদের সাথে ঈদ যেমন উৎযাপন করি পূজাও । ওরাও তাই। কোরবানীতে অনেকে বাসায় খাসির মাংস পাঠায়। thuoc viagra cho nam
সমাজে খারাপ মানুষ আছে, তাদের দিয়ে পুরো সমাজকে বিচার করা টা ভুল।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
acne doxycycline dosage:-bd সহমত জয়…। posologie prednisolone 20mg zentiva
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
সমাজে খারাপ মানুষ আছে, তাদের দিয়ে পুরো সমাজকে বিচার করা টা ভুল।
সহমত।
অপার্থিব বলছেনঃ
মুসল মান রা গরীব দুঃখিদের জন্য বরাদ্দকৃত কোর বাণীর মাংসের এক ভাগ সাধারনত মসজিদে পাঠায় এবং সেখান থেকে সেটা গরীব দুঃখীদের মধ্যে বিতরন করা হয় । আপ নার ক্ষেত্রে নিশ্চিত ভাবে সেটা হয় নি ।আপ নি যে মাংস পেয়েছেন সেটা ব্যাক্তিগত সম্পর্কের কারনে পেয়েছেন ।ব্যক্তিগত সম্পর্কের জোরে আপনি সব ধর্মের উৎসব পালন কর তেই পারেন কিন্তু আমি এখানে বোঝাতে চেয়েছি উৎসবের সর্বজনীনতা ধর্ম তার ধর্মীয় দৃষ্টি কোন থেকে সমর্থন করে না । ফিতরার টাকা যে কোন অমুসলিম কে দেয়া যাবে না এটা এক টা প্রচলিত সত্য, হাদিস -কোরান দ্বারা প্রমাণিত।
Alms are for the poor, and the needy, and those employed to administer the (funds), for those whose hearts have been (recently) reconciled (to the Truth), for those in bondage and in debt, in the Cause of Allah, and for the wayfarer: (thus is it) ordained by Allah and Allah is full of Knowledge and Wisdom. —–Surah Taubah verse 60
তারিক লিংকন বলছেনঃ missed several doses of synthroid
আশায় বুক বাধলাম একদিন গোটা দুনিয়া হবে মানুষের…
মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধিন কিন্তু সর্বত্রই সে নিয়মে আবদ্ধ! মানব সন্তান যদি সবকিছু করবার আগেই আইন্সটাইনের কথা মত অবিরত প্রশ্ন করতে থাকে তবে উত্তরণ একদিন হবেই, এই দুনিয়া মানুষের হবেই
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
এই দুনিয়া মানুষের হবেই।
অপার্থিব বলছেনঃ
এই আশা ছাড়া আর কি বা করার আছে