উপন্যাস : লড়াই : শেষ পর্ব
441
বার পঠিত tome cytotec y solo sangro cuando orinoসময় এগিয়ে যায়। এগিয়ে চলে শাহবাগ ও। প্রতিদিনের স্লোগান – মিছিল – মীটিং এর মাঝে সোমা ধীরে ধীরে আকিবাকে ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করার অনুপ্রেরণা পেতে থাকে। তবু কলেজের ব্যাস্ত জীবনের ফাঁকে হঠাৎ আকিবা সামনে পরে গেলে সোমার সবকিছু শূন্য লাগতে শুরু করে। নিজের ভেতরের শক্তিটুকুকে এবার সোমা কাজে লাগায়। ধীরে ধীরে ও আকিবাকে ভুলে যায়। আকিবা শুধুই ওর অতীতের একটা অধ্যায় হয়ে বেঁচে থাকে। স্মৃতিগুলো তো থেকেই যায়। তাকে মোছার সাধ্য কার? মোবাইলের মেমরির মতন মানুষের মেমরিতে তো আর ডিলিট বাটন নেই! এর মধ্যেই জল অনেক দূর গড়িয়ে যায় – সবদিকে…। metformin tablet
সোমার সাথে ওর বাবার সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হতে থাকে। তবু সোমা শাহবাগ ছাড়ে না। সোমার উপর সকালে আক্রমন হয় , বিকালে ব্যান্ডেজ করা মাথা নিয়ে ও রাজাকারের ফাঁসি চাইতে বসে। প্রজন্ম চত্বর ধীরে ধীরে সোমার অস্তিত্ব এর একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে যায়। এই অনুভূতি যে নিজে অনুভব না করেছে তাকে কখনোই বোঝানো সম্ভব নয়। একদিন ১০ ডিসেম্বর আসে। বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষের মত সোমাও অপেক্ষা করে থাকে কাদের কসাইয়ের ফাঁসির। কিন্তু সে রাতে ফাঁসি হয়না। বিক্ষোভে ফেটে পরে শাহবাগ। আবারো শাহবাগে রাতভোর, স্মৃতিতে একাত্তর। প্রজন্ম চত্বর কে নবইতিহাসের সাক্ষী করে ১২ ডিসেম্বর আসে সেই কাঙ্ক্ষিত রাত। কাদের কসাইয়ের ফাঁসি হয়। বিষমুক্ত হয় বাংলার প্রতিটি ধূলিকণা। পরদিন অর্থাৎ রাজাকার কাদের কসাইমুক্ত বাংলাদেশের প্রথম সকালটা সত্যি অন্যরকম পবিত্রতা মাখা ছিল।
পরদিন ছিল টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট। রেজাল্ট তেমন ভাল না হলেও সোমা সেদিন বিজয়ী। আকিবার বিরুদ্ধে, সিস্টারদের বিরুদ্ধে, নিজের বাবার বিরুদ্ধে, রাজাকারদের বিরুদ্ধে সোমা সেদিন বিজয়ী। প্রজন্ম চত্বর সেদিন বিজয়ী। বাংলাদেশ সেদিন বিজয়ী। ১৬ ডিসেম্বরে সোহরাওয়ারদী উদ্যানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সাথে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় সোমার এই কথাগুলোই বারবার মনে হয় আর সেই সাথে, চোখ ভিজে আসতে থাকে জলে। নতুন করে আবার সেদিন শপথ নেয় শাহবাগ – ” যারা যুদ্ধাপরাধী দের সমর্থন করবে, আমরা তাদের বর্জন করব…। “
দিন গড়িয়ে যায়। আন্দোলন চলতে থাকে। বর্ষপূর্তির মিছিলে কিংবা স্বাধীনতা দিবসে – শান’ত শিষ্ট বিদ্রোহী সোমাকে দেখা যায়। বাকি রাজাকারগুলোর ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে আসে সে। এপ্রিল পর্যন্ত সব চলছিল তো ভালমতই। এরপর কি থেকে কি হয়ে গেল – সোমারা শুধু দেখল শাহবাগ আর শাহবাগ নেই। বড় বড় নেতারা কি বুঝে কি করলেন বোঝার সাধ্য সোমার মত মানুষদের নেই। নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে খুব কাঁদে সোমা। কি করবে সে এখন? রাজাকারদের ফাঁসি কি আর হবেনা? দেড় বছর তো নিজের লাইফের দিকে তাকায়নি। এখন নিজের লাইফই বা কিভাবে গুছিয়ে নেবে? তবু সোমা মানসিক শক্তি হারায় না। প্রজন্ম চত্বর কে, শাহবাগ কে, মুক্তিযুদ্ধকে, শহীদজননীকে বুকের মাঝে ধরে রেখে অনলাইনে লেখালেখি চালিয়ে যেতে থাকে।
মায়ের অনেক ইচ্ছা সোমা বাইরে পড়াশুনা করুক। মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই স্যাট, টোয়েফল দিয়ে কয়েকটা ইউনিভারসিটিতে এপ্লিকেশন করে সোমা। চান্স পেয়েও যায় এর মধ্যে কয়েকটাতে। আমেরিকার প্রথম দিকের Ranking ওয়ালা বিশ্ববিদ্যালয় সবগুলো। সোমাদের পরিবারে খুশির জোয়ার বয়ে যায়। ইন্টারে গোল্ডেন না পাওয়ার কষ্টটা এই আনন্দের মধ্যে ততটা বড় হয়ে দেখা দিতে পারেনা। সোমা ওর মায়ের চোখের মণি এখন। ওকে নিয়ে মা খুলনায় বেড়াতে যায়। শেষবারের মত সোমা বাংলাদেশ টাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখে। ট্রলারে চড়ে বঙ্গোপসাগর ঘুরে বেড়ায়, সুন্দরবনে গিয়ে হরিনকে পাতা খাওয়ায়। ইউটিউব ছেড়ে ঝর্নার শব্দ শোনে, চা বাগানের ছবি দেখে। ইচ্ছেমত মুভি দেখে, গান শোনে। জীবনটা ঊপভোগ করার এইত কয়েক মাস। ডিসেম্বরে ওকে আমেরিকাগামী প্লেন ধরতে হবে। এরপর কি? বিশ্ববিদ্যালয় – চাকরি – পরিবার – নিশ্চিত জীবন।
তবু কোথায় যেন একটা শূণ্যতা। কি যেন হারিয়ে ফেলছে সোমা। হ্যা, জীবনের প্রতিকণা আনন্দ সে পেয়েছে। ভায়ের মায়ের স্নেহ থেকে শুরু করে দেশের জন্য কিছু করার আনন্দ – কি নেই তার ঝুলিতে? তবু কিছু যেন হারিয়ে ফেলার বেদনা। জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা জন্মভূমিটাকে ছেড়ে যাওয়ার বেদনা সোমাকে প্রতি মূহুর্তে গ্রাস করে রাখে। এই নীলাকাশ, সূর্যোদয় – বরফের দেশে এসব ও কোথায় পাবে? জীবনটা এত কঠিন না হলে কি চলে না? এই জানালার ধারে বসে কিংবা বারান্দার শিক ধরে দাঁড়িয়ে কেন পার করে দেয়া যাবেনা সারা জীবন। জীবনে জটিলতাকে কেন আসতেই হবে? কেন! কেন! কেন! posologie prednisolone 20mg zentiva
মনের গহীনে একটা ছোট্ট প্ল্যান আছে সোমার। আমেরিকা যাওয়ার তারিখের অল্প কিছুদিন আগে ও সুইসাইড করবে। অন্তত মৃত্যু পর্যন্ত এই মাটিতে থাকতে তো পারবে! মায়ের, ভাইয়ের মুখ টার দিকে তাকালে মায়া লাগে। সুইসাইড এর প্ল্যান বাতিল করে দিতে ইচ্ছে করে। সেজন্যেই সোমা আজ অপেক্ষায় আছে। অদ্ভুত কোনো মিরাকলের। Miracle still happens, doesn’t it?
ডার্ক ম্যান বলছেনঃ private dermatologist london accutane
সুইসাইড করার পাগলামি বাদ দাও। মায়ের কাছে থাকার আরও অনেক উপায় আছে। একজন দেশপ্রেমিকা কখনো সুইসাইড করতে পারে না। তোমার চেয়েও আরো অনেক কঠিন সময় পার করছে অনেকে ছেলে মেয়ে। ঠাণ্ডা মাথায় কৌশল ঠিক করে এগিয়ে যাও। সব ঠিক হয়ে যাবে।
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
can levitra and viagra be taken togetherহুম ভাইয়া আরেকটা উপায় পাইসি। ট্রাই করে দেখি।।। levitra 20mg nebenwirkungen