বিষাক্ত কানন
261
বার পঠিত does enzyte work like viagraবাগান।
শব্দটা শুনতেই চোখের সামনে ভেসে আসে একটি মনোরম পরিবেশ। চারপাশে অনেক গাছপালা, তার কোনটাতে ফুটে রয়েছে রঙ্গিন ফুল আর কোনটাতে সুস্বাদু ফল। প্রশান্তির নিঃশ্বাস নেবার জন্য দারুন একটা স্থান। ফুলের বাগান, ফলের বাগান, ঔষধি গাছের বাগান, দুর্লভ গাছের বাগান। পৃথিবীতে রয়েছে নানা ধরনের বিখ্যাত সব বাগান। তারা তাদের বৈশিষ্ট্যে জগতখ্যাত।
কিন্তু ইংল্যান্ডে একটি বেশ খ্যাতনামা এমন একটি বাগান রয়েছে যা আমাদের চিরাচরিত বাগানের ধারনাকে বদলে দেয়। এই খ্যাতনামা বাগানটিকে সুখ্যাত না কুখ্যাত বলা উচিৎ তা ঠিক করে বলতে পারছি না। এই বাগানে ফুলে ধরা বা ফুল তোলা তো দূরের কথা, ফুলের গন্ধ শুঁকতে গেলেও বেহুঁশ হয়ে যেতে হতে পারে, এমনকি চরম অসুস্থ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে!
বিশ্বের সবচেয়ে অসাধারণ সমসাময়িক বাগান হিসাবে খ্যাত ইংল্যান্ডের আলনউইক গার্ডেন। ইংল্যান্ডের আলনউইক দুর্গের সংলগ্ন এই আলনউইক গার্ডেনেরই একটি অংশ হল “পয়সন গার্ডেন”। এটি একটি ‘বিপজ্জনক আকর্ষণীয়’ বাগান। এর প্রবেশপথের ভয়ালদর্শন কালো দরজায় স্পষ্ট করে সাবধানবানী লেখা “THESE PLANTS CAN KILL”।
নামের সাথে মিল রেখেই এই বাগানটিতে আছে শতাধিক বিষাক্ত গাছের সমারোহ।
1750 সালে নর্থহ্যামবারল্যান্ডের প্রথম ডিউক এটি প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৪ একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত এই বাগানটি বর্তমানে পরিচালনা করেন নর্থহ্যামবারল্যান্ডের ডাচেস জেন পার্সি। তিনি 1995 সালে এই বাগানটি উত্তরাধিকার সুত্রে পান। তিনি মূলত চেয়েছিলেন এই জায়গাটিকে বাচ্চাদের জন্য আকর্ষণীয় ও শিক্ষামূলক কিছু হিসেবে গড়ে তুলতে। কিন্তু তখন এই বাগানের বিভিন্ন নানারকমের অত্যাশ্চর্য সুগন্ধি গোলাপের সারি বাচ্চাদের তেমন ভাবে অনুপ্রানিত করতে পারেনি। পরবর্তীতে তৎকালীন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাসায় কর্মরত জ্যাকুয়েস উইরটেজ নামক এক মালীর সহায়তায় তিনি এই বাগানটিকে একটি সম্পূর্ণ অনন্য বাগান হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। জেন পার্সি এটাকে ইতালির বিখ্যাত “Medici” বিষ বাগানের মত, বিপদ ভরা একটি বাগান তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
বর্তমানে এটিতে রয়েছে প্রায় ১০০ প্রজাতির বিষাক্ত গাছ যা শুধু ছোঁয়ার মাদ্ধমে নয় এমনকি এই বিষাক্ত বাগানের বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়াটাও যেকোনো মানুষের মনে অনায়াসে প্রবল ভীতির সঞ্চার করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, হেজেস নামের অত্যন্ত বিষাক্ত গুল্মবিশেষ আলনউইকের আশেপাশের অনেকেরই জীবননাশ করেছে। এজন্য সতর্কতা হিসেবে, এ বাগানের দর্শকদের কোন কিছুর গন্ধ নেয়া , স্পর্শ করা বা কিছু না খাবার ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক করে দেয়া হয়। কিন্তু শুধু এই সতর্কবাণী দিয়ে দুর্ঘটনা পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব না। গত গ্রীষ্মে পাওয়া রিপর অনুযায়ী, প্রায় ৭ জন লোক এই বাগানে কাজ করতে গিয়ে বিষাক্ত বাতাসের কারনে অচেতন হয়ে গিয়েছিল।
বিষাক্ত হলেও এ বাগানটি দেখতে খুবই সুন্দর এবং দুর্লভ প্রজাতির গাছ থাকায় অনেক দর্শনার্থীর সমাগম হয় এ ব্যতিক্রমধর্মী বাগানে। এই বাগানের এমন অনেক গাছ আছে যা ক্ষতিকর ড্রাগ তৈরির মূল উপাদান, যেমন পপি থেকে তৈরি হয় আফিম। কিছু গাছ এতটাই বিপজ্জনক যে তাকে বিশেষ জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয় মানুষের হাতের নাগালের বাইরে। এদের কিছু গাছ আবার অনেক দুর্লভ ও দামি, যে কারনে সার্বক্ষণিক পাহারা দিয়ে রাখা হয় বাগানে।
এই বাগানে রয়েছে প্রায় ১০০ প্রজাতির মারাত্মক বিষাক্ত গাছ আর মদ্ধে রয়েছে একটি আশ্চর্যজনক কামোদ্দীপক গুল্ম। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার এবং সাথে সাথে দুঃখের ব্যাপার হল, এই গুল্ম গ্রহনের পর তার কাজ শুরু করার আগেই আপনি অনায়াসে পৌঁছে যাবেন সোজা পরপারে।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
নতুন করে অনেক কিছু জানলাম!! ধন্যবাদ শেয়ার করবার জন্য… side effects of prednisone for dogs with lymphoma
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
অনেক নতুন বিষয় সম্পর্কে জানলাম