দূর্গা পুজা ও আমার কিছু ভাবনা
370
বার পঠিতআসছে দুর্গাপুজা, উৎসব পাগল বাঙ্গালীর এক সর্বজনীন উৎসব। গতকাল ছিল মহালয়া ,দেবী দূর্গার আগমনের প্রথম দিন। একটু একটু করে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বাড়ছে পূজার উদ্দীপনা । সেই সঙ্গে বাড়ছে কিছু বাঙ্গালী মুসলমানের মূর্তি ভাঙ্গার প্রবণতা । মাটির তৈরী প্রাণহীন কিছু মূর্তি ভেঙ্গে অশেষ সওয়াব হাসিলের এ যেন অপূর্ব এক সুযোগ যা আসে বছরে মাত্র একবারই। সওয়াব কাঙ্গাল বাঙ্গালী কি আর এই সুযোগ হাতছাড়া করে ।তাইতো প্রতিদিন মূর্তিভাঙ্গার খবর দেখি পত্রিকার পাতায় পাতায়। মানুষ সওয়াব হাসিলের জন্য কত কিছু করে, কেউ দিনের পর দিন রাতের পর রাত ঈশ্বরের উপাসনার মাঝে নিজেকে সপে দেয় ,কেউবা লাখ লাখ টাকা খরচ করে তীর্থ ভ্রমণে যায়। সেখানে এই সুযোগ আসে একেবারে বিনা মুল্যে ,খুব সামান্য পরিশ্রমে । আজকালকার এই দূর্মূল্যের বাজারে এটাই বা কম কিসে ? শুধু প্রয়োজন একটু সাহস ।আর মূর্তি ভাঙ্গা তো নবীর সুন্নত কারন মক্কা বিজয়ের পর মহানবী নিজের হাতে কাবা শরীফে স্থাপিত ৩৬০টি মূর্তি ভেঙ্গে ফেলে ছিলেন । দাড়ান দাড়ান, অনেকেই এখন বলবেন যে এই ঘটনাকে বিচার করতে হলে সেই সময়ের ইতিহাসকে বিবেচনায় নিতে হবে, সেই সঙ্গে ঘটনার প্রেক্ষাপট ইত্যাদী ইত্যাদী । কোন সন্দেহ নেই যে সেই সময়ের প্রেক্ষাপট ছিল আলাদা কিন্ত যে উদাহরন তৈরী হয়ে গেছে সেই উদাহরন অনূসরন করার মত লোকের অভাব নেই এই সমাজে ।মুসলমানরা তাদের রোল মডেল কে অনূসরন করতে ভালবাসে । তাইতো হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন “হিন্দুরা মূর্তি পূজারী আর মুসলমানরা ভাবমূর্তি পূজারী “। আজ থেকে শত শত বছর পর হয়তো আজকের মূর্তি ভাঙ্গার প্রেক্ষাপট নিয়ে বহু আলোচনা হবে , দেওয়া হবে বহু ব্যাখ্যা ,ষড়যন্ত্র তত্ব শেষ পর্যন্ত গোপনই থেকে যাবে এর শিকার হওয়া মানুষগুলোর সেই কষ্টকর অনূভুতিগুলো,তীব্র ভয় নিয়ে কাটানো সেই নিঃসঙ্গ রাতগুলো।
কেউ আবার ভুল করে ভেবে বসবেন না যে যে দূর্গা ,কালী, স্বরসতীদের ঐ জড়মূর্তির প্রতি আমার দরদ একেবারে উছলে পরছে । আমি খুব ভালো করেই জানি যে সুপ্রাচীন এই ধর্মটিও ঠিক তেমনটাই ক্ষতিকর যেমনটা ক্ষতিকর অন্য সব ধর্ম আর এমন নয় যে আমাদের দেশের হিন্দুরা খুব অসাম্প্রদায়ীক , উদার মনোভাব সম্পন্ন । বাস্তবতা হল ৪৭ এর পর থেকে এদেশের হিন্দু জনসংখ্যা ২১ ভাগ থেকে কমতে কমতে আজ মাত্র ৮ ভাগে এসে দাড়িয়েছে । রাজনৈতীক ভাবে তারা প্রায় ক্ষমতাহীন ,অর্থনৈতীক ভাবে তাদের অধিকাংশই অসচ্ছল। তাই ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তারা তাই তেমন কিছুই করতে পারে না, নইলে তারা যে খুব একটা ছেড়ে কথা বলতো না সেটা অনুমান করতে মোটেও কষ্ট হয় না,প্রতিবেশী ভারতের দিকে তাকালেই তা বেশ ভাল বোঝা যায়। প্রকৃত সত্য হল মূর্তি ভাংলে আমার একটুও কষ্ট হয় না আর আমার জন্ম কোন হিন্দু পরিবারে হয়নি যে মনের কোন গভীর কোণে লুকিয়ে রয়েছে মূর্তির প্রতি এক ধরনের বালখিল্য আবেগ । কিন্ত আমার খুব কষ্ট লাগে তখনই যখন দেখি একেকটি ভাঙ্গা মূর্তির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এদেশের বিপুল সংখ্যক হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষের গভীর দীর্ঘশ্বাস ,অব্যক্ত ব্যথা ।ভাঙ্গা হাত কিংবা ভাঙ্গা মাথার কোন দূর্গা মূর্তি এদেশের প্রতিটি হিন্দুকে পদে পদে মনে করিয়ে দেয় যে তারা এদেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক ,তারা সংখ্যালঘু নামক বিরল এক প্রজাতির মানুষ ,যাদের ধর্মের কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। এই ভুখন্ডের আদি বাসিন্দা হওয়া স্বত্বেও আজ তারাই যেন আশ্রিত ,নিজ ভূমে পরবাসী ।একই আনন্দ, বেদনা ,ক্ষুধা ,সঙ্গমের অনূভুতি থাকা স্বত্বেও যখন শুধু ধর্মের কারনে তাদের বাস্তভিটা আক্রান্ত হয় তখন আর ভাঙ্গা মূর্তি কোন নিছক জড় বস্তু হয়ে থাকে না ,হয়ে যায় নির্যাতন -নিপীড়নের একটি প্রতীকি রুপ ।এখানেই লুকিয়ে ধর্মের সবচেয়ে নিন্দনীয় কৃতিত্ব আর সেটা হল সমান অধিকারের পৃথিবী গড়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হল ধর্ম।
আমিও চাই জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক এই মহাবিশ্ব ,ঘুচে যাক সকল অন্ধকার, জড়তা, ভ্রান্তি।সভ্যতা এগিয়ে যাক তার আপন কক্ষপথে। সভ্যতার এই চলার পথে একটি অস্ত্রও যেন কাউকে আঘাত না করে, হোক না সে অস্ত্র লিটল বয় নামধারী কোন পারমাণবিক বোমা কিংবা নিরীহ দর্শন কোন বাশের লাঠি ,হোক না তার শিকার বিশেষ কোন জনগোষ্ঠীর মানুষ কিংবা কোন জড় মূর্তি। এই নশ্বর পৃথিবীতে কোন কিছুই অবিনশ্বর নয় , না আমি না আপনি, না ধর্ম । প্রকৃতির আর সব কিছুর মত ধর্মও হয়তো বিলীন হয়ে যাবে এক দিন কিন্ত যতদিন সেটা হয়নি ততদিন মূর্তিপূজারী, ভাবমূর্তিপূজারী , পুত্র পূজারী , আত্বপূজারী সকলেই বেচে থাকুক না নিজ নিজ অধিকার নিয়ে, আরো কিছু দিন উপভোগ করতে থাকুক এই পৃথিবীর রুপ, রস, গন্ধ ,প্রেমিকার সান্নিধ্য । ধর্মও টিকে থাকুক কারো কাছে সভ্যতার বাতিঘর কিংবা কারো কাছে সভ্যতার কলংক হিসেবে ।দিন শেষে শেষ পর্যন্ত আমরা আমরাইতো ।জয়তু পৃথিবী , জয়তু মানব ধর্ম ।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
এর কারণ কি তা জানতে আপনার পোস্টটি আবার পড়ুন। thuoc viagra cho nam
আর ধর্ম ক্ষতিকর নয় ক্ষতিকর হচ্ছে ধর্মাব্ধতা। can levitra and viagra be taken together
অপার্থিব বলছেনঃ achat viagra cialis france
ধর্ম আর ধর্মান্ধতা এক সুত্রে গাথা। যতদিন পৃথিবীর ইতিহাসে ধর্ম থাকবে ততদিন পৃথিবীতে ধর্মান্ধতা টিকে থাকবে।ধর্মান্ধতার চেহারা পৃথিবীর সব জায়গায় এক, কোথাও হিন্দু কমে, কোথাও মুসলিম কমে কিন্তু ক্ষতি হয় শুধু সাধারন মানুষের ovulate twice on clomid
তারিক লিংকন বলছেনঃ
একটাই কথা ধর্ম যার যার উৎসব সবার…
জয়তু মানব ধর্ম!!!
অপার্থিব বলছেনঃ
এটাও এক টা বাস্তবতা বিবর্জিত কথা । মুসল মান দের ঈদ উল ফিতরে ফিতরার টাকা অন্য ধর্মাবলম্বী কোন দরিদ্রকে দেওয়া হয় না কারন ধর্ম গ্রন্থ সেটা এলাউ করে না। কোরবানীর ঈদেও গরীব দঃখী দের জন্য বরাদ্দ মাংস অন্য ধর্মাবলম্বীদের দেওয়া হয় না ,কেউ বেড়াতে আসলে এক বাটি সেমাই খেতে দেওয়া হয় বটে তাতে উৎসব সবার হয়ে যায় না। ধর্ম পদে পদে মানুষকে সাম্প্রদায়ীকতা শেখায়, উৎসবও তার বাইরে নয়।