গণহত্যা’৭১:কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া কিছু ইতিহাস (পর্ব-০৪)
641
বার পঠিতকালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে থাকা কিছু ইতিহাস জানার জন্য এবং সকলকে জানানোর জন্য শুরু করেছিলাম ধারাবাহিক এই লেখাটি। ঠিক কতোগুলো পর্ব লিখলে পাকিস্থানীদের সেই নির্মমতা আর নৃশংসতার ইতিহাস শেষ করতে পারবো জানি না। আর জানতেও চাই না, কারণ শুধুমাত্র পাকিদের নির্মমতা আর নৃশংসতার ইতিহাস তুলে ধরার জন্যে আমার এই লেখা নয়; আমি আমার এই লেখাটির মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছি আমাদের জন্মের ইতিহাস, তুলে ধরতে চেয়েছি কতো ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্তের বিনিময়ের অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। প্রতিটি পর্ব লিখবার সময়ই আমি শিউরে উঠেছি পাকিদের নানা রকম নির্মমতা আর পৈশাচিকতার বর্ণনা জেনে। শরীরের লোম দাড়িয়ে গিয়েছে, নিজের অজান্তে কতবার যে চোখের জল ফেলেছি জানা নেই আমার। প্রচণ্ড ঘৃণা, ক্ষোভ আর রাগে থু থু ছিটাতে ইচ্ছে হয়েছে জানোয়ারগুলোর মুখে। সেসব জানোয়ারদের কথা আর কি বলবো !! যখন স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এসে নিজ দেশেরই একটা প্রজাতির লোকজন আমাদের সেইসব বীরত্ব গাঁথা আর ত্যাগের ইতিহাস বিকৃত করে, তখন বড় অসহায় লাগে নিজেকে; ঘৃণা হয় নিজেদের প্রতি। বার বার তখন একটা প্রশ্নই মনে আনাগোনা করে কি করে কেউ নিজ জন্মের ইতিহাস পাল্টে দিতে বা বিকৃত করতে পারে ?
যাহোক, এবার মূল প্রসঙ্গে আসি; পূর্বের তিনটি পর্বে আমি তুলে ধরতে চেষ্টা করেছিলাম বরইতলা, বাবলা বন, পাগলা দেওয়ান,চুকনগর,মিরপুর বাঙলা কলেজ এবং মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে সংঘটিত গণহত্যার ইতিহাস। আজকের এই পর্বে আমি শিয়ালবাড়ি এবং মুসলিম বাজার বধ্যভুমিতে সংঘটিত গণহত্যার ইতিহাস বর্ণনা করবো।
শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি, মিরপুর 2nd course of accutane side effects
১৯৭১ সালে ঢাকার কেন্দ্র থেকে ১৩ মাইল উত্তরে মিরপুরের উপকন্ঠে শিয়ালবাড়ি নামের একটি গ্রাম ছিল।এক সময় শিয়ালের অবাধ বিচরণ ছিল বলেই জায়গাটির নাম হয় শিয়ালবাড়ি। পরবর্তীতে ১০০.৮০ একর জায়গার ওপর সরকার ১৯৮৪ সালে রূপনগর প্রথম পর্ব নামে একটি আবাসিক প্রকল্প গড়ে তোলে এখানে।যার কারণে এই জায়গাটি এখন রূপনগর নামে পরিচিত।আচ্ছা, শিয়ালবাড়ি নামের সেই ছোট্ট গ্রামটি আজকের রূপনগর আবাসিক এলাকা হয়ে উঠার ঠিক আগের ইতিহাসটি কি জানা আছে কারো ?? জানা আছে কি কতো মানুষের রক্ত মাংস মিশে আছে আজকের রূপনগর আর সেদিনের শিয়ালবাড়ির মাটিতে ?! হয়তো কারো আছে কিংবা কারো নেই; তাহলে এখন একটু পেছনের দিনগুলো থেকে ঘুরে আসা যাক, ফিরে যাই সেই ১৯৭১ এ, দেখে আসি শিয়ালবাড়িতে ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের কিছু অংশ…
মিরপুর পুরনো থানার (জার্মান টেকনিক্যালের পেছনে) অদূরেই বেতঝাঁড় আর জঙ্গলে ঘেরাগ্রামটির নাম শিয়ালবাড়ি। সেখানে একপাশে ছিল পরমেশ্বর, পার্বতী, গঙ্গা ও হরিদেরসুইপার পাড়া। আর অপরদিকে ছিল দিলা, তোতা, সামাদ, সৈয়দ আলী, কদম আলী মাদবরদেরবাড়ি। মাওরা ওয়াহিদ নামে একটি বিহারি পরিবার এবং দোরেস্বামী নাইডু নামের একখ্রিস্টান পরিবার সেখানে বাস করত। দোরেস্বামী নাইডু নিখোঁজ হয়েছে ’৭১-এ। শিয়ালবাড়ি ফকির বাড়িতেও থাকতবিহারি ও বাঙালি যৌথভাবে। একাত্তরে পুরো ৯ মাস সময় জুড়ে বিহারীরা নারকীয় অত্যাচার চালায় বাঙালিদের উপর। বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঙালিদের ধরে এনে কখনো দেহ থেকে মাথা বিছিন্ন করে, কখনো কোমর থেকে দেহের বাকি অংশ ছেদ করে, কখনো কুপিয়ে কুপিয়ে আবার কখনোবা টুকরো টুকরো করে কেটে হত্যা করেছে বাঙালিদের। যুদ্ধের সময় গোটা শিয়ালবাড়ি যেন হয়ে উঠেছিল এক মৃত্যুপুরী। বিহারী জানোয়ারেরা সাথে বাঙালি রাজাকারেরা মিলে যখন নিরীহ বাঙালিদের জবাই করতো পৈশাচিক উল্লাসে ফেটে পড়তো ওরা। যুদ্ধের পরে যখন লোকজন শিয়ালবাড়িতে যান, তাঁদের মতে সেখানে পা ফেলার এমন কোন স্থান ছিল না; যেখানে মানুষের কঙ্কাল নেই!! বাঙালির লাশ স্তূপীকৃত হয় শিয়ালবাড়ির নির্জন জঙ্গলে, ঝিলে, ডোবায় ও ধানের ক্ষেতে। দিনে কাক, শকুন, কুকুর আর রাতে শৃগাল খুবলে খেত লাশগুলোকে ।শোনা যায়— মৃত, অর্ধমৃত অবস্থায় এখানে অবাঙালিরা লাশ ফেলে যেত। কখনও চোখ বেঁধে লাইন করে গুলি করে মারত। মানুষের হাড়গোড়ের পাহাড় জমেছিল শিয়ালবাড়ির মৃত্যুকূপে।শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমিতে গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী পাশের সুইপার কলোনির গঙ্গা, পরমেশ্বর, পার্বতীরা। যুদ্ধের নয় মাস তারা বধ্যভূমির পাশেই ছিল। তাঁদের ভাষায়, হত্যাকাণ্ডে গুলির ব্যবহার তেমন ছিল না। হাত পা বাঁধা মানুষ এখানে জবাই করা হতো এবং ১২-১৩ বছরের এক অবাঙালি ছেলে নির্ভয়ে এ কাজটি করত।ধাঙ্গড় সম্প্রদায়ের দারুপায়ী এক সদস্য জানায়, আমাদের দিয়ে ওরা লাশ টানাত। তাঁরা আরও জানায়-
‘এক মুক্তিযোদ্ধার গলা কেটে দিলে সে কোনোভাবে বেঁচে যায় এবং উপরে উঠে আসে। মুক্তিটি শিয়ালবাড়িতে থাকা বাঙালি তাসলিমের বাড়িতে এসে পানি চাইলে সে চিল্লাপাল্লা করে এবং বিহারিদের ডেকে এনে ধরিয়ে দেয়, বিহারিরা তাকে টুকরো টুকরো করে কেটে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়” ।
শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমির লোমহর্ষক বর্ণনা পাওয়া যায় ৮ জানুয়ারি দৈনিক পূর্বদেশে প্রকাশিত সাংবাদিক আনিসুর রহমানের সচিত্র প্রতিবেদন থেকে। তিনি লিখেছিলেন-
“…অথবা যদি না যেতাম সেই শিয়ালবাড়িতে তাহলে দেখা হতো না ইতিহাসের বর্বরতম অধ্যায়কে। অনিসন্ধিত্সু হিসেবে যা দেখাও কোনো মানুষ উচিত নয়। ওখানে না গেলে গায়ে ধরত না এমন দহন জ্বালা। সহ্য করতে হতো না ভয়, ক্রোধ, ঘৃণামিশ্রিত এমন অনুভূতি, যা বলে বোঝানোর নয়। প্রতিটি মুহূর্তে মনে হয়েছে ভয়ে বুঝি হার্টফেল করব। ধ্বংসস্তূপের মাঝে কতক্ষণ পরপরই চোখ বুজতে হয়েছে। না না এ সত্যি নয়, এ স্বপ্ন বলে দৃষ্টি আকাশের দিকে উত্থাপিত করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আর দেখতে চাই না বলে মাটি— ভুল বললাম, মানুষের হাড়ের ওপর বসে পড়তে হয়েছে। পুরো এলাকায় মানুষের হাড় ছাড়া অবিমিশ্র মাটি কোথায়।”
যেখানে জবাই করে হত্যা করা হয়েছিল অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও নিরস্ত্র বাঙালি, বিবাহের বরযাত্রীসহ হাজারও মানুষ। জাতীয় গৃহায়ন অধিদফতরে সুবাদে সেখানে গড়ে উঠেছে বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান। রূপনগরে ৬০ ফিট প্রশস্ত প্রধান সড়কের অর্ধেকটা জুড়ে দেয়াল ঘেরা (৫ ও ৬নং সড়ক সংলগ্ন) বধ্যভূমির যে স্মৃতি চিহ্নটুকু অবশিষ্ট আছে তা প্রায় ৩ যুগ ধরে স্থানীয় এক মাতব্বর পরিবারের দখলে। বধ্যভূমির বদলে সেখানে শোভা পাচ্ছে মাতব্বরের পারিবারিক কবরস্থানের সাইনবোর্ড। বধ্যভূমির পেছনটায় অর্ধেকের বেশি জায়গা জুড়ে ৩৫টিরও বেশি দোকানসহ গড়ে ওঠা আরও শতাধিক দোকান থেকে পুলিশের নাকের ডগায় প্রতি মাসে মাতব্বর পরিবার হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কর্তৃপক্ষ বারবার মার্কেটটি ভেঙে দিলে তা আবার গড়ে তোলা হচ্ছে।উল্লেখ্য, রূপনগর তথা শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি সংরক্ষণে সরকারের সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত রয়েছে। সারাদেশে ৮টি বধ্যভূমি সংরক্ষণের সরকারি সিদ্ধান্তে রূপনগর এর মধ্যে অন্যতম। অথচ বিস্ময়কর, সরকার স্বাধীনতার এ ঐতিহাসিক স্মারক পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে উদ্যোগী না হওয়ায় এর অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, বধ্যভূমিটি প্রাতিষ্ঠানিক প্লট হিসেবে বরাদ্দ প্রদানের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং এর বাস্তবায়ন হলে জাতির জন্য বিষয়টি হবে বেদনার ও কলঙ্কের। আর সরকারের জন্য সেটা হবে অত্যন্ত লজ্জার।
exact mechanism of action of metformin
মুসলিম বাজার বধ্যভূমি, মিরপুর diflucan 150 infarmed
একাত্তরে গোটা মিরপুর অঞ্চলে যে নারকীয় অত্যাচার বিহারী আর পাকিস্তানীরা বাঙালিদের উপর করেছে তা ইতিহাসে বিরল। যদিও সে সময়ে আমাদের পুরো দেশটাই পরিণত হয়েছিল একটি মৃত্যুপুরীতে কিন্তু সারা দেশের মধ্যে সবচাইতে বেশি পাকি পৈশাচিকতার নিদর্শন পাওয়া যায় মিরপুরে। এই মিরপুর অঞ্চলের আরেকটি বধ্যভূমির নাম হল- “মুসলিম বাজার” বধ্যভূমি।
একাত্তরে মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনে মুসলিম বাজারের নূরী মসজিদসংলগ্ন এলাকায় মসজিদটি ছিল বিহারি ও জামায়াত নেতাদের অন্যতম ঘাঁটি।’৯১ সালে মিরপুর ১২নং সেকশনের মুসলিম বাজারের নূরী মসজিদে চলছিল সংস্কার কাজ। ওই বছরের ২৭ জুলাই এ মসজিদের একটি পরিত্যক্ত কূপ থেকে বের করা হয় দেড়শ’ মানুষের মাথার খুলি, হাড়গোড়, শিশুর জামা, জুতা, বাঙালি সেনাদের পোশাক। বিভিন্ন জটিলতার কারণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এখানে কোনো স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে পারেনি। তবে নূরী মসজিদের নাম রাখা হয়েছে, ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মসজিদ’। কূপটি মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ সরকারি নথিপত্রে বধ্যভূমিটি সংরক্ষিত। বর্তমানে এখানে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনার মধ্যে রয়েছে শৌচাগার।মুসলিম বাজার বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় শহীদ লেফটেন্যান্ট সেলিমসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধার হাড়-পাঁজর ও মাথার খুলি। মিরপুরের দুটি বধ্যভূমিতে প্রাপ্ত নিহতদের পাঁচ হাজার ৩৯২টি হাড়গোড় ও ৭০টি মাথার খুলি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে রাখা হয়েছে।
মুসলিম বাজার বধ্যভূমির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ওয়ার অ্যান্ড ক্রাইমস প্রধান ড. হাসান বলেন,
‘একটি বধ্যভূমিতে টয়লেটসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ জাতির জন্য অপমানজনক। আর কতদিন আমাদের এসব সহ্য করতে হবে জানি না।’
স্বাধীনতার পর মিরপুর এলাকায় ২৩টি বধ্যভূমির খোঁজ মিলেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এর মধ্যে সংরক্ষিত হয়েছে মাত্র তিনটি। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, মিরপুরে হত্যা করা হয়েছে- সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, আবু তালেব, কবি মেহেরুন্নেসা, ড. সিরাজুল হক, সন্তোষ ভট্টাচার্য্য, ড. ফয়জুল্লাহ, ডা. মুর্তজা, ড. এমএ খয়ের, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, প্রকৌশলী আবু সালেহ, মোহাম্মদ এরশাদুল্লাহ প্রমুখকে।কিন্তু বর্তমানে এখানকার প্রায় ২০ টি বধ্যভূমিই হারিয়ে যেতে বসেছে যথাযথ সংরক্ষণের অভযবে। এভাবে যদি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসগুলো কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে থাকে তাহলে একদিন হয়তো ৭১ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের কোন অস্তিত্বই থাকবে না আমাদের দেশে। কেউ জানবে না আমাদের জন্মের ইতিহাস। তাই যদিও অনেক দেরী হয়ে গেছে এরপরেও যতদ্রুত সম্ভব এই বধ্যভূমিগুলোকে সংরক্ষণ করা আমাদের সকলের কর্তব্য। সেই সাথে সরকার এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকেও নজর দিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ এই ইতিহাসগুলোকে সংরক্ষণ করতে।
{চলবে} ampicillin working concentration e coli
১ম পর্বঃ http://sovyota.com/node/3335 levitra generico acquisto
২য় পর্বঃ- http://sovyota.com/node/3491
৩য় পর্বঃ http://sovyota.com/node/3862
তথ্যসূত্রঃ- aborto cytotec 9 semanas
- http://www.eidesh.com/bangladesh/blogs/view/353
- http://obokashbd24.com/?p=2600
- http://www.manobkantha.com/2012/12/14/index.html
- http://www.kalerkantho.com/print_edition/?view=details&archiev=yes&arch_date=27-01-2011&feature=yes&type=gold&data=news&pub_no=408&cat_id=3&menu_id=82&news_type_id=1&index=15#.VCFzVlRwbcc
- http://www.somewhereinblog.net/blog/annoananblog/29296973
জন কার্টার বলছেনঃ
মিস ফাতেমা এসব লেখালেখি বাদ দেন কাম হইবো না, যারা হত্যাকান্ড ঘটাইলো, গণহত্যা করল, ধর্ষণ করল, লুন্ঠণ করলো, বাড়ি-ঘরে আগুন দিলো! তাদের কি শাস্তি দিতে পেরেছেন? ৪৩ বছর ধরে বহাল তবিয়াৎ এই আছে! ভবিষ্যতেও থাকবে! আমি হলফ করে বলতে পারি এইদেশে একজন মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে একজন রাজাকারের জনপ্রিয়তা বেশি! তাই রাজাকার কিংবা গণহত্যা নিয়ে লিখে কি করবেন? বাদ দেন এইসব…..
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ pills like viagra in stores
উহু !! ভুল বললেন। এইসব ভেবে যদি আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গুলোকে হারিয়ে ফেলি তাহলে ক্ষতিটা আমাদেরই। হ্যাঁ, এটা ঠিক রাজাকারদের প্রাপ্য বিচার ওদের দেয়া হয়নি বরং বহাল তাবিয়াতে থাকার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। তাই বলে কি করে আমরা আমাদের জন্মের ইতিহাস ভুলে যাই বলুন তো ??!!
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
মিস্টার কার্টার, গত ৪৩ বছরে এধরনের লেখালেখি হয়নি বলেই কিন্তু আজকে সাঈদীরা পার পেয়ে যেতে পারছে। সরকার কিন্তু হার্ড লাইনে যেতে পারছে না এই জনমতের ভয়েই। আফটার অল, তারা একটা রাজনৈতিক দল। আপনি আমি যত গালিই দিই, দিনশেষে তারা ভোটের রাজনীতিই করবে। আর দেশের একটা বড় অংশ এখনও মনে করে, ইসলামের সাথে শত্রুতা করেই জামাত নেতাদের বিচারের সম্মুখীন করা হচ্ছে। আর এর একমাত্র কারণ গত ৪৩ বছরে এ ধরণের লেখালেখির অভাব।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ propranolol hydrochloride tablets 10mg
৩য় প্যারায় প্রথম কয়েকটা লাইনে শব্দগুলো সব একসাথে লেগে গেছে, কাইন্ডলি ঠিক করে দিন মাদাম… :-w
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
ঠিক করে দিয়েছি স্যার…