শান্তি কমিটিতে যোগদান দোষের কিছু না…
বার পঠিত“শান্তি কমিটিতে যোগদান তেমন দোষের কিছু না।“
মাননীয় বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব যুদ্ধাপরাধী দেলু শিকদারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বিশ্লেষণ করে রায় প্রদানকালে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তার বিচারে ১৯৭১ সালে যারা শান্তি কমিটিতে যোগ দিয়েছিল, তারা নিতান্তই নিষ্পাপ আদম সন্তান ছিল, তার মধ্যে কিছু তরুন কিঞ্চিত দুষ্ট ছিল, বয়সের দোষে তারা কিঞ্চিত ভুল করে ফেলতেই পারে, তার জন্য তাদের সামান্য বকে দেয়া যায়, এর বেশী শাস্তি দেয়া বিচারিক দৃষ্টিকোন থেকে নিতান্তই অবিচার।
পাবনা জেলার সাথিয়া থানার মিয়াপুর গ্রামে কিছু হিন্দুস্তানের দালাল ধরা পড়েছে। “মুক্তি” বলে পরিচিত এই দালালগুলা গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের বীর সেনাবাহিনীর বহুত ক্ষতিসাধন করছে, তাই এদের ঘাঁটি আর ট্রেনিংয়ের তথ্য বের করার জন্য প্রচণ্ড নির্যাতন করা হল। কিন্তু অবর্ণনীয় নির্যাতনের পরেও একটা মুক্তিও টু শব্দ করল না। প্রচণ্ড রেগে গেলেন শান্তি কমিটির কমান্ডার মতিউর রহমান নিজামী, পাশের দাঁড়ানো একজন দেশপ্রেমিক রাজাকারের রাইফেলটা কেড়ে নিয়ে হাত-পা বাঁধা মুক্তিগুলোর সারা শরীর মোরব্বার মত ফালাফালা করে ফেলতে শুরু করলেন। তারপর গরু জবাইয়ের বড় ছুরিটা নিয়ে দালালগুলোকে জবাই করতে শুরু করে। দারা, চাঁদ, মুসলেম, আখতার, শাহজাহান—একে একে জবাই হয়ে যায় সবাই। জবাই হবার পরেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় শাহজাহান, তারপর থেকে পঙ্গু জীবনটা বয়ে বেড়াচ্ছে আজ ৪৩ বছর…
–মাননীয় বিচারকের রায়- শান্তি কমিটিতে যোগদান দোষের কিছু না।
হোগলাবুনিয়া গ্রামের অধিকাংশ মানুষ হিন্দুধর্মালম্বি। ১৯৭১ রের শেষ দিকে দেলু শিকদারের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটা দল মালাউনদের এই গ্রামে অভিযান চালায়। দেশপ্রেমিক রাজাকারেরা আসছে, খবরটা পাওয়া মাত্র গ্রামের সব নারীরা পালিয়ে যায় গ্রাম ছেড়ে। মধুসূদন ঘরামীর স্ত্রী শেফালি ঘরামী পালাতে পারেননি। দেলু শিকদার আর তার সহযোগীরা তার উপর একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তারপর সৃষ্টি করেছিল নৃশংসতা আর বর্বরতার নতুন ইতিহাস। অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হওয়া শেফালী ঘরামির পেটে একটা সন্তান আসে যুদ্ধের পর, স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকেরা যে সন্তানকে অভ্যর্থনা জানায় নষ্টা মায়ের জারজ সন্তান হিসেবে। সহ্য করতে পারেননি শেফালী, নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ভারতে। পারেরহাটের বিপদ সাহার সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে প্রতিদিন নিয়ম করে একবার ধর্ষণ করত দেলু। ভানু সাহা প্রতিদিন একবার করে মরতেন, লালসার স্রোতে ডুবে যেতেন প্রতিদিন, বারবার…
–মাননীয় বিচারকের রায়- শান্তি কমিটিতে যোগদান দোষের কিছু না।
দেলু শিকদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের রাজাকার দলটা পারেরহাট বন্দরের গৌরাঙ্গ সাহার বাড়ি থেকে তার তিন বোন মহামায়া, অন্ন রানী ও কমলা রানীকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে। পাকিস্তানের ইসলামের শত্রুরা আজ পাকিস্তান ভেঙ্গে দুই টুকরা করতে চায়, হিন্দুস্তানের দালালগুলো আজ ইসলামের নাম নিশানা মুছে দিতে চায়। তাই ইসলাম কায়েমে আর পাকিস্তান রক্ষায় আজ মালাউনদের ভেতর পাকিস্তানের ইসলামের বীজ বপন করে দিতে হবে– পাকিস্তানী জেনারেল টিক্কা খানের এই আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে দেলু শিকদার আর সহযোগীরা। টানা তিনদিন-তিনরাত অকল্পনীয় নির্যাতন চলে তিনজন মালাউন নারীর উপর, পাকিস্তান রক্ষার খাতিরে একটু কষ্ট তো সহ্য করতেই হবে। মহামায়া, অন্ন রানী আর মহামায়াকে মেরে ফেলা হয়নি, অসহ্য অপমান আর গ্লানিমাখা যন্ত্রণা উপহার দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় পাকিস্তানের সাচ্চা দেশপ্রেমিকেরা…
–মাননীয় বিচারকের রায়- শান্তি কমিটিতে যোগদান দোষের কিছু না।
দেলু শিকদারের তেমন কোন কোন দোষ ছিল না, শান্তি কমিটিতে যোগদান দোষের কিছু না। শান্তি কমিটি যোগ দিয়ে পেয়ারা পাকিস্তান রক্ষায় গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে মুক্তি জবাই দোষের কিছু না। বাপের সামনে মেয়েকে কিংবা ছেলের সামনে মায়েকে গনধর্ষণ তেমন দোষের কিছু না। প্রতিদিন নিয়ম করে মালাউন নারীকে জঘন্যতম বর্বরতার লালসায় ধর্ষণ কিংবা পাকিস্তানী ইসলাম কায়েমে পাকিস্তানী সেনাদের হাতে নিজের মা-বোনকে তুলে দেয়া তেমন দোষের কিছু না… prednisone side effects menopause
তাই সমস্ত সাক্ষ্য-প্রমান, বিচার বিশ্লেষণ শেষে মাননীয় বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিয়ার সুচিন্তিত বিচারের রায়- শান্তি কমিটিতে যোগদান তেমন দোষের কিছু না।“ দোষের কিছু না… canadian pharmacy meds promo
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আর আমাদের সরকারের সুব্দর ভাষণ ‘আস্থা রাখুন’
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
[-(
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
ছি ছি কি বলছেন ! সরকারের কাজ তো শুধু কাঠগড়ার দাড় করানো। সেটাই তো অনেক্কক্কক্কক্কক্কক্কক বেশি। ফাঁসি হইল না মুক্তি পাইল না কারাগারে বসে কোরমা পোলাও খাইল সেটা কি সরকারের দেখার বিষয়!!!!!।
তাই আস্থা রাখুন।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আস্থা শব্দটার উপর আস্থাহীনতা বড্ড হতাশার… #-o
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আস্থা রাখুন, আস্থা রাখুন।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কিপ ফেইথ অ্যান্ড হ্যাভ মারা… >:D< inj lasix uses
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
একাত্তরের কার্যকলাপের জন্য আমরা জামায়াতকেই দায়ী করতে পারিনি। পারিনি, একাত্তরে তাদের ভূমিকার জন্য সংগঠন হিসেবে তাদের নিষিদ্ধ করতে। পারিনি, একাত্তরে জামায়াতের সাথে যুক্ত থাকার অপরাধেই কাউকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে।
তাহলে শান্তি কমিটিতে থাকা দোষের হতে যাবে কেন?
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আমরা কবে কাঠগড়ায় দাড়াব তার অপেক্ষায় আছি। percocet canada online pharmacy
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ online pharmacy in perth australia
:-w clean viagra jokes
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
[-(
ণ বলছেনঃ
viagra 7000mgশান্তি কমিটিতে যোগ দেয়া দোষের কিছু না, কথাটা ভুল হলেও শান্তি কমিটিতে যোগ দেয়া ফাঁসি দেয়ার মতো অপরাধও না। একজন মানুষের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে তার দেশ রক্ষার জন্য শান্তি অশান্তি কুশান্তি সহ যেকোনো কমিটিতে যোগ দেয়ার। দোষ হচ্ছে হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, ধর্মান্তরিত করা। আদালতে সেটা আমাদের বোকচোদ মার্কা প্রসিকিউশন প্যানেল প্রমাণ করতে পারে নাই। গণহত্যার মত গুরুতর একটা অভিযোগের সাক্ষীই যোগার করতে পারে নাই তারা।
তানিয়া আপার মত ওয়ার ক্রাইম স্পেশালিষ্টকে না রেখে এসব বোকচোদ দিয়ে যে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া গেছে সেটাই বিরাট। metformin xr 500mg side effects
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
//দোষ হচ্ছে হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ,
ধর্মান্তরিত করা।// :-bd
অপরাধ তোপ্রায় সবগুলোই প্রমাণিত । তাহলে কেন বললেন প্রমাণ করতে পারে নি?
ণ বলছেনঃ
জ্বী না স্যার, অপরাধ কেবল প্রমাণ হলেই। হয় না, এর পেছনে ভিত্তি দরকার, সাক্ষ্য প্রমাণ সহ শক্তিশালী প্রসিকিউশন দরকার। গণহত্যার সাক্ষী আনতে পারে নাই, খোজ খবর কিছু রাখেন ? গণ্ডমূর্খ প্রসিকিউশন এইটা পর্যন্ত বলতে পারতেছে না যে আপিল রিভিউ করা যাবে নাকি যাবে না।
সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলতে পারবে ঠিকই, সাকিবের জায়গায় আরেকজনকে খেলাতেও পারবে বটে, কিন্তু সে কিন্তু বিশ্বসেরা পারফর্মেন্স দিতে পারবে না।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
সবচেয়ে পেইনটা লাগতেছে রিভিউ করা যাবে কি যাবে না সেইটা নিয়ে প্রসিকিউশনের ফাইজলামি দেখে। অপোগণ্ডের মত একজন বলতেছে করা যাবে, আরেকজন আবার সেইটা নাকচ করে দিয়ে বলতেছে কোন সম্ভাবনাই নাই। আর এদের বাধ্য করতে পারত যেই গণজাগরণ মঞ্চ, তারা এখন নিজেরাই কামড়াকামড়ি করতেছে… কি বিচিত্র সেলুকাস এই সমাজ… কি বিচিত্র সেলুকাস আমরা… =D<
ণ বলছেনঃ
তানিয়া আমীর কেনো প্রসিকিউশনে নাই, তুরীন আপার হার্ডডিস্ক কেনো হারিয়ে যায়, স্কাইপ ষড়যন্ত্রর পর ঐ বিচারক কেনো অবসরে যেতে বাধ্য হয়, একটু খোজ নিয়ে দেখবেন স্যার।
দায়বদ্ধতাটা নির্লজ্জভাবে ফুটে উঠবে
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
তুরিন আপার হার্ডডিস্কে জামায়াত নিষিদ্ধের ডকুমেন্টস ছিল… খুব বড় ক্ষতি হয়ে গেল… [-(
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
হাহাহাহাহাহা আপনাদের তর্ক দেখে মজাই লাগেছে। ভাব খানা এমন যে প্রোসিকিশন সত্যি না পেরে হেরে গেছে!!!!!!
অথবা ইচ্ছে করে ট্রাইব্যুনাল ফাঁসির রায় দিয়েছিলো। আর আপিলে উঠে সাজা কমে গেছে! সব দোষ প্রসিকিশনের !!!!!!
ও আচ্ছা প্রথমে কখন যেন ফাঁসির রায় আসছিল !????? ফেব্রুয়ারী মাসে ২০১৩ সালে? নির্বাচনের আগের বছর ?
ণ বলছেনঃ
আদালত আপনার হাসিতেও চলে না, কান্নাতেও চলে না। ডকুমেন্টস আছে, পড়ে নিবেন, আর না হলে হাসতে থাকুন, কিপ স্মাইলিং
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কি বলতে চাইলেন বা কি বোঝাতে চাইলেন পরিস্কার হইল না। সাংকেতিক ভাষায় বক্তব্য বোঝার ক্ষমতা এই অধমের নাই, একটু পরিস্কার করে বিস্তারিত বললে খুশি হই… :-w
নষ্ট কথন বলছেনঃ
নষ্ট নষ্টায় ভরা দেশ…
বিচারক পর্যন্ত নষ্টা মায়ের অবৈধ জারজ সন্তান..
সাঈদির মতো শুয়োরেরা বেঁচে থাকুক..
পরের জন্মে আমি সাঈদিই হবো
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ extended release metformin vs regular for pcos
[-(
একজন আইজুদ্দিন বলছেনঃ
ডন, আপনার কথায় হাইব্রিড লিগারের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছি!
দোষটা কি আমার নাকের নাকি………?
যা হোক, পাক সার জমিন সাদ বাদ মুখস্ত হয়েছে তো?
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এখনও হাইব্রিড হয়ে উঠতে পারিনি ভাই, আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছি। আপনাদের দয়াপ্রার্থী… 8->
পাক সার জমিন সাদ বাদ অর্ধেক হয়েছে, পুরোটা হলে বাংলাদেশ বেতারে ট্রায়াল দেব… >:D<
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
বিচারপতি তোমার বিচার করবে ইতিহাস। কিছুই বলার নাই ভাই। আর, সত্যিই কিছু বলার নেই। সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিরা দেশের অভিভাবক। প্রত্যেক দেশেই আদালত অবমাননা জঘন্যতম একটা অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য। কিন্তু অন্যান্য দেশের বিচারবিভাগ সত্যিকার অর্থেই মুক্তচিন্তার অধিকারি। আমাদের দেশের কি অবস্থা সেটা বুঝাই যাইতেছে। কিছু বলাও যাবেনা। আছি মহা যন্ত্রনায়।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ভাবতেছি মুক্তিযোদ্ধাদের কথা… সেই মুক্তিযোদ্ধা, দুই বেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করতে যার এখন মানুষের দারে দারে ভিক্ষা করা লাগে। পেটের জ্বালা মেটাতে যার অন্যের করুনার দিকে চেয়ে থাকতে হয়। আমি ভাবতেছি তার কথা…
ভাবতে বড় লজ্জা লাগতেছে… ওই মুক্তিযোদ্ধার জন্য প্রচণ্ড কষ্ট লাগতেছে… [-(
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
আসলেই দোষের কিছু না ভাই… আসলে মুক্তিযুদ্ধ করাটাই ছিল সবচাইতে দোষের…
ণ বলছেনঃ
সেটাই
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
অনেক বড় ভুল করে ফেলেছিলেন তারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে… আমরা স্বাধীনতা ডিজারভ করি না, কোনভাবেই না…