আমায় ক্ষমা করবেন আপনারা…
411
বার পঠিতইদানীং কিছু পোলাপান অনলাইনে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়া আবেগের বস্তা নিয়া বসে। ৭১ রে পাক বাহিনী বা বিহারীরা কি করছে না করছে, এইসব নিয়া ৪৩ বছর পর এতো আজাইরা আবেগ দেখানোর মানে কি? প্রত্যেকটা বিষয়ই ভিন্ন ভিন্ন এঙ্গেল থেইকা দেখা উচিৎ, নিরপেক্ষ গ্রাউন্ড থেকে জাজ করা উচিৎ সবকিছু। ৭১রের ঘটনাও এর বাইরে না। বিহারীরা ৭১রে বাঙ্গালীদের মারছিল, সেই কারনে কি এখনও তাদের ঘৃণা করতে হবে? ঘৃণা দিয়েই কি সব হয়? এতো ঘৃণা বুকে নিয়া এই প্রজন্ম কীভাবে দেশকে আগায়ে নিয়ে যাবে?
কথাগুলো প্রায়ই শুনি। পরিচিত –অপরিচিত ভাইবোন, বন্ধু-স্বজন; অনেকেই এই কথাগুলা বলে। চুপচাপ কথাগুলো শুনি, কান থেকে কথাগুলো মাথার ভেতর পর্যন্ত পৌছায় না। অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে যায়, বিস্ময় কিংবা ক্রোধ, কিছুই বোধ করি না। শুধু কিছু মানুষের কথা মনে পড়ে, বিস্মৃতির অতলে হারাতে থাকা কিছু ঘটনা মনে পড়ে।
১৯৭১ সালের ২৯শে এপ্রিল। খুব ভোরে মিরপুরের আলোকদি গ্রামের মানুষগুলোর ঘুম ভেঙ্গে যায় রোটোর ব্লেডের কটকট কটকট শব্দে। মানুষগুলো শব্দের উৎসসন্ধানে মুখ তুলে তাকাবার সুযোগ পায় শুধু। পরমুহূর্তে পশ্চিম দিক থেকে আল্লাহু আকবার, পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে রামদা আর চাপাতি হাতে ধেয়ে আসা বিহারী আর রাজাকারদের দেখে পালাতে শুরু করে সবাই, হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসা পাকি হানাদারদের দিকে তাকাবার ফুরসত হয় না বোধহয় কারোরই। দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে স্রেফ প্রান বাঁচাতে ছোটা মানুষ, পলায়নপর কাওকে ধরতে পারলে বিহারীদের জান্তব উল্লাস, রামদা আর চাপাতির ক্লান্তিহীন কুপিয়ে যাওয়া—প্রায় ৫০০ জনেরও বেশী মানুষ সেদিন ছুটছিল প্রান বাঁচাতে। কেউ বাঁচেনি। কাওকে পাওয়া যায়নি। কেবল লাশের খণ্ডিত অংশগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এখানে সেখানে…
৭১রের অক্টোবরে বিহারি ও পাকি হানাদারদের নিয়ে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে তার বাড়িতে হামলা চালায় কাদের মোল্লা। প্রথমেই গুলি করে ও জবাই করে হত্যা করা হয় মেহেরুন্নিসার দুই ভাই ও মাকে। দুই ভাইকে পাশাপাশি দাড় করানোর পর মা এক দৌড়ে ঘরে চলে যান। কোরআন শরীফটা হাতে নিয়ে আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলেন, আমরা হিন্দুস্তানি মালাওন নই। আমরা মুসলমান। দয়া করে আমাদের ছেড়ে দাও। জবাবে নিজের হাতে ব্রাশফায়ার করে কাদের। মুহূর্তে লুটিয়ে পড়ে মেহেরুন্নিসার দুই ভাই।কোরআন শরীফ হাতে ধরা ছিল মায়ের। পড়ে যাবার পর হাত থেকে পড়ে যাওয়া কোরআনের উপর দিয়েই মেহেরুন্নিসার দিকে এগিয়ে যায় কসাই কাদের। মায়ের আর ভাইয়ের মৃত্যু সহ্য করতে পারেননি মেহেরুন্নিসা, থুথু ছিটিয়ে দিয়েছিলেন বিহারিগুলোর মুখে। মুহূর্তের মধ্যে পাশের বিহারীর হাত থেকে চাপাতিটা কেড়ে নিয়ে কসাই কাদের চার জন বিহারীর সহায়তায় অকল্পনীয় লোলুপতায় পাশবিক নির্যাতন চালায় কবির উপর। তারপর চারজন বিহারী কবিকে ধরে থাকা অবস্থায় নিজের হাতে সুনিপুনভাবে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে কসাই কাদের। কাঁটা মুরগির মতো ছটফট করছিল কবির দেহটা। মাথাটা কাদের ঝুলিয়ে রেখেছিল ফ্যানের সাথে। নিস্প্রান চোখ দুটো তাকিয়ে ছিল অপলক দৃষ্টিতে…
ময়েজ উদ্দিন ব্যাপারী জয় বাঙলার লোক ছিলেন। তাই শতকরা ৯৭ ভাগ বিহারী অধ্যুষিত এলাকায় বেশ গণ্যমান্য ব্যক্তি হলেও প্রথম থেকেই বিহারীদের বিশেষ দৃষ্টিতে ছিলেন তিনি। এর মধ্যে মিরপুরের কুখ্যাত আক্তার গুন্ডাকে সবার সামনে মেরেছিলেন মেয়েকে উত্যক্ত করার কারনে। আশঙ্কাটা তাই সবসময়ই ছিল, কিন্তু এতটা যে হবে কেউ ভাবতে পারেনি। ২৭শে মার্চ সকালে বাড়ি থেকে ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে বের করে আনা হয় ময়েজ উদ্দিন ব্যাপারীকে। এতদিনের পরিচিত, পাশাপাশি বাস করা বিহারিগুলো যখন তাকে অবিরাম কুপিয়ে যাচ্ছিল, তখন সহ্য করতে পারেনি মেয়ে দুটো। বাবাকে বাঁচাতে দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাবার উপর, সাথে সাথে টেনে ওদের এক পাশে নিয়ে গেল বিহারীরা। জীবনের শেষ মুহূর্তগুলোয় চোখের সামনে ময়েজ দেখলেন মেয়েদুটোকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে বিহারী পশুগুলো। অবশেষে, যেন অনন্তকাল পর আক্তারের চকচকে রামদাটা নেমে এল ময়েজের গলায়, মুক্তি দিল অকল্পনীয় যন্ত্রণা থেকে। তবে ময়েজের মেয়েদুটো বড়ই ভাগ্যবতী, পিতার খণ্ডিত মাথাটা নিয়ে বিহারীদের আদিম উল্লাসে ফুটবল খেলাটা তাদের দেখতে হয়নি…
মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭১, গণহত্যা, বিহারীদের ভূমিকা, বিহারীদের প্রতি বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি – এই বিষয়গুলো নিরপেক্ষ জায়গা থেকে দেখা বা ভিন্ন ভিন্ন এঙ্গেল থেকে বিচার করতে চাইতেই পারে যে কেউ। আমি এতে কিছু মনে করি না। কিন্তু সমস্যা হইল কি, এই থিউরি মানা আমার পক্ষে সম্ভব না। ১৯৭১রে বিহারীদের কর্মকাণ্ড আর বর্তমানে বিহারীদের ভূমিকা নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিচার করার মত জমিন আমি খুঁজে পাই না। কেননা জমিনের পুরোটাই ৩০ লাখ শহীদের চাপ চাপ রক্তে ভেজা, দেখার মত ভিন্ন ভিন্ন সব এঙ্গেল চার লাখ মা-বোনের আর্তচিৎকারে ভারী। মানুষ হিসেবে আমি বড়ই দুর্বল, মানবতাবোধ আমার একেবারে নিম্নস্তরে —বিহারীদের জন্য বরাদ্দ করবার মত মানবতার যোগান দিতে আমি নিতান্তই অক্ষম। আমাকে ক্ষমা করবেন আপনারা…
ণ বলছেনঃ
নিজনাম জপ সাধু, নিজনাম জপ synthroid drug interactions calcium
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
মন্তব্যের মর্মার্থ বুঝতে পারি নাই স্যার। :-S একটু বুঝায়ে দেন…
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
সবার ওপরে সুশীলতা সত্য, তাহার ওপরে নাই।
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
পুনশ্চঃ ফেসবুকে থেকে লেখা কপি করে দিলে ওটুকুর কালার ঠিক করে দেবেন।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
একজন আইজুদ্দিন বলছেনঃ
সেই ভাল!
যাদের মানবতা এক্কেবারে সেইরাম পর্যায়ের তাইনেরা তো আমৃত্যু কারাবাস দিয়াই খাল্লাশ,
বেশি মানবতাবোধ থাকন ভালা,তাতে আর যাই হোক আঁতাতের গন্ধ থাকে না!
আপনি আঁতাত খুঁজবেন? উহু,এইডা তো খুব বেশি সুবিদার নাহ! will metformin help me lose weight fast
খপরদার, আঁতাতের নাম মুখেও নিবেন না।
ফাঁসি হইলে সেইডা দ্যায় সরকার আর খাল্লাশ হইলে আদালত!
আমার মানবতাবোধ বোধহয় চ্যাগাইয়া উঠতাচে, অহন যাইগা!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ posologie prednisolone 20mg zentiva
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ capital coast resort and spa hotel cipro
‘৭১ নিয়ে আমি আবেগী। এনি প্রবস?