The Boy In The Striped Pajamas
1456
বার পঠিত pharmacy technician flashcards onlineযুদ্ধ যে কত মর্মান্তিক আর হৃদয়বিদারক হতে পারে , সেটা না দেখলে অনুভব করা যায় না । John Boyne এর একই শিরোনামে রচিত উপন্যাসের উপর নির্মিত এক ঘণ্টা চৌত্রিশ মিনিটের চলচিত্রটি চলচিত্রবোদ্ধা কিংবা সাধারণ দর্শকের কাছে ইতোমধ্যে একটি মাস্টারপিস হিসেবে পরিচিত । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশ্চর্য ভীতিকর সময়ের পটভূমিতে নির্মিত এই চলচিত্রে ফুটে উঠেছে আট বছর বয়সী দুই বালকের কালজয়ী বন্ধুত্ব। ঘৃণা ভালোবাসা নৃশংসতা- সব মিলিয়ে সদ্য কৈশোরে পা দেয়া এক বালকের বর্ণনায় অসাধারণ এক চিত্রায়ন The Boy In The Striped Pajamas
The Boy In The Striped Pajamas চলচিত্রটি ব্রুনো নামে এক বালকের গল্প দিয়ে শুরু হয় । পরিচিত বার্লিন শহর ছেড়ে তাকে পুরো পরিবারসহ চলে আসতে হয় পোল্যান্ড । ব্রুনোর বাবা রালফ জার্মান আর্মির পদস্থ কর্মকর্তা, প্রমোশন পেয়ে কম্যান্ড্যান্ট পদমর্যাদা লাভ করে। ব্রুনোর মা এলসা এবং বড় বোন গ্রেটেল ছাড়াও তাদের গৃহকর্মী মারিয়া আসে তাদের নতুন ঠিকানায়। চরিত্র বিশ্লেষণে, রালফ একজন জার্মান জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী এসএস কম্যান্ড্যান্ট, এলসা চিরায়ত জার্মান স্ত্রীর মতো তার সাথে থাকে। গ্রেটেল তার বাবাকে নিয়ে গর্বিত এবং স্বপ্ন দেখে সেও একদিন বাবার মতোই পিতৃভূমির সেবা করবে । রালফের বাবা অর্থাৎ ব্রুনোর দাদা রালফের কর্মকান্ডে খুশি হলেও ব্রুনোর দাদী আগাগোড়াই নাজি বাহিনীর বিরোধিতা করেন ।
কড়া নিরাপত্তায় ঘেড়া বাসায় ব্রুনো ছটফট করতে থাকে । দুরের কাটাতারে ঘেরা কনসেনট্রেশন ক্যাম্প তার চোখ এড়ায় না । বন্দী পাখির মতোই একদিন ঠিক বেরুনোর রাস্তা খুজে নেয় পেছনের বাগানের একটা জানালা দিয়ে । এদিকে বয়সন্ধীতে পা দেয়া গ্রেটেল লেফটেন্যান্ট কোটলারের প্রেমে পরে। উগ্র জাতীয়তাবাদ তাকে ক্রমেই গ্রাস করতে থাকে । ব্রুনো আরো একা হতে থাকে। তাদের গৃহশিক্ষক হের লিসজ কিংবা ইহুদী গৃহকর্মী পাভেল ক্রমেই ব্রুনোর কিশোর মনকে না প্রশ্নের সম্মুক্ষিন করতে থাকে। মোটামুটি এই নিরস জীবনযাপন চলতেই থাকে যতদিন না ব্রুনো লুকিয়ে জানালা টপকে বাসার পেছনের জঙল দিয়ে ছুটতে ছুটতে ইহুদী কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে হাজির হয়। ব্রুনোর ধারণা ছিলো এটা কোন ফার্ম , তারা কোনো মজার খেলা খেলছে। ঘটনাচক্রে পরিচিত হয় কাটাতারের ওপারের তার সমবয়েসী এক ইহুদী ছেলে স্মুয়েল এর সাথে । পরিচয়, বন্ধুত্ব এবং পরিণতির মাধ্যমে গল্প এগিয়ে যায় দুই বালকের ।
স্মুয়েল এবং ব্রুনোর বন্ধুত্ব যত গভীর হতে থাকে, তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা তত দ্রুত বদলে যেতে থাকে। যুদ্ধের প্রভাব যে সবচেয়ে বেশি আর নির্মমভাবে শিশুদের মানসিকতার বিকাশে বাধা দেয়, সেটা গল্প যত এগুতে থাকে ততই তা উন্মোচিত হতে থাকে। ব্রুনোকে শেখানো হয় ইহুদিরা তাদের শ্ত্রু, There is no such thing as ‘Good Jew’, খারাপ অশুভ শক্তি হিসেবে ইহুদিদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় তাকে । কিন্তু পরিচিত বন্ধু স্মুয়েলের সাথে সে কিছুতেই মিলাতে পারে না।
The Boy In The Striped Pajamas চলচিত্রটিতে রালফ অর্থাৎ ব্রুনোর বাবাকে যথেষ্ট স্নেহপ্রবণ একজন বাবা হিসেবে দেখানো হয়েছে। একজন বাবা যে তার সন্তানদের যথেষ্ট ভালোবাসে, সেই কিনা আরেকজনের সন্তান বা প্রেমিকা বা বাবাকে হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইহুদী নিধনে জার্মান হলোকাস্ট যে কোনো কল্পিত দানবেরা সংগঠিত করেনি, বরং সাধারণ মানুষের মতোই দেখতে কারোর দ্বারা হয়েছে, গভীর দর্শনে তা খুব স্পষ্টতই বোঝা যায়। ইহুদীবিদ্বেষ জার্মানদের এতটাই প্রখর হয়েছিলো যে এদের তারা মানুষই মনে করতো না, খুব নির্মম ভাবে এসত্যটা ফুটে উঠেছে লেফট্যানেন্ট কোটলারের কথায়, They smell even worse when they burn, don’t they?
সুক্ষ্ণ কিছু বিষয় আছে The Boy In The Striped Pajamas চলচিত্রে। যেমন ব্রুনোর মা এলসা তার বিয়ের আংটি পরেছেন ডান হাতে, জার্মানরীতি অনুযায়ী যেটা পুরোপুরি সঠিক। আবার ব্রুনোর দাদী পুরো সময় জুড়ে নাজি কর্মকান্ডের বিরোধিতা করেছেন। হিটলারের সময় খোদ জার্মানীতেও তার বিরোধিপক্ষ ছিলো এটা যেমন সত্য, তাদের বিভিন্নভাবে মেরে ফেলা হয়েছে এটাও সত্য। ব্রুনো যখন তার বাবার বদলি হবার কথা শুনে , তার বক্তব্য ছিলো He’s still going to be a soldier though, isn’t he? শিশুমনের কত সহজ অথচ জটিল প্রশ্ন !
কিছু অসঙ্গতি যে চোখে পরেনি তা না । শুরুতেই খটকা লাগে ট্রেনে গ্রেটেলের প্রার্থনার দৃশ্যে। নাজি পরিবারগুলো সাধারণতা ধর্মহীন না হলেও তারা সাধারণ খৃষ্টীয় প্রার্থণাকে নিরুতসাহিত করে। ব্রুনো যখন একটা টায়ার দিয়ে দোলনা বানিয়ে নেয়, যে চাকাটা পাভেল নিয়ে যায়, দোলনা বানানো শেষে সেখানে অন্য চাকা দেখা যায়। আটচল্লিশ মিনিটের শুরুতে বল হাতে ব্রুনো যখন ব্যাকডোর দিয়ে বাসায় ফিরতে যেয়ে মায়ের সামনে পরে যায়, প্রথম দৃশ্যে সে দরজাটা লাগিয়ে দিলেও পরে সেটা খোলা দেখা যায়। রালফের পদোন্নতির পরে তার কলারে স্কেলিটন মার্ক যুক্ত হয়,তা মুলত জার্মান আর্মির। কিন্তু কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পগুলোর দায়িত্বে থাকতো একজন এসএস কম্যান্দ্যান্ট মিলিশিয়া। যাদের পোশাক হতো কালো। তবে এসব তুচ্ছ অসঙ্গতি না থাকাটাই বরং অস্বাভাবিক।
Childhood is measured out by sounds and smells and sights,
before the dark hour of reason grows.
- John Betjeman

- IMDB: 7.8/10 -RottenTomatoes: 63% -MetaCritic: 55% আমি গল্প, অভিনয়, আবেদন সব মিলিয়ে মুভিটাকে 2.8/4 রেটিং দিবো।
অদ্ভুত সুন্দর একটা মাদকতা আছে The Boy In The Striped Pajamas মুভিটাতে । আপনার মন খারাপ করে দিবে, নিজের অজান্তেই আবার কখন দেখবেন এক চিলতে হাসি চলে এসেছে। দুজন মানুষ ,দুটি আট বছরের শিশু, যারা তথাকথিত বড়দের তৈরী সব কাটাতারে বন্দী হয় না, বরং মানুষের যে চরিত্র হওয়া প্রয়োজন, তাই জীবন্ত হয়ে উঠে তাদের মধ্যে। ধর্ম,বর্ণ, জাতীয়তার অদৃশ্য ঠুনকো কাটাতার অথবা দৃশ্যমান কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, সবকিছুর উর্দ্ধে তারা কি এক মরণপিয়াসী বন্ধুত্বে জড়িয়ে পরে, গল্পের মাঝামাঝিতেই দর্শক শেষটা অনুমান করে নিতে পারে, তবুও চায় যেনো যেটা দৃশ্যমান সেটা যেনো না হয়, প্রতিবার দেখার সময় দর্শক প্রার্থণা করে এবার যেনো শেষটা অন্যরকম হয় ।
নীহারিকা বলছেনঃ
সুন্দর
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
মানুষের হিংস্রতা পশুর হিংস্রতা থেকেও ভয়ংকর।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ vibramicina 100mg doxycycline
সহমত কারাগার… [-( মানুষের হিংস্রতার কাছে পশুর হিংস্রতা কিছুই না…
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
levitra 5 mg nebenwirkungenমানুষের ভালবাসাও পশুর ভালবাসা থেকে অনেক বেশি সুন্দর।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ insulinresistenz metformin gewichtsabnahme
যদিও বিরল…
ইদানীং চারিদিকে তাকালে কেবল হিংস্রতাই চোখে পড়ে, ভালোবাসা যেন অলীক বস্তু হয়ে গেছে…
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
কারণটা হতে পারে, আপনি সেটাই দেখতে চান।
ণ বলছেনঃ
যার মনে যা. . .
তারিক লিংকন বলছেনঃ
কয়েকজনের কাছে শুনলাম, মুভিটি দেখতে হবে!! আপনার রিভিউ পড়ে দেখার ইচ্ছা আরো প্রবল হল
ণ বলছেনঃ
কিংবদন্তী মুভিখোর “স্যার ডন মাইকেল কর্লিওনি”র মতো বলতে চাই, ‘ এইটা এখনো দেখেন নাই ! আজকেই দেখবেন ‘ brain injury and viagra
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এইভাবে না পচাইলে হইত না… >:P
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
দেখেছিলাম মুভিটা। চমৎকার একটা মুভি এটা। আর আপনার রিভিউটাও দারুন হয়েছে
amandine cytotec
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
synthroid drug interactions calciumহুম , ভিন্ন ধারার সত্যিই চমৎকার একটা রিভিউ… :-bd
ণ বলছেনঃ
পুরো মুভিটা হৃদয় নিংড়ে বানানো, কিন্তু সব জল বাধ ভেঙে যায় শেষের দিকে ব্রুনোর মায়ের কান্নার দৃশ্যে
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
দারুণ হচ্ছে আপনার মুভি রিভিউগুলো। আর শুধুই প্রশংসাবানে না ভাসিয়ে যথার্থ ক্রিটিসিজমটাও ভাল লাগছে। আরও ভাল লাগছে পুরো মুভি এতটা সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ। আমি হলে এর কোন অসঙ্গতিই চোখে পড়ত না, নিশ্চিত।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
সহমত ক্লান্ত… :-bd
ণ বলছেনঃ
ধন্যবাদ ক্লান্ত কালবৈশাখি, তবে এটা এ ব্লগে আমার প্রথম মুভি রিভিউ, আগেরটা বুক রিভিউ ছিলো।
Ask2ans বলছেনঃ
Thank you for the nice post.