বরূণার মেইল
837
বার পঠিত achat viagra cialis franceবরূণাকে আমি কখনোই খুব একটা পছন্দ করতাম না। বয়সে ও আমার চেয়ে অনেক বড় ছিল আর সম্পর্কে ছিল ভাবী। ভাবী হিসেবে আরই পছন্দ ছিল না ওকে। বরূণাকে সবসময় আমি নাম ধরেই ডেকেছি। ওকে সবাইই নাম ধরে ডাকত। আমার চার বছরের ভাগনীটাও ওকে বরূণা বলত। বরূণা কোনধরনের সম্বোধন পছন্দও করত না। এমনকি আম্মু যখন ‘মা’ বলে ডাকত ওটাও ওর অত পছন্দ ছিল না। আমি ঠিক জানিনা আমি কেন বরূণাকে পছন্দ করতাম না। তবে ওর মূখে সবসময় লেগে থাকা নির্লিপ্ততা খুব বিরক্তি তৈরি করত আমার। তাই হয়ত ভাল লাগত না। ভাইয়ার সাথে ওর সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ায় আমি সেজন্য খুশীই হয়েছিলাম। সম্পর্কটা অবশ্য ঐ ভেঙ্গেছিল। কোন কারণ ছাড়াই হুট করে সম্পর্কটা ভেঙ্গে ফেলে। তার দু’দিন পর শুনি অস্ট্রেলিয়া চলে গেছে। আগে থেকেই পছন্দ করতাম না ওকে তার উপর এমন অদ্ভুত আচরণে রাগ আরও বেড়ে গিয়েছিল। সবাই মিলে খুব দোষ দিয়েছিলাম। না, ‘খুব’ দোষারোপ মনে হয় আমিই করেছিলাম। বাকিরা অত বেশি করেনি করেনি। কথা নেই বার্তা নেই হঠাত করে এভাবে সম্পর্ক ভেঙ্গে চলে যাওয়ায় ভাইয়াকেও অনেক কথা শুনাতাম আমি। কারণ ওর এই সম্পর্কটা আমি কখনোই পছন্দ করতাম না। ভাইয়া অবশ্য তেমন কিছু বলত না। কাউকেই কিছু বলত না। বুঝতাম না, ওর কি কোন অনুভূতি নেই? বরূণার সাথে থাকতে থাকতে ওর-ও কি নির্লিপ্ততা রোগে ধরল নাকি? আমি বরূণাকে ঠিক যতটা অপছন্দ করতাম ভাইয়াকে ঠিক ততটাই পছন্দ করতাম। ভাইয়ার নির্লিপ্ততা তাই আমার সহ্য হত না। প্রায় ওর সাথে কথা বলতাম। জানতে চাইতাম। বুঝতে চাইতাম ও কি ভাবছে। এরকমভাবে একদিন জিজ্ঞেস করার পর ভাইয়া আমাকে একটা মেইল পড়তে দিল। সম্পর্ক ভাঙ্গার বেশ কয়েকমাস পর বরূণা ভাইয়াকে এই মেইলটা পাঠিয়েছিল। মেইলটা পড়ে আমার চোখে পানি চলে এসেছিল। আমি বরূণাকে কখনো এরকমভাবে কিছু বলতে দেখিনি। আমার মনেও হয়নি আমি বরূণার মেইল পড়ছি। আমি কাঁদছিলাম, ভাবছিলাম, অনুতপ্ত হয়েছিলাম। নিভৃতের সাথে আমার সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েগিয়েছিলাম। মেইলটা ব্যক্তিগত। কিন্তু তারপরও…
জিসান, cialis new c 100
অনেক আগেই তোমাকে এই মেইলটা পাঠানো উচিত ছিল। কিন্তু আমি ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারছিলাম না তাই পাঠাতে পারিনি। সম্পর্কটা হঠাত করে ভেঙ্গে দিয়ে তোমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় তুমি অনেক বিরক্ত হয়েছ জানি। তোমাকে কিছু না জানিয়ে হঠাত এধরনের অযৌক্তিক, অভদ্র আচরণে অবাক হয়েছ সেটাও জানি। নিলয় আমাকে অনেক কথা শুনিয়েছে এ নিয়ে। সত্যি বলতে আমিও অবাক হয়েছি। তোমার কাছেও এটাকে অযৌক্তিক, ছেলেমানুষী মনে হল? নিলয়, রিদিতা ওরা কিছু জানেনা এমনকি আমাকেও জানেনা। ওরা এরকম বলতেই আরে ভাবতেই পারে। কিন্তু তুমি তো জান আমি সহজে অযৌক্তিক কাজ করিনা। তোমার চেয়ে অনেক বেশি আমি এই সম্পর্কটা নিয়ে ভেবেছিলাম। তোমার চেয়ে অনেক বেশি ভালবেসেছিলাম। জিসান, তোমার শেষের দুই মাসের কথা মনে আছে? আমার জীবনের সুন্দরতম সময়গুলোর একটা ঐ দুই মাসজুড়ে কেটেছে। কিছুই না কিন্তু অনেককিছু করে। জিসান তোমাকে ধন্যবাদ ঐ দুই মাসের জন্য। ঐ সময়টা আমি কখনো ভুলতে পারব না। বৈকুণ্ঠপুরের নারায়ণ যেমন সিঁথিতে সিঁদুর দিতে ভোলে না আমিও ভুলব না। যাই হোক এপ্রিলের পর থেকে বাকি পুরোটা সময় ‘আমার’ কেটেছে ঐ দুইমাসের সুখস্মৃতির উপর ভর করে। মানুষ বদলে যায়। প্রতিমুহূর্তে বদলায়। কিন্তু মুহূর্তের চেয়ে দ্রুত বদলে গেলে সেটা মেনে নেওয়া কষ্ট হয়। তুমি মুহূর্তের চেয়ে দ্রুত পালটে গেছ। আমিও তাই মানতে পারিনি। তুমি লিয়ানার কথা বলার পরও তাই আমি ঠিক বুঝতে পারিনি আমার এখানেই ইতি টানা উচিত। আমি তখনো ঐ সুখস্মৃতিগুলোকে ধরে বসেছিলাম। আমার তখনো মনে হচ্ছিল এই সময়টা তো তোমার সাথেই পার করেছি। হয়ত সব ঠিক হবে। সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু জিসান তুমি কি একবারও ভেবেছ এরপর আমরা যে সময়টা পার করেছি তা ছিল নৈতিকতার চূড়ান্ত অবক্ষয়? জিসান আমি তোমাকে খুব ভালবাসতাম। তুমি আমাকে ক্ষমা কোরো কিন্তু শুধু ভালবাসতাম জন্যই তুমি লিয়ানাকে ভালবাসো জেনেও আমি তোমার সাথে সম্পর্কটা চালিয়ে গিয়েছিলাম। না না, ওটা কোন সম্পর্ক ছিল না তখন আর। যদিও আমরা মোহাচ্ছন্ন কিছুটা সময় কাটিয়েছি। কিন্তু বাকিটা সময় তুমি অনুতপ্ত থাকতে, আমিও কষ্ট পেতাম। তোমার চোখে ভালবাসা দেখতাম না, অনুভবও করতাম না তেমন কিছু। ঐ সময়গুলো আমাদের কোন আনন্দ দিত না। তারপরও কাটিয়েছিলাম। কতটা অশ্লীল! আমি জানিনা রিদিতা, নিলয় অশ্লীলতা বলতে কি বোঝে আর কি বুঝে আমাকে তা বলেছে। কিন্তু তোমার আমার অশ্লীলতা বোধ তো একই ছিল। মানসিক প্রশান্তি ছাড়া একরকম জোর করে সম্পর্কটা গভীর করা কি তোমার আমার কাছে অনৈতিক মনে হত না? আমরা আসলেই মোহান্ধ ছিলাম। অবশ্য জোরটা আমিই করেছি। মোহান্ধ আমিই ছিলাম। তোমার ভদ্রতা, দায়িত্ববোধের এক সুযোগ নিয়েছি আমি। জিসান আমি জানতাম তুমি আমাকে কষ্ট দিতে চাও না। তুমি সবকিছু ঠিক রাখতে চাচ্ছিলে। আমি তখন এই সম্পর্কের কথা বলে আরো বেশি চাপ তৈরি করেছিলাম। তবে আমি না বুঝেই করেছিলাম। আমি খুব সরি বাট ফ্র্যাংকলি স্পিকিং জিসান, এটা বুঝতে আমার অনেকটা সময় লেগেছিল। আমি যখন বুঝতে পেরেছি আমি চূড়ান্ত কপটতা করছি, এমনকি নিজের সাথে নিজেই তখনই আমি সম্পর্কটা ভেঙ্গে ফেলেছি। তখন যোগাযোগটা বন্ধ করারও খুব প্রয়োজন ছিল। জিসান, তুমি জানো আমি কতটা দূর্বল তোমার প্রতি তাই তোমার আশেপাশে থেকে আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না। আমি বারবার এই বিষয়গুলো টেনে আনতাম। আমার আমাকে সময় দেওয়া দরকার ছিল খুব বেশি। তাই আমি এরকম অভদ্রতা করেছিলাম। তোমাকে আমার জন্য অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমি অনৈতিক অনেক কিছু করেছি। কিন্তু তুমি তো জানো কতটা আবেগপ্রবণ হয়ে এরকম করেছি। তোমাকে খুব মিস করি। আর এখানে এখন তো করিই। নতুন লেকচার শিটগুলো তৈরি করার পর খুব ইচ্ছা হয় তোমাকে দেখাতে। গত মাসে খুব সুন্দর একটা শিট তৈরি করেছিলাম। রিদন, অনুপম, সুভ্রারা খুব প্রশংসা করেছিল। তখন খুব ইচ্ছে হয়েছিল তোমাকে একবার পড়াতে। তোমার কাছ থেকে কিছু শুনতে। নতুন কোন বই পড়লেও এখন খুব মনে পড়ে তোমাকে। খুব মিস করি আগের ডিসকাশনগুলো। আগে কাছ থেকে দেখলে তোমাকে অনেক বড় মনে হত, এখন যখন দূর থেকে দেখি আরো অনেক বড় লাগে, অনেক বেশি সুন্দর মানুষ মনে হয়। এখন মাঝে মাঝেই মনে হয় তোমাকে পাওয়ার মত সৌভাগ্য আর হারানোর মত দূর্ভাগ্য দ্বিতীয়টি হয়নি আমার। বাংলা এখন আর আগের মত গুছিয়ে লিখতে পারিনা। অনেক ভুল ধরার সুযোগ রেখে দিলাম তাই; খোঁচা মারারও। আমি ভালই আছি। তুমি ভাল থেকো। (খুব ভালবাসি) doctorate of pharmacy online
মেইলটা পড়ে আমার খুব কান্না পাচ্ছিল। ভাইয়া মেইলটার কোন উত্তর দেয়নি। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন দেয়নি? আমি ওর উত্তর শুনে খুব অবাক হয়েছিলাম। ও বলেছিল, ‘আমি এখনো অশ্লীলতা মানে বুঝতে পারিনি। এই কথাগুলোর অর্থ বুঝতে আমার আরো সময় লাগবে।’
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
কি মন্তব্য করা উচিত বুঝতে পারছি না…
আমি একটা জিনিস উপলদ্ধি করলাম সেটা হল – মানুষ যখন কাউকে বা কোন কিছুকে খুব বেশি ভালবাসে তখন তাকে বা সেই জিনিসটাকে সে হারিয়ে ফেলে। nolvadex and clomid prices
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আপনার মনে হয় আমার ভাইয়ের মত সময় নিবেন- মন্তব্য করতে
আমি ঠিক জানি না।
অংকুর বলছেনঃ
আপনার এই কথাটা আমারও মনে হয়। প্রকৃতি হয়ত বেশি সুখ পছন্দ করেনা
তারিক লিংকন বলছেনঃ
মেইলটা ভাল লাগলো..
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আমার হইল মন খারাপ আর আপনার ভালা লাগছে এরেই কয় কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ :/ :/
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আপনে এইখানেও খোঁচাইতেছেন ? :-S
অংকুর বলছেনঃ
না না, ঠিকই আছে
অংকুর বলছেনঃ
হ। কি আর কইতাম? লিংকন ভাই এর ফিলিংস কি বিড়ি খাইতে গেছে নাকি?
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
মাশিয়াত খান বলছেনঃ will metformin help me lose weight fast
এই কথার মানে আমি বুঝিনি
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
মজাইলাম।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
হা হা
অংকুর বলছেনঃ
কি?
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আপনার মন্তব্য পড়ে হাসলাম
ইলোসিয়া মৌনিন বলছেনঃ
সুন্দর ও ইনসাইটফুল….
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
অংকুর বলছেনঃ
পড়ছেন?
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
কাকে বললেন?
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
মেইলটা পড়ে কষ্ট লাগলো
আর কিছু বলতে পারছি নাহ্…
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
অংকুর বলছেনঃ
আসলে কী বলব! সম্পর্ক ভাঙ্গা বিষয়টা কষ্টদায়ক। পরে যদি এরকম একটা বিষয় পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই থাকেনা walgreens pharmacy technician application online
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
হুম। জানি
অংকুর বলছেনঃ
হুম :F :\\
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
side effects of quitting prednisone cold turkeyএইটা কি?