নিরপেক্ষতার মানদন্ড এবং আমাদের নিরপেক্ষতা
483
বার পঠিতনিরপেক্ষতা আসলে কি? metformin tablet
নিরপেক্ষতা বা Neutralism কে রাজনৈতিক আদর্শের ক্ষেত্রে দল নিরপেক্ষ বা Nonalignment ও বলা যেতে পারে। শান্তিকালীন সময়ে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে রাজনৈতিক বা আদর্শগত সম্মিলনে দল নিরপেক্ষ থেকে মতামত দেয়াকেই নিরপেক্ষতা বলে। তাহলে কি দাঁড়াল? tome cytotec y solo sangro cuando orino
এখন কোনটা কে নিরপেক্ষতা বলব? বিচারক নিরপেক্ষ থাকেন কিভাবে? আচ্ছা বিচারক কি খুনি বা বাদির প্রশ্নে নিরপেক্ষ থাকেন? নাকি বিচারক খুনি বের করেন? আমরা এইটা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি বিচারক আসামি আসলেই খুনি কিনা তা যাচায় করেন সমস্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ এবং সংখ্যালঘিষ্ঠ মতামতের যথাযথ ও পক্ষপাতহীন প্রতিফলনের ভিত্তিতে অর্থাৎ নিরপেক্ষতা বলতে বুঝায় সত্যের পক্ষে থাকাকে। বিচারক শুনানি শুনে বের করবেন আসল সত্য কি? আর নিরপেক্ষতার মানদণ্ড তাই সর্বদায় সত্য!!
এদিকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বা Neutral point of view (NPOV) হচ্ছে ‘কোন বিষয়ে বা নিবন্ধে বিষয়বস্তু সংক্রান্ত সমস্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ, গুরুত্বপূর্ণ এবং সংখ্যালঘিষ্ঠ মতামতের যথাযথ ও পক্ষপাতহীন বিশ্লেষণের যথার্থ প্রতিফলন ঘটা’।
এক কথায় ‘সত্যানুসন্ধানে কোন দল বা গোষ্ঠীর পক্ষপাতদুষ্ট না থেকে সত্য প্রতিষ্ঠিত করায় নিরপেক্ষতা।’ অর্থাৎ ‘সত্যই সুন্দর আর সত্যই নিরপেক্ষ’।
প্রসঙ্গত ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট দেওয়া হাইকোর্টের এক রায়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত খন্দকার মোশতাক আহমদ, আবু সা’দাত মোহাম্মদ সায়েম ও জিয়াউর রহমানের শাসনকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়।। ফলে মোশতাক, সায়েম ও জিয়ার ক্ষমতাকে সংবিধানের যে সংশোধনীর মাধ্যমে বৈধতা দেয়া হয় তা অবৈধ হয়ে যায়। রায়ের পরপরই সেই রাতেই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার চেম্বার বিচারপতির আদালতে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদন জানালে তা স্থগিত হয়ে যায়। এইখানে আদালত নিরপেক্ষ সত্য প্রকাশে রায় দিয়েছে আর দলীয় সরকার তার দলের সুনাম রক্ষার্থে বাধা দিয়েছে। কিন্তু সত্যের প্রকাশ অবধারিতও। সত্য একদিন অবমুক্ত হবেই।
একটা ছোট উদাহরণ দেইঃ একদল ডাকাত পরছে পাশের বাড়ির করিম সাহেবের ঘরে। এখন তার প্রতিবেশীরা কি করবে? নিরপেক্ষতার ওজুহাতে বসে থাকবে? আমাদের সমাজে কি হবে এক দল ভয়ে দরজা বন্ধ করে কাঁপতে থাকবে, একদল পুলিশ এ ফোন করবে, একদল নিজেরাই আক্রান্তকে সাহায্য করতে যাবে আর হয়ত একদল আক্রান্তের সাথে পূর্বশত্রুতার জের ধরে তালি বাজাবে। এখন পাঠকই বের করে নিন কে নিরপেক্ষ আর এইখানে নিরপেক্ষতা কোনটা? অর্থাৎ নিরপেক্ষতা হচ্ছে আদর্শিক নৈতিকতার সাথে সম্পর্কযুক্ত একটি নৈতিক বিচার বিশ্লেষণ ক্ষমতা । মোদ্দাকথা আদর্শিক, নৈতিক বা সত্যের প্রশ্নে আদর্শ বা নৈতিকতার মানদণ্ড আপেক্ষিক হলেও সত্য হচ্ছে একটি সার্বজনীন বাস্তবতা। কেননা সত্য আদর্শ এবং নৈতিকতা নিরপেক্ষও।
অথচ এদিকে আমাদের গনমাধ্যমের (Electronic/ Press উভয়ই মাধ্যমেই) মধ্যে নিরপেক্ষতা নিয়ে একটা বিব্রান্তি আছে। তারা মনে হয় ভাবে নিজেদের নিরপেক্ষ প্রমানে প্রয়োজনে সত্য মিথ্যার মাঝ খানে থাকাও জরুরী। সত্য প্রকাশ করলে যদি একদলের সমর্থক পাঠক বা শ্রোতা অথবা দর্শক হারায় তাই তারা এমন সত্য-মিথ্যার মধ্যস্থতা করে বলে দৃশ্যত মনে হয়। কিন্তু ব্যাপারটা তা হওয়া উচিৎ না কেননা কোন সত্য প্রকাশ যদি কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষেও যায় বা কারো বিপক্ষেও যায় তবে তা প্রচারে বা প্রকাশে বিরত থাকাই বরং বস্তুনিষ্ঠ আর নিরপেক্ষ সংবাদ মাধ্যমের পরিপন্থী। সংবাদ মাধ্যমের আপেক্ষিক সত্যের প্রকাশ সত্যের মিথ্যাচার। সংবাদ মাধ্যম তাই সমাজের দর্পণ না হয়ে আজ হয়ে উঠেছে আদর্শের দর্পণ। যে সংবাদ মাধ্যম যে রাজনৈতিক আদর্শে আস্থা রাখে তাদের সত্যের বহিঃপ্রকাশ হয় সে দলের মোহাচ্ছন্ন।
যেমন কোন রাজনৈতিক দল রাজাকারদের দেশে এনে নাগরিকত্ব দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে জাতিকে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে বা কীভাবে গোটা ১ প্রজন্ম কে মিথ্যা বলছে আর ১/২ প্রজন্ম কে বিভ্রান্ত করছে বা করেছে আর আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে দূষিত করেছে এইসব সত্যের প্রকাশ করাই নিরপেক্ষতা। অন্যদিকে নিজেদের কাটতি ধরে রাখার জন্যে এইসব সত্যের গোপন করাই বরং স্বেচ্ছাচারিতা বা হঠকারিতা। যেমন আমি বলব এর জন্যে ঐ ২ সামরিক জান্তার বিচার হাওয়া উচিৎ আর এ জন্যে ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট দেওয়া হাইকোর্টের এক রায়তো আছেই। এদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসের দায়ে অভিযুক্ত করাও দরকার। কারন এই বাংলাদেশের একটাই সত্য তা হল ১৯৭১ আর ১৯৭১ এর চেতনা তদুপরি ১৯৭২ এর সংবিধান। মাকসুদের গানের কথাই বললে সে ২ যুগ (২ দশক ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬= ২১ বছর) এই বাংলা আগুনে পুরেছিলো তখনই মুল সর্বনাশটা হয়। যে এ্যালবাম বিএনপির প্রথম আমলে নিষিদ্ধ হয়। nolvadex and clomid prices
এই অন্ধকার যুগের পর আমাদের জন সাধারণের মানসিক নিরপেক্ষতা আর বিবেকবোধের অবস্থা দেখুন। শিল্পীদের থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম সবাই সত্য-মিথ্যার মাঝখানে থেকে কথা বলতে বলতে জাতির জনক আর স্বাধীন বাংলাদেশের রাজাকারের জনককে এক করে নিজেদের নিরপেক্ষ প্রমান করছেন। সে অন্ধকারাচ্ছন্ন দুই যুগের ( আদতে দুই দশক) পর জেমস বা Stoic Bliss এর মত গায়কের বা ব্যান্ড দলের গানের কথা কেমন হয়েছে দেখিঃ
“…তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুন জালা-জ্বালাময়ি সে ভাষন..
তুমি ধানের শিশে মিশে থাকা শহিদ জিয়ার স্বপন….” [জেমস]
বা, “..Military Legends Zia one of a kind.” [Stoic Bliss -Bangladesh ২:১০ থেকে ২:২৫ সেকেন্ডে] clomid over the counter
এই সবই কি আমাদের তথাকথিত নিরপেক্ষতা লেভাজ নয়? এই গান গুলোর রেফারেন্স দিলাম এই কারনে যে, আমাদের শিল্পিরা ও নিজেদের নিরপেক্ষ প্রমান করার প্রয়াসে বা কাটতি ধরে রাখতে চেয়েছেন সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে। সত্য বলতে যদি শিল্পীরা ভীত থাকে নিজেদের নিরপেক্ষতা আর গ্রহণযোগ্যতা হারানোর ভয়ে তবে আতঙ্কিত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না সত্যানুসন্ধানি মানুষের। নিজেদের তথাকথিত নিরপেক্ষ রাখতে গিয়ে সত্যের সাথে কম্প্রোমাইজ করলে দেশের ক্ষতি ছাড়া লাভ কখনই হবে না। আর তাই সংবাদমাধ্যম, দায়িত্ববান শিল্পী ও সকল সোশ্যাল মিডিয়াকে মনে রাখতে হবে
‘স্বাধীনতাই হচ্ছে মঙ্গলময় রাজনীতির মর্মকথা আর সত্যের প্রকাশ ছাড়া মঙ্গলময় রাজনীতি বাতুলতা’।
সরাসরি রাজনীতির কথায় আসলে বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি ধারন করে না এমন কোন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পেতে পারে না। গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতিয়তাবাদ, ও ধর্মনিরপেক্ষতা এই ৪ মূলনীতি কোন রাজনৈতিক দল ধারন না করলে সে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। কারন তা হলে আমাদের সংবিধানের সাথে ঐ সংগঠনের সংবিধান সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে যা আইনত বেআইনি। এইসব সত্য প্রকাশের বাধা হতে পারেনা কোন নিরপেক্ষতার ওজুহাত। তাই সকল সংবাদমাধ্যমকে নিরপেক্ষতার মানদণ্ড বলে সত্যকে নির্ধারণ করতে হবে এবং জাতিকে সকল বিষয়ে সত্য জানাতে হবে যা যেকোন সময় যে কোন দলের পক্ষে যেতে পারে তা সংবাদমাধ্যমের ভাবার বা দেখার বিষয় না। আর তাই নিরপেক্ষতার মানদণ্ড হবে নির্ভীক চিত্তে বস্তুনিষ্ঠ সত্য প্রকাশ যা স্বাধীন সমাজ ব্যাবস্থা আর মঙ্গলময় রাজনীতি গড়ে তুলবে।
তথাকথিত নিরপেক্ষতা নয় বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যেনিষ্ঠ নিরপেক্ষতার জয় হোক…
নোটঃ পূর্বে অন্য দুটি ব্লগে প্রকাশিত , বর্তমানে ঈষৎ পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
zoloft birth defects 2013নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা এখন বিকৃতই হয়ে গেছে। এজন্য মোহাম্মদী এ আরাফাত একবার বলেছিলেন
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ধন্যবাদ পড়বার জন্য..
একজন আইজুদ্দিন বলছেনঃ
এই জন্যই আপনি তারিক লিংকন,
আমি নই!
তারিক লিংকন বলছেনঃ
দাদা কি বলছেন যে!!!