বাংলা কবিতায় ছন্দ ; কিছু প্রাথমিক আলোচনা
904
বার পঠিতকখনও কবিতা আবৃতি করিনি, আমাদের মধ্যে এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে। কেউ হয়তো নিজে নিজেই আনমনে গুনগুন করে কবিতার লাইন আউড়েছি। আবার কেউ বা নিজেকে লুকিয়ে রাখার পক্ষপাতি ছিলাম না। স্কুলের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হাত পা নেড়ে নেড়ে আবৃতি করেছি -
ভোর হল দোর খোল খুকুমণি ওঠো রে
ওই ডাকে জুঁই শাঁখে ফুলখুকি ছোট রে।
কিন্তু, কখনও কি খেয়াল করেছি, “ভোর হল” কিংবা “জুঁইশাঁখে” বলার পর নিজের অজান্তেই কিছুক্ষণের জন্য থেমে যাচ্ছি? কেউ কেউ হয়তো করেছি। কিন্তু, বেশিরভাগ এরই অবচেতন মনে ঘটেছে ঘটনাটি।
এই থেমে যাওয়া থেকেই ছন্দের শুরু। ছন্দ বুঝতে হলে সবার আগে বুঝতে হবে মাত্রা। সহজ কথায়, একটা শব্দের যতটুকু অংশকে একবারে উচ্চারণ করা যায়, তাই মাত্রা। যেমন, মা শব্দটি একমাত্রা। আবার নীরবতা শব্দটি চার মাত্রা। কিন্তু, এই সহজ কথাটা আবার এত সহজ না। বন শব্দটি কোন ছন্দে একমাত্রা আবার কোন ছন্দে দ্বিমাত্রা। নির্ভেজাল শব্দে আরও ভেজাল। এই শব্দ কোন ছন্দে তিন মাত্রা, কোনটায় চার মাত্রা আবার কোন ছন্দে পাঁচ মাত্রা।
মাত্রা আর ছন্দের ভেজালে যাবার আগে আরও দুটো বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নেয়া ভাল। একটা হচ্ছে অর্ধমাত্রা আরেকটা হচ্ছে পর্ব।
অর্ধমাত্রার বিষয়টা একটা উদাহরণ দিলে পরিষ্কার হবে। আসন শব্দটার কথা ধরা যাক। আ একবারে উচ্চারণ করা যায় বলে এটা একমাত্রা। কিন্তু, সনএকবারে উচ্চারণ করা গেলেও এটা উচ্চারণ করতে আ কিংবা মা এর থেকে বেশি সময় লাগে। তাই, সকে একমাত্রা ধরা হয়। আর ন উচ্চারিত হয় স এর ঘাড়ে চেপে। তাই ন কে ধরা হয় অর্ধমাত্রা। একইভাবে বন এ ব একমাত্রা আর ন অর্ধমাত্রা।
ভোর হল দোর খোলো খুকুমণি ওঠোরে লাইনে আমরা ভোর হল কিংবা দোর খোলো একবারে উচ্চারণ করি। এই একবারে উচ্চারিত অংশই পর্ব। খুলি হাল তুলি পাল এই তরী চলল এই লাইনে খুলি হাল, তুলি পাল, এই তরী, চলল এগুলো চারটে ভিন্ন ভিন্ন পর্ব।
এই পর্ব আর মাত্রার হিসেবের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে ছন্দের প্রকারভেদ। বাংলা ভাষায় ছন্দ মূলত তিন প্রকার - মাত্রাবৃত্ত, স্বরবৃত্ত আর অক্ষরবৃত্ত। ছন্দের এই তিন প্রকার ছাড়াও গদ্যছন্দ নামে নতুন এক প্রকার ছন্দ দেখা যায়। তবে তা আমাদের আলোচনা বহির্ভূত।
প্রথমেই আসি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে। বাংলা ভাষায় সব থেকে বেশি কবিতা লেখা হয়েছে মাত্রাবৃত্ত ছন্দেই। মাত্রাবৃত্ত ছন্দে অর্ধমাত্রা কে পূর্ণমাত্রা ধরা হয়। আর সাধারণত এর এক পর্বে ছয় বা আট মাত্রা থাকে।
মসজিদ কাল শিরনি আছিল, অঢেল গোস্ত-রুটি doctus viagraবাঁচিয়া গিয়াছে মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটিকুটি
এখানে, মসজিদ এর মস দুই মাত্রা এবং জিদ দুই মাত্রা। আছিল এর আ একমাত্রা, ছি একমাত্রা ও লএকমাত্রা। আবার, এখানে মসজিদ কাল (২+২+২) ছয় মাত্রা, শিরনি আছিল (২+১+১+১+১) ছয় মাত্রা, অঢেল গোস্ত (১+২+২+১) ছয় মাত্রার পর্ব এবং রুটি দুই মাত্রার অপূর্ণ পর্ব। সেই হিসাবে বন দুই মাত্রা ও নির্ভেজাল পাঁচ মাত্রা| can levitra and viagra be taken together
এবার আসি স্বরবৃত্ত ছন্দে। বেশিরভাগ ছড়াই এই ছন্দে লেখা। এই ছন্দে অর্ধমাত্রা কে শূন্যমাত্রা ধরা হয়। অধিকাংশ পর্ব চার মাত্রার হয়।
বলব আমি আলসে মেয়ে ঘুমিয়ে তুমি থাকোহয়নি সকাল তাই বলে কি সকাল হবে নাকো?
এখানে আগের বা পরের লাইনের সাথে তুলনা করলেই দেখা যায়, বলব, আলসে, হয়নি, সকাল এই শব্দ গুলোকে দুই মাত্রা ধরা হয়েছে। অর্ধমাত্রা হিসাবে আনা হয়নি। আবার এভাবে হিসাব করলে দেখা যায়,হয়নি সকাল বা আলসে মেয়ে প্রভৃতি পর্ব চার মাত্রায় গঠিত। স্বরবৃত্ত ছন্দে বন একমাত্রা এবং নির্ভেজাল তিন মাত্রা। irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
সবশেষে অক্ষরবৃত্ত। বাংলা ভাষায় অক্ষরবৃত্ত ছন্দ খুব বেশি ব্যবহৃত না হলেও এই ছন্দের পরিধি অতি বিশাল। অক্ষরবৃত্ত ছন্দে অর্ধমাত্রা শব্দের মাঝে থাকলে শূন্য মাত্রা এবং শেষে থাকলে পূর্ণমাত্রা। যেমন বন দুই মাত্রা ও নির্ভেজাল চারমাত্রা। মাঝে থাকায় নির্ এক মাত্রা ও শেষে থাকায় জাল দুই মাত্রা।
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে।সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে,অনেক ঘুরেছি আমি।
এখানে লাইনে পর্বে মাত্রা বিন্যাস ৮+৮+৬ বুঝে নেয়ার দায়িত্ব পাঠকদের হাতে ছেড়ে দিলাম।
এই অক্ষরবৃত্ত ছন্দেরই প্রকারভেদ বহুল আলোচিত অমিত্রাক্ষর ছন্দ। এই ছন্দের বৈশিষ্ট্য অন্ত্যমিল না থাকা এবং লাইনের শেষে বক্তব্য শেষ না হয়ে পরের লাইন এ টেনে নেয়ার প্রবণতা (প্রবহমানতা)।
সম্মুখ সমরে পড়ি বীর চূড়ামণিবীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরেঅকালে…
এখানে লাইনের শেষে মিল নেই এবং বক্তব্য লাইনে শেষ না হয়ে পরের লাইনে গমন করে। missed several doses of synthroid
রবীন্দ্রনাথ প্রবর্তিত অক্ষরবৃত্ত ছন্দের আরেক প্রকারভেদ মুক্তক ছন্দ। এখানে অন্ত্যমিল থাকে কিন্তু, পর্ব বা মাত্রার বিন্যাস থাকে না।
প্রিয়া তারে রাখিল না, রাজ্য তারে ছেড়ে দিল পথ, posologie prednisolone 20mg zentivaরুধিল না সমুদ্র পর্বত। doctorate of pharmacy online
গদ্যছন্দের নামেই বোঝা যায়, এখানে অন্ত্যমিল, পর্ব, মাত্রা কিছুই থাকে না। অনলাইনে পড়া ৯০% কবিতাই এই শ্রেণীর বলে, নতুন করে আর কোন উদাহরণ দিলাম না। puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
অনেক ব্যাকরণবিদের মতে, মুক্তক বা গদ্যছন্দ অক্ষরবৃত্ত ছন্দের শ্রেণীবিভাগ নয়, বরং একটি স্বতন্ত্র শ্রেণী। আমি নিজেও এই মত সমর্থন করি।
এখন চলে যাই একেবারে প্রথম বলা কবিতাটায় – “ভোর হল দোর খোল খুকুমণি ওঠোরে।”
আমার এতক্ষণ এর আলোচনা বিন্দুমাত্র বোঝা গেলে বুঝতে পারবেন, এখানে পর্ব বিন্যাস ৪+৪+৪+৩ আর এখানে অর্ধমাত্রা কে পূর্ণ মাত্রা হিসেবে ধরা হয়েছে। তাই এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দ।
শেষ করি একটা চমকপ্রদ উদাহরণ দিয়ে। শামসুর রাহমান এর স্বাধীনতা তুমি কবিতাটা আমাদের সবার পড়া। আপনি কি জানেন এই কবিতাটায় ও ছন্দ আছে? এবং গদ্যছন্দে নয় এই কবিতা মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা। একটু মনে মনে আবৃতি করুন তো… achat viagra cialis france
স্বাধীনতা তুমি |রবি ঠাকুরের | অজর কবিতা | অবিনাশী গানস্বাধীনতা তুমি |কবি নজরুল | ঝাঁকড়া চুলের | বাবরি দোলানো | মহান পুরুষ |সৃষ্টি সুখের | উল্লাসে কাঁপা |
দুটো | চিহ্নের মাঝের অংশ গুলোকে কি ছয় মাত্রায় ভাগ করা যায়? হ্যাঁ, যাকে এতদিন গদ্য কবিতা ভেবেছেন, সেখানেও আছে ছন্দ।
আমাদের পরিচিত আরও অজস্র কবিতায় এমন মাত্রা পাওয়া যাবে। আমার এখন নেশা হয়ে গেছে কবিতার প্রতিটি লাইন কে ছন্দ আর মাত্রায় বিশ্লেষণ। খানিকক্ষণ চেষ্টা করে দেখুন। আপনিও উৎসাহী হয়ে উঠবেন। হারাবেন নাকি? কবিতার গোলকধাঁধায়?
মাশিয়াত খান বলছেনঃ wirkung viagra oder cialis
metformin tabletএকটু কঠিন লাগে বুঝতে। কিন্তু আমার জন্য উপকারী
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
প্রথমবারে হয়তো খানিকটা কঠিন লাগবে। কিন্তু, বইয়ের যে কোন একটা কবিতা নিয়ে বসুন। তারপর মিলিয়ে মিলিয়ে দেখুন। কয়েকবার চেষ্টা করলেই ধাতস্থ হয়ে যাবেন।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
দেখি… খাটনির বিষয়। না না দেখবই
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
acne doxycycline dosageহুম! চেষ্টা করে দেখুন। খুব একটা কঠিন কিছু না।
দ্য হোয়াইট শ্যাডো বলছেনঃ
বাহ বেশ গবেষনা করে লিখেছেন _ সুন্দর !
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
ধন্যবাদ আপনাকে।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
শেয়ার দিয়েছি! চরম দরকারি পোস্ট…
কিন্তু বেশীর ভাগই দুর্বোধ্য ঠেকেছে!!
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
হাজারী স্যারের কথা মনে পড়ে!
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
হাজারী আইলো কইত্তে!!! @-)
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
হাজারী স্যার নাকি এরকম দূর্বোধ্য ভাষা ব্যবহার করেন বা করতেন পড়ানোর সময়। যখনই কোন কিছু দূর্বোধ্য ঠেঁকে তখনই আমার হাজারী নাগের কথা মনে পড়ে। তাই বললাম। যেমন রসায়ন তেমন তার শিক্ষক!
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
ওই হাজারি!!! আমার ক্লাস নাইন-টেন-ইলেভেন-টুয়েলভ তামা তামা করে দিলো হালার্পো! :/ সামনে পাইলে অরে কোপাইতাম। ~x(
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এইটা কুন হাজারি? :-S
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
রসায়নের শিক্ষক। খুব সম্ভবত চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
লাগারই কথা। অনলাইনের বেশিরভাগ খ্যাতনামা কবিরও ছন্দ নিয়ে বিন্দুবিসর্গ আইডিয়াও নেই। সেখানে আপনি তো মনে হয় কবিতা তেমন একটা পড়েনও না।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আমিও পড়িনা। আসলে পড়লেও বুঝি কম। তাই আগ্রহ হয় না
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
তাহলে সুনীল দিয়ে শুরু করে দেখতে পারেন। levitra 20mg nebenwirkungen
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
buy kamagra oral jelly paypal ukবুঝছি!!!!
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
Well Done!