সত্যজিত রায় এর স্ক্রিপ্ট থেকে স্টিভেন স্পিলবার্গ ET তৈরি করেছিলেন! জানেন কি ?
422
বার পঠিত glyburide metformin 2.5 500mg tabs
আপনি জানেন কি?
কোন অফিশিয়াল প্রমান বা রেফারেন্স নেই কিন্তু এটা আসলেই ঘটেছিলো! মাস্টার মাইন্ড সত্যজিত রায় এর স্ক্রিপ্ট থেকে স্টিভেন স্পিলবার্গ ET তৈরি করেছিলেন !
১৯৬৩ সালে ইসমাইল মার্চেন্ট আর জেমস আইভরি একসাথে একটা মুভি করেন যার নাম ছিলো ” দ্য হাউজ হোল্ডার ” । এই টিমের অনেকের সাথে সত্যজিত রায়ের অনেক ঘনিষ্ঠ ওঠাবসা ছিলো! ঐ মুভির ডিভিডি রিলিজের দিন জেমস আইভরি সত্যজিত রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন, নিজেকে সত্যজিত রায়ের বেশ ফ্যান হিসেবে প্রমান দেন।
উপরের প্রস্তাবনা টুকু গুরুত্বপূর্ন কারন নিচে এটা কাজে লাগবে!
‘ফ্রেন্ডলি এলিয়েন কন্সেপ্ট’ এটার ধারনা সর্বপ্রথম এই সত্যজিত রায়ই প্রচলন করেন/ভাবেন! অ্যামেরিকান ফ্যানদের জন্য কিছু একটা চিন্তা তার মাথায় আসে। তার নিজের লেখা ছোটগল্প “বাংকু বাবু বন্ধু” গল্প থেকে ১৯৬৯ সালে ‘দ্য এলিয়েন’ নামে একটা কমপ্লিট স্ক্রিপ্ট দাড়া করিয়ে ফেলেন! যেখানে এই ফ্রেন্ডলি এলিয়েন এর গল্প আছে, যে ভিনগ্রহ থেকে এক এলিয়েন বালক এসে পৃথিবীর এক ছোট্ট ছেলের সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলে যার সেই সাথে এলিয়েন বালক আঙ্গুলের স্পর্শ দিয়ে রোগ সারানোর ক্ষমতা থাকে আর আস্তে আস্তে ছেলেটির সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা লাভ করে! ১৯৭০ এ সত্যজিত রায় হলিউডের বেশ কিছু প্রডিউসার এর সাথে কথা বলেন, তার ইচ্ছে অনুযায়ী “মারলোন ব্র্যান্ডো” কে হিরো হিসেবে নিয়ে ‘দ্য এলিয়েন’ মুভি তৈরি হবে! কিন্তু আসলে কোন প্রডিউসার ই সাহস করে সত্যজিত রায়ের ঐ স্ক্রিপ্ট/কন্সেপ্ট এর প্রতি বিনিয়োগ এর আগ্রহ প্রকাশ করেনি তেমন ভাবে। প্রায় দু বছর এভাবে বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে তার এই স্ক্রিপ্ট গুতো খেয়ে বেড়াতে লাগল। শেষ্মেষ সত্যজিত রায় অনেকটা বিরক্ত হয়ে স্বেচ্ছায় ‘দ্য এলিয়েন’ তৈরির পরিকল্পনা বাদ দেন।
কাহিনী এখানেঃ স্পিলবার্গ ET এর পেছনে ‘দ্য এলিয়েন’ এর স্ক্রিপ্ট এর অবদান অস্বীকার করেন। তার ভাষ্যমতে সে ঐসময় অনেক ইয়াং আর ‘দ্য এলিয়েন’ এর স্ক্রিপ্ট সম্পর্কে তার কোন ধারনাই ছিলো না। স্পিলবার্গের জন্ম ১৯৪৬ সালে সুতরাং তখন তার বয়স প্রায় ২২-২৩! আর স্পিল্বার্গ তার প্রথম ছবি তৈরি করে ২০ বছর বয়সে আর সেটাও ছিলো একটা সায়েন্স ফিকশন মুভি!
তারপরঃ ৭০ এর দশকে স্পিলবার্গ হলিউড কাপানো আরম্ভ করলেন! একে একে Jaws , Close Encounters of the Third Kind , আর ৮১সালে Raiders of the Lost Ark এর মত হিট সব ছবি! ক্লোজ এনকাউন্টারস এর জন্য ডিরেক্টর হিসেবে অস্কার নমিনেশন পেলেও অস্কার পাননি!
১৯৮২ সালে E.T. The Extra-Terrestrial এর জন্য আবার নমিনেশন পান স্পিলবার্গ। মোটামুটি সব কিছুই ঠিক ছিলো কিন্তু “গান্ধী”র কাছে ET হেরে যায়। গান্ধী’ সেরা মুভি আর ডিরেক্টর দুটোরই পুরস্কার জিতে নেয়!
ধারনা করা হয় কেউ একজন স্পিলবার্গের অস্কার পাবার সম্ভাবনা মাটি করে দেন। ইনি হলেন সেই জেমস আইভরি। সত্যজিত রায়ের ‘দ্য এলিয়েন’ এর স্ক্রিপ্ট এর সাথে ET এর প্লাগারিজম এর যে ১৫ বছরের ব্যবধানের সাক্ষ্মী হিসেবে আইভরি খুব ভালো করেই জানত যে স্পিলবার্গ ‘দ্য এলিয়েন’ থেকে প্লাগারাইজড! will metformin help me lose weight fast
আবার এটাও শোনা যায় যে, জেমস আইভরি ই স্পিলবার্গ কে আইডিয়া দেন যে, সত্যজিত রায় নামের এক মাস্টার মাইন্ড বাংগালী পরিচালকের এমন একটা স্ক্রিপ্ট হলিউডে গড়াগড়ি খেয়ে পড়ে আছে, তুমি চাইলেই মেরে দিতে পারো!
প্লাগারিজমের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্পিলবার্গ প্রচন্ড খেপে যান।
তিনি সত্যজিত রায় তথে গোটা ইন্ডিয়া উপমহাদেশের উপরেই চটে যান। পরবর্তীতে রাগের ক্ষোভ ঝাড়েন তার ১৯৮৪ সালের “ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যাণ্ড দ্য টেম্পল ওব ডুম’ এ :p ! এখানে ইন্ডিয়ানদের কে “eyeball soup swallowers” আর “monkey brain eaters” হিসেবে উপস্থাপন করেন তিনি।
৮০’র দশকে স্পিলবার্গ কোন অস্কার পাননি! synthroid drug interactions calcium
১৯৯২ সালে সত্যজিত রায় অস্কারে লাইফ টাইম এচিভমেন্ট এওয়ার্ড পান আর সে বছর ই পরোলোক গমন করেন!
১৯৯৩ সালে স্পিলবার্গ “Schindler’s List ” এর জন্য প্রথম অস্কার পান।
স্পিলবার্গ পরবর্তীতে Temple of Doom এর সম্পর্কে নিজের মুখেই স্বীকার করেন, ” আমি Temple of Doom নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট ছিলাম না। এটা অতিরিক্ত অন্ধকার, সাবটেরানিয়ান, আর অতিরিক্ত হরিফিক ছিলো। আমার মনে হয় এটা “পোল্টারজিস্ট” কে নতুন কে দেখানো হচ্ছে। ওখানে আমার ব্যক্তিগত অনুভূতির ছিটেফোটা ও ছিলো না”
আসলেই “ওখানে ব্যক্তিগত অনুভুতির ছিটেফোটা” ছিলো না, ছিল তার চেয়ে বেশি কিছু। ওখানে ছিলো রাগের বহি প্রকাশ _ এমন জানতে পেরে যে তার চেয়ে ভালো কোন ডিরেক্টর থাকতে পারে, তার চেয়ে অনেক বড় কোন মানুষ থাকতে পারে _ _
সত্যজিত রায় নিজেই ET তৈরির পরে বলেছিলেন ” ET would not have been possible without my script of The Alien being available throughout America in mimeographed copies ”
এই বিষয় গুলো বেশ করে বর্ননা করা হয়েছে ‘অ্যান্ড্রিউ রবিনসন’এর ““Satyajit Ray: The Inner Eye”” বইটিতে।
আরেক ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট হোল, তার আরো অনেক বছর বলিউডে রাকেশ দা :p ET থেকে মেরে দিয়ে “কোয়ি মিল গ্যায়া” তৈরি করেন। :v :v
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
না দাদা, আমি জানতাম না…
জেনে খুব ভাল লাগল।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ @};- @};- @};-
দ্য হোয়াইট শ্যাডো বলছেনঃ
ধন্যবাদ!
উদ্ভ্রান্ত পথিক বলছেনঃ
ভাল লাগল……..
গোলাপ নিন! can you tan after accutane
দ্য হোয়াইট শ্যাডো বলছেনঃ
ওকে , নিয়েই নিলাম
missed several doses of synthroid
অংকুর বলছেনঃ
বাহ,নতুন তথ্য পেলাম। জেনে ভালো লাগল।
দ্য হোয়াইট শ্যাডো বলছেনঃ
metformin gliclazide sitagliptinভালো লাগলে আমারো ভালো লাগল :p
তারিক লিংকন বলছেনঃ
zovirax vs. valtrex vs. famvirতথ্যটি ঝাপসা ঝাপসা জানা ছিল! আবারও জানলাম…
কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এইসবের প্রতিষ্ঠা করার কোন পদক্ষেপ কি নেয়া যায় না?
দ্য হোয়াইট শ্যাডো বলছেনঃ
আসলে ভাই, বিষয় টা এমন ভাবে প্রতিষ্ঠিত যে একটা ওপেন সিক্রেট স্থায়ী হয়ে গেছে! ঐ সময় টাতে সত্যজিত সাহেব বেঁচে থাকতেই কোন ব্যবস্থা নেন নি, শুধুমাত্র কিছু স্টেটমেন্ট দিয়েই উনি চুপ ছিলেন! এটা এখন এমনভাবেই পড়ে আছে, হলিউডের অধিকাংশ পুরনো ডিরেক্টর ঘটনাটা জানে, আর ওভাবেই স্থায়ী হয়ে গেছে! উদ্যোগ নেবার মত কেউ নেই সম্ভবত!
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
side effects of quitting prednisone cold turkey~x(