সুইসাইডাল টেন্ডেসি আর ক্রাইসিস এর সাথে কিছু যুদ্ধ!
বার পঠিত
তুমি একা নও, আমাদের মাঝে অনেকেই এই ঝামেলা নিয়ে ঘুরছে! অনেকে বলতে সবার মাঝেই কম বেশি এই টেন্ডেসি কাজ করে, জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে! আত্মহত্যা করতে চাবার মানসিকতা কোন চারিত্রিক সমস্যা নয়! এর মানে এই নয় যে তুমি পাগল-ছাগল/দুর্বল মানসিকতার বা ভাসানো মানসিকতার। সুইসাইডাল টেন্ডেসির কারন হোল এক জন সাধারন মানুষের যতটুকু পেইন সহ্য করার ক্ষমতা আছে, তার থেকে সে বেশি পেইনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যেটা অনেকটা অসহ্য আর চিরস্থায়ী মনে হয় ঐ মূহুর্তে! কিন্তু সময় আর সাপোর্ট পেলে যে কেউ ওই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে পারে !
## সুইসাইডাল চিন্তার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ সমূহঃ
————————–
১) এই মুহুর্তে বড় ধরনের কিছু না করার প্রতিজ্ঞাঃ
প্রচন্ড অসহ্য পেইন এর মধ্যে থাকলেও, চিন্তাধারা আর কার্যকারিতার ভিতরে কিছু দূরত্ব রাখা দরকার! নিজেই পিঙ্কি প্রমিজ করঃ “আগামী ২৪ ঘন্টা আমি কিছু করব না , পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পেইন পেলেও” বা এক সপ্তাহ অপেক্ষা করব! চিন্তাধারা আর কার্যকারিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য! সুইসাইডাল চিন্তাভাবনা কে বাস্তবে রূপ দেবার কোন প্রয়োজনই নেই! এমন কোন বাধ্য বাধকতা নেই, কেউ তোমার চিন্তা ধারাকে বাস্তব করার জন্য নিশ্চয়ই চাপ প্রয়োগ করছে না, তোমাকে নিয়ন্ত্রন করোতুমি অন্য কেউ না !! অপেক্ষা করতে থাকো, অপেক্ষা করতে থাকো ! পৃথিবীতে আনসলভড কিছুই নেই, সব তালারই চাবি পাওয়া যায়, না থাকলে তৈরি করে নিতে
হয়, কখনো ভেঙ্গে ফেলতে হয় প্রয়োজনে! পৃথিবীতে কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়!
২) ড্রাগস, অ্যালকোহলঃ
অনেকে মনে করে ড্রাগস এ সব বাস্তবতা উতরে যাওয়া যায়, নেশায় বুদ হয়ে থাকলেই শান্তি। কিন্তু ও নেশার জীবন থেকে সুইসাইড করাই বেটার। বেঁচে থেকে মরে যাবার চেয়ে একবারেই মরে যাওয়াই কি উচিত না ?? তাই ড্রাগস কে না আর মিডল ফিঙ্গার দেখাও সব সময়!
৩) আশপাশ টা নিরাপদ রাখোঃ
যখন ভালো বোধ করো, মন শক্ত করে যে সব জিনিস তুমি নিজে ব্যবহার করে নিজের ক্ষতি করতে পারো সে গুলো নিজের উদ্যোগে নাগালের বাইরে রাখো! ছুরি, স্লিপিং পিলস, রেজর, ক্ষুর, আগ্নেয়াস্ত্র এ গুলো সরিয়ে রাখো! যদি না করতে পারো,তাহলে তোমার নিজের জন্য নিরাপদ মনে হয় এমন কোন জায়গায় চলে যেতে পারো কিছু দিনের জন্য, বন্ধুর বাড়ি বা কোথাও বেড়াতে!
৪) বিশ্বাস রাখো, আশা নাও_ সব মানুষই এমন সময়ের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করেঃ
তোমার চেয়েও খারাপ সময় পার করে এ পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি লোক বেঁচে আছে, এই কথাটি মাথায় রেখো! সব সময় সুন্দর জীবনের সম্ভাবনা তোমার হাতের মুঠোয় সব সময়ই আছে যত স্ব-ঘৃনাকর, আশাহীনতা আর একাকিত্বের মধ্য দিয়ে তুমি যাও না কেন! শুধুমাত্র সব ক্ষেত্রে নিজে কে নিজের মত করে বিচার কোরো না, আর একা হবার চেষ্টা মাথা থেকে ফেলে দাও_ পৃথিবী অনেক বড়!
৫) অশুভ চিন্তা-ভাবনা গুলো নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখো নাঃ
আমাদের মধ্যে এটাই সবচেয়ে কার্যকরী উপায়, সুইসাইডাল টেন্ডেসি নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখা যাবে না কখনো! তুমি সবচেয়ে বিশ্বাস করো এমন কাউকে সব বলে দাও, চরম বিপদের মুহূর্তে হলেও তোমার প্রিয়জনেরা তোমাকে সাহায্য করার জন্য সর্বদা তৈরি থাকে, মাইন্ড ইট! টিচার, বন্ধু, থেরাপিস্ট, বাবা-মা চাচা যে কেউ হতে পারে, সবচেয়ে যার সাথে তুমি সবচেয়ে বেশি ফ্রেন্ডলি! লজ্জাবোধ সব সময় না দেখালেও চলে, এসব ক্ষেত্রে লজ্জা মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে! কোন এমব্যারেস্মেন্ট না রেখে বিশ্বাসযোগ্য কাউকে বলে দাও তোমার দুঃসময়ের কথা! বোঝা নিজের মাথায় যতটা ভারি, আরেক জনের সাহায্য পেলে তার ওজন অনেকটা কমানো যায়!!
## আমাদের এমন অনুভুতি হবার কারন কি ?
——————-
মানুষের অনুভুতির আধিক্য, ইমোশনাল পেইন মানুষ কে এমন ভাবনার দিকে ঠেলে দেয়! পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষই ইউনিক, ব্যাথার ধরন অনুযায়ী মানিয়ে নেওয়া মুস্কিল হয়ে যায়। অনেকে জ্ঞানদাতার ভূমিকা নিয়ে বলে এটা সুইসাইড করার কোন কারন হোল, ওতো একটা আবাল, ওর বাচার দরকার নেই, ভালোই হয়েছে! এমন মানুষের কথা কানে নিওনা। পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মানুষের অস্তিত্ব আলাদা, একজন যে চাপ নিতে পারে, অনেকে তার অর্ধেক চাপেই দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে। সহ্য করার ক্ষমতা মানসিক ও শারীরিক দুই দিক দিয়েই ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হয়!
## সুইসাইডাল থটগুলো ম্যাক্সিমাম সময়ই এমন কিছু থেকে জন্ম যেগুলো সারিয়ে তোলা যায়ঃ
—————————————————
হেরে যাওয়া,দুঃশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন, মেডিকেল কন্ডিশনস, ড্রাগ ডিপেন্ডেসি, আর্থিক সমস্যা, শিক্ষা জীবনের সমস্যা সহ জীবনের যে কোন সমস্যাই ভয়াবহ ইমোশনাল ডিস্ট্রেসের জন্মদিতে পারে! তারপর একটা বড় বিষয় সমস্যা সমাধানের নিরুপায়তা! আপাত দৃষ্টিতে কিছু সমস্যা আমাদের জীবনে ভয়াবহ গলার কাটার মত বিধে থাকে, কোন সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়না। কিন্তু একটু নিরিবিলি ভাবলে দেখা যায় একাধিক আর বেটার সল্যুশন মিলে যায়! কিছু মানসিক সমস্যা যেমন ডিপ্রেশন, এনক্সাইটি, বায়োপোলার ডিসওর্ডার সবই সারিয়ে তোলা যায়,জীবনযাত্রার পরিবর্তন, থেরাপি আর মেডিকেশনের মধ্যে দিয়ে! অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে সব মানুষেরা নিজেদের সমস্যার সমাধান খোজে তারা পসিবিলিটির চেয়ে বেশি উন্নতি করতে পারে এবং স্বাভাবিক জীবনে পরবর্তীতে বেশি কন্সট্রাক্টিভ হয়ে ওঠে। যদিও তুমি তোমার কোন সমস্যার জন্য ওলরেডী থেরাপি/চিকিতসা নিচ্ছো, তারপরেও নিজের মত করে সমাধানের চেষ্টা করা অতিরিক্ত জরুরী। কম্বাইন্ড প্রসেস এ ক্ষেত্রে দ্রুত তোমাকে সারিয়েতুলতে পারে!
## কেন এমন মনে হয় যে সুইসাইড ই একমাত্র সমাধানঃ
—————————-
যদি এই মূহুর্তে তোমার মনে হয় যে মৃত্যু ছাড়া আমার আর কোন সমাধান নেই, এর মানে এই না যে সমস্যার আর কোন সামাধান পৃথিবীতে বিরাজ করছে না। এটা হচ্ছে তুমি সাময়িক ভাবে তুমি আর কোন সমাধান খুঁজে পাচ্ছ না! পৃথিবীতে সব বস্তু/জিনিস/ প্রানীর কার্য দক্ষতার লিমিটেশন আছে, তার বেশি চাপ সে নিতে পারে না! সেটা যন্ত্র থেকে জীবন সব ক্ষেত্রেই সমান। আমাদের ব্রেইনের ও তেমন একটা ব্যাপার আছে, ব্যক্তি বিশেষে সেটা ভ্যারি করে। সামর্থ্যের বাইরে চাপ পড়লে সব কিছুই ম্যাল-ফাংশনাল হয়ে পড়ে, তখন কিছু রিপেয়ার/রেস্ট এর দরকার পড়ে। অতিরিক্ত চাপ সহজ তোমার চিন্তাভাবনা কে এলোমেলো করে যা সহজ জিনিস কে আরো কঠিন করে দেয়, তখন সমস্যার সমাধান স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি কঠিনরূপে আবির্ভূত হয় অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে ধরা দেয়!এ ক্ষেত্রে সময় ধরে অপেক্ষা করো বা অপেক্ষা করতে না চাইলে প্রিয় বিশ্বস্ত কাউকে সাহায্য করার একটা সুযোগ দাও!
## সুইসাইডাল ক্রাইসিস সবার জীবনেই সাময়িকঃ
—————————–
যদিও এমন মনে হয় যে এই দুঃখ/অসুখী জীবনের কোন শেষ নেই, কিন্তু এই অনুধাবন টা নিজের থেকেই করতে হবে যে পৃথিবীতে কোন সমস্যা/দুঃখ/সুখ/সুসময় কোনটাই চিরস্থায়ী নয়! “সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় সব সময়ই, অনুভুতিরাও বদলাতে বাধ্য সময়ের সাথে, অপ্রত্যাশিতভালো জীবন বদলানোর মত ঘটনা ঘটে যে কোন মূহুর্তে”। মনে রাখতে হবেঃ “সুইসাইড, একটি ‘টেম্পোরারি’ সমস্যার ‘পার্মানেন্ট’ সল্যুশন”। নিজেকে যথেষ্ট সময় দাও, অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে নিজের অনুকূলে আসার জন্য।
## রিচিং আউট ফর হেল্পঃ
——————
এই মূহুর্তে নিজের কাছে কিছুই ঠিক মনে না হয় _ মনে রেখো “দেয়ার আর মেনি পিপল হু ওয়ান্ট টু হেল্প ইয়ু ডিউরিং দিস ডিফিকাল্ট টাইম”। তারা তোমার সাথে তর্ক করতে যাবে না তোমার সমস্যা কতটুকু গভীর, তুমি কতটা মিজারেবল অনুভব করছ, অথবা শুধুমাত্র এক টুকু বলেই মুক্তি পেতে চাওয়া যে “আরে কি হইছে, এমন না কইরা কাজে মন দে! ওটা কোন ব্যাপার না”!তারা তোমাকে বিচার করতে চাবে না, তোমার দোষ খুঁজে বের করতে চাবে না। তারা শুধু তোমাকে শুনবে আর নিজের সাধ্যমত সাহায্য করার চেষ্টা করবে! শুধু তোমাকে একটু কষ্ট করে এমন মানুষ খুঁজে নিতে হবে। বেরিয়ে পড়ো,কাজে নেমে যাও, এখনি খুঁজে নাও এমন কাউকে! তুমি যদি উপরে বর্নিত ‘প্রথম পদক্ষেপ এর#১ স্টেপ থেকে ২৪ঘন্টা বা এক সপ্তাহ সময় বেছে নাও, এই সময় টা তে কাউকে বলে ফেলো তোমার সাথে কি কি হচ্ছে, কি চলছে তোমার ভিতরে ভিতরে !! ব্যাপার টা কাকে বলছ সেটা বিষয় না, এমন কাউকে বলতে হবে, যে তোমাকে জাজ না করেই বুঝে, হেল্প করতে চায় অন্তরদিয়ে !!
## কারোসাথে কিভাবে নিজের সুইসাইডাল থট নিয়ে কথা বলা যায়ঃ
————————
যদিও তুমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলো যে কারো সাথে কথা বলবা, তারপরেও এটা বেশ কঠিন মনে হতে পারে!
–> মানুষ টাকে ঠিক তোমার নিজের কথোপকথন টাই বলে দাও। তোমার যদি সুইসাইড করার কোন পরিকল্পনা থাকে তো এক্সপ্লেইন করো পুরোটা।
–> কিছু কথা যেমন “আই অ্যাম ডান”, “আমি আর নিতে পারছি” না জিনিস গুলো অনেক টা ঘোলাটে। তোমাকে বোঝাতে হবে যে বিষয় টা আসলে বিষয় টা কতটা সিরিয়াস! তাকে বলো যে তুমি সুইসাইড কথা সিদ্ধান্ত নিয়েছ।
–> যদি তোমার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে তুমি বলতে পারবে না, তাহলে নিজের মনের কথা গুলো লিখে ফেলো। নোটটা তার হাতে দাও। ইদানিং সামাজিক যোগাযোগ সাইটে সাহায্য পাওয়া টা আরো অনেক বেশি সহজ! তোমার কথা গুলো লিখে প্রিয় কাউকে ইনবক্স করতে পারো! লেখার বিষয় টা বলার চেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই সহজ! বিশেষ করে যারা সামাজিক ভাবে কিছুটা অকার্ড হয়।
## কি হবে যদি তারা তোমাকে বুঝতে না পারে?
———————–
যদি এমন হয় যে তুমি যাকে বেছে নিয়েছ তোমার ওর্স্ট টাইমের গল্প বলতে কিন্তু সে তোমাকে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে, অন্য কাউকে খুঁজে নাও। এক জনের কাছ থেকে খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে অন্য জনকে খোজা থেকে বিরত থেকো না। ব্যাপার টা শাপে বর হবার মত ভালো হতে পারে, যেমন প্রথম ব্যক্তি তোমাকে যতটা না ভালো হেল্প করতে পারত, তারচেয়ে দ্বিতীয় জন আরও বেশি হেল্প করতে পারবে তোমাকে !! achat viagra cialis france
## সুইসাইডাল চিন্তা-ভাবনার সাথে নিজেকে পুরোপুরি মানিয়ে নেওয়াঃ
———————-
যখনই মনে হবে যে এই চিন্তা-ধারা সমস্যার কোন শেষ নেই, জোর করে হলেও মনে রাখতে হবে এগুলো সবইটেম্পোরারি। ইয়ু উইল ফিল বেটার এগেইন। ইতিমধ্যেকিছু পদ্ধতি চেষ্টা কাজে দিতে পারে।
–> কারো সাথে রোজ কথা বলা, বিশেষ করে মুখোমুখি। মনে হবে যে থাক, শুধু শুধু আরেক জনের ঝামেলা হবার কি দরকার, কিন্তু মন শক্ত করে ফ্রেন্ড বা পরিচিতদের থেকে সময় চেয়ে নিয়ে আড্ডা দেওয়া টা তখন জরুরী। সেটা সম্ভব না হলে ক্রাইসিস সেন্টারে কল করে কথা বলা যায়। জাফর ইকবাল স্যার জড়িত এমন একটি সংঘটন আছে আমাদের দেশেই।
–> নিরাপত্তার চিন্তা করো। নিজের মত করে কিছু স্টেপ তৈরি করে রাখতে পারো, যেটা চরম মূহুর্তে তুমি অনুসরন করতে পারো। সেখানে বন্ধু, পরিবার আর থেরাপিস্টের নাম্বার থাকতে হবে যারা তোমাকে ইন্সট্যান্টলি হেল্প করতে পারে।
–> প্রতিদিন কার জন্য একটা লিখিত স্ক্যজিওল তৈরি করে রাখতে পার তাছাড়া ডেইলি রুটিন থাকতে হবে এ সময়! যতটা সম্ভব সৈনিকদের মত করে সেই স্ক্যাজিওল আর রুটিন ফলো করতে হবে! এ সব করতে কঠিন মনে হবে,ফিলিংস গুলো আউট অব কন্ট্রোল মনে হবে। কিন্তু মনে রেখো, তোমাকে তোমার মন চালায় না, তুমি তোমার মন !!
–> প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট বাইরে অলক্ষ্যে হাটাহাটি করতে পারো। সময়টা আরো বেশি হলে ভালো হবে! বাইরে নানান রংয়ের জীবন তোমাকে তোমার জীবন ভুলিয়ে দেবে।
–> যে জিনিস গুলো তোমাকে আনন্দ দেয় সেগুলোর জন্য সময় দাও। দরকার হলে তাদের একটা লিস্ট তৈরি করো! যে কাজ গুলো তুমি প্রচন্ড এনজয় করতে সেগুলো করতে চেষ্টা করো! প্রথমে ভাল্লাগবে না জোর করে করো, প্রথম ১০ – ২০ মিনিট খারাপ লাগলেও দেখবে তারপর ভালো বোধ করা আরম্ভ করেছ!
–> এক্সারসাইজ ! রাগের মাত্রা কমানোর জন্য এক্সারসাইজ অতিব কাজের জিনিস। প্রতিদিন ৩০ মিনিট নিয়মিত এক্সারসাইজ এই সময়টাতে অনেক হেল্পফুল হতে পারে। মাঝে মাঝে ১০ মিনিটের একেকটা বার্স্ট মুড কে পজিটিভ করে তুলতে পারে সতেজভাবে!
–> নিজের জীবনের বড় –ছোট্ট স্বপ্ন গুলো ঐ সময় টাতে বেশি করে মনে রাখতে হবে! তোমার হয়ত এমন অনেক স্বপ্নই ছিলোঃ কোন বিশেষজায়গা ভ্রমন, কোন বিশেষ লেখকের বই পড়া, নিজের একটা পেট নেওয়া, নতুন কোন শখ পূরন করা, ভলান্টিয়ার হওয়া, স্কুলে ফিরে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করা __ ! সেটা যাই হোক না কেন, লিখে ফেল!
## যে জিনিস গুলো এড়িয়ে চলতে হবেঃ
—————————
=> এই সময় টা একা থাকা চলবে না মোটেও। একা থাকা সুইসাইডাল থট কে দুর্দান্ত আকারে প্রভোক করে তোলে! বন্ধুদের সাথে ফোনে কথাবলো সারাদিন, আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যাও! নিজেকে জোর করে হলেও ব্যস্ত রাখো! missed several doses of synthroid
=> ড্রাগ, এলকোহল এর কথা আগে ও একবার এসছে, আবারো আসছে। ড্রাগ ডিপ্রেশন কমাতে পারে না বরং বাড়িয়ে তোলে। ড্রাগ নেওয়ার সময় টা হয়ত সাময়িক নেশায় পৃথিবী ভুলিয়ে দেয়, কিন্তু নেশা চলে গেলে ডিপ্রেশন দ্বিগুন আকারে আক্রমন করে।
=> যে জিনিস গুলো তোমাকে ডিপ্রেসড করে তোলে সেই গুলো জোর করে অ্যাভোয়েড করতে হবে দরকার হলে সে জিনিস গুলো সরিয়ে ফেলতেহবে। স্যাড মিউজিক শোনা, পুরনো ফোটোগ্রাফস দেখা এই কাজ গুলো নেগেটিভ চিন্তা ভাবনাকে জাগিয়ে তোলে! metformin synthesis wikipedia
=> নিজের মন কে শক্ত করে সুইসাইডাল চিন্তা থেকে যদ্দুর সম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। আগের থেকে নিজেকে ঐসব ভাবনায় প্রিওকুপাইড করে রাখলে স্বাভাবিক ভাবে সুইসাইড প্রক্রিয়া আরো তরান্বিত হবে। গিভিং ইয়োরসেলফ এ ব্রেক ফ্রম সুইসাইডাল থটস ক্যান হেল্প, ইভেন ফর এ শর্ট টাইম!
## সুইসাইডাল অনুভূতি কাটিয়ে ওঠাঃ
———————-
যদি তোমার সুইসাইডাল চিন্তা-ধারা কমেও যায় তাও নিজেকে হেল্প করতে হবে! সুইসাইডাল লেভেলের ইমোশনাল পেইন সহ্য করাটা নিজেই একটা ভয়াবহ ট্রমাটাইকিং এক্সপেরিয়েন্স! থেরাপিস্টদের গ্রুপ থাকে অনেক জায়গা, মেন্টাল হেল্পসেন্টার থাকে অনেক ক্ষেত্রে সে জায়গা গুলো নিয়মিত ভিজিট করা উচিত, থেরাপিস্ট দের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা দরকার, এ গুলো ভবিষতে সুইসাইডাল চিন্তাধারা থেকে মুক্ত রাখে অনেকটা!
নিচের স্টেপগুলো সুইসাইডাল অনুভুতিকাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে হেল্পফুল হতে পারেঃ
১) যে জিনিসগুলো মানসিক কষ্ট ট্রিগার করে সেই জিনিস গুলো চিহ্নিত করতে হবে। যেমন কোন “লস” এর অ্যানিভার্সারি, অ্যালকোহল, রিলেশনশীপের কষ্ট এর মত বিষয়গুলো! যেকোন উপায়ে এই রকম জিনিস, মানুষ আর সিচুয়েশন গুলো অতিক্রম করে চলতে হবে!
২) নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে! সময়মত খাওয়া দাওয়া, বেশি করে ঘুমানো, কোন বেলার খাবার মিস না করা; এই বিষয়গুলো খুউব গুরুত্বপূর্ন। এক্সারসাইজ জিনিসটা জীবনে নিয়মিত অংশ করে নিতে হবে। নিয়মিত এক্সারসাইজ এডোরফিন্স রিলিজ করে, মানসিক চাপ কমায়, ইমোশন নিয়ন্ত্রনে রাখে। সবচেয়ে বড় কথা এটার উপকারিতা ১০০ ভাগ কার্যকরী। নিজের চোখে পরিবর্তন দেখে নিজেই বিস্মিত হয়ে যাবে!
৩) নিজের জন্য সাপোর্ট নেটওয়ার্কটা বড় করে গড়ে তোলা! পজিটিভ চিন্তাধারা বহন করে এমন মানুষদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলতে হবে। যারা তোমাকে ভালো অনুভব করাতে পারে এমন মানুষগুলোর নিয়মিত খোজ খবর রাখো, এতে তোমার নিজেরই লাভ!
৪) নতুন কার্যক্রম, শখ খুঁজে বের করো। অথবা যে বিষয়গুলো নিজের কাছে অর্থপূর্ন মনে হয়,যেটায় জীবনের মানে খুঁজে পাও এমন কিছু করতে থাকো! ভলান্টিয়ার এক্টিভিটিজ গুলোর সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পারলে ভালো হয়। যে কাজ গুলো যখন করা হয় সেগুলো যেন তোমার পূর্নতা খুঁজে পায়, যে কাজ গুলো করে তোমার ভালো অনুভব হয় সেই কাজ গুলো সিলেক্ট করতে হবে! levitra 20mg nebenwirkungen
৫) স্বাস্থ্যকর উপায়ে স্ট্রেস এর সাথে যুদ্ধ করার উপায় খুঁজে বের করা। স্ট্রেস এর মাত্রা কিভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় তার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। প্রত্যেকের জীবনযাপন পদ্ধতি আলাদা হয়, সুতরাং সেই অনুযায়ী নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া আবিস্কৃত হতে পারে। এক্সারসাইজ, মেডিটেটিং, সেন্সরি স্ট্রাটেজি রিলাক্সিং, সাধারন স্বাস-প্রস্বাস ব্যায়াম, আর আত্ম-পরাজয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করা !!
————–
ধন্যবাদ প্রিয় তিন স্যারঃ জ্যায়েলিন জ্যাফে, লরেন্স রবিনসন, জিয়ান সিগাল! তাদের প্রেরনাতেই এ লেখা!
অংকুর বলছেনঃ
অনেক উপকারী একটি পোস্ট ভাই।প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
দ্য হোয়াইট শ্যাডো বলছেনঃ
ওয়েলকাম ব্রাদার !! কোন এক জনের উপকার করতে পারলেও আমার লেখা সার্থক , ব্যাপার টা অনেক টা এমন ই! জীবন অনেক বেশি মূল্যবান!
অংকুর বলছেনঃ glyburide metformin 2.5 500mg tabs
আসলেই, জীবন অনেক বেশি মূল্যবান
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
পড়লাম। আমিও সুইসাইড এটেমপ্ট নিয়েছিলাম। এখন বুঝি কিছুটা হলেও জীবন অনেক মূল্যবান। এই সময় এগুলো আমি মিস করতাম যদি মরে যেতাম।
আর its a wonderful life মুভিটি দেখার পর সুইসাইড করার চিন্তা নাই হয়েছে। কারন বুঝতে শিখেছি আমি না থাকলে অনেক কিছুই হত না।
পোস্ট ভাল লেগেছে।
অংকুর বলছেনঃ cialis new c 100
amiloride hydrochlorothiazide effets secondairesসুইসাইড ইস নেভার এ সল্যুশন
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
এটাই মোদ্দা কথা। তাছাড়া আমার মনে হয় নিজেকে খানিকটা সময় দেবার পর মানুষ নিজেই বুঝে যে সাময়িক আবেগে কত বড় ভুল হতে পারত
অংকুর বলছেনঃ
মানুষের জীবনটা বাঁচার জন্য। সুইসাইড করার জন্য না
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আদৌ বুঝেছেন তোঁ?
প্রায়ই আপনারে আউলাঝাওলা আচরণ করতে দেখি যে এখনও… :-??
অংকুর বলছেনঃ
উনি তো এমনই viagra vs viagra plus
দ্য হোয়াইট শ্যাডো বলছেনঃ
এই মুভিটি বিশ্বে হাজারো, লাখো মানুষের জীবন বাচিয়েছে !! আমি এটা বেশ পরিমান ঘাটাঘাটি করেছি। অনেক ডিপ্রেসড মানুষ এই মুভিটি দেখে নতুন করে জীবন ফিরে পেয়েছে! এটা শুধুই একটা মুভি না, জীবনের জন্য একটা পজিটিভ ড্রাগ!
অংকুর বলছেনঃ can levitra and viagra be taken together
মুভিটা দেখা হয়নি।
ইলোসিয়া মৌনিন বলছেনঃ kamagra pastillas
about cialis tabletsবেশ ভাল ও কার্যকরী পোস্ট।
অংকুর বলছেনঃ
thuoc viagra cho namআসলেই
দ্য হোয়াইট শ্যাডো বলছেনঃ
all possible side effects of prednisoneধন্যবাদ, মানুষের জীবন সদা পরিবর্তনশীল! মানসিক অবস্থার উপর নিয়ন্ত্রন স্থাপন বড় কঠিন জিনিস! যে কারো সুস্থ্য জীবনে এমন দশা নেমে আসতে পারে! আমার একটা ছোট বোন যে মাত্র ১৬-১৭ বছর বয়সেই পরিবারের সাথে ঝগড়া করে সুইসাইড করেছিলো, অথচ ও সারা জীবন বলত মানুষ কী জন্যে যে সুইসাইড করে, এটা কি কোন সুস্ত্য মানুষ করে? অথচ সে নিজেই এর বাজে ডিসিসন নিয়ে ফেলেছিল, মুহূর্তের ভুলে!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আসলে সুইসাইড করবার সময় মানুষটি আদৌ সুস্থ থাকে না। থাকলে কি আর নিজেকে শেষ করে দেবার কথা ভাবতে পারে?
অংকুর বলছেনঃ
doctorate of pharmacy onlineআসলে আবেগের বশে মানুষ অনেক অপ্রত্যাশিত কাজ করে ফেলে
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
venta de cialis en lima peruঅনেক ভাল লাগল পোস্টটা পড়ে। তবে একটা তথ্য জানতে চাই। জাফর ইকবাল স্যারের মেয়ে যে anti suicidal সংঘটা চালায় তার নাম আর ফোন নাম্বারটা দিতে পারলে খুব উপকৃত হওয়া যেত। ধন্যবাদ
অংকুর বলছেনঃ side effects of quitting prednisone cold turkey
আমারও দরকার
দ্য হোয়াইট শ্যাডো বলছেনঃ
আচ্ছা আমি যোগাড় করে এখানে দিয়ে দেব, আমার কাছে ছিলো কিন্তু আমি পরে হারিয়ে ফেলেছি!
অংকুর বলছেনঃ
আচ্ছা একটু দেওয়ার চেষ্টা করবেন
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
ধন্যবাদ