জোছনাকুমারী
323
বার পঠিত clomid dosage for low testosteroneরাত গভীর হয়ে আসছে ক্রমশ। একটা, দুইটা, তিনটা করে তারাগুলো জ্বলে উঠছে ধীরে ধীরে। দিনভর ব্যস্ত নগরী ঢাকার ইট কাঠের কোন এক ঘরের বারান্দায় বসে ছোট্ট শিশু টিকে তারা দেখাচ্ছে মা। কেউ হয়ত দূর অজানায় বসে আধো আধো কণ্ঠে আবৃত্তি করে যাচ্ছে – টুইঙ্কল টুইঙ্কল লিটল স্টার, হাউ আই ওয়ান্ডার হোয়াট ইউ আর! ব্যস্ত নগরীর বুকে রাত নেমে আসছে ক্রমশ। আজো এইসব ইট কাঠ পাথরের ঘরে স্বপ্ন বোনা হয়। ছোট্ট মেয়েকে বুকে নিয়ে মা আজো রুপকথার রাজকন্যা – রাজপুত্রের গল্প শোনান। সে গল্প শুনতে শুনতে মেয়েটি নিজেকে কল্পনা করে পারুল বোন হিসেবে, যার সাত ভাই ফুলের মাঝে ঘুমিয়ে আছে। কানের কাছে ভেসে আসতে থাকে মা’র গল্প – “এক দেশে ছিল এক রাজা। রাজার ছিল সা-তটা রাণী। কিন্তু রাণীদের ঘরে কোনই বাবু ছিল না। রাজা একদিন মনের দু:খে বনে চলে গেল। সেখানে গিয়ে দেখল…”
ব্যস্ত শহরের ব্যস্ততার মাঝেই মেয়েটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। আর সময়ের সাথে ওর বন্ধুত্ব হয়ে যায় আকাশের সাথে। উন্মুক্ত অসীম নীলাকাশের সাথে। নতুন কোন বাসায় শিফট করার সাথে সাথে মেয়েটি খুঁজে বেড়ায় কোন জানালাটা দিয়ে আকাশ সবচেয়ে ভাল দেখা যাবে। সেই রুমটি তারপর থেকে হয়ে ওঠে ওর স্বপ্ন কল্পনার আধার, বিশাল পৃথিবীর বুকে তার একমাত্র পরিচয়। চিরকালের শান’ত নিরীহ মেয়েটির বুকেও একটা প্রতিবাদী সত্তা বাস করে তার প্রমাণ সে পেয়েছিল ২০১৩ সালে, শাহবাগ আন্দোলনের সময়। সেদিন মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শোনা মেয়েটি আজ সতের বছরের কিশোরী। আজ ২০১৪ সাল। সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই। ধীরে ধীরে সবকিছু মেনে নিতে শিখে গেছে সে। নিজেকে মানুষ ভাবার ইচ্ছেটা এখন আর ততটা প্রবল হয়ে দেখা দেয়না। নারীত্বের মাঝেও একটা অপূর্ব সৌন্দর্য আছে। জোছনারাতে জানালার ধারে বসে বিগত দিনের ইতিহাসময় স্মৃতি ভাবতে ভাবতে এই কথাগুলোই মনে হয় জোছনাকুমারীর।
জোছনাকুমারী! নাহ, এই নামে কেউ তাকে কখনো ডাকে না। এটা একান্তই তার নিজের সম্পদ। নিজের কল্পনারাজ্যে সাজিয়ে রাখা জোছনারাজ্যের সেই যে রাজকুমারী! এইত কিছুদিন আগেও মায়ের সাথে মেয়েটি জোছনারাজ্যের গল্প করত। মা তার মেয়ের কল্পনাশক্তিতে মুগ্ধ হতেন। কিন্তু মনের কোন এক গহীন অংশ থেকে সে জেনে যাচ্ছে – এই রাজ্যে আর মাকে নিয়ে ঘুরতে আসা যাবেনা। এত বড় মেয়ের মুখে এইসব কল্পনার কথা মানায় না। তবু, কল্পনার জোছনারাজ্যের রাণী কিন্তু মা ই। মায়ের সাথে ছোট বড় সব কথা আলাপ করতে না পারলে আজো মেয়েটার ঘুম হয়না। এত বছর পরেও সেদিনের সেই রুপকথা শোনা ছোট্ট মেয়েটি যেন আজো হারিয়ে যায়নি। ঢাকা শহরে জন্ম নেয়া মেয়ের কোন দুরন্ত শৈশব থাকতে পারে না। কিন্তু জোছনাকুমারীর শৈশব, কৈশোর ছিল সৌন্দর্য আর পবিত্রতায় ঘেরা। দুরন্তপনার চেয়েও সে অনেক বেশি অপরূপ।
প্রতিদিন জানালার ধারে বসে মেয়েটি আকাশের মানচিত্রে হাজার রঙের খেলা দেখে। গত দেড়টা বছর অনেক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। শাহবাগ আন্দোলন, পড়াশুনা আর সেই সাথে আমেরিকার কোন ইউনিভারসিটি তে চান্স পাবার চেষ্টা। সব মিলিয়ে কল্পনারাজ্য কোথায় হারিয়ে গেছে! এখন বাস্তবতাটাকে ভালোবাসতে শিখে গেছে সে। এইত কিছুদিন আগে শাহবাগ আন্দোলনের বিজয় হল – কাদের কসাইয়ের ফাঁসি হল। এই ফাঁসি আর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফার্মেশন লেটার যেন স্বীকৃতি দিল মেয়েটির সব পরিশ্রমের সফলতার। আজ সম্পূর্ণ নির্ভার মেয়েটি গোধূলি লগনে হঠাৎ করেই অনুভব করে – জীবন টা আসলে অনেক সুন্দর। অনেকদিনের জমানো হতাশা এক মূহুর্তের মাঝেই যেন কর্পূরের মত উড়ে যায়। চারিদিক ঘিরে থাকে শুধু সুন্দর মিষ্টি একটা অনুভূতি।
ইটপাথরের ঢাকা নগরীর আকাশজুড়ে গোল থালার মত পূর্ণিমার চাঁদ ওঠে। জানালার ধারে বসে মেয়েটি অপলক চেয়ে থাকে তার ভালোবাসার বাংলাদেশের দিকে। তার বিছানার চাদরে জোছনা ততক্ষণে নানারূপী নক্সা কাটছে। সেই জোছনা – অনেক বছর আগের কল্পনারাজ্যের জোছনা। নিজের মনেই হেসে ওঠে মেয়েটি। আজ সারারাত সে এই জানালার ধারে বসে থাকবে। ছোট্ট সবুজ বাংলাদেশের জোছনাস্নান দেখবে। এখানে জীবন আজো সুন্দর। রাতজাগা পাখির ডাকে আজো প্রভাতের নব তরুন অরুনোদয়ের আগমনী বার্তা শোনা যায়….।
উদ্ভ্রান্ত পথিক বলছেনঃ
online pharmacy in perth australiaএই ফাঁসি আর
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের
কনফার্মেশন লেটার যেন স্বীকৃতি দিল
মেয়েটির সব পরিশ্রমের সফলতার। —এমন সফলতায় ভরে উঠুক সবার জীবন।
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
cd 17 clomid no ovulationধন্যবাদ ভাই।
খেস্টু রায়হান বলছেনঃ
তাইলে তুই ফাইনালি যাচ্ছিস? \m/ does propranolol cause high cholesterol
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ sildenafil 50 mg dosage
এই পুরা গল্পে আমি যাচ্ছি এমন কথা কই পাইলি? না গেলে কি খুশিও থাকা যাবেনা আজব তো!
খেস্টু রায়হান বলছেনঃ
metformin er max daily doseকোন কিছুর খুশি তখনও পাওয়া যায় যখন তা উপভোগ করা যায়
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
আহ, সবগুলো স্বপ্নই সত্যি হোক!