শকুনের থুথু আর হায়েনার হাসি- কিছু অপ্রয়োজনীয় কথা…
452
বার পঠিতবিমানটায় যখন ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানল, ২৯৮ যাত্রীর কেউই টেরোরিস্ট কিংবা বিদ্রোহী ছিলেন না। তাদের অপরাধ ছিল তারা ৩য় বিশ্বযুদ্ধের উৎপত্তিস্থল ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করছেন… -_- মৃতদেহগুলো ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে, দেশের খন্ডাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছে বেশ কয়েক মাইল এলাকা জুড়ে। পচন ধরেছে বিস্তীর্ণ গম আর সূর্যমুখী খেতের মাঝে এখানে সেখানে ছড়িয়ে থাকা খণ্ডিত মানুষগুলোর গায়ে। মৃত্যু মানুষকে সব দায় আর অভিযোগের উর্ধে নিয়ে যায়, নাহলে আমাদের অবস্থা বড়ই সঙ্গিন হত। প্রচণ্ড অভিমানে এই খণ্ড-বিখণ্ড মানুষগুলো বিবেকের কাঠগড়ায় তুলে আমাদের প্রশ্ন করত, কি অপরাধ ছিল আমাদের, কেন মৃত্যুর পর ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে পড়ে আছি বিদেশ বিভূঁইয়ে… পচে গলে মিশে যাচ্ছি নীরবে, অগোচরে … কেন?
গাঁজায় বিমানে মুড়ি মুড়কির মত বোমা ফেলেও সাধ মেটেনি ইসরায়েলী হায়নাদের। তিনদিন আগে পাঁচ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতির নামে বিশ্রাম নিয়ে তারপর অকল্পনীয় রক্ত পিপাসায় লালা ঝড়াতে ঝড়াতে ট্যাংক যেরকম ট্যাংক নিয়ে নেমে পড়েছিল শকুনগুলো, ঠিক একই ভাবে গতকাল দুই ঘণ্টার বিরতি দিয়ে একযোগে ট্যাংক আর বিমান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে শুয়োরগুলো… টিপে টিপে পিঁপড়া মারার চেয়েও পৈশাচিক আনন্দ নিয়ে বাচ্চাগুলোকে মেরেছে ওরা, বুটের তলায় পিষেছে তাদের নিষ্পাপ হাসিগুলোকে… জাস্ট এক ঘণ্টার মধ্যে ১০০রো বেশি মানুষ মারা গেছে, আহত হয়েছে সাড়ে তিনশ থেকে চারশ। এদিকে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি ও শান্তিচুক্তি চাই ইত্যাদি ভাঙ্গা রেকর্ড অবিশ্রান্তভাবে বেজে চলেছে জাতিসংঘসহ সকল চুতিয়া ও মোড়লের গলায়… গ্যালারীতে বসে পপকর্ণ চাবাতে চাবাতে তারা উপভোগ করছে এ খেলা, মানুষ মারার খেলা… venta de cialis en lima peru
সিরিয়ার কথা এখন আর সামনে আসে না। পৈশাচিকতায় গাজা সিরিয়াকে ছাড়িয়ে যাওয়ায় রেস থেকে ছিটকে গেছে সিরিয়া, তবু তাকে আশার আলো দেখায় ইরাক। অর্ধেক ইরাকে নৃশংসতম হত্যাকান্দ চলছে, খিলাফতী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সঠিক ইসলাম কায়েমের শপথে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে সুন্নি নামধারী কিছু জানোয়ার। লক্ষ্য , ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডের রক্তস্রোতের উপর দাঁড়িয়ে একটা শান্তির দেশ প্রতিষ্ঠা করবে তারা। খেলা চলছে… মানুষ মারার খেলায় বিরাম নেই…
এদিকে আমাদের দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক মজার ঘটনা ঘটে গেছে। বিশিষ্ট কর্পোরেট চুতিয়া জনাব ইরেশ জাকের তার এক স্ট্যাটাসে মহাত্মা গান্ধির কর্পোরেট ভার্শন সাজতে গিয়ে বলেছেন–
চলেন সবাই ঘৃণা করি। কেউ ইহুদিদের ঘৃণা করি কেউ পাকিস্তানিদের কেউ নাস্তিকদের কেউ আস্তিকদের। ঘৃণা করতে করতে চলেন চার ফুট বায় চার ফুট একটা কুপের মধ্যে নিজেদের ভরে ফেলি। যেখানে ঠিক আমাদের মত মানুষ থাকবে আরে কেউ থাকবে না। ভাল ত ভাল না?
ফেসবুক জিনিসটা বড়ই খারাপ। এই চিড়িয়াখানায় লাইক, শেয়ার আর ফলোয়ার বাড়বার লোভ অন্ধ করে দেয় মানুষকে, আটকে দেয় বিবেকের কপাট। মানুষ টেরই পায় না, কখন সে সস্তা কিছু লাইক আর শেয়ার কামাতে গিয়ে সহবাস করছে মায়ের, বোনের ধর্ষণকারী পাকি জারজদের সাথে, গনহত্যার বিরুদ্ধে কুম্ভীরাশ্রু ঝরাতে গিয়ে রূপকথা বানিয়ে ফেলছে বিহারীদের হাতে নিজের ভাইয়ের জবাই হওয়া লাশকে। তার গান্ধিবাদী ওম শান্তি ওম বানী অস্বীকার করছে মেয়ের মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়ে নিশ্চল বসে থাকা পিতাকে, ইফতারি করতে বসে রক্ত-মাংসের দলায় পরিনত হওয়া গাঁজার সেই বৃদ্ধাকে, যার মগজ ছিটকে গিয়ে পড়েছিল ইফতারির বাসনে…
নিজেদের আমরা মানুষ বলে পরিচয় দেই, গর্ব করি। বারবার বুক ঠুকে বলি, মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত, সৃষ্টির সেরা জীব। প্রত্যেকবার এই কথাটা শুনে একটা শকুন ঘৃণায় এক দলা থুথু ফেলে, একটা শুয়োর ঘোঁত ঘোঁত শব্দে নিজের ভাষায় গালি দেয় আর একটা হায়েনা ফেটে পড়ে প্রানখোলা হা হা হাসিতে… প্রত্যেকবার… -_-
চাতক বলছেনঃ
missed several doses of synthroidদারুণ বলেছেনঃ
কি অবিরাম দ্রোহ মানবতা ধ্বংসের এই নৃশংস উল্লাস!!
আর কত লাশ পরলে মানুষ, মানুষ হবে?
অনুস্বার বলছেনঃ
আদৌ কি মানুষ হবে? [-(
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ para que sirve el amoxil pediatrico
কিছু বলার মতো ভাষা আপাতত খুজে পাচ্ছি না…
nolvadex and clomid prices
অনুস্বার বলছেনঃ
অথচ ওদিকে মানুষ মারার খেলা চলছে অবিরাম…
সোমেশ্বরী বলছেনঃ irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
side effects of quitting prednisone cold turkeyযা কিছুই হচ্ছে, কিছুই ভালো হচ্ছে না!
আর এই ভালো না হওয়ার মধ্য দিয়ে কীভাবে শান্তি নামক ইথারীয় বস্তুটি লাভ করা সম্ভব, আমার স্বল্প জ্ঞানে তা কুলায় না!
সত্যি, মানুষ মারার কোন বিরাম নেই…মানুষ মরছেই, কেবল মরেই যাবে~ এই বুঝি নিয়তির নিষ্ঠুর নির্মমতা!!!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
[-(
side effects of drinking alcohol on accutane
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
পৃথিবীর ইতিহাসে খালি যুদ্ধ-জয়-পরাজয়-ভুখন্ড দ্বিখন্ডিত হবার গল্পই পাই।
কোন দুই ভুখন্ড এক হয়ে যাওয়ার গল্প পাই না।