আমি একজন প্রেমিকের কথা বলছি
331
বার পঠিতআজ একজন গ্রেটের কথা বলবো । প্রেম , নগর , জীবনমুখী বাংলা গানের স্রষ্টা তিনি । একটা সময় ভালোবাসা মানে ছিল ফুল , পাখি আর আকাশের ভেতর সীমাবদ্ধ । গ্রেটরা তো সব পাল্টে দেয়ার জন্যই আসেন , ইনিও এলেন সব পাল্টে দেবার জন্য । ইনি প্রেম ভালোবাসা নিয়ে এলেন সেনাবাহিনীর আমার শহরে , আমার আবর্জনার স্তূপে , আমার খাতায় , আমার সকালে , আমার ঘরে , আমার দরজায় , আমার টানাটানির সংসারে । যিনি গান না লিখলে হয়ত বাংলা গানের আধুনিক রুপ আমরা পেতাম কি না । যার গানের আগে বাংলা গানে ছিল না কোন শহরের চিত্র । ইনি এলেন আর লিখে ফেললেন , যদিও আকাশ ধোঁয়াশায় ম্রিয়মাণ , তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান ।
একটি গান দিয়েই তিনি একটি প্রজন্মকে ভাষা শিখিয়েছেন , একটি চিত্র বদলে দিয়েছেন । যেটা সচরাচর দেখা যায় না , হয়তো শত বছরে একজন কিংবা হাজার বছরে একজন । আমরা তেমন একজনকে আমাদের সময়ে এসে পেয়েছি । আমাদের পাওয়া না পাওয়ার ভেতর এই জন্মে অনেক বড় পাওয়া এই ব্যক্তি , এই গায়ক , এই বিদ্রোহী ।
প্রথমত আমি তোমাকে চাই missed several doses of synthroid
দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই
তৃতীয়ত আমি তোমাকে চাই
শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই …
প্রেম যে শুধু এক জীবনের নয় সেটা বুঝিয়ে দিলেন এই মানুষটি । ভালোবাসার সংজ্ঞাকেই বদলে দিলেন লিখে ফেললেন প্রেমের জাতীয় সংগীত খ্যাত গান , জাতিস্মর । বলে দিলেন , যতবার তুমি জননী হয়েছ ততবার আমি পিতা ,কত সন্তান জ্বালাল প্রেয়সি তোমার আমার চিতা ।
এই মানুষটির উপর সাহস করেই গান লেখার সাহস পেলেন অঞ্জন দত্ত , নচিকেতা , রূপঙ্কর । তিনি পরিচিতি পেয়েছেন বিখ্যাত অনেক গানে । তাকে বলা হয় গানওয়ালা । লিখে ফেললেন , ও গান ওয়ালা আর একটা গান গাও , আমার আর কোথাও যাবার নেই , কিচ্ছু করার নেই । হয়েছেন নাগরিক কবিয়াল খ্যাত গীতিকার । তার গান তার গানের সুর হৃদয়ে একটা ঝংকার যেমন তোলে তেমনি একটা গানের মায়াবি পরিবেশ গড়ে তোলে । আসলে উনার সম্পর্কে আমি যদি বলতে যাই এক পোষ্টে বলা সম্ভব না অন্তত আমি যতোটুকু জানি । আর আমি যা জানি না সেটা তো লেখাই হবে না । আর আমি যতোটুকু জানি সে নেহাত এক ফোঁটা জল সমেত । উনার একটা গানের একটা লাইনও সম্পূর্ণভাবে ব্যাখ্যা আমার মতো নগণ্য মানুষের সম্ভব না ।
তবু বলতে ইচ্ছে হয় , উনার গান , উনার সম্পর্কে ভাবতে বলতে এতো ভালো লাগে যে মনে হয় বলতেই থাকি , আরও একটু বলি । নাহ , হল না বোধহয় , আরও ব্যাখ্যার দরকার । উনি প্রেমটাকে এমনভাবেই অজস্র মানুষের ভেতর গেঁথে দিয়েছেন তার গানে , বাঁচতে শিখিয়েছে , লড়াই করতে শিখিয়েছেন । বাংলা গানের প্রতি মানুষের যে বিশ্রদ্ধা এসেছিল সেটাকে তিনি দূর করেছেন । বাংলা গানের প্রতি ভালোবাসা জন্মাতে তিনিই প্রধান সৈনিক অন্তত আমার কাছে । glyburide metformin 2.5 500mg tabs
মানুষের মনের ভেতরের যে সোজাসাপটা কিছু ব্যাপার আছে সে গুলোকে একেবারে অনিন্দ্য সুন্দর মায়াবী কণ্ঠে বলে দিয়েছেন একেরপর এক । ছিলেন একজন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী । রবীন্দ্রনাথ , লালন , নজরুলকে কে একেকবারে বুকে ধারন করে লিখে ফেলেছেন সাম্যবাদের গান । তার কতটা পথ পেরলে তাকে পথিক বলা যায় গান টি বব ডিলেনের ব্লওিং দ্যাওয়াইন্ড গানের অনুকরণে লেখা হলেও তাতে বাংলা গানের যে রুপ ও সুন্দর বিষয়টা তুলে ধরেছেন এক কথায় অসাধারন । বাশুরিয়া গানের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন , বাংলার মানুষের গান প্রীতি হীনতার বিষয়টি , বলে দিলেন প্রানে গান নাই মিছে তাই রবি ঠাকুর মূর্তি গড়া ।
সর্বদা প্রতিবাদ মুখর এ শিল্পী বারবার প্রতিবাদ করেছেন কখনো প্রকাশ্য সরকারের বিপক্ষে গান বলে কিংবা কখনো কথা দিয়ে । বাংলাদেশের প্রতি এই মানুষের টান অসাধারণ । শুধু বাংলা ভালোবেসেই আরেকটি দেশ সম্পর্কে তার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাওয়া , ভালবাসতে পারা শুধু একজন প্রকৃত বাঙালির পক্ষেই সম্ভব হয়তো । একবার সুফিয়া কামালের সাথে দেখা করে এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন এই গুণী মানুষ নিজের মায়ের মর্যাদা দিলেন আর কথা দিয়েছেন যদি পরের জন্ম হয় , তবে তিনি সুফিয়া কামালের ঘরেই জন্ম নেবেন ।
এপার বাংলা এবং ওপাড় বাংলা তার কাছে সবসময়ই বোধহয় ছিল এক । তাই বলে ফেললেন , সীমানা চিনি না আছি শাহবাগে সীমানা চেনে না সুর । বরাবর গিটার দিয়ে যুদ্ধ করে চলেছেন এই আদর্শিক গীতিকার । তার চাওয়া পাওয়া নিয়ে একটি গান হয়তো তার চিন্তা চেতনার অনেকখানি অংশকেই তুলে ধরবে ,
আমি চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে রাষ্ট্রপুঞ্জে
আমি চাই মহুল ফুটবে সৌখিনতার গোলাপ কুঞ্জে।
আমি চাই নেপালি ছেলেটা গিটার হাতে
আমি চাই তার ভাষাতেই গাইতে আসবে কলকাতাতে।
আমি চাই ঝাড়খণ্ডের তীর ধনুকে
আমি চাই ঝুমুর বাজবে ঝুমুর বাজবে তোমার বুকে।
আমি চাই কাশ্মীরে আর শুনবে না কেউ গুলির শব্দ
আমি চাই মানুষের হাতে রাজনীতি হবে ভীষণ জব্দ।
আমি চাই হিন্দু নেতার সালমা খাতুন পুত্র বধূ
আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু,
আমি চাই বিজেপি নেতার সালমা খাতুন পুত্র বধূ
আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু।
আমি চাই গাছ কাটা হলে শোক সভা হবে বিধান সভায়
আমি চাই প্রতিবাদ হবে রক্ত পলাশে রক্ত জবায়।
আমি চাই পুকুর বাঁচালে আকাশ ভাসবে চোখের জ্বলে
আমি চাই সব্বাই জানও দিন বদলের পদ্য বলে।
আমি চাই মন্ত্রীরা প্রেম করুন সকলে নিয়ম করে
আমি চাই বক্তৃতা নয় কবিতা বলুন কণ্ঠ ভরে।
যদি বল চাইছি নেহাত…যদি বল চাইছি নেহাত চাইছি নেহাত স্বর্গ রাজ্য
আমি চাই একদিন হবে একদিন হবে এটাই গ্রাহ্য।।
ওপাড় বাংলার বুদ্ধিজীবীদের ৫২ এর ভাষা আন্দোলন নিয়ে তেমন হইচই নেই দেখে কটাক্ষ করে বললেন , ওপাড় বাংলার বুদ্ধিজীবীরা হল একেকটা ভণ্ড । তিনিই ওপাড় বাংলা থেকে প্রথম লিখে ফেলেন ২১ ফেব্রুয়ারি নিয়ে গান ।
জীবনের একটি শেষ ইচ্ছা তার , মরবার আগে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চান । ৯৬ এ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে বন্ধু এবং বাকের ভাই খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর কে বললেন , এবার একটু সরকার কে বলে দেখবে আমার নাগরিকত্বের ব্যাপার টা ।
সর্বদা প্রতিবাদী এ শিল্পির ওপাড় বাংলায় এত শত্রু তাই বাকের ভাই খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর বললেন , ওপাড় তো অনেক শত্রু বানিয়েছ এবার এপারেও বানাবে নাকি !!
একটি অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষা বাংলা গান নিয়ে কটাক্ষ করা হয় তখনি দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন এ মহান শিল্পী । এরপর তাকে আর কাজে ডাকা হত না , কিন্তু নিজের প্রতিভা আর জিদের জোরে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক জায়গায় । এরপর এ দেশে গান করতে আসেন তিনি । ভাষা সৈনিক মতিন তার আসার কথা শুনে অসুস্থ অবস্থায় ছুটে যান । মহান এ শিল্পী বললেন , আপনি এই অসুস্থ শরীর নিয়ে আমার কাছে আসলেন ? আমিই যেতাম আপনার সাথে দেখা করতে ।
ভাষা সৈনিক মতিন বললেন , একজন ভাষা সৈনিক আর একজন ভাষা সৈনিকের সাথে দেখা করতে আসবে এটাই তো নিয়ম । doctus viagra
বাঁচতে বড্ড ভালবাসেন এ শিল্পী । তাই লিখে ফেললেন ,
বন্ধু তোমার বেঁচে থাকার স্বপ্নটাকে রাখো , capital coast resort and spa hotel cipro
দিন বদলের স্বপ্নটাকে হারিয়ে ফেল না ,
পাল্টে দেবার স্বপ্ন আমার এখনো গেলো না ।
হাল ছেড়ো না , বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে ,
দেখা হবে তোমার আমার অন্য গানের ভোরে ।
বরাবর যুদ্ধবিদ্বেষী এ শিল্পী লাশ দেখে বলে ফেললেন , যাও গান আনবিক বোমাটাকে ধরো । প্রেম কে সোচ্চার রুপ ও দিয়েছেন তিনি বলে ফেলেছেন , এসো প্রেম পরো যোদ্ধার সাজ ।
এই মহান শিল্পী আমাদের আর এক মহান শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী কবির সুমন । যারা প্রেম কি শিখতে চায় , ভালো একজন মানুষ হতে চায় তবে তাদের অবশই এই মানুষটির সাথে গানে গানে পরিচয় থাকা উচিত ।
আরও অনেক বলা যায় তার সম্পর্কে । বিশেষত অনেক যুদ্ধ এবং লড়াইয়ের বিনিময়ে সর্বশেষ জাতিস্মর সিনেমায় মিউজিক পরিচালকের কাজ করে শত্রুদের মুখে ঝামা ঘষে জয় করে নিয়েছেন শ্রেষ্ঠ মিউজিক পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার ।
তারই লেখা গান , ” এ তুমি কেমন তুমি চোখের তারায় আয়না ধরো ” গেয়ে রুপংকর জিতেছে শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার । তবে আমাদের বাংলাদেশের জন্য তার একটি কথা আমাদের জন্য অবশ্যই নির্দেশনা বলা যায়
” বাংলাদেশের বন্ধুরা আপনারা বাংলা জীবিত রাখুন । আপনাদের লড়াই করবার ইতিহাস আসে , বাংলার জন্য রক্ত দেবার ইতিহাস আছে । আমরা পশ্চিম বাংলার লোকজন তো ভণ্ড , আমরা পারলাম না । অন্তত আপনারা রাখুন । আপনারাই পারবেন । হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ ঠেকান । ”
কবির সুমন একজন প্রেমিক , একজন বাংলার প্রেমিক । আমরা তো শুধু নারীর প্রেমিক ই হলাম , তাও ভণ্ড । আমি জানি যারা হয়তো পড়বেন তারা উনার সম্পর্কে এর চেয়েও বেশি জানেন , তবে উনাকে নিয়ে লিখতে অনেক ইচ্ছে হল তাই লেখা ।
আশরাফুল করিম চৌধুরি বলছেনঃ
লিজেন্ড কাকে বলে আর কি!?
শ্রদ্ধা।
অনুস্বার বলছেনঃ
খোদার কসম জান, আমি ভালবেসেছি তোমায়… @};- nolvadex and clomid prices
মাত্রই শুনছিলাম গানটা, স্রেফ অসাধারন একজন গায়ক, অসম্ভব চমৎকার মনের একজন মানুষ… ^:)^
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
clomid over the counter:bow: :bow: zoloft birth defects 2013
চাতক বলছেনঃ
শুধুই শ্রদ্ধা
সোমেশ্বরী বলছেনঃ para que sirve el amoxil pediatrico
এভাবে দেখা হয়নি কখনো কবির সুমনকে, এটা সত্যি। কিন্তু এভাবে এতটা গভীরভাবে না দেখলেও তাকে সবসময়ই অসাধারণের কাতারে নির্দ্বিধাই ফেলা যায়!
খুব ভালো লেগেছে আপনার লেখা পোস্টটি, ধন্যবাদ।