আর্দ্র বিছানা অথবা সেক্স স্কেন্ডাল!…
1385
বার পঠিত doctorate of pharmacy onlineআলফ্রেডের সাথে পরিচয়টা ছিলো ঠিক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিনে আলোর ইশারার মতো, জরাজীর্ণ জীবন যখন সকল আশা হারিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো আত্মহত্যার দিকে তখন একটা হাত! হ্যা, আলফ্রেড তার সমস্ত ভালোবাসা নিয়ে দু’হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো আমার দিকে। ষ্পষ্ট মনে পড়ে আমার! সুবর্ন সকাল থেকে শুরু করে পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি আলো গায়ে মেখে ঘুরে বেড়াবার দিনগুলো। ওয়াইনের গ্লাসে ভাগাভাগি চুমুক, হাতে হাত ধরে বসে থাকা, ঠোঁটে ঠোঁট রেখে দীর্ঘক্ষণ কেটে যেতো আমাদের, ডার্কড্রপ লেকে শিকারের দিনগুলোতে আমার চেয়ে বেশী মাছ ঝুলিতে ভরার পর উৎফুল্ল আর সারল্যে ভরা যে আলফ্রেডকে আমি চিনতাম সে এখন অন্য।
মৃত্যুময় অন্ধকারে মৃত্যুমুখী আমার এ প্রাণকে যে বাঁচিয়ে তুলেছিলো বাঁচতে শিখিয়েছিলো তার জন্য আজ আমি মরতে বসেছি। আমি মারা যাচ্ছি আর কিছুক্ষন পর। নিশ্চুপ শীতল অন্ধকারে এবার সত্যি সত্যি হারিয়ে যাচ্ছি নিশুথী রাতে একাকি নির্জনে।
আমি অকপটেই তাকে বলেছিলাম, আমার শরিরী চাহিদা একটু বেশীই! তখনো আলফ্রেডের সাথে আমার কোন শারীরিক সম্পর্কটা গড়ে উঠেনি, তখনো আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। মনের মাঝে এমন কোন কথা নেই যা আমি তাকে বলতাম না। আমি তাকে বলেছিলাম, আমার শরীরসংক্রান্ত আবেগ পিপাসার্ত পাথরের মতো, আমার এমন কাউকে খুঁজে বের করা উচিত বিছানায় যে আমাকে পিষে মারতে পারে! আমাকে গুড়িয়ে দিয়ে নিয়ে আসতে পারে আরাধ্য অর্গাজম। আলফ্রেডের কোঁচকানো চোখ সেদিন বলে দিয়েছিলো কথাগুলো সে মেনে নিতে পারছেনা, তবুও অদ্ভুত সুন্দর কৃত্রিম হাসিটা ঠোঁটে টেনে ব্যাপারটা স্রেফ এড়িয়ে গিয়েছিলো সে।
আমিও কেনো জানিনা বলেছিলাম, আলফ্রেড তুমি আমার খুব ভালো বন্ধু! তোমার মতো কেউ আমাকে বুঝতে পারবেনা। হয়তো আমাকে হঠাৎ করে বুঝতে না পারার প্রবনতা সেদিন তার চোখে আমি প্রথম দেখেছিলাম।
আলফ্রেড আমাকে ভালোবেসে ফেলেছিলো। আমি তাকে পছন্দ করতাম কিন্তু ভালোবাসার অনুভুতি কখনো কাজ করেনি।
সে রাতে আলফ্রেডের ফ্ল্যাটে আমার রাতের খাবারের নিমন্ত্রণ ছিলো, অনেক ভালো রাঁধে ছেলেটা। কথায় কথায় একদিন বলেছিলো রান্না করাটা সে শিখেছে তার মায়ের কাছ থেকে। যদিও মায়ের প্রসঙ্গ এলে তার ঠোঁটটা ঘৃনার ভঙ্গিতে বেঁকে যেতো! আলফ্রেডের বাবার সাথে ডিভোর্সের পর তিনি তাকে আমেরিকায় রেখে যান। কানাডায় গিয়ে আরেকজনের সাথে সংসার পাতেন। তারপর আলফ্রেডের আর কোন খোঁজ খবর নেননি। কথাগুলো মনে আসায় তার প্রতি আমার সমবেদনা কাজ করেছিলো।
আকাশে সেদিন চাঁদটা ছিলো বিশাল, আলফ্রেডের ফ্ল্যাটের জানালা জুড়ে ছিলো চাঁদটা। গ্রিলে কনুই ঠেকিয়ে দেখছিলো সে, ভীষন উদাস আর ক্লান্ত লাগছিলো তাকে। আমি পেছন দিকে জড়িয়ে ধরেছিলাম কোন ভুমিকা না নিয়েই। আমার কেনো জানিনা ভালো লাগছিলো যখন আলফ্রেড ঘুরে দাঁড়িয়ে আমার ঠোঁটে চুমু খেলো তখনো। সে কাঁপছিলো, যদিও এটা বিশ্বাস করা যায়না যে এটা আলফ্রেডের প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। একজন ত্রিশ বছরের যুবকের জীবনে অবশ্যই এর আগে শরীরের ভালোবাসা আসার কথা। তবুও আলফ্রেড কাঁপছিলো। আমি বুঝতে পারছিলাম আমার নগ্ন শরীরটা তার হাতের কাছে এটা তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিলো, হয়তো আমি পরম আরাধ্যও ছিলাম। আলফ্রেড পাগলের মতো চুমু খাচ্ছিলো আমার সমস্ত শরীরে। আমিও পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। কারো জন্য অনেকদিন পর আমার শরীর এভাবে জেগে উঠেছিলো। আমার ভারতীয় বয়ফ্রেন্ড ব্যানার্জীর কথা মনে পড়ে গিয়েছিলো। যার সাথে আমি তিনমাস ছিলাম। ফ্লোরিডায় একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা যায়। মারা যাবার পর আমার একটুও খারাপ লাগেনি এবং অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছিলাম তাকেও আমি ভালোবাসিনা স্রেফ পছন্দ করতাম খুব, আর এভাবেই রাতের পর রাত তার সাথে শুয়েছি, সেক্সুয়াল এক্সাইটমেন্ট নিবৃত করেছি। সেও আমাকে তার বিশাল পুরুষাঙ্গের নীচে ফেলে তার সবটুকো প্রেম সবটুকো ভালোবাসা দিয়ে গেছে।
আলফ্রেড ক্রমশ এগ্রেসিভ হয়ে যাচ্ছিলো, গালে দাঁত বসিয়ে দিচ্ছিলো, আমার ভালো লাগছিলো। তখনো যদি আমি টেবিলের উপরে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা লাল আলোটা খেয়াল করতাম তাহলে হয়তো সবকিছু অন্যরকম হতে পারতো।
সারারাতজুড়ে আলফ্রেডের সাথে আমি সুখের সাগরে ভাসলাম, আর্দ্র বিছানার ভাঁজে ভাঁজে গড়িয়ে পড়ছিলো সুখ। আমার শরীরটা লাল হয়ে গিয়েছিলো।
এরপর থেকে আমি আলফ্রেডের বদলে যাওয়া দেখলাম, প্রচন্ড অবহেলা দেখলাম। এই বদলে যাওয়া আর অবহেলার ভেতরেই খেয়াল করলাম আলফ্রেডকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি! তাকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকা অসম্ভব। তার ক্রমাগত অবহেলা আমার বুকে আগুনের জন্ম দিচ্ছিলো। বুঝতে পারছিলাম না কি হয়ে গেলো। পরবর্তী তিনদিন আমি তার দেখা পেলাম না। ফোনে ননষ্টপ রিং হয়ে গেলো। আমি শুকিয়ে যাচ্ছিলাম চিন্তায়। তিনদিন পর সন্ধ্যা সাতটায় আমি তার ছোট একটা মেসেজ পেলাম, “আমি মেয়েদের ঘৃনা করি”। মনে প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে আমি বাইরে গেলাম। শহরের লোকজন অদ্ভুতভাবে তাকাচ্ছিলো আমার দিকে। আমার প্রতিবেশী বন্ধু ম্যাক আমাকে জানালো আলফ্রেডের সাথে আমার সেক্স স্কেন্ডালের কথা। পুরো শহরে সে এটা ছড়িয়ে দিয়েছে। নিজেকে নগ্ন নগ্ন আর নগন্য মনে হচ্ছিলো।
একজন আমেরিকান হয়ে হয়ে সেক্স স্ক্যান্ডাল নিয়ে মাথা ঘামানোটা ততোটা হয়তো জরুরি ভাববেনা কেউ। শহর ছেড়ে দূরে কোথাও চলে গেলেই দাগ মুছে যাবে।
তবু আমি মরে যেতে চাই।
আমি বসে আছি আমার পছন্দের নীল পোশাকটা পরে শুভ্র বিছানায়। একটু পরেই এখানে জমা হবে জমাট রক্তের ছোপ ছোপ দাগ।
রাত যখন গভীর হয়ে এলো আমি তখন ধারালো ব্লেডটা আমার হাতের কবজিতে বসিয়ে দিলাম। আমার অস্পষ্ট স্মৃতি বারবার শুধু চিৎকার করে বলে যাচ্ছিলো,
আমি তোমাকে অনেক বেশী ভালোবাসি আলফ্রেড। বিশ্বাস করো আর নাইবা করো। metformin synthesis wikipedia
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
ছোট্র হলেও দারুন একটি গল্প । ভাল লাগলো ।
রাজু রণরাজ বলছেনঃ buy kamagra oral jelly paypal uk
ধন্যবাদ শাহিন ভাই ♣
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আমার এক বন্ধু বলেছিল মেয়েরা ভরসা পায় না। কারণ ছেলেটি নিশ্চিত তাদের সেই সুন্দর মুহুর্তের সময় টুকু এভাবে প্রকাশ করে দিবে।
স্ক্যন্ডাল আসলেই সত্যিকারের ভালবাসা গুলোকেও অবিশ্বাস করতে বাধ্য করে।
রাজু রণরাজ বলছেনঃ
এটা একটা সামাজিক ও প্রযুক্তিগত অভিশাপও বটে। পর্ন সাইটগুলোর জনপ্রিয়তার হাতিয়ার। @জয়
@মাশিয়াত… অশেষ ধন্যবাদ সহযোদ্ধা
@অনুস্বার… অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন
ধন্যবাদ @আশরাফ ভাই
ধন্যবাদ @রক্তজবা
অজস্র ধন্যবাদ সহযোদ্ধা অনুপ্রেরনার জন্য @চাতক zoloft birth defects 2013
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ @সফিক ভাই acquistare viagra in internet
অজস্র ধন্যবাদ দিদিভাই @ফাতেমা জোহরা
বেশী বেশী ধন্যবাদ @সোমেশ্বরী আপু
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
এই গল্পটা ভাল েল েগেছ wirkung viagra oder cialis
অনুস্বার বলছেনঃ
আমারও :-bd walgreens pharmacy technician application online
আশরাফুল করিম চৌধুরি বলছেনঃ
ভালো ছিল।
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
ইহা ভাল লেগেছে…………………
চাতক বলছেনঃ
অনবদ্য
আমারও ভাল লেগেছে, আপনার গল্প বরাবরই অন্যরকম
সফিক এহসান বলছেনঃ
অনবদ্য… :-bd
যদিও গল্পের শিরোনামে “স্ক্যান্ডাল” আছে… কিন্তু আমার কাছে ভালোবাসার অনুভূতিটাই বেশি করে ফুটে উঠেছে। para que sirve el amoxil pediatrico
বাই দ্য ওয়ে, “ভিডিও স্ক্যান্ডাল” কিংবা “স্ক্রিন শট” ২টা আইটেমই দেখি খুব ভাল খাচ্ছে পাবলিক আজকাল! (:| side effects of quitting prednisone cold turkey
অনুস্বার বলছেনঃ
মজার ব্যাপারটা হচ্ছে দুইটাই ইদানীং মানুষকে হ্যারাজ করতে, একেবারে শুইয়ে ফেলতে ব্যবহার হচ্ছে খুব… [-(
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
ভালো লিখেছেন দাদাভাই
tome cytotec y solo sangro cuando orino
সোমেশ্বরী বলছেনঃ
এতোটাই ভাল লাগলো যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারলাম না।
অসাধারণ এবং অনবদ্য হয়েছে লেখাটা।
ধন্যবাদ লেখককে।
রাজু রণরাজ বলছেনঃ
এটা একটা সামাজিক ও প্রযুক্তিগত অভিশাপও বটে। পর্ন সাইটগুলোর জনপ্রিয়তার হাতিয়ার। @জয়
@মাশিয়াত… অশেষ ধন্যবাদ সহযোদ্ধা
@অনুস্বার… অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন
ধন্যবাদ @আশরাফ ভাই
ধন্যবাদ @রক্তজবা
অজস্র ধন্যবাদ সহযোদ্ধা অনুপ্রেরনার জন্য @চাতক
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ @সফিক ভাই
অজস্র ধন্যবাদ দিদিভাই @ফাতেমা জোহরা
বেশী বেশী ধন্যবাদ @সোমেশ্বরী আপু clomid over the counter
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
শর্ট কাটে কাজ শেষ! এক মন্তব্যে ফিনিশ
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
আমি দুইবার শুভেচ্ছা পেলাম
রাজু রণরাজ বলছেনঃ
হা হা হা। কি করবো নেটের যা অবস্থা
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আপনি পারেনও…
ভাল লাগলো! আপনার গল্প পড়তে কখনই ক্লান্তি লাগে না!!
নির্ঝর রুথ বলছেনঃ
গল্পের বর্ণনা তো সেইরকম দাদা !
তবে ভালোবাসার কাহিনী এইভাবে পেঁচগি খাবে, চিন্তাও করি নি ।
সুন্দর