আগমনী সভ্যতায়..
335
বার পঠিতমেয়েটি জানালার ধারে বসে থাকে একা একা। বিস্তীর্ণ নীল আকাশটা একটু একটু করে কিভাবে ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়! অবাক বিস্ময়ে তাই চেয়ে দেখে একাকী মেয়েটি। মেঘের পর মেঘ জুড়ে একসময় ঝুম বৃষ্টিতে চারধার একাকার হয়ে যায়। জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে একাকী মেয়েটি। কিন্তু বৃষ্টি কেন যেন প্রতিবার ওর বাড়িয়ে দেয়া হাতটাকে ফাঁকি দিয়েই পালিয়ে যায়। অদ্ভূত এক ঘোরের মধ্যে প্রতিদিনের পথচলা। কোনো রোমান্টিসিজম কিংবা সাময়িক ফ্যান্টাসি নয়, বৃষ্টিকে মেয়েটি ভালোবাসে। নীল শাড়ি পরে চুল ছেড়ে দিয়ে বৃষ্টিতে নেচে বেড়াতে তার খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু ইট কাঠ পাথরের শহরে সেই স্বপ্ন যে পূর্ণ হবার নয়। তাই দুইচোখ ভরে সে বৃষ্টি দেখে। দুইহাত ভরে ছুঁয়ে দেখতে চায় পৃথিবীর নির্জনতা। জ্যোতস্নারাতে গোল থালার মতন চাঁদটির দিকে সে চেয়ে থাকে আরো মুগ্ধতম দৃষ্টিতে। আশেপাশের জগত তখন মিথ্যে হয়ে যায়। শুধুই জ্যোতস্না আর সে। পরীর মতো ওই চাঁদটাকে ঘিরে উড়ে বেড়াতে থাকে জানালার ধারে বসে থাকা একাকী মেয়েটির মন।
এতটা কল্পনাশক্তি তো মেয়েটির ছিলনা কখনই। এইতো মাত্র কয়দিন আগেই চরম বাস্তববাদী ছিল সে। বাস্তবতার কঠোর ছোঁয়াকে আপন করেছিল অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে। শাহবাগ যাওয়া আর রাজাকারের ফাঁসির দাবি নিয়ে লেখালেখি করা – সেই সাথে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া এইত ছিল জীবন। থেমে গেছে সেই জীবনের প্রবাহ। সময় বদলে গেছে, দিন বদলে গেছে। শুধু মেয়েটিই কেন নিজেকে বদলাতে পারছেনা? হয়ত বা অন্তরের দাবিকে ভুলে থাকা যায়না তাই। কাদের কসাইয়ের ফাঁসির বিজয়ানন্দ বুকে নিয়েই হয়ত নতুন করে চলা শুরু করা যায়। কিন্তু কেন মেয়েটার কানে কোন এক রাক্ষসের অট্টহাসির শব্দ আর চোখে ত্রিশ লাখ শহীদ আর চার লাখ বীরাঙ্গনা মায়ের ছবি ভেসে আসে প্রতিনিয়ত! এক রাক্ষসকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আনন্দের সাথে কেন আরেক রাক্ষসকে এখনো ফাঁসিতে ঝোলাতে না পারার ব্যর্থতা গ্রাস করবে প্রত্যেক মূহুর্তে!
নিজেকে শান’ত রাখার জন্য কয়েকদিন ভেবেছে লেখালেখি বন্ধ করে দেয়ার কথা। এই জগত থেকে দূরে সরে যাবার কথা। অনেক আঘাত, অনেক কান্না আর সেই সাথে অনেক বিজয়ের স্মৃতি এই জগতের সাথে। মেয়েটি জানেনা অনেক আগের কোন এক দু:সহ স্মৃতি কেন সে আজো ভুলতে পারেনা। সেই স্মৃতি শাহবাগে যাওয়ার অপরাধে প্রিয় মানুষগুলোর একে একে দূরে সরে যাওয়ার। সেই স্মৃতি মানুষ নামের কিছু নরপশুর আচরণের। সেই স্মৃতি আঘাতের – শারীরিক, মানসিক সবরকম আঘাতের। আবার মেয়েটি এও জানেনা গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৪ এর এপ্রিল- মে কেন ফ্ল্যাশব্যাকের মত প্রতিমূহুরতে তার চোখের সামনে ভাসতে থাকে। কেন কাদের কসাইয়ের ফাঁসির কথা ভাবলে সেই ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩ এর আনন্দ আজো অনুভব করে মেয়েটা তাও জানেনা।
ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভ করে রেখে, ব্লগে আর না ঢোকার প্রতিজ্ঞা করে মেয়েটা তার ভালোবাসাকে বিদায় জানাতে পারেনা। লেখালেখি তার ভালোবাসা। মেয়েটি আবার লিখবে তার চিন্তার কথা, চেতনার কথা – নিজস্বতার কথা। শাহবাগে আর যেতে না পারলেও শাহবাগকে সে বিদায় জানাবেনা। শেষ রাজাকারটির ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত তাকে যে থাকতেই হবে! গতকালকেই চরম হতাশায় বিপর্যস্ত মেয়েটি আজ সকালে উঠে মোবাইলটা হাতে নেয়। সভ্যতা ব্লগে খুলে ফেলে নতুন একাউন্ট। তারপর শুরু করে লেখা। আজ থেকে এটাই হবে তার জানার হাতিয়ার, পড়ার হাতিয়ার, গল্প লেখার খাতা – সুখ দু:খের সাথী। articles on kamagra polo
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। আকাশ সেজেছে ঘন লাল আবীরের সাজে। হাত বাড়িয়ে এই সৌন্দর্যকে ছুঁতে চায় মেয়েটি। কোন সাময়িক ফ্যান্টাসি নয়, সে আসলেই আকাশকে ভালোবাসে। ঘন কালো কাজল দুচোখে মেখে রক্তিম ওই আকাশটার দিকে চেয়ে থাকার মধ্য দিয়েই নাহয় শুরু হোক নতুনের পথচলা। বিনির্মাণে আগামীর পথে…
চাতক বলছেনঃ
অনবদ্য… তবে চলুক পথ চলা “বিনির্মাণে আগামীর পথে…”
মায়াবী তেজস্বিনী বলছেনঃ
ধন্যবাদ ভাই।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
সভ্যতায় নতুন আগত সভ্য কে স্বাগতম।
আশা করি সুন্দর হবে আমাদের পথচলা।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
স্বাগতম viagra generico prezzo farmacia
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
ব্লগে অ্যাকাউন্ট খোলা নিয়েও যে এমন দারুণ কিছু লেখা যায়, ধারণা ছিল না।
সভ্যতায় স্বাগতম!
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
শুরুতেই চমৎকার একটা লেখা পেলাম…
স্বাগতম সভ্যতায়… ~O)