সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-এর চিঠি মলয় রায়চৌধুরীকে : হাংরি কিংবদন্তি
382
বার পঠিতআয়ওয়া, আমেরিকা, ১০ জুন ১৯৬৪
মলয়,
তুমি কলকাতায় কি সব কাণ্ডের বড়াই করে চিঠি লিখেছ জানি না । কী কাণ্ড করছ ? আমার বন্ধু-বান্ধবদের কেউ-কেউ ভাসা-ভাসা লিখেছে বটে কফিহাউসে কী সব গণ্ডোগোলের কথা ।
কিছু লেখার বদলে আন্দোলন ও হাঙ্গামা করার দিকেই তোমার লক্ষ্য বেশি । রাত্রে তোমার ঘুম হয় তো ? এসব কিছু না — আমার ওতে কোনো মাথাব্যথা নেই । যত খুশি আন্দোলন করে যেতে পারো — বাংলা কবিতার ওতে কিছু আসে যায় না । মনে হয় খুব একটা শর্টকাট খ্যাতি পাবার লোভ তোমার । পেতেও পারো, বলা যায় না । আমি এসব আন্দোলন কখনো করিনি ; নিজের হৃৎস্পন্দন নিয়ে আমি এতই ব্যস্ত ।
তবে একথা ঠিক, কলকাতা শহরটা আমার । ফিরে গিয়ে আমি ওখানে রাজত্ব করব । তোমরা তার এক ‘চুলও’ বদলাতে পারবে না । আমার বন্ধুবান্ধবরা আনেকেই সম্রাট । তোমাকে ভয় করতুম, যদি তোমার মধ্যে এখন পর্যন্ত একটুও জেল্লা দেখতে পেতুম । আমার চেয়ে কম বয়সিদের মধ্যে একমাত্র তন্ময় দত্ত এসেছিল বাংলা কবিতায় তলোয়ার হাতে, আমার চেয়ে অন্তত ছ’বছরের ছোটো—- কিন্তু জীবনানন্দের পর অত শক্তিশালী কবি এদেশে আর কেউ আসেনি । প্রচণ্ড অভিমান করে ও চলে গেছে । সেজন্যে এখনও আমি অপরের হয়ে অনুতাপ করি । আমি নিজে তো এখনও কিছুই লিখিনি , লেখার তোড়জোড় করছি মাত্র ; কিন্তু তোমার মতো কবিতাকে ‘কমার্শিয়াল’ করার কথা আমার কখনো মাথায় আসেনি । বালজাকের মতো আমি আমার ভোকাবুলারি আলাদা করে নিয়েছি কবিতা ও গদ্যে । তোমার প্রতি যতই আমার স্নেহ থাক মলয়, কিন্তু তোমার কবিতা সম্বন্ধে এখনো কোনোরকম উৎসাহ আমার মনে জাগেনি । প্রতীক্ষা করে আছি অবশ্য । amiloride hydrochlorothiazide effets secondaires
অনেকের ধারণা যে পরবর্তী তরুণ জেনারেশানের কবিদের হাতে না রাখলে সাহিত্যে খ্যাতি টেকে না । সে জন্যে আমার বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কেউ-কেউ একসময় তোমাদের মুরুব্বি হয়েছিল । আমি ওসব গ্রাহ্য করি না । নিজের পায়ে আমার যথেষ্ট জোর আছে, এমনকী একা দাঁড়াবার । আমার কথা হল : যে-যে বন্ধু আছ কাছে এসো, যে ভালো কবিতা লেখো কাছে এসো — যে-যে বন্ধু নও , বাজে কবিতা লেখো, দূর হয়ে যাও কাছ থেকে । বয়সের ব্যবধান তোলা আমার কাছে অত্যন্ত ভালগার লাগে ।
চালিয়ে যাও ওসব আন্দোলন কিংবা জেনারেশানের ভণ্ডামি । আমার ওসব পড়তে কিংবা দেখতে মজাই লাগে । দূর থেকে । সাহিত্যের ওপর মৌরসি পাট্টা বসাতে এক-এক দলের অত লোভ কী করে আসে , কী জানি । তবে একটা কথা জানিয়ে রাখা ভালো । আমাকে দেখেছ নিশ্চয় শান্তশিষ্ট, ভালো মানুষ । আমি তাই-ই, যদিও গায়ে পদ্মাপাড়ের রক্ত আছে । সুতরাং, তোমাদের উচিত আমাকে দূরে-দূরে রাখা , বেশি খোঁচাখুঁচি না করা । নইলে হঠাৎ উত্তেজিত হলে কী করব বলা যায় না । জীবনে ওরকম উত্তেজিত হয়েছি পৌনে এক বার । গত বছর । দুএকজন বন্ধুবান্ধব ও-দলে আছে বলে নিতান্ত স্নেহবশতই তোমাদের হাংরি জেনারেশান গোড়ার দিকে ভেঙে দিইনি । এখনও সে ক্ষমতা রাখি , জেনে রেখো । তবে এখনও ইচ্ছে নেই ও-খেলাঘর ভাঙার । cialis new c 100
আমার এক বন্ধু জানিয়েছে যে তোমরা নাকি আমার কোনো কোনো চিঠির অংশ-বিশেষ ছাপিয়েছ । পত্রসাহিত্য-ফাহিত্য করার জন্য আমি চিঠি লিখি না । আমার চিঠি নেহাত কেজো কথা । অবশ্য লুকোবারও কিছু নেই । কিন্তু আগে-পরের কথা বাদ দিয়ে, ডটডট মেরে, চালাকির জন্য আমার কোনো চিঠি যদি কেউ ছাপিয়ে থাকে — তবে আড়াই মাস পরে ফিরে তার কান ধরে দুই থাপ্পড় লাগাব বলে দিও ।
আশা করি শারীরিক ভালো আছ । আমার ভালোবাসা নিও ।
সুনীলদা
( The facsimile of the letter was first published in 1987 in the book HUNGRY, SHRUTI and SHASTROBIRODHI ANDOLON by Dr Uttam Das. Publisher : Mahadiganto Prokashani, Padmapukur Mor, Kolkata 700 144. The letter has been reprinted thereafter in various books and periodicals and used by researchers doing M Phil and PhD )
অংকুর বলছেনঃ
সুনীল এত আক্রমণাত্মক চিঠি লিখেছিলেন? কি জানি কি উদ্দেশ্য ছিল! ভালোবাসা না অপমান করার ইচ্ছা :-X X( will metformin help me lose weight fast
অমিত লাবণ্য বলছেনঃ
সুনীল একটু অহংকারী ছিলো বুঝা যাচ্ছে, মাস্তানী করতো অন্যদের সাথে। তার কোথায় দম্ভ প্রকাশ পায়
তারিক লিংকন বলছেনঃ
দাম্ভিক এবং একরোখা। মানায় বটে নীল লোহিতকে…
ভাল জিনিস শেয়ার করেছেন অমিত দ্যা! ভাল থাকবেন
অনুস্বার বলছেনঃ
মজার ব্যাপার হচ্ছে আদৌ সুনীলের সেই ক্ষমতা ছিল কিনা, সেইটা সুনীল নিজেও নিশ্চিত ছিলেন না। সেই উত্তাল সময়ে যখন চারিদিকে প্রথা ভাঙ্গার রীতি চলছে, চলছে নতুন কিছু গড়ার রীতি, তখন হুট করে শুষিল সমাজের প্রতিনিধি সুনীল সাহেব প্রথাভাঙ্গা প্রতিভাবান কবিদের পিঠে ছুরি মেরে বাঙলা সাহিত্যের ত্রানকর্তারুপে আবির্ভূত হলেন… অথচ প্রথমদিকে কিন্তু তিনিও ছিলেন এই দলেই… সাহিত্য সমাজ সুনীলকে যত অসাধারন লেখক হিসেবেই চিনুক না কেন, আমার কাছে সুনিলের একমাত্র পরিচয় , তিনি একজন দুমুখো হিপোক্রেট… %-( :-@
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
তাই তো।
যতদূর জানি- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এমন অভিযোগও করেছিলেন যে তাঁকে না জানিয়ে তাঁকে বাদ দেবার জন্যেই এই আন্দোলন।
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
সুন্দর একটি জিনিস শেয়ার করলেন। চিঠিতে সুনীলের অহমিকা স্পষ্ট যদিও হাংরি জেনারেশানের বিরুদ্ধে আসলেই তার পক্ষে ধর্তব্য কিছু করার ছিলো কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ venta de cialis en lima peru
চিঠিতে সুনীল বাবু বেশ দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন । জানা নেই, হয়তোবা তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি দেখানোর মতই ছিল!
যাইহোক, চমৎকার একটি বিষয় শেয়ার করেছেন অমিত ভাই । অনেক ধন্যবাদ ।
আশরাফুল করিম চৌধুরি বলছেনঃ
দরকারি জিনিস।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
অমিত দা, আপনার শেয়ার করা চিঠি ভাল লাগল পড়তে। কিন্তু না জেনে কি মন্তব্য করা উচিত বুঝতে পারছি না…
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
হাহাহা…
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
এ তো পুরাই চমকে দিলেন। চমতকার জিনিস শেয়ার করলেন।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
এ নিয়ে ধরণা নেই para que sirve el amoxil pediatrico