প্রিয় একগোছা রজনীগন্ধা
535
বার পঠিতভোরবেলায় প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ঘুম ভেঙ্গেছে আজকে। ঘুমাতেই যাওয়া হয়েছে রাত ৪টার পর। সকালে যেহেতু কোন কাজ নেই তাই আজ অনেকবেলা করে ঘুম থেকে উঠা যেত। কিন্তু স্বপ্নটা দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেল।
সবাই বলে ভোরবেলার সপ্ন সত্যি হয়। এই স্বপ্নটা সত্যি হলে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হয়ে যাওয়া যাবে। তাই স্বপ্নটা দেখার পর আর ঘুম আসেনি।
তারপরেও অনেকক্ষণ পর বিছানা ছাড়া হয়েছে। এতক্ষন শুয়ে শুয়ে ঘরের তারাগুলোর দিকে তাকিয়ে স্বপ্নটার কথা ভাবা হচ্ছিল। স্বপ্নটা দেখার পেছনে কারণটা বেশ বোঝা যাচ্ছে। অবশ্যই আজকে বিকেলে একজনের সাথে দেখা করতে যেতে হবে। কেউ একজন আজ অপেক্ষায় আছে। আজ কোন বিশেষ একজনের অভিমান ভাঙ্গাতে যেতে হবে। স্বপ্নটা তাই মনে করিয়ে দিলো!
আজকে কঙ্কার জীবনের খুব বিশেষ একটা দিন। আজকের এই দিনেই তার তনুর সাথে প্রথম দেখা হয়েছিলো। ২০০২ এর এই দিনেই সে তনুকে প্রথম দেখেছিল। কঙ্কা তার জীবনের বিশেষ দিনগুলো একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মনে রাখে। বিশেষ করে তনুর সাথে জড়িত দিন গুলো। কঙ্কা এই সব দিনগুলো সবসময় খুব ঘটা করে পালন করে। তনু অবশ্য তার এই আদিখ্যেতা নিয়ে খুব বিরক্ত হত। তারপরেও কঙ্কা তনুকে নানাভাবে ম্যানেজ করে ফেলত তার সারাদিনব্যাপী নানাবিধ কার্যক্রমে সামিল করতে। ঐসব দিনগুলো কাটতো ঘুরাঘুরি আর শেষকালে ঝগড়ার মধ্যে দিয়ে। ঝগড়া বাধত কঙ্কার পাগলামির কারনে। তনু কঙ্কাকে বলত- “তুমি এত পাগলামি কর কেন? এতো ইমোশনাল হলে কি জীবন চলে? একটু বাস্তববাদী হও! শুধু ভালোবাসা দিয়ে জীবন চলে না।“ তার পরেও কঙ্কা পাগলামি করত। কারন সে তার আবেগগুলোকে কমাতে পারত না। সে জানতো না তনুর জন্য ভালোবাসাটাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায়। venta de cialis en lima peru
বিছানায় শুয়ে শুয়ে অনেক বেলা অবধি কঙ্কা এসবই ভাবছিল। আজ সে অনেক বাস্তববাদী, কোন ইমোশন আজ তাকে সহজে স্পর্শ করতে পারে না।
তারপরেও কঙ্কা আজও সেইসব দিনগুলোকে তার নিজের মত করেই পালন করে। যদিও সেই পাগলামোগুলো আজ উধাও হয়ে গিয়েছে। কারন যে মানুষটার জন্য তার সব পাগলামো ছিল সেই মানুষটাই আজ তার পাশে নেই। তনু যে কখনো কঙ্কাকে ছেড়ে যেতে পারে তা আজও কঙ্কার বিশ্বাস হয় না। কিভাবে পারলো মানুষটা তার এতোদিনের ভালোবাসাটাকে ছেড়ে ছুরে নির্বিকারে চলে যেতে। তনু যে এতোটা স্বার্থপর তা কখনো ভাবেনি কঙ্কা!!
কঙ্কা এসব হিসাব মিলাতে পারেনা। তাই আজ সে এসব সমীকরণের ধারের কাছেও যায় না। প্রেমভালোবাসা তাকে আর টানে না। তনু চলে যাবার পর অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। তার প্রতি কঙ্কার রাগ অনেক। কিন্তু কেন জানি মানুষটাকে সে আজও অবহেলায় ভুলে যেতে পারেনি। সবাই বলে, “যে গেছে তার কথা ভেবে কি হবে? আবার নতুন করে শুরু কর। এমন কেউ হয়তো আছে যে তোকে তনুর চাইতেও বেশি ভালবাসবে। তনুর কথা ভেবে তো আর জীবন কাটবে না। তোর নিজের জীবন আছে, তোর ভবিষ্যৎ আছে। তনুর কথা ভুলে যা!”
কঙ্কাও ভুলতে চেয়েছিল সেই স্বার্থপর ছেলেটার কথা, যে তার সব প্রতিজ্ঞা ভেঙ্গে তাকে ফেলে চলে গেছে, যে যাবার সময় ভাবেওনি তার কথা, কঙ্কার বাকি জীবনটা কি করে কাটবে তার কোন ঠিকানা না দিয়েই সমস্ত দায়ভার কঙ্কার ঘাড়ে চাপিয়ে তনু চলে গিয়েছিল। যাবার সময় একবার ফিরেও তাকায়নি, কঙ্কার চোখের পানিও তাকে সে দিন ফেরাতে পারেনি। কঙ্কার হাজার কাকুতিমিনতিকে সে পিছে ফেলে সেদিন চলে গিয়েছিল। আর কখনো ফিরেও আসেনি। একবার খোঁজও নেয়নি সে কিভাবে আছে, কেমন আছে।
আজকাল সবাইকেই তনুর মত স্বার্থপর মনে হয়। কাউকেই আর বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় না। যে মানুষটাকে সে জীবনের সব চেয়ে বেশি বিশ্বাস করতো সেই তার সব বিশ্বাস আর স্বপ্ন ভেঙ্গে চলে গেল! আসলে সবাই এক। কেউ কারো কথা রাখে না। তনুও রাখেনি তার কথা! সে অনায়াসে ভুলে গেছে কঙ্কার কথা। কিন্তু কঙ্কা আজও তাকে ভুলেনি। তার প্রত্যেকটা বিশেষদিন আজও সে পালন করে। তার জন্য গিফট কিনে। আজও কঙ্কা এইসব দিনে তনুর নাম্বারে কল দেয় যদিও ফোনের ঐপ্রান্ত থেকে রবোটিক একটা একঘেরে কণ্ঠস্বরে ভেসে আসে “ দুঃখিত, এই মুহূর্তে ………”।
কঙ্কা সবই জানে তারপরেও সে মাঝে মাঝেই পুরনো চেনা ঐ নাম্বারটিতে কল দেয়। মাঝরাতে কোন কল আসলে ঝাপিয়ে উঠে হয়তো এটা সেই নাম্বার কিন্তু ০১৭১…………১ সিরিজের সেই নাম্বারটা থেকে কখনই কোন কল বা টেক্সট আসেনি!
তনুটা ভীষণ পাষাণ। একবারও ভুলেও তাকে মনে করে না। কি যেন কখনো হয়তবা মনেও করে কিন্তু অভিমানে কিছু বলে না। cialis new c 100
আজ স্বপ্নটা দেখে মনে হল আজকেই সেই দিন। আসলে তনু কঙ্কাকে ভুলেনি। সে আজও কঙ্কাকে অনেক ভালবাসে যেমনি আগে ভালোবাসতো। আসলেই তাকে তনুর মত করে আর কেউ ভালবাসতে পারবে না। আজকে অনেকদিন পর কঙ্কা তনুর সাথে দেখা করতে যাবে। অনেকদিন যাবত তাদের মধ্যে যে অভিমান পর্ব চলছিল আজ তার অবসান ঘটাতে হবে। তনুটা মহা অভিমানী তাই কঙ্কাকেই যেতে হবে তার কাছে। কিছু ভুল বুঝাবুঝির কারনে অনেকদিন তাদের দেখা হয় নাই। কঙ্কা অনেক জেদি তাই সেও রাগ করে তনুর সাথে আর দেখা করেনি সব জানার পরেও। কিন্তু ভালোবাসাতো আর কমে যায়নি তাই অবশেষে মনের টানেই তনুর কাছে ফিরতে হবে আবার। আজ তনুর পছন্দের নীল রঙের শাড়ির সাথে একটা ছোট্ট নীল টিপ,আর তনুরই কিনে দেয়া নীল কাঁচের চুড়ি পরবে সে। আর যাবার সময় তনুর জন্য নিতে হবে তার প্রিয় একগোছা রজনীগন্ধা।
বিকেল হয়ে গিয়েছে। দুপুরের কড়া রোদ সরে গিয়ে সেখানে ঠাই নিয়েছে কনে দেখা লগ্নের মিঠে একটা আলো। কঙ্কা নীল শাড়ি, নীল টিপ আর নীল কাঁচের চুড়ি পরে দাড়িয়ে আছে। তার হাতে ধরা একগুচ্ছ রজনীগন্ধা। মৃদু বাতাসে কঙ্কার চুল উড়ছে, বাতাসের সাথে ভেসে আসছে রজনীগন্ধার অপূর্ব সুবাস। কঙ্কা মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে, অনেকদিন পর দেখা। কঙ্কার চোখে পানি চলে আসছে, সে তনুর দিকে মুখ তুলে তাকাতে পারছে না। দীর্ঘ একটা সময় পর তারা আজ মুখোমুখি।
কঙ্কা দাড়িয়ে আছে তনুর সামনে। আরও সঠিক আর স্পষ্ট করে বলতে গেলে কঙ্কা দাড়িয়ে আছে তনুর এপিটাফের সামনে !
can levitra and viagra be taken together
অংকুর বলছেনঃ
অনেক সুন্দর লিখেছেন।অনুগল্প হিসেবে বেশি বড় হয়ে গেছে। বাকিবাদ সব ভাল
চাতক বলছেনঃ kamagra pastillas
সব সময় কঙ্কারা চোখের জল ফেলে তা কিন্তু না, কঙ্কার ভুলে অনুরাও ফেলে!
ভাল লাগলো আপনার অনু গল্প
চাতক বলছেনঃ
সর্যি তনুরা***
এইমলেস ভেনাম বলছেনঃ
puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotecসুন্দর লিখেছেন ।