বিস্মৃতির অতলে চাপা পড়া এক কল্পনাতীত নিকৃষ্টতা এবং নাম না জানা কিছু মা-বোনের ইতিহাস…( ৩য় পর্ব)
532
বার পঠিত tome cytotec y solo sangro cuando orino
“আমাদের এসব উশৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে, তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো মুসলিম এবং ভালো পাকিস্তানী”
“We must tame the Bengali tigress and change the next generation Change to better Muslims and Pakistanis”
-ধর্ষণে লিপ্ত এক পাকি মেজরের চিঠি থেকে পাওয়া যায় এই কথাটি।
স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অষ্ট্রেলিয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গনধর্ষনের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ-কারবার করেছিল। অষ্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক বিচলিত হলেও পাক অফিসারদের সাচ্চা ধার্মিক হৃদয়ে কোন রকম রেখাপাত ঘটেনি। তাদের সরল জবাব ছিল-
“আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিলো যে একজন ভালো মুসলমান কখনই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের গর্ভবতী করে যেতে হবে।”
“We had orders from Tikka Khan to the effect that a good Muslim will fight anybody except his father. So what we had to do was to impregnate as many Bengali women as we could.”
এসব উদ্দেশেই পরবর্তীতে পাকি শুয়োরেরা আমাদের মা বোনের উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। ৯ মাসে প্রায় ৪ লক্ষ মা বোনকে ধর্ষণ করে ওরা। পরবর্তীতে এই ৪ লক্ষ মা বোনের মধ্যে প্রায় ২ লাখই অন্তঃস্বত্বা ছিলেন। সুসান ব্রাউমিলার তাঁর Against Our Will Men Women and Rape বইয়ে উল্লেখ করেছেন-
During the nine-month terror, terminated by the two week armed intervention of India, a possible three million people lost their lives, ten millions fled across the border to India and 200,000, 300,000 or possible 400,000 women (three sets of statistics have been variously quoted) were raped. Eighty percent of the raped women were Moslems, reflecting the population of Bangladesh, but Hindu and Christian women were not exempt. levitra 20mg nebenwirkungen
যুদ্ধ শুরু হবার বহু আগে থেকেই ওরা আমাদের মা বোনদের উপর নির্যাতন চালাবার একটি নীল নকশা আঁকে। এবং সেই নীল নকশা অনুযায়ী ২৫ শে মার্চ রাত থেকেই বাঙালী নারীদের উপর ওরা নির্যাতন শুরু করে দেয়। এ প্রসঙ্গে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল আক্রমণের ঘটনাটি তুলে ধরছি …
বৃহস্পতিবার,২৫শে মার্চ ১৯৭১,
দিবাগত রাত ১ টা ৩৫ মিনিটে বেশ কয়েকটি ট্যাংক নিয়ে প্রায় ৫০০ পশ্চিম পাকিস্তানির বর্বর সেনা বাহিনী মেজর জামাল খানের নেতৃত্বে হলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। সঙ্গে ছিল আধুনিক সব সমরাস্ত্র। মেজরের নেতৃত্বে হলের দেয়াল ভেঙে ফেলা হল।পাকি সেনাদের পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞে মত্ত হবাএ ঠিক পূর্ব মুহূর্তে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট মেজর খানের পথ রোধ করলেন। চিৎকার করে বললেন-
“কেন তোমারা ছাত্রীবাসের পবিত্রতা নষ্ট করছো ! তোমাদের কি মা বোন নেই ? কচি, নিষ্পাপ, পবিত্র মেয়েদের হত্যা করে তোমারা কি পাবে ? একেকটা উজ্জ্বল নক্ষত্রের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে তোমারা কেন পূর্ব পাকিস্তানকে ধ্বংস করে দিতে চাইছো ! কেন তোমরা পৃথিবীর কাপুরুষচিত হত্যাযজ্ঞের নায়ক হতে চলেছো ?’’
এতোগুলো কথা একসাথে বলে তিনি রাগে ঘৃণায় কাঁপতে লাগলেন। তাঁর কথা শুনে পাকি সেনাদের মধ্যে মৃদু গুঞ্জন উঠলো। এমন সময় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ওয়্যারলেসে ব্যাকুল পৈশাচিক কণ্ঠে উর্দু ভাষায় ভেসে এলো-
হ্যালো!! রোকেয়া হল কি ধ্বংস হয়েছে ? কচি,কুমারী বাঙালি মেয়েদের পেতে আর কতো দেরী ? আমরা যে আর অপেক্ষা করতে পারছে না। হারিয়াপ !! side effects of drinking alcohol on accutane
বসদের তাড়ায় মেজর খান সেনাদের দিকে তাকিয়ে বললেন-
-“মার্চ !!’’
তখন রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ফাতেমা চিৎকার করে বললেন- cialis new c 100
“হল্ট!! আমাকে না মারা পর্যন্ত তোমরা এক পা-ও এগুতে পারবে না। আমার দেহে প্রান থাকতে আমি তোমাদের এগুতে দেবো নাহ্।
হিংস্র জানোয়ারগুলোর হাত থেকে হলের মেয়েদের আটকে রাখার চেষ্টা ব্যর্থ হলেন তিনি। আটকে রাখা হল তাঁকে। হলের দিকে এগিয়ে যেতে না যেতেই আবারো বাঁধার সম্মুখীন হল পাকি সেনারা। ওদের পথ রুদ্ধ করে দাঁড়ালো হলের বৃদ্ধা আয়া। বলে উঠলেন-
আমারে না মাইরা তোমরা আগাইতে পারবা না। আমার মাইয়াগো ইজ্জত নষ্ট করতে দিমুনা তোমাগো
আরও কিছু বলার আগেই বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো হল। মাটিতে লুটিয়ে পড়লো রক্তাক্ত বৃদ্ধা আয়া।সাথে সাথে বাংলার স্বাধীনতা রক্ষার্থে হাজারো বীর মায়ের ন্যায় তিনিও বাংলার পবিত্র মাটির বুকে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। আরও একজন বীর মায়ের রক্তে রঞ্জিত হল বাংলার মাটি। মেজর খানের নির্দেশে পুরো হলকে ঘিরে ফেলা হল। মেজর খান মাইক হাতে মেয়েদের সারেন্ডার করে ট্রাকে উঠার নির্দেশ দেয়া হল।নির্দেশ দেবার সাথে সাথে উপর থেকে এক দীপ্ত নারী কণ্ঠ ভেসে আসলো- venta de cialis en lima peru
মেজর, অপেক্ষা করো আসছি…
ইতিহাস বিভাগের এম.এ শেষ বর্ষের ছাত্রী রওশনারা বীর বলিষ্ঠ রূপে এগিয়ে এলেন। তাঁর পরনে ছিল সাদা শাড়ি, সাদা ব্লাউজ। কপালে ছিল লাল টিপ। কপালের লাল টিপটা যেন ধ্রুবতারার মতো জ্বলজ্বল করছিলো। স্পষ্ট ভাষায় তিনি মেজরকে জিজ্ঞেস করলেন-
হোয়ার ইজ ইয়োর ট্রাক ?
মেজর হাতের আঙুল দিয়ে ট্রাকের দিকে নির্দেশ করলেন। রওশনারা কাউকে কিছু না বলেই আচমকা ট্যাংকের উপর ঝাপিয়ে পরলেন। কেউ কিছু বোঝার আগেই ট্যাংক ধ্বংসের বিকট শব্দে আকাশ পাতাল কেঁপে উঠলো। মেজর খান এবং ৫০০ সেনার সামনে রওশনারা তাঁর শাড়ির তলায় মাইন বেঁধে ট্যাংকের উপর আছড়ে পরে পাকি সেনাদের আমদানিকৃত ট্যাংক ধ্বংস করে দিলো। ট্যাংক ধ্বংসের আওয়াজ শোনার সাথে সাথে উপর থেকে আরও গোলা নিচের দিকে আসতে লাগলো। শত্রুরাও গুলি করতে লাগলো উপরের দিকে। কিন্তু পাকি সেনাদের আধুনিক অস্ত্রের সাথে না পেরে নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়লো ছাত্রীরা। বীর মা বোনদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেলো বাংলার মাটি। সেই সাথে রচিত হল ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম ইতিহাস।
এদিকে নারী লোভী পাকি সেনারা দেরী সহ্য করতে না পেরে ক্যান্টনমেন্টের ওয়্যারলেস থেকে হুংকার ছাড়ল-
ইউ ব্লাডি সোয়াইন !! হোয়াই ইউ আর মেকিং লেট ? উই ওয়ান্ট গার্ল,উই ওয়ান্ট ইয়াং বাঙালি গার্লস্ , হারিয়াপ !
তাড়া খেয়ে গোটা ৫০ অর্ধমৃত ছাত্রীকে হাজির করলো তাদের বসদের সামনে।ট্রাক থেকে যখন তাদের নামানো হল কোন নারীর দেহেই প্রাণ ছিল না। এইভাবে আমাদের মা বোনদের উপর চরম থেকে চরমতর নির্যাতন করেছে পাকি শুয়রেরা।
এভাবে বিভিন্ন হল এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মেয়েদের ধরে আনা হতো। অনেকের কোলে থাকতো দুধের বাচ্চা। এসব শিশুকে মায়ের বুকের উপর বসিয়ে মায়ের হাত পা বেঁধে বেয়ানট দিয়ে দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলা হতো। এরপর ধর্ষণ করা হতো মাকে। নির্মম নির্যাতনের তাঁদেরকে জোর করে বলানো হতো-
পাকিস্তানে ভালো আছি !!
তাছাড়া সেনা নিবাসের কোয়াটারের নারীদের উপরও চালনো অকথ্য নির্যাতন। সেনানিবাসের এম ই এস এর কর্মচারী হারেস উদ্দিন ছিলেন এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি জানান-
৫৫ নং ফিল্ড রেজিমেন্টের আর্টিলারির ফ্যামিলি কোয়াটারের ১২ থেকে প্রায় ৪৬ বছরের প্রায় ২৫৫ জন মেয়েকে আটকে রেখে প্রতিরাতে অসংখ্য পাকি হায়েনারা তাঁদের উপর নির্যাতন চালাত। বাইরে থেকে শোনা যেত মেয়েদের আর্ত চিৎকার সেই সাথে শোনা যেত পাকি হায়েনাদের পৈশাচিক হাসি। তিনি জানান, প্রতিদিন বিকেলে একজন সুবেদার এসে বন্দি মেয়েদের একটা তালিকা প্রস্তুত করতো। সন্ধ্যা হলে তালিকা অনুযায়ী মেয়েদের পাঠিয়ে দেয়া হতো বিভিন্ন পাকি জানোয়ারের কক্ষে।পৈশাচিক নির্যাতন চালানো তাঁদের উপর। ধর্ষণের পর অনেক সময় কেটে দেয়া হতো তাঁদের স্তন, যোনী দিয়ে বেয়ানেট ঢুকিয়ে দেয়া হতো।
বন্দীশিবিরের মেয়েদেরকে তিন ভাগে ভাগ করা হতো। ১ম ভাগে কিশোরী, ২য় ভাগে থাকতো যুবতী এবং ৩য় ভাগে থাকতো গৃহবধূ বা মধ্যবয়সী মহিলারা। এইভাবে পুরো ৯ টা মাস আমাদের বাঙালি মা বোনের উপর অকথ্য নির্যাতন করে ওরা।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম জনসভায় বলেছিলেন, দুই থেকে আড়াই লাখ নারী যুদ্ধে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পরবর্তীতে এ সংখ্যাটিকেই সরকারি পরিংসখ্যান হিসেবে গণ্য করা শুরু হয়। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত দৈনিক বাংলার বানী’র গনহত্যা বিষয়ক বিশেষ সংখ্যা থেকে জানা যায়, দুই থেকে আড়াই লাখের পরিসংখ্যানটি সে সময়ের সরকারি কর্মকর্তারা অনুমানের ভিত্তিতে তৈরি করেছেন। তাদের হিসাব অনুযায়ী সারা দেশের ৪৮০টি থানার ২৭০টিই পাকিস্তানী সেনাদের দখলে ছিল। প্রতিদিন গড়ে ২ জন করে নিখোঁজ মহিলার হিসাব অনুযায়ী লাঞ্ছিত মহিলার সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখ।অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক ডা. জিওফ্রে ডেভিস দেশজুড়ে তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতায় এবং উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় চালানো নমুনা জরিপের মাধ্যমে পরিসংখ্যান তৈরি করে জানান, ৪ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার নারী মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক ড. জিওফে ডেভিস বলেছেন,
পৌনঃপুনিক লালসা চরিতার্থ করবার জন্য হানাদারবাহিনী অনেক তরুণীকে ধরে তাদের শিবিরে নিয়ে যায়। এসব তরুণীদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হবার লক্ষণ কিংবা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে হয় তাঁদেরকে পরিত্যাগ করা হয়েছে নয়তো হত্যা করা হয়েছে। কোন কোন এলাকায় বারো ও তেরো বছরের বালিকাদের শাড়ি খুলে নগ্ন অবস্থায় রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে যাতে তারা পালিয়ে যেতে অথবা আত্মহত্যা করতে না পারে।
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দীর্ঘ ৯ মাস সময়ে নারীদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পাকিস্তানী সৈনিকরা নারীদের বন্দি করে নিয়ে গেছে নিজস্ব ক্যাম্পে এবং বাঙ্কারে। দিনের পর দিন সেখানে তাদের আটকে রেখে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। ক্যাম্প পরিবর্তনের সাথে সাথে সেইসব নারীদেরও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্য ক্যাম্পে।১৯৭২ সালে মার্চ থেকে ছয় মাস বাংলাদেশের হয়ে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসক ড. জেফ্রি ডেভিস। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান-
“ধনী ও সুন্দরী মেয়েদেরকে অফিসারদের জন্য রেখে দেয়া হতো আর বাকিদের অন্যান্য সৈন্যদের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হতো। আর মেয়েদেরকে দারুণ কষ্টে ফেলে দেয়া হতো। তাদেরকে পর্যাপ্ত খেতে দেয়া হতো না। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের চিকিৎসা দেয়া হতো না। অনেকেই ক্যাম্পের মধ্যে মারা গেছে।”
যুদ্ধকালীন সময়ে শুধু যৌন নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয় নি পাকবাহিনী। বেশ কিছু সংখ্যক নারীকে ‘কমফোর্ট গার্ল’ হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তারা। ১৯৭২ সালের ২০ জুন দৈনিক ইত্তেফাকের তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ হইতে অপহৃতা সাড়ে ৭০০ তরুণীর মর্মবেদনার কাহিনী’ শীর্ষক খবরে লেখা হয়,
‘দখলদার পাক বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা হইতে অপহরণ করিয়া নেওয়া ৭ শত ৫৫ জন বাঙালি তরুণী করাচি ও কোয়েটার বন্দী শিবিরগুলিতে অমানুষিক দৈহিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকারে পরিণত হইয়াছে।’
তাছাড়া সেইসময়ে অনেক নারীকে জোরপূর্বক গর্ভধারণে বাধ্য করাও হয়েছিলো। অফিসিয়াল ডকুমেন্ট অনুযায়ী যুদ্ধকালীন সময়ে ফোর্সড প্যাগন্যান্সীর (forced pregnancy) শিকার হন কমপক্ষে ২৫০০০ জন। অন্যদিকে সুসান ব্রাউনমিলার তাঁর Against Our Will Men Women and Rape বইতে লিখেছেন “ধর্ষণের পরও বেঁচে থাকা নারীদের মধ্যে ২৫ হাজার জন গর্ভধারন করেছিলেন (ব্রাউনমিলার, ১৯৭৫ : ৮৪)।”তাঁর ভাষায়-
The most serious crisis was pregnancy. Accurate statistics on the number of raped women who found themselves with a child were difficult to determine but 25,000 is the generally accepted figure.
তবে ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিংস কমিটির ডা. এম এ হাসান দাবি করেন,
‘এ ধরনের নারীর সংখ্যা ছিল কমপক্ষে ৮৮ হাজার ২ শ’। ’৭২ সালের মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ধর্ষিত নারী এবং আরো ১ লাখ ৩১ হাজার হিন্দু নারী স্রেফ গায়েব হয়ে গিয়েছিল। তারা বিলীন হয়ে গিয়েছিল বিশাল জনসমুদ্রে।’
এদের মধ্যে ৫ হাজার জনের গর্ভপাত সরকারিভাবে ঘটানো হয়েছিল বলে জানান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবা দিতে আসা অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক ড. জিওফ্রে ডেভিস। ১৯৭২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন দৈনিক বাংলায় তার কাজের ওপর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তার মতে, সরকার উদ্যোগ নেওয়ার আগেই ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার নারীর ভ্রুণ স্থানীয় দাই, ক্লিনিকসহ যার পরিবার যেভাবে পেরেছে সেভাবে ‘নষ্ট’ করেছে।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে বাঙালি নারীদের উপর মূলত জেনোসাইডাল রেইপ সংঘটিত হয়েছিল। এনবিসি নিউজ ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি একটি রিপোর্ট করে। যাতে জানা যায় ১৩ বছরের মেয়েরাও ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
পাকিস্তানী সেনাদের স্থানীয় সহযোগী, রাজাকার এবং আল বদর বাহিনী বিশেষত হিন্দু জনগোষ্ঠীকে নির্যাতনের জন্য ধর্ষণ করতো। বীনা ডি কস্তা লিখেছেন-
The Pakistan Army’s local militia, known as the Razakaar and al-Badr, used rape to terrorise, in particular the Hindu population, and to gain access to its land and property. wirkung viagra oder cialis
১৯৭১ সালে আমাদের মা বোনের উপর যেই নির্মম, পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিল পাকিস্তানি হায়েনারা তা কিছুতেই একটি দুইটি কিংবা শত পর্ব লিখেও শেষ করা যাবে না। সেই ইতিহাস বড় নির্মম। পৃথিবীর ইতিহাসের যেকোনো বীভৎসতাকে হার মানায় সেই ঘটনাগুলো। আর সেই নির্মম ইতিহাস আরও নির্মম হয়ে উঠেছে যখন আমরা “ বীরঙ্গনা “ নামের আড়ালে চিরদিনের মতো ঢেকে রাখতে, ইতিহাসের পাতা থেকে বিলীন করে দিতে চেয়েছি আমাদের সেইসব নির্যাতিত মায়েদের যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য উৎসর্গ করেছে নিজেদের সবটুকু। এমনকি যুদ্ধের পরেও যখন সেইসব মা বোনকে তাঁদের পরিবার পরিজন গ্রহন করতে চায়নি তখন যেন রচিত হয়েছে ইতিহাসের আরেকটি নির্মম উপাখ্যান। আর আজও সেই নির্মম উপাখ্যানের পথেই যেন আমরা হাঁটছি। আজও আমরা দিচ্ছি না সেইসব মায়েদের সম্মানের যথার্থ মূল্য।আমাদের অবহেলা আর লাঞ্ছনার অনেক বীরঙ্গনা মায়েদের বাঙালি নারী থেকে হয়ে যেতে হয়েছে ভিনদেশী নারী। অনেক তারা ব্যানার্জী কে হয়ে যেতে হয়েছে মিসেস টি নিয়েলসেন। আর যারা দেশে থেকেছেন তাঁদেরকে সহ্য করতে হয়েছে অসহ্য যন্ত্রণা।সেই সময়ে আমাদের বীরঙ্গনা মায়েরা নির্বাসিত হলেও পরবর্তীতে পুর্নবাসিত হয়েছে রাজাকাররা।অনেকে আবার হয়েছে মন্ত্রি-প্রতিমন্ত্রী। সেদিনের বাঙালি দেহে স্বাধীন হলে স্বাধীন হয়নি মন থেকে।কারণ আমাদের কাছে মানুষের চেয়ে প্রথাই বড়। দেশ স্বাধীনের পর কেউ হয়েছেন শহীদ কেউবা গাজী,অনেকে পেয়েছেন বীরশ্রেষ্ঠ, বীরত্তম, মন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রদূতের সম্মান। কিন্তু আমাদের সেইসব মায়েরা পায়নি যথার্থ কোন সম্মাননা। যেটুকু পেয়েছেন সেটুকু হল ঘৃণা, লাঞ্ছনা, নিন্দা আর অসম্মান।
স্বাধীনতার পরে কিছু কিছু বাবা মা তাদের মেয়েদের ঘরে তুললেও বেশিভাগ স্বামীই তাঁদের স্ত্রীদের ঘরে তোলেনি। এমনকি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া কিছু আর্মি অফিসারও পরবর্তীতে তাঁদের স্ত্রীকে ঘরে নেন নি। অথচ দেশ স্বাধীনের পর তাঁরা রাষ্ট্রের কাছে থেকে পেয়েছেন আকুণ্ঠ সম্মাননা এবং নিজ নিজ চাকুরীতে পদোন্নতি। আর সেইসব মায়েদের বাঁচতে হয়েছে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের সাথে লড়াই করে। puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
কেন !! কেন আমরা কি একটি বারের জন্য হলেও সেই সব মায়েদেরকে আমাদের নিজেদের মায়ের স্থানে বসাতে পারি নাহ্!! আমরা কি পারি না তাঁদের “ মা “ বলে সম্বোধন করতে !!পারিনা তাঁদেরকে নিজ মায়ের সম্মাননা দিতে !!! আমরা কি পারি না চিৎকার করে বলতে-
বীরঙ্গনা আমার মা, হারিয়ে যেতে দেবো না…
তথ্যসুত্রঃ-
(০১)দু’শো ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা
-মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ নুরুল কাদির।
(০২)মুক্তিযুদ্ধের ছিন্ন দলিলপত্র
-মুনতাসীর মামুন
(০৩)বজলুর রহমান স্মৃতিপদক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদন (২০০৮-২০১২)
(০৪) আমি বীরঙ্গনা বলছি
-নীলিমা ইব্রাহীম
(০৫) http://www.somewhereinblog.net/blog/tanmoytahsanblog/29061376
আগের দুটি পর্বের লিংকঃ- metformin synthesis wikipedia
১ম পর্বঃ- http://sovyota.com/node/567
২য় পর্বঃ- http://sovyota.com/node/2494
স্পীকার বলছেনঃ
will metformin help me lose weight fastবীরাঙ্গনাদের উপযুক্ত সম্মান এবং অধিকার দেয়া উচিত।তারা আমাদের যুদ্ধের অংশ। লেখাটার কারণে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনাকে ধন্যবাদ
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
synthroid drug interactions calciumলেখাটি পড়বার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ স্পীকার। %%-
স্পীকার বলছেনঃ
=)) =))
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
এভাবে পেট ফেটে হাসি আসবার কারন কি স্পীকার সাহেব? @-)
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অসাধারণ একটা তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করেছেন আপনি! আপনাকে সেল্যুট… thuoc viagra cho nam
আর সকল ৩০ লক্ষ্য প্রাণ এবং সম্ভ্রম হারানো সকল মা বোনকে হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধাবনত শতসহস্র সালাম…
মষ্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
রোকেয়া হলের ঘটনাটা জানতামই না। অনেক অনেক ধন্যবাদ।