প্রসঙ্গ : ছবির হাট উচ্ছেদ ।
243
বার পঠিতকয়েকদিন যাবৎ ঘটে যাওয়া কয়েকটি তুমুল আলোচিত ঘটনা নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা করেনি, তাই কিছু বলিনি। কিন্তু, এখন আর নিজের মাঝে থাকা বিরক্তিটা চেপে রাখতে পারছি না!
ছবির হাট উচ্ছেদ তেমনই একটি আলোচিত বিষয়।
ছবির হাট উচ্ছেদ নিয়ে অনেকের অনেকরকম মন্তব্য দেখেছি, শুনেছি। সরকারের ছবির হাট উচ্ছেদের চিন্তা থেকে শুরু করে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া পর্যন্ত সবটা বিষয়েই আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি নিঃসন্দেহে!
আমিও মনে করি এটা ছিলো মুক্তমনা মানুষদের প্রাণকেন্দ্র, শিল্প আর স্বপ্নাচারী মানুষগুলোর সমাবেশের উন্মুক্ত মঞ্চ। এটাকে এভাবে হিটলারী স্টাইলে ভেঙ্গে দেয়া কোন কাজের কথা হয়নি, বুদ্ধিমানের মত কোন বিবেচনাও হয়নি।
কিন্তু, তাই বলে আমি সরকারের এমন উদ্যোগ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক হয়েছে বলেও মনে করতে পারিনি, কারণ নিরাপত্তাজনিত কিছু আশংকা!
সেটা কীভাবে???
১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার উৎখাতের একটা গুঞ্জন ইতিমধ্যেই অনেক শুনে থাকবেন, সেই সাথে আরো কিছু ষড়যন্ত্রেরও আশংকা একটু চোখ-কান খোলা রেখে খেয়াল করলেই বোঝা যায়।
সচেতনভাবে একটি সরকার সেটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেই, সেটা আমাদের যতই বিপক্ষে যাক না কেনো !
আর এইজন্যই আমি সরকারের এহেন আচরন নিয়ে কিছু বলতে চাইনি, যদিও এটা সত্য যে এই ঘটনায় আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি।
এমন কি আমি এই কথা বিশ্বাস করতে চাই যে~
এই অবস্থা সাময়িক সময়ের জন্যই, বেশিদিনের জন্য নয় বা হবে না।
যারা আশাবাদী নন, তারা আসলে কখনোই এই সরকারের কোন পদক্ষেপের বিষয়ে তেমন একটা আশাবাদীদের দলে কখনোই ছিলেন না বলেই আমার বিশ্বাস।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্য দেশের পতাকা উত্তোলন নিয়ে দেয়া বক্তব্য থেকেই বুঝে নেয়া যায়, গণমানুষের চাওয়ার প্রতি তিনি এবং তাঁর সরকার যথেষ্টই আন্তরিক।
কারণ, এই বক্তব্যের আগে অনেকের ভূমিকাই এই বিষয়ে অনেক দৃষ্টিকটু হিসেবেই আমরা দেখেছি।
যাদের অনেকেরই পরিচয় এই সরকারের প্রতি অনুগত দলকানা বলে!
কিন্তু, তাই বলে কি সরকারপ্রধান তাদের করা সেই অবিবেচনাকে প্রাধাণ্য দিয়েছেন নাকি গণমানুষের প্রতিই শেষপর্যন্ত আস্থা রেখেছেন?
যদিও বিষয়টা খুবই ঠুনকো একটা তুলনা হয়ে গেলো, এমন কি আমি নিজেও তা জানি; তবুও বলবো~
এতো তুচ্ছ একটা বিষয়েও যখন প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিবেচনাপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন, তাও আবার গুরুত্বপূর্ণ একটি সংবাদ সম্মেলনে~ তখন আমরা আশাবাদী হতেই পারি।
অন্তত আমি ব্যক্তিগতভাবে আশাহীন নই এখনও।
একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না~ রাষ্ট্রযন্ত্র কেবল আপনার একার জন্যই কাজ করবে না, আপনার প্রতিপক্ষের জন্যও কাজ করবে।
কারণ রাষ্ট্রের অধিবাসী হিসেবে আপনিও যেমন রাষ্ট্রের একজন, সেও তাই। এজন্য নানা মতের, পথের সবাইকে ধারণ করতে গেলে রাষ্ট্রকে অনেক সময়ই অনেক রকম কৌশল অবলম্বন করতে হয় এবং এটি করতে কোন কোন সময় রাষ্ট্রযন্ত্র এমন কি বাধ্যও থাকে।
তাই প্রতিবারই প্রতিটি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত আপনার আমার পক্ষে যাবে~ এমনটা আসলে স্বপ্ন কল্পনা!
এটা হয় না।
যারা বলছেন এই সরকারের আমলে বাক-স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, তাঁরা দয়া করে সৎ ভাবে বিবেচনা করে বলবেন~
আর কোন সরকারের আমলে কি আপনারা এর চেয়ে বেশি বাক-স্বাধীনতা পেয়েছিলেন কিনা???
যত সহজে একজন প্রধানমন্ত্রীকে আপনার বাসার সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ মানুষটির চেয়েও নগণ্য করে কথা বলে ফেলতে পারছেন, নির্দ্বিধায় তাঁকে এবং তাঁর সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন, অবলীলায় তাঁর সরকারকে যে কেউই যখন-তখন টেনে-হিঁচড়ে নামানোর কথা ঘোষণা করতে পারছেন এবং করেও খুব বেশি আহামরি ঝামেলায় জড়াচ্ছেন না~
তেমনটা আর কখনো কোন সরকারের আমলে এর আগে পেরেছিলেন কিনা???
আমার মনে হয়, সৎ ভাবে বলতে গেলে আপনাদের স্বীকার করতেই হবে~
এমন পরিস্থিতি আসলে এর আগে পাননি।
হ্যাঁ, এটা ঠিক যে এটা যথেষ্ট নয়।
কিন্তু, কিছুতো। আর যখন কিছু পাওয়া গেছে, তখন আরও পাওয়ারও আশা আছে।
এত সহজেই হতাশ হওয়ার মত কিছু হয়ে যায়নি।
অন্তত আমিতো তাই মনে করছি এখনো! accutane prices
দুরন্ত জয় বলছেনঃ doctorate of pharmacy online
ছোট বেলায় বহু শুনেছি যে করেই হোক ঘুরে ফিরে গরু রচনা।
এ দেখছি তারই নমুনা। ছবির হাট থে শুরু করলেন আপনার কষ্ট লাগলো বলে এর পর সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা। এর পর গরু রচনার মত সেই একই কথা বাক স্বাধীনতা।
আর ক্ষমতা ধরে রাখতে কি যা খুশি তাই করবে?? তাইলে জামাত শিবিরের তান্ডবকেও তো সাপোর্ট করবেন মনে হয়!!!
সোমেশ্বরী বলছেনঃ
সমালোচনার ভাষাওটা শেখা উচিৎ আপনার, জয় ভাই!!!
কীভাবে এবং কোন ভাষায় তা করতে হয় তা জেনে সমালোচনা করলে আলোচনা করার পরিবেশটা সুন্দর এবং স্বাভাবিক থাকে।
আমার লেখা আপনার কাছে গরুর রচনা মনেই হতে পারে, আমি নিত্তান্তই একজন সাধারণ লেখক মাত্র!
স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতার পার্থক্য বোঝেন না মনে হয়!
আর রাষ্ট্র পরিচালনার একটা নিয়ম আছে, যা খুশি তা সেখানে চাইলেই করা যায় না।
তার একটা পরিকল্পনা থাকে, আর সেটা আপনার আমার আড্ডা দেয়ার পরিকল্পনার থেকেও অনেক গুরুত্বপূণ এবং কঠিন বিষয়!!!
আর হ্যাঁ , ফালতু কথা বলবেন না দয়া করে।
জামায়াত-শিবিরের তান্ডবকে সাপোর্ট করে আমি এখানে কোন বক্তব্য দেইঅনি।
অযথায় ঝগড়া বাঁধানোর চেষ্টা করিওচ্বহেন বলে আমার মনে হচ্ছে। viagra en uk
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
গরু রচনা বলার কারণ লেখার ভঙ্গির জন্য নয় বিষয়ের জন্য।
এক ছাত্রকে যে রচনাই লিখতে দেয়া হোক সে গরু রচনায় চলে যায় সে কৌতুক বোধ হয় আপনার শোনা হয় নি। metformin gliclazide sitagliptin
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
ছবির হাঁটের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেখানে না’কি অসামাজিক কার্যকলাপ হয়; গাঁজা খাওয়া হয়!
গাঁজা খাওয়া হয় শিখা চিরন্তনের দুপাশের টিলায় আর লাইট হাউজটার পাশের দেয়ালের নিচে – এটা ওপেন সিক্রেট। সেটা এখনও সমানে চলছে। অথচ, তাণ্ডব হয়ে গেল ছবির হাঁটের ওপর দিয়ে।
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ synthroid drug interactions calcium
ভোট আমি এই সরকারকেই দিয়েছিলাম। বাংলাদেশে লিগ ছাড়া ভোট দেওয়ার মত কোন দল নাই। এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল বলে একমাত্র এই সরকারের কাছেই সকল আশা ভরসা বিদ্যমান।
এখন আমি লীগকে সমর্থন করি বলে এর মানে এই না যে তারা যা করবে সকল কিছুতে এমন উদ্ভট যুক্তি খুঁজে বের করবো তাদের রক্ষা করার জন্য। যে কাজ সমালোচনার যোগ্য সেখানে সমালোচনা আসবেই এবং সরকারকে মুখোমুখি হতে হবে।
সমালোচনা করার মানে এই না যে আপনি সেই দলের বিপক্ষে চলে গেলেন। কিন্তু সকল কিছুতে , ভুল হোক সহি হোক সরকারের গীত গাইতেই হবে, কোন ধরনের সমালোচনা করা যাবে না, সেটা অসুস্থ সমর্থন।