৩০১৪ সনের পৃথিবীর মানুষ কিভাবে লিখবে ধর্মের ইতিহাস? ৩০১৪ সনের ঐতিহাসিকের দৃষ্টিতে পর্যালোচনা করা হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীন ধর্মের ইতিহাস :
1116
বার পঠিতপ্রাচীন শিখ ধর্ম fungsi zovirax acyclovir cream
২০১৪ সনের ৫০০ বছর আগে প্রাচীন পৃথিবীর লাহোরে গুরুনানক এক ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করেন। ঐ সময় প্রচলিত হিন্দু ও মুসলমান ধর্মের তুলনামূলক ভাল কথাগুলো নিয়ে তিনি নিজে একটি আলাদা ধর্মমত প্রচার করেন তার নাম ছিল ‘শিখ ধর্ম’। নানকের মতে সৃষ্টা ছিল ১-জন। ২০১৪ সনে পৃথিবীতে ২-কোটির অধিক শিখের বসবাস ছিল। ভাল মানুষ হওয়াই ছিল গুরুনানকের মূল কথা। তার উপদেশ সম্বলিত কিতাবের নাম ছিল আদিগ্রন্থ বা ‘গ্রন্থসাহেব’। হিন্দু ও মুসলমান ধর্মের ‘জগাখিচুরী’ ধর্ম হিসেবে ঐ সময়ের মুসলমানরা শিখ ধর্মের বিরুদ্ধে গেলে, মুসলমানদের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে শিখদের যুদ্ধবিদ্যা তথা আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হয়। যোদ্ধা শিখদের নতুন নামকরণ করা হয়ে ঈশ্বরের সম্পত্তি বা ‘খালসা’।
খালসা’রা বড় চুলদাড়ি রাখতো, খাটো অন্তর্বাস পড়তো, লোহার বালা হাতে ধারণ করতো এবং কোমড়ে কৃপাণ রাখতো। ‘গুরুদ্বার’ বা গুরুদোয়ারা ছিল শিখদের পবিত্র প্রার্থনা মন্দির। নানক ছিলেন শিখ ধর্ম প্রবর্তক ও প্রথম গুরু। সম্রাট আকবর শিখ গুরু রামদাসকে অমৃতসরে ভূমি দান করলে, সেখানে তাদের পবিত্র নগরী স্থাপিত হয়। ভারতের বিখ্যাত সিপাহী বিদ্রোহে শিখরা ইংরেজদের পক্ষ অবলম্বন করে তাদের সাহায্য করে, যে কারণে শিখরা ইংরেজেদের সার্বিক আনুকূল্য পায় এবং নানাভাবে তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে।
৫ পক্কা বা ‘পঞ্চ-ক’ শিখদের অন্যতম অনুসঙ্গ ছিল। তা হচ্ছে ‘‘কেশ, কংকন, কাচ্চা, কৃপাণ ও কারা’’। গোঁড়া শিখরা কখনো চুল দাড়ি কাটতো না। আত্মরক্ষার জন্যে বিশেষ বয়সে শিখ বালক-বালিকারা দীক্ষা গ্রহণ করে পুরুষরা ‘সিং’ এবং মহিলারা ‘কাউর’ পদবী গ্রহণ করতো। হিন্দু মুসলমান ধর্মের মিশ্রণ-ধর্ম শিখ বলা হলেও, হিন্দু ধর্মের সঙ্গেই শিখ ধর্মের মিল ছিল অনেক বেশী। অমৃতসরের গুরুদ্বার ছিল শিখদের প্রধান তীর্থকেন্দ্র। তারা হিন্দুদের মত জন্মান্তরবাদ, কর্মবাদ ও মোক্ষে বিশ্বাস করতো।
শিখরা ‘নিরাকার এক ঈশ্বর’ ও তাদের ধর্মগ্রন্থ ‘গ্রন্থসাহেবকে’ পূজা করতো। তারা স্রষ্টাকে সৎকর্তা, সৎনাম ও ‘ওয়াহ গুরু’ নামে ডাকতো। শিখরা নিজেদের ‘যোদ্ধা জাতি’ হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতো। তাদের পাঁচটি নীতি ছিল ‘‘মদ নয়, তামাক নয়, মাদকতা নয়, প্রার্থনাপূর্ণ ভক্তির জীবনের প্রতি আস্থা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্যে ধর্মযুদ্ধ’’। জন্মের পর শিশুকে গুরুদ্বারে এনে গ্রন্থসাহেব খুলে বাম পৃষ্ঠার প্রথম শব্দের প্রথম অক্ষর অনুযায়ী শিশুর নামকরণ করা হতো। বিয়েতে বর ও কনেকে ৪-বার বিয়ের মন্ত্র পড়ে গ্রন্থসাহেবের চারপাশে ঘুরতে হতো। মৃত্যুর পর হিন্দুদের মত শবদেহ পোড়ানোর পর ছাই বিপাশা বা গঙ্গা কিংবা অন্য কোন পবিত্র নদীতে ভাসানো হতো।
শিখধর্ম একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম। খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে পাঞ্জাব অঞ্চলে এই ধর্ম প্রবর্তিত হয়। এই ধর্মের মূল ভিত্তি গুরু নানক দেব ও তাঁর উত্তরসূরি দশ জন শিখ গুরুর (পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব এঁদের মধ্যে দশম জন বলে বিবেচিত হন) ধর্মোপদেশ। শিখধর্ম বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী। শিখ ধর্মমত ও দর্শন গুরমত (অর্থাৎ, গুরুর উপদেশ) নামেও পরিচিত। শিখধর্ম কথাটির উৎস নিহিত রয়েছে শিখ শব্দটির মধ্যে; যেটি সংস্কৃত মূলশব্দ শিষ্য বা শিক্ষা থেকে আগত। propranolol beta 2 receptors
শিখধর্মের প্রধান বক্তব্য হল ওয়াহেগুরু অর্থাৎ সর্বব্যাপী ঈশ্বরের প্রতীক এক ওঙ্কার-এর প্রতিভূ ওয়াহেগুরু-তে বিশ্বাস। এই ধর্ম ঈশ্বরের নাম ও বাণীর নিয়মবদ্ধ ও ব্যক্তিগত ধ্যানের মাধ্যমে মোক্ষলাভের কথা বলে। শিখধর্মের একটি বিশিষ্টতা হল এই যে, এই ধর্মে ঈশ্বরের অবতারতত্ত্ব স্বীকৃত নয়। বরং শিখেরা মনে করেন ঈশ্বরই এই ব্রহ্মাণ্ডের স্বরূপ। শিখেরা দশ জন শিখ গুরুর উপদেশ ও গুরু গ্রন্থ সাহিব নামক পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অনুশাসন মেনে চলেন। উক্ত ধর্মগ্রন্থে দশ শিখ গুরুর ছয় জনের বাণী এবং নানান আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ রয়েছে। গুরু গোবিন্দ সিংহ এই গ্রন্থটিকে দশম গুরু বা খালসা পন্থের সর্বশেষ গুরু বলে ঘোষণা করে যান। পাঞ্জাবের ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে শিখধর্মের ঐতিহ্য ও শিক্ষা ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। শিখধর্মের অনুগামীরা শিখ (অর্থাৎ, শিষ্য) নামে পরিচিত। সারা বিশ্বে শিখেদের সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লক্ষের কাছাকাছি। শিখরা মূলত পাঞ্জাব ও ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বাস করেন। অধুনা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশেও ভারত বিভাগের পূর্বে লক্ষাধিক শিখ বসবাস করতেন। welche wirkung hat viagra bei frauen
শিখ ধর্মের দার্শনিক চিন্তাধারার মূল এসেছে উত্তর ভারতের দর্শন থেকে। সন্ত মত-এর প্রথাসমূহ ইখ ধর্মের প্রবক্তা গুরু নানকের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল। কয়েকজন সাধু সন্তের জীবনাদর্শ এই ধর্মের দর্শনে বিশেষভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রবিদাস এবং কবির। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণের বিষয়ে শিখ ধর্ম প্রধান গুরুত্ব আরোপ করে। ঈশ্বর ভক্তির যে নমুনা এক্ষেত্রে দেখা যায় তা অনেকটা বৈষ্ণববাদের ভক্তি আন্দোলন-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে নানকের শিক্ষা বৈষ্ণববাদের সাথে সম্পূর্ণ বিরোধী এই হিসেবে যে শিখ ধর্মে মূর্তিপুজা নিষিদ্ধ। এছাড়া বৈষ্ণববাদ অস্তিত্বশীল স্রষ্টার অন্য রূপে পৃথিবীদে আগমন এবং আত্মসিদ্ধির বিশেষ গুরুত্বের সাথেও শিখ ধর্মের সম্পর্ক নেই। ভক্তি আন্দোলনের চেয়ে শিখ ধর্ম আরও কঠিন আত্ম সাধনায় বিশ্বাসী। নানকের চিন্তাধারার যে বিবর্তন তার মৃত্যুর পর ঘটেছে তাও শিখ ধর্মের অনন্য দর্শন সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। বুদ্ধিজীবীরা শিখবাদকে একটি অনন্য বিশ্বাস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। শিখরা বিশ্বাস করে, তাদের ধর্ম সরাসরি ঈশ্বর কর্তৃক অনুপ্রাণিত এবং তাদের অনেকেই বিশ্বাস করে শিখ জাতি অনেকের সমন্বয় সাধন করেছে বিধায় কখনই মারমুখী হতে পারেনা। শিখ ধর্মমতে ঈশ্বর যাকে ওহেগুরু বলা হয় তার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি নিরাকার, আকাল ও আলেখ। আকাল মানে হচ্ছে সময়হীন, আলেখ মানে হচ্ছে অদৃশ্য। viagra tax
আর্থিকভাবে শিখরা ২০১৪ সনে ভাল অবস্থানে ছিল বিশ্বময়। এদের মধ্যেও জট, অজাট, মাজহারী বা নিম্নবর্ণের শিখ বিভাজন ছিল। তখনো গ্রামীণ ‘মাজহাবী’ শিখদের গণজলাধার থেকে পানি নিতে বাধাঁ দেয়া হতো। প্রাক্তন বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি শিখ গুরুদুয়ারা ২০১৪ সনেও বর্তমান ছিল। ২০১৪ সনে পৃথিবীতে শিখ ধর্ম অনুসারী ছিল ২ কোটি ৬০ লাখ, যার শুরু ১৫ শতকের দিকে।
সুত্র : wikipedia
অনুস্বার বলছেনঃ
পোস্টের শিরোনামের সাথে বক্তব্যের কোন মিল পেলাম না। :-” কাইন্ডলি একটু বুঝিয়ে বলবেন কি, আপনি ঠিক কি বলতে চাইলেন? :-w
প্রাগৈতিহাসিক বলছেনঃ
///৩০১৪ সনের পৃথিবীর মানুষ কিভাবে লিখবে ধর্মের ইতিহাস? ৩০১৪ সনের ঐতিহাসিকের দৃষ্টিতে পর্যালোচনা করা হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীন ধর্মের ইতিহাস/// এ বাক্যটি না বোঝার কিছু দেখনি না আমি।
জন কার্টার বলছেনঃ
অনুস্বার এর সাথে একমত, আপনি আসলে ঠিক কি বোঝাতে চাইলেন?
প্রাগৈতিহাসিক বলছেনঃ
অনুস্বারের মন্তব্যে জবাব দিয়েছি, ওখানে দেখার অনুরোধ করছি। accutane african american hair