দুঃখমালায় পিষ্ট স্বপ্ন এবং হারিয়ে যাওয়া অতন্দ্রিলা
539
বার পঠিতদু:খের অক্ষরে লেখা স্বপ্ন দেখিনা আমি অনেকদিন। নি:সঙ্গ কফিনের মতো নিবিঢ় ঘুম হয় আমার। তাই ঘনান্ধকারে স্বপ্ন পরীরা হয়তো জানালায় উঁকি দিয়ে চলে যায় নির্ঘুম মানুষের দ্বারে। ছোটবেলা ভয়াবহ সব স্বপ্ন দেখতাম আমি। নক্ষত্র ছিটোয় আকাশ থেকে পড়ছি তো পড়ছি কিংবা বান্ধববিহীন বিষাদে দৌঁড়ুচ্ছি ভাঙা কবরের উপর দিয়ে। চারদিকে লাশ, কোন কবর ভেঙে পড়ে যাচ্ছি আমি গলিত লাশের মাঝে।পথ শেষ না হওয়া এমন সব ভয়াবহ স্বপ্ন। তখন কেঁপে উঠতাম স্বপ্ন দেখে, মাকে জড়িতে ধরতাম ত্রাসে। এখন মা নেই। নি:সঙ্গতায় ঐসব স্বপ্ন এখন এলে কি করবো আমি?
হঠাৎ অনেক অনেক বছর পর অতন্দ্রিলাকে স্বপ্ন দেখলাম আমি। অতন্দ্রিলা এলো আমার ফেসবুক বন্ধু হয়ে মৃদঙ্গ বাতাসে প্রতিধ্বনি তুলে। নানা গুণে গুণান্বিতা অতন্দ্রিলা। গান গাইতে পারে, নাচতে পারে, ভায়োলিন বাজাতে পারে, আবার আবৃত্তিও পারে সমতালে। কি পারেনা সে? গুণ আর রুদ্রের কবিতায় ’ফিদা’ অতন্দ্রিলা! অল্প বয়সি অতন্দ্রিলা দুর্বোধ্য সব কবিতা আর দার্শনিক তত্ত্বকথায় আমায় হারিয়ে দেয়। তার প্রজ্ঞাময়তায় আমার হৃদয়ে রিণরিণে বাতাস বইতে থাকে ভরা জোৎস্নাস্নাত আকাশের মত। এ বয়সে কখনো এমনসব কথা জানতাম না আমি। ধর্ম-দর্শনে তার চেতনা অনুরণিত করে আমায়। আপ্লুত হই তার স্বাধিন আলোকিত চিন্তন জগৎ দেখে, রৌদ্রে পুন. পুন. স্নান করি তার চিন্তন মাঝে। দু:খি পাথরের মত আমার মৃত্যুর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে ভায়োলিন বাজাতে আকুতি জানাই অতন্দ্রিলাকে, যেমন ক্রন্দসি সুর তুলেছিল ব্রাজেলিয়ান বালক deco frazao torquato তার টিচারের ফিউনারেলে। অশ্রু সজলতায় সায় দেয় অতন্দ্রিলা! ভায়োলিন বাজাবে সে আমার শব পাশে deco frazao torquato-এর মতই, যখন দেবদূতগণও ক্লেদাক্ত হবে তার সুরের সকরুণায়!
সারাদিন ফেসবুকে তাকে নিয়ে নানাবিধ স্বপ্নগাঁথা বুনি। ব্লগ আর পেজে ভরে যায় আমার নেটের জগত। কত কথামালা, কত লেখা, কত বিতর্কে জড়িয়ে যাই আমি আর অতন্দ্রিলার সহযোদ্ধারা। সপ্তপদি দ্বান্দ্বিকতার পরও তার নিষ্কলুষতায় আমি মুগ্ধ থাকি। কাজের শ্রান্তিময়তা আর ক্লান্তিগুলো স্বপ্নপাখি হয়ে উড়ে যায় দূরাকাশে অতন্দ্রিলা হয়ে। অনাদি যুগের যত চাওয়ার মত অতন্দ্রিলার জন্য আবৃত্তি করি এমন কবিতা-
একটি পাখী রোজ আমার জানালায়
আস্তে এসে বসে, তাকায় আশেপাশে।
কখনো দেয় শিস, বাড়ায় গলা তার;
আবার কখনোবা পাখাটা ঝাপটায়।
পালকে তার অাঁকা কিসের ছবি যেন,
দু’চোখে আছে জমা মেঘের স্মৃতি কিছু;
নদীর স্বপ্নের জলজ কণাগুলি
এখনো তাঁর ঠোটে হয়তো গচ্ছিত।
কাউকে নীড়ে তার এসেছে ফেলে বুঝি?
হয়তো সেই নীড়, আকাশই আস্তানা।
তাই তো চোখ তার এমন গাঢ় নীল,
মেললে পাখা জাগে নীলের উৎসব।
যখন লিখি আমি টেবিলে ঝুঁকে আর
পড়তে বসি বই, তখন সেই পাখি
চকিতে দোল খায় আমার জানালায়-
খাতার পাতা জুড়ে ছড়িয়ে দেয় খুশি।
আমার মৃত্যুর পরেও যদি সেই
সুনীল পাখি আসে আমার জানালায়,
আবার শিস দেয়, আমার বইখাতা
যদি সে ঠোকরায়, দিও না বাধা তাকে।
অতন্দ্রিলা পোস্ট দেয় ধর্ম বিষয়ে। নানাবিধ যুক্তি আর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করতে চায় ধর্মকে। এমন পোস্ট দেয় সে তার নিজ নামে খোলা ’অতন্দ্রিলা’ আইডি থেকে। আমি তাকে বারণ করি নানা অনুসঙ্গে। ফেক আইডি খুলতে বলি এসব পোস্টের জন্য। অতন্দ্রিলা সত্য আর যুক্তিকে তার ‘ঈশ্বর’ মানে। বলে সত্য কথা আমি বলবোই। সত্যের কাছে কাফনের মতো মুড়ে রাখে আপাদমস্তক তার। হাঁটে সত্য আর যুক্তির মাঝপথ দিয়ে। তাই প্রত্যহ নানাধর্মের নানাবিধ হাস্যকর “পবিত্র কথা” সে তুলে ধরে যুক্তির কষ্টিপাথরে যাচাইয়ের জন্যে তার ওয়ালে। এ অনন্যতায় ফেসবুকে তার একটা সমর্থক গোষ্ঠি তৈরি হয় অল্প দিনেই। আর ধর্মান্ধরা তাকে গালাগাল করতে থাকে তাদের ভাণ্ডারে রক্ষিত সকল অশ্লিল শব্দবাঁশ প্রয়োগে।
অতন্দ্রিলা সাহবাগ যায় প্রায়ই গণজাগরণ মঞ্চের ঘ্রাণ নিতে। যে চেতনা ওখান থেকে আঁচল ভরেছে সে একদিন, তাকে লালন করে বাঁচতে চায় অতন্দ্রিলা। ঐ চেতনাই সে ছড়িতে দিতে চায় তার হাজারো ফেসবুক বন্ধুর মাঝে। যা পাখি হয়ে উড়ে যাবে বৈশ্বিক দিগন্তে। যা দেখে অতন্দ্রিলার জন্যে আমার প্রগাঢ়তা বেড়ে যায়, আবৃত্তি করি তাকে নিয়ে অদ্ভুত উপমায় -
সন্ধিলগ্ন ফিরেছে সগৌরবে ;
অধরা আবার ডাকে সুধা সংকেতে,
মদমুকুলিত তারই দেহসৌরভে
অনামা কুসুম অজানায় ওঠে মেতে।
ভরা নদী তার আবেগের প্রতিনিধি,
অবাধ সাগরে উধাও অগাধ থেকে ;
অমল আকাশে মুকুরিত তার হৃদি
স্বাতি মণিময় তারই প্রত্যভিষেকে।
স্বপ্নালু নিশা নীল তার আঁখি-সম ;
সে-রোমরাজির কোমলতা ঘাসে-ঘাসে ;
পুনরাবৃত্ত রসনায় প্রিয়তম ;
কিন্তু সে আজ আর কারে ভালোবাসে।
স্মৃতিপিপীলিকা তাই পুঞ্জিত করে
অমার রন্ধ্রে মৃত মাধুরীর কণা :
সে ভুলে ভুলুক, কোটি মন্বন্তরে
আমি ভুলিব না, আমি কভু ভুলিব না ।।
এ স্বপ্নবন্ধুকে নিয়ে একদিন বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারে যায় অতন্দ্রিলা নতুন প্রজন্মের ‘৫ডি পিকচার’ দেখতে। বেরুতে সন্ধ্যা হয়ে যায় সেখানে আমাদের। বৃষ্টিস্নাত অন্ধকারে হেঁটে সংসদের দিকে যেতে সন্ধ্যার ধোয়াশাপূর্ণতায় ধর্মান্ধরা আকস্মিক মাইক্রো থামিয়ে কেড়ে নেয় অতন্দ্রিলাকে আমার কাছ থেকে। বিমূঢ় আমি কিছুই করতে পারিনা আকস্মিক সন্ত্রাসি তাণ্ডবে! ত্রাসবাদীরা বোমা ছুঁড়ে পথচারিদের ভীত করে অতন্দ্রিলাকে নিয়ে হারিয়ে যায় ঘনান্ধকারে। আমি যখন চোখ খুলে তাকাতে পারি, তখন অতন্দ্রিলাকে নিয়ে ঘাতকরা দূরাকাশে পাড়ি দিয়েছে অজানা গন্তব্যে। প্রচণ্ড দ্রোহ আর রোষে চিৎকার দেই আমি। গভীর রাতের শব্দধ্বনি বারিধারার বহুতল ফ্লাটের দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হয়ে আতঙ্কিত করে রাতের ঘুমন্ত মানুষদের। জেগে ওঠার পরও আমি এক ঘোরের মাঝে শুনতে পাই-
“অতন্দ্রিলা
ঘুমোও নি জানি
তাই চুপিচুপি গাঢ় রাত্রে শুয়ে
বলি শোনো
সৌরভতারা ছাওয়া এই বিছানায় সুক্ষজাল রাত্রির মশারী
কতদীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন
আলাদা নিশ্বাসে- – -
এতক্ষণে ছায়া ছায়া পাশে ছুঁই
কি আশ্চর্য দুজনে দুজনা
অতন্দ্রিলা
হঠাৎ কখন শুভ্র বিছানায় পড়ে জোত্স্না
দেখি তুমি নেই”।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ discount viagra online australia
চমৎকার লিখেছেন ।
প্রাগৈতিহাসিক বলছেনঃ
অনেক ধন্যবাদ শাহিনকে। ভাল থাকুন। ^:)^
অংকুর বলছেনঃ
গল্পটা ভালো ছিল । কিন্তু শাহবাগের চেতনার সাথে ধর্মের মিল করে আপনি ভুল করছেন । যেমনটা করেছিল হেফাজতে ইসলাম । শাহবাগ আন্দোলন তথাকথিত নাস্তিকদের আন্দোলন না । এটা পুরো বাংলার মানুষের আন্দোলন । লাখো শহীদের প্রাণের বিচারের আন্দোলন , মা বোনদের হারানো সম্ভ্রমের বিচারের আন্দোলন । সুবিধাবাদী লোকেরা ধর্মের দোহাই দিয়ে এই আন্দোলনকে নশ্চাত্ করতে চেয়েছে । আপনিও এটাকে ভুলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । ধন্যবাদ । জয় বাংলা ।
প্রাগৈতিহাসিক বলছেনঃ furosemide prednisone drug interactions
শাহবাগ চেতনা যেহেতু ধার্মিক ও নাস্তিকদের সবার, তো অতন্দ্রিলা নাস্তিক বা নির্ধামিক হলে কি শাহবাগ চেতনা ধারণের অযোগ্য হবে? কেন হবে? শাহবাগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মানবতাবিরোধি যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের জন্য এক সংগ্রামি প্লাটফরম, তা কি আপনার দৃষ্টিতে শুধু ধার্মিকদের হবে? অতন্ত্রিলাদের হবে না? আপনার চেতনার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। ধন্যবাদ online pharmacy in perth australia
অংকুর বলছেনঃ acquistare viagra online consigli
আমি বলেছি আপনি বিষয়টাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন । আমি বলেছি “বাংলার মানুষ” আর আপনি বলেছেন “আস্তিক নাস্তিক ” “ধার্মিক অধার্মিক ” । কার চেতনায় সমস্যা সেটা তো পরিষ্কার । ধন্যবাদ
প্রাগৈতিহাসিক বলছেনঃ
pharmacy technician flashcards onlineআমার নিচের প্যারাটি আপনাকে আবার পড়ার অনুরোধ করছি ///শাহবাগ চেতনা যেহেতু ধার্মিক ও নাস্তিকদের সবার, তো অতন্দ্রিলা নাস্তিক বা নির্ধামিক হলে কি শাহবাগ চেতনা ধারণের অযোগ্য হবে? কেন হবে? শাহবাগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মানবতাবিরোধি যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের জন্য এক সংগ্রামি প্লাটফরম, তা কি আপনার দৃষ্টিতে শুধু ধার্মিকদের হবে? অতন্ত্রিলাদের হবে না? আপনার চেতনার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। ধন্যবাদ/// zithromax tri pak
আর অতন্দ্রিলা কি বাংলার মানুষ নন? বাংলার মানুষ বলতে কি বিশেষ কোন ধার্মিক শ্রেণি? সবাই নন? ধন্যবাদ
অংকুর বলছেনঃ
আপনিও দয়া করে আমার মন্তব্যগুলো পড়ে দেখুন । আপনি কোথাও ধার্মিক অধার্মিকের কথা বলিনি । আপনিই অধার্মিক একটি শ্রেণীকে আলাদা করেছেন
শ্রাবনের রক্তজবা বলছেনঃ
prednisolone side effects long termলিখেছেন ভালোই।
তবে কঠিন শব্দ প্রয়োগের আধিক্য বিরক্তির তৈরি করে।
আর অহেতুক ছবি।
প্রাগৈতিহাসিক বলছেনঃ
এ লেখাটায় ক’জন বিখ্যাত কবির কবিতা দেয়া হয়েছে, এ কবিতা কারো জন্যে বিরক্তির কারণ হতে পারে এই প্রথম শুনলাম। আর ছবিগুলো অহেতুক কিভাবে হলো? ৪টা ছবিই মূল ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। ধন্যবাদ
স্পীকার বলছেনঃ today show womens viagra
সহমত :-bd :-bd
প্রাগৈতিহাসিক বলছেনঃ day 21 no ovulation clomid
হতে পারে, তবে আপনারা ইচ্ছে করলে এসব শব্দ অভিধানে খুঁজে পাবেন, তাতে আপনাদের শব্দভান্ডার বাড়বে। আর এসব শব্দ আমার ব্যবহৃত নয়, বাংলাসাহিত্যের বিখ্যাত কজন কবির, তাদের শব্দ বদল করতে আমি পারি কি? ধন্যবাদ আপনাকে
তারিক লিংকন বলছেনঃ
দারুণ হৃদয়স্পর্শী… m/ m/ m/ :-bd :-bd :-bd
প্রাগৈতিহাসিক বলছেনঃ
হৃদয়কে ষ্পর্শ করাতে তারিক লিংকনকে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন
স্পীকার বলছেনঃ
অনেক কমন একটা বিষয় লিখেছেন , বিষয়টাকে যে আলাদাভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তাও না । প্রীত হলাম না :-q :-q :-q X-( X-( X-( ~x( ~x( ~x( extended release metformin vs regular for pcos
প্রাগৈতিহাসিক বলছেনঃ
হতে পারে, কারো হৃদয় ষ্পর্শ করেছে, কারো করেনি, এটাই স্বাভাবিক। কোন সাহিত্যকর্মই পৃথিবীর সকল মানুষের ভাল লাগেনা, তাই আপনার অ-ভাললাগাকে আমি অত্যন্ত স্বাভাবিক হিসেবেই ধরে নিচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে!