নাবিক পরিচয়ের অন্তরালে এক নিষ্ঠুর ঔপনিবেশিকের গল্প
769 acheter cialis 20mg pas cher
বার পঠিতবলা হয়ে থাকে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পাওয়া এই ইতালীয় একটি নতুন বিশ্ব আবিষ্কার করেছিলেন। আসলেই তাই আবিষ্কার করেছিলেন একটি ভূখণ্ড, বিশাল গুপ্তভাণ্ডার সহ এক অমূল্য ভূখণ্ড। স্পেনের রাজা ফারডিনান্দের মতান্তরে রানী ইসাবেলার অর্থায়নে অনুসন্ধানরত সফল এই খ্যাতনামা নাবিকের নাম ‘ক্রিস্টোফার কলম্বাস’। আর সেই সোনার খনির ভূখণ্ডের নাম আজকের অ্যামেরিকা। (তথ্যসূত্রঃ বায়োগ্রাফি ডট কম)
ক্রিস্টোফার কলম্বাসের বাংলা নামটি নেয়া হয় ইংরেজি “Christopher Colombus” বা ‘ক্রিস্টফার্ কলাম্বাস্’ হতে, যা মূলতঃ লাতিন ‘Christophorus Columbus’ বা ‘ক্রিস্তোফোরুস্ কোলুম্বুস্’ হতে এসেছে। ইতালির জেনোয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই স্থানীয়ভাবে তার নামের ইতালীয় ভাষায় ‘Cristoforo Colombo’ বাক্রি’স্তোফোরো কোলোম্বো’ ছিল। পরে তিনি যখন তৎকালীন ক্যাস্টিল রাজ্যের (বর্তমান স্পেনে) রাণী ইসাবেলের অর্থায়নে এবং উদ্যোগে আমেরিকায় অভিযাত্রা করেন, তিনি তাঁর নামের স্পেনীয় রূপ Cristóbal Colón ‘ক্রিস্তোভ়াল্ কোলোন্ ‘ দ্বারা পরিচিত ছিলেন। (তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া)
১৪৫১ সালে ইটালির জেনোয়া প্রজাতন্ত্রের একটি তাঁতি পরিবারে এই অভিযাত্রী এবং নাবিকের জন্ম। কিশোর বয়সে ভূমধ্যসাগরে নৌযাত্রা করেই তার নাবিক বা অভিযাত্রী জীবনের শুরু। এইসব অভিযাত্রা ছিল বাণিজ্যিক। এমনই একটি ভ্রমণ তাকে আজকের গ্রীস তখনকার ‘Khios’ দ্বীপে নিয়ে যায়। ধরে নেয়া হয় পরবর্তীতে এই আকর্ষণই তাকে এশিয়ার দিকে টানে।
প্রথম অভিযানঃ
১৪৭৬ সালে আটলান্টিক মহাসাগরের অভিযাত্রার মধ্য দিয়েই তার পেশাগত অভিযাত্রা এবং নাবিক জীবনের শুরু হয়। যদিও তার এই প্রথম সমুদ্রযাত্রায় তিনি পর্তুগাল উপকূলে ফরাসি জলদস্যু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে জীবন হারাতে বসেছিলেন। তাদের বাণিজ্যিক জাহাজ সহ সকল কিছু পুড়িয়ে ফেলে আক্রমণকারীরা। তারপর কলম্বাস নিকটস্থ উপকূল পর্তুগালে নিবাস ঘরেন। এইখানেই ১৪৮০ সালে কলম্বাস ‘Felipa Perestrello’ কে বিয়ে করেন। এই সংসারে তার একটি সন্তান ছিল, নাম ডিয়াগো। কিছুদিনের মাঝেই তার স্ত্রী মারা গেলে কলম্বাস স্পেনে পারি জমান। ১৪৮৮ সালে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ‘Beatriz Enriquez de Arana’ এর ঘরে জন্ম নেয় দ্বিতীয় সন্তান নাম ফারনান্ডো।
এরই মধ্যে কলম্বাস ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ থেকে পূর্ব এবং পশ্চিমে প্রবাহিত আটলান্টিক স্রোতে জ্ঞান অর্জনে আফ্রিকা এবং অন্যান্য অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। মধ্যপ্রাচ্য মাধ্যমে বাণিজ্যিক পথে মুসলিম আধিপত্যের ভারত ও কঠিনতম চীন ভ্রমণ করেন। ১৪৮৩ সালে পর্তুগালের রাজা জন দ্বিতীয়র কাছে কলম্বাস তার পরিকল্পনা জমা দিয়েছিলেন। তাতে ছিল আটলান্টিক হয়ে পশ্চিমের দিকে ইন্ডিজে (এশিয়া) যাওয়ার পরিকল্পনা। পর্তুগালের রাজা যখন তার পরিকল্পনায় রাজি হলেন না। পরবর্তীতে কলম্বাস তা স্পেনের রাজা ও রানিকে দেখান। ধারণা করা হয়ে থাকে পরবর্তীতে স্পেনের রাজা ও রানী কলম্বাসের পরিকল্পনায় অর্থায়নে রাজী হন।
নতুন বিশ্বের সন্ধানেঃ
অতঃপর ১৪৯৬ সালে, Castille এর Ferdinand এবং Aragon এর ইসাবেলার সাথে একই প্রস্তাব রাখেন কলম্বাস। প্রজাতন্ত্রের উত্তরাধিকারী নটিক্যাল বিশেষজ্ঞরা খুব সন্দিহান ছিল এবং প্রাথমিকভাবে কলম্বাস পুনরায় প্রত্যাখ্যাত হন। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েন নি। অবিরত লবিং বা তদবির করতে থাকেন। অবশেষে এল সে মহেন্দ্রক্ষণ। স্প্যানিশ সেনাবাহিনী ১৪৯২ সালের জানুয়ারিতে গ্রানাডার মুসলিমানদের উপনিবেশ দখল করে, ক্রমাগত সম্রাজ্য বিস্তারের বাসনায় অগাস্ট ১৪৯২ সালে কলম্বাসের অভিযানে অর্থ যোগান দিতে একমত হয় স্পেনের রাজদরবার। ৩ অগাস্টেই পাল তুলেন কলম্বাস ৩৬ দিনের অভিযান শেষে কলম্বাস তার সহযাত্রীরা আজকের বাহামা দ্বীপে পা রাখেন। তখন কলম্বাস সেই দ্বীপের নাম দেন ‘San Salvador’ আজকে বাহামা দীপপুঞ্জ।
এরপর কলম্বাস আরও তিনটি সফল অভিযাত্রা করেন এবং যথাক্রমে কিউবা, হিস্পানিওলা, জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ, মার্গারিটার অনুসন্ধান পান। এই আবিষ্কারের কৃতিত্ব স্বরূপ ১২ অক্টোবরকে কলম্বাস ডে পালন করা হয়। ১৯৩৭ সাল থেকে ইউএস প্রেসিডেন্ট Franklin D. Roosevelt এই দিনকে সরকারী ছুটিও ঘোষণা করেন।
কলম্বাস বিতর্কঃ
সবাই যেখানে ক্রিস্টোফার কলম্বাস এর ১৪৯২ সালের সমুদ্রের নীল পাল – ওয়ালা অভিযাত্রীরূপে আমেরিকা আবিষ্কারক হিশেবে জানে। এইদিকে মার্কিনরা প্রতি অক্টোবর দ্বিতীয় সোমবার একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ছুটির সঙ্গে উদযাপন করে এই আবিষ্কারক স্মরণ করতে সম্মান জানাতে। ঐতিহাসিক জানতে গিয়ে ক্রিস্টোফার কলম্বাস এর বাস্তব জীবন সম্পর্কে আরো গবেষণার অবকাশ আছে বলে সাম্প্রতিক অনেক গবেষণায় বের হয়ে এসেছে। বিতর্কের নায়ক হিসেবে এই এক্সপ্লরারএর প্রাপ্য সম্মানের বৈধতা উপর প্রশ্ন উদিত হয়েছে। তার কারণ একাধিক। একটু বিতর্কগুলো দেখি।
আমেরিকায় ক্রিস্টোফার কলম্বাসের দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় আদিবাসীদের অর্থাৎ স্থানীয় অধিবাসীদের দাস হতে বাধ্য করেন এবং স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য খনন করতে ব্যবহার করেন। কলম্বাস প্রথম যেদিন অ্যামেরিকার মাটিতে পা রাখেন ঐদিনই নাকি স্থানীয়দের সরলতা দেখে কলম্বাস বলেন ‘বাহঃ এরা তো বেশ সহজ সরল এরা ভাল দাস হবে’।

এবং তিনি করেছেনও তাই। হিষ্ট্রি চ্যানেলের ওয়েবসাইটে ‘Columbus’ Quest for Gold’ শীর্ষক ৩ মিনিটের ভিডিওটি দেখলে তার নৃশংস দাস সর্দারের এবং জলদস্যু মানসিকতার অভিব্যাক্তির প্রকাশ পায়। তাছাড়া বাইয়োগ্রাফি ডট কমে ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্যা স্লেভ মেইকার নামের একটা ভিডিও আছে। “Who Brought Slavery to America” শিরোনামের ৪১ মিনিটের ভিডিওতে ইউটিউবে আমরা দেখতে পাই তিনি কতটা অমানবিক এক নাবিক ছিলেন। এক ভূখণ্ড থেকে দাস প্রথার অভিশাপই শুধু সংক্রমিত করেন নি অ্যামেরিকা ভূখণ্ডের তথা গোটা একটা জাতির বিশাল একটা অংশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে তিনি ধ্বংস করেছেন।
বিতর্কের শুরু হয় আই এম দ্যা উইটনেস ডট কমে যখন “Who Brought the Slaves to America?” প্রবন্ধ টি প্রকাশ করেন Walter White Jr. ওয়াল্টার হোয়াইট স্পষ্ট করে তাঁর গবেষণায় দেখান অ্যামেরিকায় দাসপ্রথার গোড়াপত্তন হয় কলম্বাসের হাত ধরে। এবং কলম্বাসের সেই আলোড়ন সৃষ্টিকারী অভিযাত্রার অর্থায়নও স্পেনের রানী ইসাবেলা করেন নি। এর অর্থায়নে ছিলেন “Luis de Santangelo”। তিনি সর্বমোট ১৭,০০০ ডুকাটস (Ducuts) বা ৫০০০ পাউন্ড যা বর্তমানে ৫০,০০০ পাউন্ড অর্থলগ্নি করেন কলম্বাসের এই প্রজেক্টে।
কলম্বাসের এই অভিজাত্রার সহযাত্রীরা হলেন আরও পাঁচ ‘Maranos’ (Jews who had foresworn their religion and supposedly became Catholics); তারা হলেন Luis de Torres , দোভাষী Marco, সার্জন Bemal আর চিকিৎসক Alonzo de la Calle and Gabriel Sanchez এবং এরা সবাই ছিলেন ইহুদী।
কলম্বাস মূলত তার দ্বিতীয় অভিজাত্রায় ১৭ টি নৌবহরের ১২০০ পাইরেটসকে নিয়ে তার এই দাস ব্যবসা এবং স্বর্ণ আরোহণের নির্মম অভিযান শুরু করেন। তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওয়াল্টার হোয়াইট বলেন কলম্বাস ছিলেন সম্পদ লোভী মানুষ। সম্পদ আরোহণে তিনি এমন কিছুই বাদ রাখেন নি যা দস্যু বা দাসদের প্রভুরা করত। কখনই ভাল মন্দ এবং নৈতিকতার কথা তিনি ভাবেন নি। অঙ্গচ্ছেদ, জীবন্ত পুড়িয়ে মারা থেকে শুরু করে পশুর মত অকথ্য নির্যাতনের প্রমাণ মিলে গবেষণায়।
তাই এই কলম্বাস ইতিহাসে যতটা না হিরো মানবতার জন্য ততটাই ভিলেন। তিনি একটি ভূখণ্ডের মানুষের জন্য অভিশাপ। আর এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হত ঐ ভূখণ্ডকে ৪০০ বছর রক্ত দিতে হয়েছে। তিনি স্থানীয় মানুষের উপর অমানবিক অত্যাচার করেছেন। কলম্বাসের নাবিক এবং এক্সপ্লোরার পরিচয়ের অন্তরালে আসলে এক নিষ্ঠুর ঔপনিবেশিকের বসবাস। যেমনটি আমাদের এইখানে কলনিয়ালরা করেছে ১৫০০ সালের পর থেকে। নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা আর নৃশংসতায় এই নাবিকের কৃতিত্বের ইতিহাস। তার হাতে নাবিকের দিকদর্শন নলের সাথে ছিল মানবতা হরণীয়া বন্ধুকের নল। এই ইতিহাস মানবতা আঘাতের রক্তের।
কে এই ওয়াল্টার হোয়াইটঃ
ওয়াল্টার হোয়াইট হচ্ছে ইউএস হোয়াইট টেলিভিশনের জনপ্রিয় গবেষণাধর্মী সিরিজ ‘ব্রেকিং ব্যাড’ এর কেন্দ্রীয় চরিত্র। এই সিরিজ সবসময় মিথ্যাকে ভেঙ্গে সত্যের বা সাদার উন্মোচন করে। ওয়াল্টার হোয়াইট একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রসায়নের শিক্ষক। যিনি তাবৎ দুনিয়ার মিথ্যাকে ভাঙতে সদা তৎপর। আইএমডিবি’তে ৯.৬ রেটিং পাওয়া এই টিভি সিরিজ ২০০৮-২০১৩ পর্যন্ত মোট ৫ টি সফল সিজন শেষ করে। female viagra tablets online

কলম্বাসের একটি বিখ্যাত ভাস্কর্য clomid dosage for low testosterone
কলম্বাসের সুযোগ ছিল একটি মানব বসতির উত্থানের ইতিহাসকে গৌরবউজ্জ্বল এবং সাফল্যমণ্ডিত করার। না তিনি করেছেন রক্ত রঞ্জিত ৪০০ বছরের নির্মম দাসপ্রথার সূচনা। হুমায়ূন আজাদ স্যারের সুরে তাই বলতে হয় ইতিহাস অনেক সময় অনেক চুনোপুঁটি বা নির্দয়কেও মহানের মর্যাদা দেয়। দুনিয়াজুড়ে অগাধ সম্মান পাওয়া এই নাবিকের মুখোশ উন্মোচন শুরু হয়েছে। পৃথিবী নতুন করে ইতিহাস এবং সত্য জানার অপেক্ষায়। ১৪৯২ সালের আগের ২০ মিলিয়ন মানুষের জনবসতির এই ভূখণ্ডের লক্ষাধিক মানুষকে কলম্বাসের সাঙ্গোপাঙ্গরা নির্মমভাবে হত্যা করে এবং দাস হতে বাধ্য করে।
এই অসাধারণ অভিযাত্রী এবং নাবিক এবং নিষ্ঠুর ঔপনিবেশিক ৪১ বছর বয়সে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হন। ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্লেগ এবং চোখের রক্তক্ষরণ জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৫/৫৬ বছর বয়সে এই বিতর্কিত নাবিকের জীবনাবসান হয় ১৫০৬ সালের ২০ মে স্পেনে।
তথ্যসূত্রঃ
ক) বায়োগ্রাফি ডট কম
খ) উইকিপিডিয়া বাংলা
গ) উইকিপিডিয়া ইংরেজি
ঘ) দ্যা হিষ্ট্রি ডট কম
ঙ) আই এম দ্যা উইটনেস ডট কম, এবং
চ) পোস্টের সকল হাইপারলিংক সমূহ
ছ) ব্রেকিং বেডের ওয়াল্টার হোয়াইটের গবেষণা।
অর্ফিয়াস বলছেনঃ
অসাধারণ লেখা লিংকন ভাই :-bd
তবে, স্প্যানিশ কনকোয়েস্ট এর সবচেয়ে ঘৃণিত নাম কিন্তু কলম্বাস না, হার্নান্দো পিজারো।
তুপাক আমারোর হত্যা দিয়ে শেষ হলেও, তার আগে আছে জঘন্য এক নোংরা কলোনিয়ানিজম এর ইতিহাস।
এটাই হচ্ছে কথা
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আমি পিজারোর নাম শুনেছি, কিন্তু তার সম্পর্কে বিস্তারিত তেমন জানি না। আপনি কি একটু বিস্তারিত জানাতে পারবেন? :-S একটা পোস্টই দিয়ে দেন নাহয়…
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অর্ফিয়াস ভাই,
বেশ কিছু তথ্য আপডেট বা হালনাগাদ করা হয়েছে। আপনার তথ্যের লিংকসহ মন্তব্য করুণ আমি মূল পোস্টে জুড়ে দিব।
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধইন্যা… %%- %%- %%- %%- %%-
ইলোসিয়া মৌনিন বলছেনঃ
ক্রিস্টোফার কলম্বাস একজন জলদস্যু। একটা আস্ত মহাদেশ ধ্বংস করেছেন তিনি। আজও আমেরিকায় নেটিভদের বাইরের অধিবাসী হিসেবে দেখা হয় যদিই তথাকথিত স্ক্যান্ডিনেভীয় ইউরোপীয়রাই আসল দখলদার। pills like viagra in stores
তারিক লিংকন বলছেনঃ online pharmacy in perth australia
দুর্দান্ত বলেছেন আপনি m/ m/ m/ =D> =D> =D> %%- %%- %%-
অনুস্বার বলছেনঃ
কথাগুলো খুবই সত্য…
সোহেল মাহামুদ(অতি ক্ষুদ্র একজন) বলছেনঃ
মন্তব্য দিতে গিয়ে দেখলাম, অনেকটা কাছাকাছি মন্তব্য ইলোসিয়া আপিই দিয়ে দিয়েছেন…
ইলোসিয়া আপির সাথে সহমত…!!!
রাজু রণরাজ বলছেনঃ
তথ্যবহুল এবং গোছানো লেখা তারিক ভাই, অসাধারন ♥♥♥
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আপনাকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং প্রেরণা দেয়ার জন্য!! %%- %%- %%- %%-
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
পৃথিবী তাকে চেনে একজন মহান অভিযাত্রী হিসেবে, আমেরিকার আবিষ্কারক হিসেবে, কিন্তু আদতে তিনি ছিলেন একজন নির্মম , নিকৃষ্ট ঔপনিবেশিক, আমেরিকার দীর্ঘ ৪০০ বছরের দাসপ্রথার জনক, লালনকারী… X-( X-(
অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উঠে আসা একরাশ ঘৃণা রইল কলম্বাসের জন্য… >:P >:P
আর লিংকন ভাই, নতুন করে আপনার লেখনীর কথা আর কি বলব? ~x( ^:)^ ^:)^ এই ব্যাপারে এর আগে ভাসা ভাসা জানতাম, আজ পুরো ব্যাপারটা পরিস্কার হল… অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই… %%- %%- %%- %%- =D> =D> :-bd >:D<
~O) পানের দাওয়াত দিয়ে রাখলাম।
গ্রহন করলে খুবই খুশি হব… lasix dosage pulmonary edema
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
অসাধারন তথ্যের পারমুটেশান-কম্বিনেশানে একজন ঐতিহাসিক ঔপনিবেশিকের উপাখ্যান কিন্তু জমে গেছে ভালোভাবেই! আপনার পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানাতে হয়।
কলম্বাসের ব্যাপারে বলতে গেলে, “ঠাডা পইড়া বগা মরে ফকিরে কয়, আমার কেরামতি” টাইপের। একজন মানুষের যখন উদ্দেশ্য সৎ থাকে তখন সে সফল কিবা ব্যর্থ সেটা পর্যালোচনা করার অবকাশ থাকেনা। কিন্তু কেউ যখন সাম্রাজ্য স্থাপনের উন্মত্ততায় বলীয়ান হয়ে দাসপ্রথার মত ঘৃণ্য একটা প্রথাকে মাথা তুলে দাঁড় করায় তখন সেখানে তার সততা এবং প্রাথমিক উদ্দেশ্য নিয়ে অন্ধকার ঘনীভূত হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। ইতিহাস দাবী করে ভিন্ন কথা। সেখানে কলম্বাসের সাহসিকতার প্রশংসা করা হয় আর এটাই অনুমেয়। কারন ইতিহাস বিজয়ীর জয়গানে ব্যস্ত। এখানে পরাজিতরা নিষ্ঠুরভাবে অপ্রয়োজনীয় এবং উহ্য! সেই নীতি অনুসরন করে ইতিহাস সর্বদা চাটুকারিত্ব করে জয়ীদের। কিন্তু সেই জয়ের পিছনে আঁকা থাকে রক্তের আল্পনা, শিশুর নীরব আর্তনাদ কিংবা বাস্তুহারাদের অশ্রু-প্রপাত। আর এসব কিছুকে প্রতিহত করে সাহসিকতার সাথে আটলান্টিক পাড়ি দেয়ার পেছনে প্রাথমিক উদ্দেশ্যটা ইতিহাসে উহ্য থাকলেও বাস্তুহারা আদিবাসীদের অ্যাকুয়াস হিউমারে সিক্ত হয়ে সেটা বিশ্ববাসীর কাছে ইতোমধ্যেই তিক্ত হয়ে উঠেছে। তাইতো, চেঙ্গিস খান মঙ্গোলিয়ার দেবপুরুষ হলেও সবার কাছে সেটা নয়। যত বড় ক্ষতি তত বড় লাভ!
অনেকে একটা কথা প্রায়শই বলে, বড় কিছু পেতে হলে ছোটো কিছু বিসর্জন দিতে হয়। বস্তুত, আমি এই বাক্যের কঠোর সমালোচনায় আগ্রহী। আসলে ছোটোবড় এর মাপকাঠি আমরা নির্ধারন করবো কিভাবে? একটা ছেলে গ্রাজুয়েশন প্রাপ্ত হতে তার জীবন থেকে ৩০ বছর ঝরে গেল। এখানে আমি ৩০ বছরকে একদমই ছোটো করে দেখার পক্ষপাতী নই। তাই, আমার কাছে ব্যাপারটা উল্টো। সেটা হল, ছোটো কিছু পাওয়ার জন্য বড় কিছু বিসর্জন দিতে হয়। আর এই নীতিতেই রাজা বাদশা ঔপনিবেশিকরা নিজেদের বড় কিছু (বিবেক-মানবতা) বিসর্জন দিয়ে অধিকার করেছেন ছোটো কিছু (বিস্তীর্ণ জনপদ, বলিষ্ঠ জনবল)। এটাকে আমি পজিটিভলি নিই কি করে? buy viagra alternatives uk
কলম্বাসের টপিকেও আমি একই অনুসিদ্ধান্তে আসতে আগ্রহী। তিনি একটি মহাদেশ আবিষ্কার করলেন, সেটা একটা সৎ উদ্দেশ্য, কিন্তু এর পেছনে তিনি দাসত্বের মত ছোটো কিছুকে নৃশংস ভাবে মাথা তুলে দাঁড় করালেন তার বড় কিছু মানবতা বিসর্জন দিয়ে! আমি ভালো বলি কি করে! ৯৯ জনে বিসর্জন দেয়, ১ জনে বিসর্জিত ঝিনুক হতে নিজের স্বার্থে মুক্তো ছিনিয়ে নেয়। আমি সেই একজনকে কিংবদন্তী বলিনা, বরং তাকে শাসক বলি; সেই একজনকে ইতিহাস বলিনা, বরং তাকে শোষক বলি।
অনুস্বার বলছেনঃ
ইলেকট্রন, আপনার মন্তব্যটা পোস্টটাকে আরও সমৃদ্ধ করল… =D> =D> =D> %%-
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
…অ্যান্ড ইলেকট্রন স্ট্রাইকস এগেইন! pastilla generica del viagra
তারিক লিংকন বলছেনঃ
‘রাম যদি মারা যেত রামায়ন লিখা হতো, রাবণ দেবতা হতো সেখানে’।
দাসেরা হেরে যাওয়া মানবতা বলেই আজ কলম্বাস হিরো। হিরো বিবেচনা করার মানদণ্ডটাই তাই মাঝে মাঝে বড় অদ্ভুত লাগে।
সলেই দিস ইলেকট্রন স্ট্রাইকস ওয়ান্স এগেইন…
:-bd :-bd :-bd :-bd ^:)^ ^:)^ ^:)^
আপনাকে ধন্যবাদ পোস্টটি আরও শক্তিশালী করবার জন্য %%- %%- %%- %%-
অংকুর বলছেনঃ
:-bd :-bd :-bd :-bd :-bd
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
#-o >:P >:P cialis online australia
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
চমৎকার তথ্যবহুল একটি লেখা কলম্বাস সম্পর্কে এতোটা বিস্তারিত আগে কখনই পড়া হয় নি। দারুন লিখেছেন ভাইয়া… (*) (*) (*) :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd m/ m/ m/ m/
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আপনাকেও পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ…
%%- %%- %%- %%- prednisone side effects moon face
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ propranolol hydrochloride tablets 10mg
এ ব্যাপারে আগে থেকেই ভাসা ভাসা জ্ঞান থাকলেও ডিটেইলে এটা নিয়ে কখনও পড়া হয়নি। আপনার সুবাদে সেটা হয়ে গেল ভাল ভাবেই। তবে, স্রেফ সে দাস প্রথার স্রষ্টা আর তার স্বপক্ষে প্রমাণ না দিয়ে সাথে তার কার্যাবলীর একটা মোটামুটি বর্ণনা থাকলে পোস্টটা আরও সমৃদ্ধ হত বলে আমার বিশ্বাস।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
কিছু তথ্য সংযোগ করার ইচ্ছা আছে। শীঘ্রই করে দিব। আপনার গঠনমূলক সমালোচনার জন্য @};- @};- @};- @};- আপনার মত পাঠকেরাই ব্লগের মূল শক্তি।
>:D:D:D:D< %%- %%- %%- %%-
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
@};- @};-
তারিক লিংকন বলছেনঃ ventolin evohaler online
%%- %%- %%- %%-
নাজিয়া শারমিন রিফকা বলছেনঃ
অনেক সুন্দর লেখা! অজানা অনেক কিছু জানতে পারলাম এই লেখাটা পড়ে, ভায়িাকে ধন্যবাদ!
levitra generico acquisto
নাজিয়া শারমিন রিফকা বলছেনঃ
diflucan 150 infarmed*ভাইয়া
হুমায়ুন রনি। বলছেনঃ
অসাধারণ…. অসাধারণ! :)>-
তারিক লিংকন বলছেনঃ
%%- %%- %%- %%- @};- @};- @};-
হুমায়ুন রনি। বলছেনঃ
অসাধারণ…. অসাধারণ! :)>- ^:)^