বাঙ্গালীর মুক্তিসংগ্রামে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নেয়া এক অবাঙ্গালীর জীবনী- ঔডারল্যান্ড(বীর প্রতীক)
872
বার পঠিতপাকিস্তানী সেনা বাহিনীর বর্বরতা প্রত্যক্ষ করে তিনি এর সাথে মিল খুঁজে পেয়েছিলেন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে হিটলার এর নাৎসি বাহিনীর বর্বরতার, আধা ঘণ্টায় নাৎসি বিমান বাহিনীর হামলায় নেদারল্যান্ডের রটেরডাম শহরে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন ৩০,০০০ মানুষ । ২৫শে মার্চ ও তার পরবর্তী নিরীহ বাঙ্গালীর উপর পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরতা তিনি মেনে নিতে পারেন নি। তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ গ্রহণ করেন আমাদের মুক্তিসংগ্রামের যুদ্ধে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে। এই ব্যক্তিটি হলেন ওডারল্যান্ড। ডাচ বংশোদ্ভূত এইঅস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের আজ (১৮ই মে) মৃত্যু বার্ষিকী।
জীবনারম্ভের প্রাক্কালে- nolvadex and clomid prices
উইলিয়াম এ এস ঔডারল্যান্ড (Wiliam Ouderland) ৬ই ডিসেম্বর, ১৯১৭ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার জন্মস্থান নেদারল্যান্ডের আমস্টারডাম। ঔডারল্যান্ডের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ হয়ে ওঠেনি, জীবিকার তাগিদে যখন তিনি জুতো পালিশের কাজ নেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। পরবর্তীতে ১৯৩৪ সালে তিনি বাটা কোম্পানিতে যোগ দেন। ১৯৩৬ সালে জার্মানি কর্তৃক নেদারল্যান্ডস দখলের পূর্বে তিনি যোগ দেন ডাচ ন্যাশনাল সার্ভিসে। এরপর তিনি রয়াল সিগন্যাল কোরে সার্জেন্ট পদে নিযুক্ত হন, তার দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৬ জন। তিনি ওলন্দাজ বাহিনীর গেরিলা কম্যান্ডো হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেন। হিটলারের নাৎসি বাহিনী নেদারল্যান্ড দখল করে, তখন তিনি তাদের হাতে বন্দী হন। তিনি বন্দীশালা থেকে পালিয়ে আসেন, নাৎসি কারাগার থেকে পালিয়ে এসে তিনি নেদারল্যান্ড আন্ডারগ্রাউন্ড মুভমেন্টের গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করেন। গোয়েন্দার ভূমিকায় তাকে সাহায্য করে জার্মান ভাষায় তার পারদর্শিতা। তিনি জার্মান সামরিক সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন। তাদের কাছ থেকে গোপন সংবাদ উদ্ধার করে মিত্রশক্তির সামরিক বাহিনীর কাছে পৌঁছে দিতেন। তিনি জার্মানি থেকে ফেরত সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবার কাজেও নিযুক্ত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ঔডারল্যান্ড ফিরে যান বাটা কোম্পানির চাকুরীতে। ষাটের দশকে ঔডারল্যান্ড ছিলেন সিঙ্গাপুরে, সেখান থেকে ১৯৭০ সালে ঢাকায় বদলি হন এবং প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন বাটা ফ্যাক্টরিতে, যা টঙ্গীতে অবস্থিত।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান :
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক বিদেশি নাগরিকই সহায়তা করেছেন, কিন্তু ঔডারল্যান্ড তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিজে অস্ত্র ধরেছেন। ঝাঁপিয়ে পড়েছেন পাকিস্তানী বাহিনীর উপরে।
ঔডারল্যান্ড ও তার স্ত্রী মারিয়া ঔডারল্যান্ড থাকতেন ঢাকার গুলশানে। ১৯৭১ এ ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ঢাকার রাজনৈতিক অবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এর পর তিনি তার স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু তিনি রয়ে যান আমাদের দেশে, পুরু যুদ্ধকালীন সময়েই তিনি ছিলেন এদেশেই।
একজন বিদেশি নাগরিক ও একটি বহুজাতিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হবার সুবাদে তিনি যুদ্ধের সময়েও পূর্ব পাকিস্তানে অবাধে চলাচলের সুযোগ পান। তিনি সেই সুযোগ কাজে লাগান। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার ছবি তুলে বিদেশি গণমাধ্যমে পাঠান। শুধু তাই নয় তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর নীতিনির্ধারক মহলে অনুপ্রবেশ করবার এবং বাংলাদেশের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করবার। তিনি প্রথমে ঢাকা সেনানিবাসের ২২ বেলুচ রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে,কর্নেল সুলতান নেওয়াজের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। তখন থেকে শুরু হয় তার ঢাকা সেনানিবাসে অবাধ যাতায়াত। এতে আরো বেশি সংখ্যক সিনিয়র সেনা অফিসারদের সাথে তিনি পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ হতে থাকলেন। এর এক পর্যায়ে লে,জেনারেল টিক্কা খান, পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লে, জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী, অ্যাডভাইজার সিভিল এফেয়ার্স মেঃ জেনারেল রাও ফরমান আলি সহ আরো অনেক সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তাদের সাথে তার হৃদ্যতা গড়ে ওঠে। নিয়াজীর ইস্টার্ন কমান্ড হেডকোয়ার্টার তাকে ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসাবে সম্মানিত করে। এই সুযোগে তিনি সব ধরনের ‘নিরাপত্তা ছাড়পত্র’ সংগ্রহ করে নেন। এতে করে সেনানিবাসে যখন তখন যত্রতত্র যাতায়াতে তার আর কোন অসুবিধা থাকল না। তিনি সেই সুবাদে তাদের অনেক গোপন পরিকল্পনা, নানা ধরনের সমর তথ্য জানার সুযোগ পান। ওডারল্যান্ড সেসব তথ্য নিয়মিত পাঠাতে থাকেন ২ নম্বর সেক্টরের মেজর এ টি এম হায়দার এবং জেড ফোর্সের কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমানের কাছে। তিনি যোগাযোগ রাখতেন মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানীর সঙ্গেও। একাজে তাকে সহায়তা করে তার পূর্ব অভিজ্ঞতা। তিনি দক্ষতার সাথেই গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করেছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি একজন গেরিলা কমান্ডো ছিলেন তাই তিনি গোপনে বাটা সু কোম্পানির ভেতরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতেন।কমান্ডো হিসেবে অস্ত্র, গোলাবারুদ সম্পর্কে তাঁর পর্যাপ্ত জ্ঞান ছিল। নিজ হাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তিনি ২নং সেক্টরের অধীনে বেশ কয়েকটি গেরিলা যুদ্ধে নিজে সরাসরি অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ব্রিজ, কালভার্ট ধ্বংস করেন, রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। যুদ্ধের পাশাপাশি তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নগদ অর্থ, খাদ্য ও কাপড়চোপড় দিয়ে নানাভাবে সহায়তা করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী:
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানকারী এই বীরযোদ্ধা উইলিয়াম এস ঔডারল্যান্ড ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাটা শু কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। এর পর শারীরিক অসুস্থতার অস্ট্রেলিয়া ফিরে যান।এবং অস্ট্রেলিয়ার পার্থ নগরীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
১৯৯৭ সালে তিনি ফরিদি নামক একজন মুক্তিযোদ্ধাকে একটি চিঠি লেখেন। সেখান থেকে জানা যায় কেন ঔডারল্যান্ড নিজের জীবনের ঝুকি নিয়েও আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন। এখানে চিঠিটির বাংলা অনুবাদ অন্তর্ভুক্ত করা হল। অনুবাদ করেছেন ফজলে ইলাহি মাহমুদ শাহীন-
প্রিয় জনাব ফরিদি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য ১৯৭১ সালে বাঙালিদের যুদ্ধের প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং ঘটনাসমূহ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণের উদ্যোগ সম্পর্কে জানিয়ে আপনার ২৪ জানুয়ারি ১৯৯৭ এর চিঠির জন্য ধন্যবাদ।
যারা এ যুদ্ধের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল তাদের একজন হিসেবে আমি আপনার অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত তথ্য প্রদান করছি। প্রথমত নিজের প্রসঙ্গে, তারপর ১৯৭১ এর যুদ্ধের কিছু স্মৃতিচারণ করব। আমি জন্মগ্রহণ করি ১৯১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে, তখন ইউরোপ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কবলে তৃতীয় বর্ষ পার করছে। আমি বাটা জুতা কোম্পানিতে চাকুরীতে যোগদান করার কিছুদিন পরই আমাকে সরকার থেকে তলব করা হয়। জার্মানি কর্তৃক আমার মাতৃভূমি আক্রান্ত হবার কিছুদিন আগে ডাচ রাজকীয় সেনাবাহিনীতে সার্জেন্ট হিসেবে যোগ দেয়ার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়। এডলফ হিটলারের জার্মান জান্তার অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র সজ্জিত বাহিনীর ট্যাংকের মুখোমুখি হয় আমার ৩৬ সদস্যের প্লাটুন যার প্রত্যেকের কাছে ছিল খাটো রাইফেল ও ১২ রাউন্ড করে গুলি। আমরা যখন শত্রুর মুখোমুখি হতে যাচ্ছি তখন আমাদের মাথার ওপও দিয়ে জার্মান যুদ্ধবিমানগুলো রটেরডাম আক্রমণ করতে উড়ে যাচ্ছিল। তাদের ব্যাপক আক্রমণে মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে ৩০,০০০ নিরপরাধ ডাচ নাগরিক নিহত হয়। রটেরডামে জার্মান বোমা হামলার পর জার্মান জান্তারা নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সের অন্যান্য শহরের উদ্দেশ্যে একটি আল্টিম্যাটাম পাঠায়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সের জনগণ জার্মানির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
ইন্টার্ন হিসেবে কিছুদিন কাজ করার পর আমি গোপন ডাচ বাহিনীতে যোগ দিলাম। আমি যেহেতু জার্মান ভাষা ভাল জানতাম এবং অনেক ডাচ আঞ্চলিক ডায়ালেক্টগুলো জানতাম সে জন্য আমার পক্ষে উচ্চপদস্থ জার্মান কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হয় এবং ডাচ গোপন বাহিনী ও মিত্র বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করা সম্ভব হয়। ১৯৭১ এর মার্চ মাসে যখন পাকিস্তানি ট্যাঙ্ক ঢাকার রাস্তায় নেমে এল তখন ইউরোপে আমার যৌবনের অভিজ্ঞতা মনে পড়ে যায়। আমি বাঙালিদের অবস্থাটা পুরোপুরি বুঝতে পারছিলাম এবং সেই বোধই আমাকে তাদের পক্ষে কিছু করার জন্য টেনে নিল।
পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে পাকিস্তানিদের নির্বিচার ও নৃশংস আক্রমণে হাজার হাজার বাঙালি নিহত হল। আমি যেহেতু স্বাধীনভাবে চলা ফেরা করতে পারছিলাম আমার মনে হল বাইরের বিশ্বকে এখানকার পরিস্থিতি জানানোর জন্য কিছু করা উচিত। আমি নির্দোষ বাঙালি এমনকি শিশুদের ওপর পাকিস্তানিদের অত্যাচারের কিছু ছবি তুলতে পেরেছিলাম। বাঙালিদের দুর্দশার এসব ছবি আমি আন্তর্জাতিক পত্র পত্রিকায় পাঠাতে পেরেছিলাম।
বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর নির্মম, নিষ্ঠুর ও অসহনীয় অত্যাচার নির্যাতনের দৃশ্য দেখে আমি গভীরভাবে মর্মাহত হই। আমি গোপনে নির্ভীক বাঙালিদের সাথে টঙ্গীর বাটা ফ্যাক্টরির ভেতরে এবং বাইরে সেক্টর ১ ও ২ এ গেরিলা কার্যক্রম শুরু করি। একটি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান হিসেবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে আমার যাতায়াত ছিল। এর ফলে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা আমার জন্য সহজ হয়েছিল।
আমি প্রশিক্ষণ দিতাম এবং গেরিলা তৎপরতায় সাহায্য করতাম। আমি সব করেছি বাঙালিদের প্রতি যে গভীর ভালবাসা এবং হৃদ্যতা অনুভব করতাম তার কারণে।
আমি আরও অনেক বিস্তারিত বলতে পারতাম কিন্তু এখন তা প্রায় অসম্ভব কারণ এখন আমি অবসরপ্রাপ্ত এবং প্রায় অন্ধ।
আমি একটি এ্যালবাম পাঠাচ্ছি যেখানে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অত্যাচারের এবং না বলা দুর্দশার ছবি আছে। সেই সাথে কিছু মুক্তিযোদ্ধারও ছবি আছে যাদের আমি নিজের ছেলের মত মনে করি।
আশা করি এগুলো আপনার উদ্যোগে কাজে আসবে। আমি আপনার সফলতা কামনা করি।
আপনার বিশ্বস্ত ডব্লিউ এ এস ঔডারল্যান্ড
পার্থ, অস্ট্রেলিয়া
২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ doctus viagra
উপরোক্ত চিঠিটি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা এবং মুক্তিযোদ্ধা জনাব কামরুল আহসান খানের কাছ থেকে প্রাপ্ত। কামরুল আহসান খান ১৯৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হওয়ার পর থেকে ঔডারল্যান্ডের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। তিনি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অন্যান্য বাঙালিদের সাথে ঔডারল্যান্ডকে নিয়ে আলোচনা করেন। ঔডারল্যান্ড যখন এ চিঠি লেখেন তখন তিনি অসুস্থ এবং প্রায় অন্ধ হয়ে গেছেন। তাই আরও বিস্তারিত লিখতে পারেননি। এর আগে তাঁর ইচ্ছা থাকলেও অভিজ্ঞতাগুলো লেখা হয়ে ওঠেনি।তিনি মুক্তিযুদ্ধ পরেও অনেক দিন বাংলাদেশে অবস্থান করেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে তার কাছে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার অভিজ্ঞতাগুলো কেউ লিখেছে বলে জানা যায় না।
২০০০ সালে সিডনী থেকে অজয় দাশগুপ্ত দৈনিক প্রথম আলোতে একটি কলামে লিখেন। সেখানে ঔডারল্যান্ডের স্ত্রী মারিয়া ঔডারল্যান্ড এর উদ্ধৃতি দিয়ে লেখেন-
ঔডারল্যান্ড তখনও থাকতেন বাংলাদেশের ভাবনায় ব্যকুল। দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার পরেও বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন লেখা পেলেই চোখের সামনে মেলে ধরতেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এমনকি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় তিনি বিক্ষুব্ধ হতেন। তাঁর জন্য এটাই ছিল স্বাভাবিক, কারণ তিনি স্বচক্ষে মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন, নিজে যুদ্ধ করেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তিনি নিজের ছেলের মত দেখতেন।
অজয় দাশগুপ্ত তাঁর কলামে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন,, তাহলো-
অকুতোভয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধা একাত্তরে আমাদের হয়ে শুধু যুদ্ধ করেননি, এখনও তাঁর পরিচয়ে সে স্মৃতি বহন করে চলেছেন। তাঁর প্যাডে দেখেছি ডাব্লিউ এ এস ঔডারল্যান্ড বি. পি. লেখা। এই যে বীর প্রতীক (বি. পি.) খেতাবটি, নিজের নামের সাথে তার সংযুক্ত বজায় রেখে ‘তিনি আমাদের লোক’ এই পরিচয় তুলে ধরেছেন আজীবন।
তার কলামে মারিয়া ঔডারল্যান্ডের আরও একটি উদ্ধৃতি উঠে আসে সেটি হল-
ঔডারল্যান্ড তাঁকে ও তাঁদের কন্যাকে বলতেন,“বাংলাদেশ আমাদের ভালবাসা। পরবর্তী প্রজন্মের প্রতি আবেগের এই ধারাটা অব্যাহত রেখো। walgreens pharmacy technician application online
জীবনাবসান-
দীর্ঘদিন হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগার পর ২০০১ সালের ১৮ মে তারিখে তিনি ৮৪ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার পার্থে মৃত্যুবরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ পৃথক পৃথক শোকবার্তা পাঠিয়েছিলেন ঔডারল্যান্ডের স্ত্রীর কাছে। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় তার কফিন বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয় সেই সাথে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। পার্থে অবস্থানরত প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা ঔডারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে সামরিক কায়দায় গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
ঔডারল্যান্ডের সম্মানে আমরা-
ঔডারল্যান্ড মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তার এই বীরত্বপূর্ণ কর্তৃত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করে। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর প্রতীক পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় তার নাম ২ নম্বর সেক্টরের গণবাহিনীর তালিকায় ৩১৭। ১৯৯৮ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ঔডারল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি। তিনি বীর প্রতীক পদকের সম্মানী ১০০০০ টাকা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে দান করে দেন।
২০০০ সালে ঔডারল্যান্ডের ৮৩ তম জন্মদিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে তাঁকে পুষ্পস্তবক পাঠানো হয়। এর আগে একটি ই-গ্রুপ খুলে ঔডারল্যান্ড সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহের জন্য একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছিল। এই ই-গ্রুপের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই ঔডারল্যান্ডকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। সেসব শুভেচ্ছা বার্তা এক সাথ করে তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী মারিয়ার কাছ থেকে জানা যায়, শুভেচ্ছা বার্তাগুলো ঔডারল্যান্ডকে পড়ে শোনালে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।সেই ছিল জীবদ্দশায় ঔডারল্যান্ডের শেষ জন্মদিন ।
কামরুল আহসান খান ঔডারল্যান্ডের ওপর একটি ওয়েবসাইট খোলার উদ্যোগ নেন তার উদ্দেশ্য ছিল ঔডারল্যান্ড সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও প্রচারের মাধ্যমে প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা। ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত গোলাম হোসেন তপন, ফউজুল আজিম, মো. কামাল উদ্দিন এবং ক্যানবেরা প্রবাসী আইটি এক্সপার্ট মুহিত মাসিহ তাঁর সাথে যুক্ত হন। তাঁরা ঔডারল্যান্ড সংক্রান্ত তথ্য, ছবি, চিঠি এবং তাঁর ওপর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত লেখা সংগ্রহ করেন। এসব তথ্য সংগ্রহ এবং ওয়েব সাইটে পরিবেশনের মাধ্যমে তাঁরা ঔডারল্যান্ডের ওপর তথ্য অনুসন্ধান ও গবেষণামূলক কাজের একটি মহৎ সূচনা করেন। ২০০১ সালের মার্চ মাসে স্বাধীনতার ৩০ বৎসর উদযাপন উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মির্জা শামসুজ্জামান ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ভবনে ওয়েব সাইটটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ওয়েবসাইটি হল: http://www.banglaweb.com/ouderland/
ঔডারল্যান্ডের মৃত্যুর পর কামরুল আহসান খান এর উদ্যোগে ক্যানবেরায় ঔডারল্যান্ড মেমোরিয়াল কমিটি গঠন করা হয়। ঔডারল্যান্ড মেমোরিয়াল কমিটি ২০০১ সালে তাঁর স্মরণে ক্যানবেরায় একটি স্মরণ সভা আয়োজন করে । এ স্মরণ সভায় বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ হাসান ইমাম, শাহরিয়ার কবির এবং মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম প্রমুখ এ ছাড়া অস্ট্রেলেয়িয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনার, অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূত এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ২০০৮ সালের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঔডারল্যান্ড মেমোরিয়াল কমিটি অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করে। ঔডারল্যান্ডের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাই কমিশন তাঁর নামে একটি গ্রন্থাগার স্থাপন করেছে।
তরুণ বয়সে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তির জন্য পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ঔডারল্যান্ড দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী এক বিরত্বগাথা রচনা করে গেছেন। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে তিনি ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু তৎকালীন সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে নি। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালিরা ই-নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঔডারল্যান্ডের নাগরিকত্বের জন্য কয়েক হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। এ সব স্বাক্ষর সহ তাঁরা ঔডারল্যান্ডের নাগরিকত্বের জন্য একটি আবেদন জমা দেন বাংলাদেশ সরকারের কাছে। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই ঔডারল্যান্ড মৃত্যুবরণ করেন।
আমরা পারতাম এই মহান ব্যক্তিকে আপন করে নিয়ে নিজেদের জাতিকে সমৃদ্ধ করতে, কিন্তু তা আর করা হল না। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন বহু বিদেশি নাগরিক। তন্মধ্যে উইলিয়াম এস ঔডারল্যান্ড ছিল এমন একজন যিনি প্রত্যক্ষ ভাবে যুদ্ধ করেছেন আমাদের মুক্তির জন্য। মৃত্যুর পূর্বে তিনি প্রায়ই তার স্ত্রী ও কন্যার কাছে বাংলাদেশের প্রতি তার ভালবাসা প্রকাশ করতেন। বলতেন “Bangladesh is our love”। তিনি বাংলাদেশকে স্থান দিয়েছিলেন নিজের হৃদয়ে। কিন্তু আফসোস এ দেশে জন্ম নিয়েও কতিপয় মানুষ রূপী প্রাণী এখনও এদেশকে ভালবাসতে পারে নি, সম্মান দিতে শিখেনি এই বীরদের।
তথ্যসূত্রঃ
১) http://www.priyoaustralia.com.au/specialissues/index.php?page=mahmud-shahin
২) http://archive.prothom-alo.com/print/news/235519
৩) http://www.somewhereinblog.net/blog/sazal79/29501402
৪) wikipedia.org
৫) http://prothom-aloblog.com/posts/16/22469
৬) http://www.banglaweb.com/ouderland/oud_history.html
তারিক লিংকন বলছেনঃ
বিদেশী এই বীরপ্রতীক মুক্তিযুদ্ধার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা ছিল না। জয় তোর এই তথ্যবহুল লিখাটি খুবই ইনফরমিটিভ হয়েছে। এই কষ্টসাধ্য কাজটি করার জন্য তোরে %%- %%- %%- %%- :-bd :-bd :-bd :-bd
দারুণ হয়েছে পোস্ট। নিজেকে ছাড়িয়ে জাচ্ছিস দিনদিন। আর আমাদের মুক্তির সংগ্রামের এই মহানুভব বিদেশী মুক্তিযোদ্ধাকে ^:)^ ^:)^ ^:)^ ^:)^ ^:)^ ^:)^ ^:)^ ^:)^ এবং স্যালুট!!
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
কষ্ট করে পড়বার জন্য ধন্যবাদ…… সাথে থাকুন।
আর আপনার পোস্টের তুলনায় এগুলো নগন্য।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ zithromax azithromycin 250 mg
সহমত লিংকন ভাই… :-bd ~x( ও নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে দিনদিন… >:D:D<
শুভকামনা রইল ওর জন্য… ^:)^
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ধন্যবাদ ভাই ধন্যবাদ
জন কার্টার বলছেনঃ
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক বিদেশীবন্ধু সাহায্য, সহযোগিতা করলে ঔডারল্যান্ড(বীর প্রতীক) ছাড়া অন্য কেউ সরাসরি এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নি, কেউ নিজ হাতে বন্দুক তুলে নিয়ে ঔডারল্যান্ড(বীর প্রতীক)-এর মত শত্রুপক্ষের(পাকিস্তানি হানাদার) উপর ঝাপিয়ে পড়েনি! তাই অন্য বিদেশী বন্ধুদের থেকে ঔডারল্যান্ড(বীর প্রতীক) একটু আলাদা ছিলেন ।বাংলাদেশের প্রতি ছিল তার অগাধ ভালোবাসা…… synthroid drug interactions calcium
চমৎকার লিখেছিস জয়……চালিয়ে যা
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
পড়বার জন্য ধন্যবাদ ভাই…… missed several doses of synthroid
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
^:)^ ^:)^ ^:)^
নীহারিকা বলছেনঃ
অনেক ধন্যবাদ পোস্টের জন্য
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ doctorate of pharmacy online
:-bd :-bd :-bd >:D<
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ইলোসিয়া মৌনিন বলছেনঃ
মুক্তিযুদ্ধ তে এরকম কত বীরের বলিদান হয়েছে কয়জনকেই বা চিনি। এরকম একজন যোদ্ধার কাহিনী তুলে আনায় আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। >:D< ^:)^
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আমিও এমন একজন বীর সম্পর্কে আপনাকে জানাতে পেরে অনেক খুশি হলাম।
পোস্টটি পড়বার জন্য ধন্যবাদ…
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ glyburide metformin 2.5 500mg tabs
কথাগুলো একই সাথে অসামান্য ভালোবাসা আর অসম্ভব যন্ত্রণার আক্ষেপে পুড়িয়ে গেল। বীর মুক্তিযোদ্ধা উইলিয়াম এ এস ঔডারল্যান্ড আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক অনস্বীকার্য অধ্যায়। দুর্ভাগা আমরা, প্রাপ্য সম্মান আর মর্যাদা দিতে পারিনি এ সাহসী সন্তানকে। আর আমাদের দেশের মহামান্য পারজদের কথা আর কি বলব? তাদের তুলনা তারা নিজেই… %-( [-( সৌভাগ্য এই যে,ওডারল্যান্ড এদের দেখেননি। দেখলে হয়তো খুব অবাক হতেন,কষ্ট পেতেন, ৩০ লাখ শহীদের সামনে লজ্জায় মুখ লুকোতেন… :-<
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ঔডারল্যান্ড কে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য স্বাক্ষর নেয়া হয় । সবার সাক্ষর একত্রিত করে আবার আবেদন করা হয় কিন্তু তক্ষণে আমরা বঞ্চিত হয়ে গেলাম, তিনি আমাদের বঞ্চিত করে পরপারে চলে গিয়েছিলেন।
অনুস্বার বলছেনঃ
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
স্যালুট হিম ।
বিদেশী এই বীর সম্পর্কে আগে থেকে কিছু জানলেও জয়ের পোষ্ট থেকে স্ববিস্তারিত জানতে পারলাম । ধন্যবাদ জয় ।
অনুস্বার বলছেনঃ metformin tablet
সহমত শাহিন ভাইয়ের সাথে… ^:)^
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আপনাদের জানাতে পেরে আমারও ভাল লাগলো……
চাতক বলছেনঃ
অনেক কিছুই নতুন করে জানলাম।। cialis new c 100
এই বীর সেনানীকে ^:)^ ^:)^ ^:)^ ^:)^ এবং স্যালুট।
আর আপনাকে অফুরন্ত ধন্যবাদ %%- %%- %%- %%-
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আপনাকেও ধন্যবাদ
অংকুর বলছেনঃ
অনেক সুন্দর একটি তথ্যবহ পোষ্ট । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আমরা কেন পারিনা ? আমরা কেন পারিনা দেশটাকে ভালোবাসতে ?
উইলিয়াম এস ঔডারল্যান্ড I salute you!
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়বার জন্য, can you tan after accutane
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
^:)^ ^:)^ ^:)^ ^:)^ about cialis tablets
হুমায়ুন রনি। বলছেনঃ
side effects of drinking alcohol on accutaneবোধ নামের এই মান্থলি পত্রিকাটা দেখলেই কান্না আসে। দেশের জন্য ভাল কিছু করতে যাওয়া অপরাধ। মানুষে মানুষে কত প্যাচ, কত হিংসা, কত পতন! puedo quedar embarazada despues de un aborto con cytotec
জীবন থেকে সাড়ে নয় বছর চলে গেছে বাটট স্বপ্নটা যায়নি। বড় কষ্টে আছি- আইজ্জুদিন। ঢাকা ভার্সিটির ওয়ালে লেখা এই লাইনটি মনে পড়ে যায়। বড় কষ্টে আছি – আইজ্জুদ্দিন।
হুমায়ুন রনি। বলছেনঃ
বোধ নামের এই মান্থলি পত্রিকাটা দেখলেই কান্না আসে। দেশের জন্য ভাল কিছু করতে যাওয়া অপরাধ। মানুষে মানুষে কত প্যাচ, কত হিংসা, কত পতন!
জীবন থেকে সাড়ে নয় বছর চলে গেছে বাট স্বপ্নটা যায়নি। বড় কষ্টে আছি- আইজ্জুদিন। ঢাকা ভার্সিটির ওয়ালে লেখা এই লাইনটি মনে পড়ে যায়। বড় কষ্টে আছি – আইজ্জুদ্দিন।
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
ইস… কত্ত দেরী করে ফেললাম এত্ত ভালো একটা লেখা পড়তে
দারুণ লিখেছিস ভাই :-bd বীর উইলিয়াম এস ঔডারল্যান্ড সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আজকে জানতে পারলাম এই লেখাটা পড়ে। এত্তগুলা ধন্যবাদ তোরে… %%-
দুরন্ত জয় বলছেনঃ