কাত্তিকদা মেট্টিক পাশ
403
বার পঠিতসেবার কাত্তিকদা মেট্টিক পাশ করিয়াছিল।
মেট্টিক! সে এক মহা হাঙ্গামার ব্যাপার-স্যাপার। প্রতিটা নোট বইয়ের কোনাকাচি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। কোন কোণা থেকে কোন কোশ্চেন আছে আর তার উত্তর কোথায় সবচেয়ে ছোট করে লেখা আছে তার সব জানতে হয়। জানতে হয়, কোন ব্লেডে সব চেয়ে বেশি ধার। কোন নোটের কোন পাতাটা কেটে শরীরের কোথায়, কিভাবে লুকিয়ে রাখতে হবে – তার সবকিছু জানতে হয় মেট্রিক পরীক্ষা দেবার জন্য। পুরসিলাত পার হবার মতই নাকি কঠিন সেই মেট্রিক পরীক্ষা। সেখানে পরীক্ষা দিতে গেলে হঠাৎ হঠাৎ বড় বাবুরা এসে হাজির হয়। সাথে সাথে সব নোটের কাটাছেড়া লুকিয়ে ফেলতে হয়। ধরা পড়লে একেবারে এক্সপেল করে দেয়। কী নিষ্ঠুর! কত কায়দা কানুন করে কাত্তিকদাটা সব নোট জোগাড় করে পরীক্ষা দিতে যায় আর বড় বাবুদের ভয়ে তাকে নাকি সেবার নোটের টুকরা গলাধকরণও করতে হয়েছিল। ইয়াক থুহ্! তবে, আশার কথা হচ্ছে, কাত্তিকদা সেবার পাশ করিয়াছিল। যে সে পাশ নয়, একেবারে সেকেন্ড ডিভিশনে পাশ করিয়াছিল। অবশ্য তার সামনের দাদাটাও নাকি ফাস্ট ডিভিশন পেয়েছিল। তাই কাত্তিকদা কিভাবে সেকেন্ড ডিভিশন পেল, তার কতটুকু কিসের জোর সেটা নিয়ে আমরা কেউই মাথা ঘামাই নি। মাথা ঘামাই নি, কিভাবে কাত্তিকদা বড় ইশকুলে পাশ করে বড় চাকুরী পাইয়া গেল, সে নিয়েও।
মাথা ঘামালাম, যখন বসন্ত মেট্টিক পরীক্ষা দিল। ততদিনে মেট্টিক পরীক্ষার নূতন অবতার আসিয়াছে। তাহার নাম এসএসসি। প্রশ্নের নূতন রূপ গজাইয়াছে। তার নাম সৃজনশীল। ফাস্ট ডিভিশনটাও কিভাবে কিভাবে যেন এ+ নাম পাইয়া গিয়াছে। যাক ওসব কথা। কথা হচ্ছে, বসন্ত এ+ পাইয়া গেল। ঘরের সবাই অতি আহলাদিত হৈল। বসন্তের বাবা সোয়া আট কেজি রসগোল্লা কিনিয়া চৌদ্দ দু’গুণে আঠারো গুষ্ঠিতে বিলাইলেন। বসন্তের মা খুশিতে গদগদ হৈয়া পাশের বাসার ভাবিকে বলিলেন, “ভাবি জানেন! আমার ছেলেটা না…।” ভাতিজার এ হেন ফলাফলে শুধু খুশি হৈতে পারিল না কাত্তিকদা।
কাত্তিকদা বসন্তকে ডাকিলেন। বসন্তের বাবাকে ডাকিলেন। ডাকিলেন তাহার মাতাশ্রীকে। তারপর তাহার সুদীর্ঘ ভাষণ শুরু করিলেনঃ
বসন্তকালে আম্রবৃক্ষে যেইরূপ মুকুল ধরে, এ বছর এ+ আসিয়াছে সেইরূপ। যে ছেলে মেয়ে সায়েন্স বানান করিতে পারে না, সে সায়েন্সে পড়িয়া এ+ পাইয়াছে। সুতরাং, বসন্তের এ হেন রেজাল্টে আহলাদিত হৈবার কিছু নাই। বরং দুশ্চিন্তার বিষয় রহিয়াছে। এইবার প্রতিটা ছাত্রছাত্রী পরীক্ষার পূর্বের রাত্রে কোশ্চেন পাইয়া পরীক্ষা দিয়াছে। কে জানে, বসন্তও তাহা করিয়ছে কিনা! অসম্ভব নহে। viagra vs viagra plus
কেবল সবাইকে কথা শুনাইয়াই তিনি নিবৃত্ত রহিলেন না। ফেসবুকে বিশাল স্ট্যাটাস ফাঁদিলেন। তাহাতে তিন মিনিটে তিনশ’ লাইক পড়িল। সকলে মিলিয়া দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা রসাতলে গেল বলিয়া আহাজারি তুলিল।
সেই স্ট্যাটাস পড়িয়া আমি হিসাব করিতে বসিলামঃ
এইবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়াছে ১৪ লাখ ২৭ হাজার। পরীক্ষাতে গ্রেড আছে D, C, B, A-, A, A+ — মোট ছয়খানা। ফেল্টুশ সহকারে ধরিলে সাতখানা। তাহলে যদি প্রতি গ্রেডে দুই লাখ চার হাজার করিয়া পরীক্ষার্থী থাকে, তাহলে বলা যায় পরীক্ষার মান যথার্থ ছিল। পতৃকায় চোখ বুলাইয়া দেখিলাম, A+ পাইয়াছে এক লাখ ৪২ হাজার। অর্থাৎ, হিসাবের তুলনায় ৬২ হাজার A+ কম আসিয়াছে। ইহাকে A+ এর বাম্পার ফলন কিভাবে বলে, ঠিক ঠাহর করিতে পারিলাম না। কাত্তিকদাদের সময়ে তাহারা বই আগা গোড়া মুখাস্ত করিয়া, নোট বই ফালাফালা করিয়া, নকল গলাধকরণ করিয়া থার্ড ডিভিশন তুলিতে পারিত না বলিয়া এখন সেটার চতুর্গুণ হৈতে দেখিলে ঈর্ষাপরায়ণ হয় কিনা বুঝিতে পারিলাম না।
আমি যখন হিসাবে ব্যাস্ত, সেই ফাকে বসন্ত তাহার বই আর প্রশ্নপত্র লইয়া আসিল। তারপর উহা কাত্তিকদাকে ধরাইয়া দিয়া বলিল, “মানিয়া লইলাম আমি কোশ্চেন পাইয়া পরীক্ষা দিয়াছি। এইবার আপনার সামনে বইও দিলাম কোশ্চেনও দিলাম। আপনি উত্তর করুণ।”
সাথে সাথে কাত্তিকদা খেকাইয়া উঠিলেন, “বটে রে! তোদের সিস্টেমে তোরা পরীক্ষা দিবি। আমাদের সিস্টেমে আমরা। অনুশীলনের কোন প্রশ্ন বাহির করিতে হবে বল। নইলে ভাগ।”
এইবার বসন্তের মা কাত্তিকদাকে কেঁচকি দিয়া ধরিলেন, “কী হে আমার সেকেন্ড ডিভিশন ঠাকুরপো! এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন হাতে পাইয়াও উত্তর বই থেকে খুঁজে বাহির করিতে পারো না?”
বলিয়া তিন জনেই প্রস্থান করিতে উদ্যত হইলেন। তৎক্ষনাৎ কাত্তিকদা লাফাইয়া উঠিল, “এই যে! একখানা প্রশ্নের উত্তর বাহির করিয়াছি।”
বসন্ত হাসিয়া কহিল, “ছোকটা, সারা বছর না পড়িয়া ও রকম আগের রাত্তিরে কোশ্চেন নিয়া দৌড়াইয়া দুএকটার উত্তর বাহির করিয়া পাশ নম্বর আসে। এ+ না। প্রশ্নের উত্তর বই থেকে বাহির করিতেও বইয়ের অলিগলি জানিতে হয়। সৃজনশীলের উত্তর বই থেকে বাহির করিয়া খাতায় লিখিতেও তাহা বুঝিতে হয়। আপনাদের ওই নোট বই দিয়ে যারা ফাস্ট ডিভিশন পেয়েছে, তারা এখন পরীক্ষা দিলে পাশ নিয়েই টানাটানিতে পড়ে যেত।”
কাত্তিকদা কী উত্তর দিয়াছিলেন, তাহা কেহ জানিতে পারে নাই।
তার বহুবছর পরে কাত্তিকদার সাথে দেখা হৈয়াছিল। সে প্রসঙ্গে কাত্তিকদা কথা ঘুরাইয়া বলিয়াছিল, “আরেহ! ওই ইশট্যাটাশ তো দিয়াছিলাম, যেন এ+ না পাওয়া কেহ মন খারাপ না করে।”
কাত্তিকদাকে সেবার বলেছিলাম, “দু’এক জনের মন ভাল করিতে দু’দশ জনের মন খারাপ করিয়া দেবার বলিহারি যুক্তি বোধ হয় আমি কোনদিন বুঝিতে পারিব না।”
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
@};- @};- @};-
শ্রাবণ বলছেনঃ
%%- %%- %%-
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কি আর বলিব দুঃখেরও কথা… #-o :-S :-”
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
সেই রকম লিখছেন বস! সেই! গতকাল থেকে এপ্লাস পেয়েছি বলেও বহু জনের কথা শুনিয়াছি উহার মধ্যে একজন লিখিয়াছেন বর্তমানের যে এপ্লাসের অবস্থা এপ্লাস পাওয়া কাউকে দিয়ে সৃজনলশীল সাহিত্য চর্চা হবে বলে তাহার নাকি মনে হয় না।
ভাল লাগিল পোস্ট খানা।
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
তাইলে কি পাওয়া লাগবে? এ+ এর ওপর কোনো রেজাল্ট বেরিয়েছে নাকি?
আর ইনস্টিটিউশনাল ক্যারিয়ারে কী রেজাল্ট আসল, তার ওপর ভিত্তি করে কেউ সাহিত্যচর্চ্চা করতে পারবে, কি পারবে না – সেটা নির্ধারণ! মজা তো!!!
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ acquistare viagra in internet
zithromax azithromycin 250 mg:-?? :-S #-o
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ধুর যা বুঝেন নাই। এপ্লাস পাওয়া ছাত্ররা খালি পড়া মুখস্ত করে খাতায় তা উগলে দেয়, তাদের সৃজনশীলতা নেই তারা পড়া লেখায় ব্যস্ত। এমন মনোভাব
অংকুর বলছেনঃ
ভাউতামি ছাড়া কিছুই না :-L :-L :-L :-L
তারিক লিংকন বলছেনঃ
মজা পাইলাম!! ভাল লিখছেন :)) :)) :)) =D> =D> =D>
শ্রাবণ বলছেনঃ
ধন্যবাদ আপনাকে।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
মজা করে লিখলেও আপনার প্রসঙ্গটি খুবই গভীরের । মুষ্টিমেয় কিছু অসৎ ছাত্রের কারণে সবার সফলতা ম্লান হয়ে যাক তা মোটেই কাম্য নয় । acne doxycycline dosage
শ্রাবণ বলছেনঃ
সেটাই। কিন্তু, আমাদের অধিকাংশ এমন আচরণ করছে, যেন বাংলাদেশে যতজন পরীক্ষা দিয়েছে, সবাই দুর্নীতিগ্রস্থ।
:-< :-< :-< side effects of drinking alcohol on accutane
অংকুর বলছেনঃ
মজা পাইলাম :)) :)) :)) :-bd :-bd :-bd all possible side effects of prednisone
এক্কেরে খাটি কথা বলেছেন ভাই ……… :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd
শ্রাবণ বলছেনঃ
half a viagra didnt workসিরিয়াসলি ভাই, কাজিনের কোশ্চেন দেখে আমিই মোটামুটি ঘামতে শুরু করেছিলাম, এই কোশ্চেনে আমাদের পরীক্ষা দিতে হয়নি।