September On Jessore Road: অ্যালেন গিন্সবার্গ; এক মহানুভব কবি………
576
বার পঠিতআরউইন অ্যালেন গিন্সবার্গ সর্বাধিক পরিচিত অ্যালেন গিন্সবার্গ নামে।অ্যালেন গিন্সবার্গ একজন বিখ্যাত মার্কিন কবি ও গীতিকার।অ্যালেন গিন্সবার্গ ১৯৫০ সালের দিকে বিট প্রজন্মের সর্বাধিক পরিচিত একজন কবি।
will i gain or lose weight on zoloft
অ্যালেন গিন্সবার্গ ৩রা জুন ১৯২৬ সালে একটি ইহুদি পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।তিনি নিউ-জার্সির প্যাটারসন এলাকায় বেড়ে ওঠেন।গিন্সবার্গ ১৯৪৩ সালে ইস্টসাইড হাই স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি হাই স্কুলে থাকা কালীন সময়েই তার শিক্ষকের সহায়তায় Walt Whitman পড়া শুরু করেন।
গিন্সবার্গ কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পূর্বে কিছুদিন Montclair State College এ অধ্যয়ন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থাতেই ১৯৪৫ সালে অ্যালেন গিন্সবার্গ পড়াশুনার খরচ যোগাড় করার জন্য চাকরিতে যোগদান করেন।
কলোম্বিয়াতে থাকা কালীন সময়েই গিন্সবার্গ Jester Humor Magazine পত্রিকায় সাহিত্য সাংবাদিক হিসাবে কাজ শুরু করেন।তিনি সে সময় Feilolexan Society এর সভাপতি নির্বাচিত হন।
অ্যালেন গিন্সবার্গ তার বিখ্যাত কবিতা ”হাউল”(Howl) রচনার জন্য সবচেয়ে বেশি খ্যাতি অর্জন করেন।১৯৫৬ সালে তিনি এই কবিতাটি লিখেছিলেন তার বিট প্রজন্মের বন্ধুদের বরণ করে নিয়ে এবং বস্তুবাদের ধ্বংসাত্মক শক্তিকে আক্রমন করে।পরবর্তীতে তার এই বিখ্যাত কবিতাটি বাংলা তেও অনুবাদ করা হয়।
অ্যালেন গিন্সবার্গ কৈশোর কাল থেকেই সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।তিনি কৈশোর কালেই নিউ ইয়ার্ক টাইম’সে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন।
অ্যালেন গিন্সবার্গের সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে সমকামিতা বিষয়ক কর্মকাণ্ডগুলো ছিল সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিতর্কিত।
সমকামিতা জন্য অ্যালেন গিন্সবার্গ বিতর্কিত হলেও এই মহান কবি ছিলেন মানবতার মূর্ত প্রতীক।তিনি দুঃস্ত-মানবতার সেবায় ছিলেন অগ্র-পথিক।
অ্যালেন গিন্সবার্গের তার কবিতায় সবসময় ফুটিয়ে তুলতেন শোষিত শ্রেণীর কথা।এরই ধারাবাহিকতায় এই মহানুভব কবি আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধে বাঙ্গালীর দুঃখ-কষ্ট তুলে ধরে ছিলেন তার সুতীক্ষ্ন লেখনির দ্বারা।লিখেছিলেন বিখ্যাত কবিতা ”September On Jessore”।
অ্যালেন গিন্সবার্গ ভারতবর্ষে থাকাকালীন সর্বাধিক সময় কাটিয়েছিলেন কলকাতায়, ১৯৬২-১৯৬৩ সালে এবং তিনি পশ্চিমবাংলার কবিদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন ।
অ্যালেন গিন্সবার্গ ১৯৭১সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেরশেষ দিকে ভারতের কলকাতায়এসেছিলেন। কলকাতার বেশ কয়েকজন সাহিত্যিকের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল যার মধ্যে একজন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যয়ের বাড়িতেই উঠেছিলেন। তখন বাংলাদেশ থেকে অনেক শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গ ও সীমান্তবর্তী অন্যান্য শহরে আশ্রয় নিয়েছিল। ব্রিটিশ রাজের সময় পূর্ব বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গের সংযোগকারী সড়ক হিসেবে কাজ করতো “যশোর রোড”। অনেক বৃষ্টি হওয়ায় তখন যশোর রোড পানিতে ডুবে গিয়েছিল। সড়ক পথে না পেরে গিন্সবার্গ অবশেষে নৌকায় করে বনগাঁপেরিয়ে বাংলাদেশের যশোর সীমান্তে পৌঁছেন। তার সাথে সুনীল গঙ্গোপাধ্যয়ও ছিলেন। তারা যশোর সীমান্ত ও এর আশপাশের শিবিরগুলোতে বসবাসকারী শরণার্থীদের দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেন।
এই অভিজ্ঞতা থেকেই গিন্সবার্গ এই কবিতাটি লিখেছিলেন। এই দীর্ঘ কবিতার সাথে সুর দিয়ে এটিকে গানে রূপ দিয়েছিলেন তিনি। আমেরিকায় ফিরে গিয়ে তার বন্ধু বব ডিলানও অন্যান্য বিখ্যাত গায়কদের সহায়তায় এই গান গেয়ে কনসার্ট করেছিলেন। এভাবেই বাংলাদেশী শরণার্থীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন গিন্সবার্গ।
September On Jessore Road কবিতার কিছু লাইন,
Millions of souls nineteenseventyone
homeless on Jessore road under grey sun
A million are dead, the million who can
Walk toward Calcutta from East Pakistan
Taxi September along Jessore Road
Oxcart skeletons drag charcoal load
past watery fields thru rain flood ruts
Dung cakes on treetrunks, plastic-roof huts
Wet processions Families walk
Stunted boys big heads don’t talk
Look bony skulls & silent round eyes
Starving black angels in human disguise…
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অর্থ সংগ্রহের জন্য “কনসার্ট ফর বাঙলাদেশ” ছাড়াও গিন্সবার্গ ও রাশিয়ার ইয়েভগেনি ইয়েভ তুসোস্কোর মিলে কবিতা পাঠের আসরও আয়োজন করেছিলেন। গিন্সবার্গের ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ কবিতাটি পরে ১৯৯৯ সাথে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ তাঁর মুক্তির কথা চলচ্চিত্রে ব্যবহার করেন।
প্রথমে খান মোহাম্মদ ফারাবীর অনুবাদ করা কবিতাটি গান হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন কিন্তু কবিতা থেকে গান করাটা অনেক কঠিন ছিলো তাই এটাকে গান করার দায়িত্ব পড়ে তারেক মাসুদের বন্ধু প্রখ্যাত গায়িকা মৌসুমি ভৌমিকের উপর। তিনিই এই কবিতার ভাবানুবাদ করেন এবং সুরারোপ করেন। এই গানটি তারেক মাসুদ তাঁর অপর চলচ্চিত্র ‘মুক্তির গান’-এ ব্যবহার করারজন্য গিন্সবার্গের কাছ থেকে অনুমতি এনেছিলেন কিন্তু মুক্তির গান চলচ্চিত্রের ফাইনাল এডিটিং-এর সময় এই কবিতা বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ঢুকানো হয়।
গিন্সবার্গের কাছ থেকে অনুমতি আনতে যাবার স্মৃতির কথা তারেক মাসুদ লিখেছিলেন দৈনিক কালের কণ্ঠে-
“মুক্তির গান’ ছবিটি করার সময়ই অ্যালেন গিন্সবার্গের ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ কবিতাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম।
অনুমতির জন্য তখন নিউইয়র্ক যাই। গিন্সবার্গের পিএসকে সব খুলে বলার পর উনি জানালেন, ‘আপনাদের খুব একটা কষ্ট করতে হবে না। কারণ ইতিমধ্যেই গিন্সবার্গ কবিতাটিতে সুরারোপ করে গেয়েছেন। আর বাঙলাদেশের প্রতি তাঁর দুর্বলতা থাকায় চাইলেই গানটি পেয়ে যাবেন। আগামী বুধবার তরুণদের কবিতা পাঠের একটি আসর আছে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করা যাবে।’ আমি এবং ক্যাথরিন সময়মতো সেখানে উপস্থিত হই। কবিতা পাঠ শেষ হওয়ার পরই গিন্সবার্গকে ঘিরে ধরলেন ফটোসাংবাদিকরা। কড়া প্রটোকল এবং সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে গিন্সবার্গের সামনে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই সাংবাদিকদের সঙ্গেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। এর মধ্যেই আমাদের লক্ষ্য করে গিন্সবার্গ বললেন, ‘তোমরা কি বাঙলাদেশ থেকে এসেছ? ‘হ্যাঁ’ বলতেই কাছে টেনে নিয়ে কোটের বুক পকেট থেকে ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ গানের একটি সিডি ধরিয়ে দিলেন। বললেন,
‘তোমাদের জন্য বাসা থেকেই সিডিটা নিয়ে এসেছি।’
১৯৭১ সালে যতজন বিদেশী বন্ধু বাংলাদেশীদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই মহানুভব কবি।
অ্যালেন গিন্সবার্গ ১৯৯৭ সালের ৫ই এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র: অন্তর্জাল, উইকিপিডিয়া ও
বিভিন্ন বাংলা ব্লগ
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
বাহ্… চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ একটি পোস্ট… :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd
জন কার্টার বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ আপ্নাকে ফাতেমা …….
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট । পরিশ্রমের জন্য প্রশংসা ।
জন কার্টার বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ শাহীন ভাই….. side effects of quitting prednisone cold turkey
চাতক বলছেনঃ doctus viagra
^:)^ ^:)^ ^:)^ :-bd :-bd :-bd :-bd
সভ্যতার বটবৃক্ষদের খবর পড়তে ভালই লাগে এই ব্লগে
জন কার্টার বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ চাতক ভাই…..
একজন আইজুদ্দিন বলছেনঃ
পোস্ট পড়ে খুব ভাল লাগল।
সঙ্গে আরেকটু যোগ করতে চাই, অ্যালেন গিন্সবার্গ বাংলাদেশি শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের খুব ভক্ত ছিলেন।
উনি নিউইয়র্ক শহরের হাইরাইজ বিল্ডিঙের মাথায় বড় এমপ্লিফায়ারের সাহায্যে বাংলাদেশি পল্লিগীতি উচ্চ ভলুউঁমে পুরো শহরকে বাজিয়ে শোনাতেন।
চালিয়ে যান। ^:)^ ^:)^
জন কার্টার বলছেনঃ
all possible side effects of prednisoneঅসংখ্য ধন্যবাদ আইজুদ্দিন ভাই….. আপনার দেওয়া তথ্যটি সম্পর্কে আগে জানা ছিল নাহ্! জানলে পোস্টের সঙ্গে জুড়ে দিতাম…..
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
চমৎকার একটা তথ্য দিয়েছেন আইজুদ্দিন ভাই… :-bd :-bd >:D< about cialis tablets
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
tome cytotec y solo sangro cuando orinoঅসাধারণ মানুষটিকে নিয়ে কষ্টসাধ্য পান্ডুলিপিটি পোস্ট করার জন্যে লেখককে অনেক ধন্যবাদ আর অভিনন্দন। সভ্যতায় আপনার পথচলা শুভ হোক। অনেকধন্যবাদ যত্ন নিয়ে পান্ডুলিপি উপ্সথাপন করার জন্যে।
জন কার্টার বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ ইলেকট্রন……
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
বেশ তথ্যবহুল পোস্ট। তাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা।
জন কার্টার বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ কাল বৈশাখি দা…..
ত্রিভুজ বলছেনঃ
=D> ভালো লাগলো । আশা করি এভাবেই আরো লিখে যাবেন ।
জন কার্টার বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ ত্রিভূজ দা/আপু…….
রোবো স্যাপিয়েন্স বলছেনঃ
ধন্যবাদ লেখককে, বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধুর জীবন-কথা তুলে ধরার জন্য। ^:)^ %%-
জন কার্টার বলছেনঃ
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ রোবো স্যপিয়েন্স…..
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কার্টার সাহেব, আপনাকে যে কি বলে ধন্যবাদ জানাব, বুঝতে পারছি না… চমৎকার লেখনীতে বাংলাদেশের অসাধারন এবং অকৃত্তিম এক বন্ধুকে নিয়ে লিখবার জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা… %%- %%- %%- m/ m/ :-bd >:D<
বিট প্রজন্মের মহান কবি ও গীতিকার অ্যালেন গিন্সবার্গকে ^:)^ ^:)^ ^:)^
জন কার্টার বলছেনঃ
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ডন দা…..
উদ্ভ্রান্ত পথিক বলছেনঃ
renal scan mag3 with lasixকার্যকরী একটি পোষ্ট……
ধন্যবাদ……….