আমার পরান যাহা চায়…
445
বার পঠিতবারান্দায় বসে আছে আশিশ, সামনে সবুজ মাঠ। যদিও রাতের অন্ধকারে এর রং ঠাওর করা যায় না। দিনের আলোতে যখন মাঠটা দেখা হয়েছিল তখন সবুজ ছিল, নিশ্চয়ই সূর্য ডোবার সাথে সাথে কোন কিছুর রূপ পরিবর্তন হয় না। অন্তত এই সবুজ মাঠটির রূপ পরিবর্তন হয় নি। মাঠের পরেই একটা রাস্তা। একের পর এক প্রাইভেট কার চলে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে, গাড়ি গুলো রাস্তার সোডিয়াম বাতির আলোতে খুব সুন্দর লাগছে। যদিও খুব অল্প সময়ই দেখা যাচ্ছে গাড়ি গুলো, অল্প সময় বাদেই গাড়ি গুলো দৃষ্টির সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। তবুও গাড়ি গুলো খুব সুন্দর ঠেকছে আশিশের কাছে। রাস্তায় কোন রিক্সা নেই, ভি আই পি রোড তো।
হঠাৎ একটা গাড়ি থেমে গেল, আশিশের দৃষ্টি আটকে গেল সেখানে। অন্য গাড়ি গুলো পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। গাড়ি থেকে দুজন নেমে আসলো, হাঁটছেন তারা। হাত ধরে হাঁটছে। আশিশের মন টা আরও একটু খারাপ হয়ে গেল। আশিশ এখন ভাবছে শ্রেয়ার কথা। শ্রেয়া! শ্রেয়া হল সেই মেয়েটি যার এক ডাকে মধ্য রাতেও যে কোন জায়গায় উপস্থিত হয়ে যাবে আশিশ। ‘আচ্ছা এর আগে কত বন্ধু এসেছে কত বন্ধু গিয়েছে তাতে কিছুই হয় নি, তবে আজ কেন? তাহলে এটাকেই বলে ভালবাসা?’ – আনমনা হয়ে ভাবছে আশিশ। আবার রাস্তার দিকে তাকালো সে গাড়িটা নেই, চলে গিয়েছে। কোন এক বাসায় গান বাজছে, খুব অল্প আওয়াজ ভেসে আসছে। আশিশের মনোযোগ হঠাৎ সেই গানের দিকে পরিবর্তিত হল। যদিও অল্প আওয়াজ তবুও গানের কথা গুলো বোঝা যাচ্ছে। ‘আমার পরানো যাহা চায় তুমি তাই গো, তুমি তাই গো আমারো পরানো যাহা চায়’ । “আচ্ছা আমি তো ওর মতই মেয়েকে চেয়েছিলাম, তবে কেন এত ঝগড়া করতাম, ওকে কেন এত খেপাতাম। এজন্যেই রাগ করেছে হয়তো” – আশিশ ভাবছে। এবার নিজের মোবাইলে গানটা ছাড়লো সে। গান বাজছে –
//আমারও পরানো যাহা চায় তুমি তাই, তুমি তাই গো।
তোমা ছাড়া আর এ জগতে মোর কেহ নাই কিছু নাই গো… //
‘আসলেই তো ও ছাড়া আর কেউ নেই’ – নিজের অজান্তেই আশিশের মুখ দিয়ে কথা টা মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসলো। নিজের উপর হাসলো একচোট। কিন্তু হাঁসিটা যেন যন্ত্রণার তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিল।
গান টা শেষ হল, নতুন একটি গান শুরু হয়েছে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই। মিউজিক হচ্ছে, সফট মিউজিক। লিরিক শুরু হল kamagra pastillas
//পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়।
ওসেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা , সে কি ভোলা যায়……//
আশিশ ইজি চেয়ার টা দোলানো বন্ধ করে দিল। থমকে বসে আছে সে। আশিশের চোখের সামনে শ্রেয়ার সাথে কাটানো সময় গুলো ভেসে আসছিল। শ্রেয়া হাসছে, উচ্চ স্বরে হাসছে। আবার শ্রেয়া মুখ গোমরা করে বসে আছে। কিছুক্ষণ পরেই আবার বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা শ্রেয়া। ওর পাগলামি। ওর অভিমানী মুখ। ‘নাহ! আর পারছি না!’ বলেই মোবাইলের গানটি বন্ধ করে দিল। আবার ইজি চেয়ারে বসে দুলছে আশিশ।
মোবাইলে ভাইব্রেশন , ‘ম্যাসেজ? নাহ ফোন এসেছে। কে করেছে! শ্রেয়া নয়তো!’ ভাবতে ভাবতেই ফোনটা দেখলো আশিশ। নাহ শ্রেয়ার ফোন নয়, অচেনা একটা নাম্বার। ফোন ধরতে ইচ্ছে করছিল না আশিশের, তবুও কিছু একটা যেন তাকে টানছিল। ফোন টা রিসিভ করলো আশিশ zithromax azithromycin 250 mg
-হ্যলো আশিশ দা বলছেন?
=হ্যাঁ বলছি, কে বলছেন?
-দাদা আপনি কি এখন একটু স্কয়ার হসপিটালে আসতে পারবেন!
=সরি! কে বলছিলেন! আর হসপিটালেই বা যেতে বলছেন কেন?
-শ্রেয়া দি এক্সিডেন্ট করেছে, আমি নীলা, ওর একটা কাজিন…
=কি শ্রেয়ার এক্সিডেন্ট!আমি এখুনি আসছি, শ্রেয়ার……
কথা শেষ করতে পারলো না আশিশ, ফোন টা কেটে গেল।
ওদিকে নীলা রাগ হল নিজের উপরেই, ইম্পরট্যান্ট টাইমে মোবাইলের চার্জ শেষ! আর এদিকে আশিশের হাত থেকে মোবাইল পরে গেল, আশিশ এবার মোবাইল তুলেই আর দেরী না করেই চললো হাসপাতালের পথে…… ‘আচ্ছা শ্রেয়া কি ধরণের এক্সিডেন্ট করেছে! খুব মারাত্মক নয়তো! আচ্ছা ও বেঁচে আছে তো! নাহ ধুর কি সব ভাবছি এগুলো! এটা কি ফিল্ম নাকি এগুলো হবে কেন ঠিকই আছে সব’ ভাবতে ভাবতে পৌঁছে গেল হাসপাতালে। irbesartan hydrochlorothiazide 150 mg
শ্রেয়ার নাম্বার গতকাল রাত থেকেই বন্ধ, যেই নবার থেকে ফোন এসেছিল সেটাও বন্ধ। অগত্যা রিসিপশনিস্ট এর সাহায্য নিলো আশিশ। থার্ড ফ্লোর তিনশ বিশ নং রুম। থার্ড ফ্লোরে উঠেই একটা ওয়ার্ড বয়কে জিজ্ঞেস করলো তিনশ বিশ নং রুমের কথা। ওয়ার্ড বয় ডান দিকে হাত দেখিয়ে বলল -’ওদিকে’। আশিশ এগিয়ে যাচ্ছিল, হঠাৎ থমকে দাঁড়ালো, এ যে মুর্দা ঘর! ধীর পায়ে আশিশ এগিয়ে যাচ্ছে, কেউ যেন পায়ে ইট বেধে দিয়েছে। হঠাৎ সেই ওয়ার্ড বয়ের কণ্ঠ – ‘মামা কোথায় যাচ্ছেন! তিনশ বিশ তো পেছনে ফেলে এসেছেন’। আশিশ শান্তি পেল, সে এবার ঠিকমতই তিনশ বিশ নম্বর রুমের সামনে। রুমে নক করলো, অচেনা এক মেয়ে বলল – ‘আসুন দাদা, ভেতরে আসুন।’ ‘এই হয়তো সেই মেয়ে যে ফোন করেছিল, কি যেন নাম বলেছিল মনে পড়ছে না’ ভাবতে ভাবতে রুমের ভেতরে ঢুকলো আশিশ। ঢুকতেই শ্রেয়ার কণ্ঠ - thuoc viagra cho nam
-কিরে পাগলা কি খবর?
=ভাল তোর?
-ভাল থাকলে কেউ হাসপাতালে শুয়ে থাকে বলে তোর মনে হয়!
‘শ্রেয়া খুব স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছে ও হয়তো ম্যাসেজ দেখে নি তাই। তবুও ভাল ওকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া গেলেও ভাল।’ অন্য মনস্ক হয়ে কথা গুলো ভাবছিল আশিশ।
-কিরে কি ভাবছিল, কিছু বলছিস না কেন!
=হ্যাঁ কি যেন বলছিলি বল বল।
-কি যে ভাবিস তুইই জানিস!
=হাহাহা, তা তোর এ অবস্থা কেন? পা ভেঙ্গেছে কি করে! মাথায়ও দেখি ব্যান্ডেজ।
-চান্দু এই সব তোর দোষ!
=আমার দোষ মানে! doctorate of pharmacy online
-আপনি কি ম্যাসেজ দিয়েছিলেন খেয়াল আছে আপনার!
=আই এ্যম সরি।
-একশ বার সরি বল, কান ধরে উঠবস কর! কেন এমন করলি?
=আমি আবারও বলছি আই এ্যম সরি।
- হুম, এতদিনে তোর মনের ভেতর কথা শেষ পর্যন্ত বেরিয়েছে!
আশিশ এখন মাথা নিচু করে , একটা অপরাধ বোধ কাজ করছে ওর মধ্যে। শ্রেয়া বলে যেতে লাগলো-
=আমি যে খুশি হয়েছিলাম! মনেই ছিল না হিল পড়া, দিলাম জোরে এক লাফ। সেই হল, পা মচকে গেল আর পরে গিয়ে মাথাটা ফেটে গেল। আর মোবাইল! সে তো হাত থেকে একদম গ্রাউন্ড ফ্লোরে গিয়ে পড়েছে। টুকরো টুকরো হয়র গেছে। তুই কি ভেবেছিলি!
-কিছু না। তোর উত্তর কি?
- তুই আসলেই একটা গাধা…
আশিশ চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। একের পর এক গাড়ি চলে যাচ্ছে.. সোডিয়াম বাতির আলোতে গাড়ি গুলো খুব সুন্দর দেখাচ্ছে…
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
গল্প ভাল লাগলো । :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি:
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
পড়বার জন্য ধন্যবাদ
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
সমালোচনা করার মত কিছু পেলাম না। আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
^#(^ ^#(^ ^#(^
:দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি:
দুরন্ত জয় বলছেনঃ nolvadex and clomid prices
X( X( X( X( X( X(
চাতক বলছেনঃ
বৈশাখি ভাই ভাল বলেছেন। সুন্দর আর নিটোল একটি গল্প। ভাল লাগলো :-bd :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি:
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
পড়বার জন্য ধন্যবাদ……
তারিক লিংকন বলছেনঃ buy kamagra oral jelly paypal uk
doctus viagraশুরুর দিকে শব্দের গাঁথুনিগুলো কেন জানি খুব বেশী মেচিউরড মনে হল যদিও
“আশিশ এবার মোবাইল তুলেই আর দেরী না করেই চললো হাসপাতালের পথে……”
এই লাইনটা অবাস্তব অতিনাটকীয়তায় ভরা। অনেক ভাল হইছে জয়! আগের থেকে অনেক ব্যাটার!! :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি:
তোর জয় হবে একদিন জয়!! :-bd :-bd :-bd
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
সেটাই! আমাদের জয়ের হাত দিনকে দিন পেকেই যাচ্ছে।
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
can your doctor prescribe accutaneহোয়াট এ পাম!!! X( X( X(
তারিক লিংকন বলছেনঃ
এইটা কি পামরে? পাম ওয়েল? নাকি তাল?
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
জানি না তবে তেল সিওর zoloft birth defects 2013
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
পড়বার জন্য ধন্যবাদ লিংকন ভাই……
আসলে এটি ছিল একটি ফেসবুক স্টাটাসের জন্য লেখা অনুচ্ছেদ, এ থেকেই ভাবলাম যা একটা গল্পই লিখে ফেলি। পুরোটা মোবাইলে লিখেছি। viagra vs viagra plus
রাজু রণরাজ বলছেনঃ
গল্প বলার ভঙ্গিটা অনেক সাবলীল, সংলাপগুলোও প্রানবন্ত লেগেছে। অসাধারন। ♥
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ধন্যবাদ রাজুদা……
রুদ্ধ কণ্ঠস্বর বলছেনঃ
ভাল
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
দারুন লিখেছেন… :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd
একেলা পথের পথিক বলছেনঃ
মনে হচ্ছে এই জায়গায় খানিকটা এলোমেলো
!! আমার কাছে ভালোয় লেগেছে চালিয়ে যা ……