যদি কেউ কথা না কয়. . .
372
বার পঠিত prednisolone injection spcআমার কেন মানবতাবাদী হতেই হবে ?
প্রথমেই ধরে নেই আমি একজন প্রচলিত ধর্মে অবিশ্বাসী মানুষ। নাস্তিক। ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করি। আমার বেঁচে থাকতে, টিকে থাকতে, আমার অস্তিত্ব রক্ষার্থে কোনো কল্পিত ঈশ্বরের আমার প্রয়োজন নেই। এখন অধিকাংশ অবিশ্বাসীর ক্ষেত্রে যা হয়, ধর্মের কল্পিত ঐশ্বরিক অংশকে বাতিল করে দিয়ে বরং নৈতিক দিকগুলো ধারন করেন। যদিও ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষাগুলো ধর্ম থেকে আসে না, আসে মানুষের পারিপার্শ্বিক সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ থেকে। আমার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে তাই প্রশ্ন; আমার কেন নীতিবান হতেই হবে? আমার কেন মানবতাবাদী হতেই হবে? আমার কেন মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন হতেই হবে ?
ব্যাপারটার বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে তাই কিছু সংশ্লিষ্ট আলোচনার প্রয়োজন। একজন মানুষের নীতি নৈতিকতা নির্ধারণ হয় কয়েক্তি বিষয়ের যুগপৎ ক্রিয়ায়। প্রথমেই সংস্কৃতি। তারপর সামাজিক প্রথা। এবং ধর্ম। সংস্কৃতি – প্রথা – ধর্মের সমন্বয়ে গড়ে উঠে আইন। একই সাথে প্রতিষ্ঠিত হয় সামাজিক স্থিতিশীলতা।
আপনি আমি চাইলেই একটি গোষ্ঠীর সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে পারবো না। সংস্কৃতি তৈরি হয় কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি থেকে। যেমন বাংলাদেশের সংস্কৃতি হাজার বছর ধরে ক্রমে বিকশিত হতে হতে আজ এই অবস্থানে এসেছে। আজকাল যেমন কথার মধ্যে কিছু ইংরেজি শব্দ ব্যাবহার করার চল শুরু হয়েছে। এটা সংস্কৃতির সংস্করণ ধাপ। প্রতিটি সংস্কৃতি সময়ের সাথে সাথে নিজেকে পরিবর্তন করে, update করে। বাংলা ভাষায় বিদেশী শব্দের ব্যাবহার করার এই নব্য রীতিটাও তেমনই একটা ক্রান্তিকাল। এইসব শব্দ যদি এই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে পারে, যদি টিকে যায়, তবে তা বাঙালী সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত হবে। অন্যথায় বাতিল বলে গণ্য হবে। একবার সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে তা আর বিদেশী সংস্কৃতি থাকে না। হয়ে যায় নিজস্ব সংস্কৃতি।
বিশ্বায়ন এবং ক্ষমতায়ন সংস্কৃতির সংস্করায়নে প্রভাবকের ভূমিকা রাখে। যেমন ইংরেজি সংস্কৃতি একটি আগ্রাসী এবং বিধ্বংসী সংস্কৃতি। আমি বলি সর্বভুক সংস্কৃতি। পৃথিবীর এমন কোন ভাষা নাই যেখানে কোনো ইংরেজি শব্দ প্রবেশ করে নাই। ঐ নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষ যখন ইংরেজি বা অনুরূপ সংস্কৃতির ভাষা বা আচার আচরণ অথবা পোশাক পরিচ্ছদে কিংবা সাহিত্য শিল্পে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তখন তারা নিজস্ব সংস্কৃতিটাকে সেভাবে পরিবর্তন করে নেয়। যেমন এই মুহূর্তে আমি বলতে চাচ্ছি “তারা নিজস্ব সংস্কৃতিকে modify করে নেয়” অথবা “update করে নেয়” কিন্তু এর সাথে সাযুজ্যপূর্ণ বাংলা শব্দ পাচ্ছি না।
যা বলছিলাম। সংস্কৃতি নিজেকে পরিবর্তন করে নেয়। এবং এটা ঐ সংস্কৃতির মানুষেরা মেনে নেয়। আগ্রাসী সংস্কৃতি অন্য সংস্কৃতিগুলোকে গ্রাস করে অথবা পাল্টে দেয়। মানুষ নিজের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ থেকে সংস্কৃতিকে ধারন করে। অথবা বাতিল করে দেয়। এই গ্রহন বা বর্জন প্রক্রিয়াটি ঘটে সামস্টিক প্রক্রিয়ায়। ব্যক্তিগতভাবে না। তাই সংস্কৃতির বিভিন্নতা যেমন দৃষ্টিগ্রাহ্য, সংস্কৃতির সাযুজ্যতা দৃষ্টিকটু নয়।
সংস্কৃতির বিভিন্ন প্রয়োগমূলক দিক থেকে সৃষ্টি হয় সামাজিক প্রথা। এই প্রথাগুলো যদিও মানুষ সৃষ্টি করে, এর বিচ্যুতি পারতপক্ষে মানুষ ঘটাতে চায় না। কারন এই সামাজিক প্রথাগুলো সামাজিক স্থিতিশীলতার অবতারনা করে। সামাজিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে মানুষের স্বাধীনতা অনেকাংশে বিঘ্নিত করে হলেও সামাজিক প্রথা টিকিয়ে রাখার পক্ষে থাকে মানুষ। সংস্কৃতি যেমন আগ্রাসী সংস্কৃতির দ্বারা আক্রান্ত হয়, প্রথা তেমনি উদার প্রথার দ্বারা প্রশমিত হয়। তবে আশংকার কথা হলো আগ্রাসী সংস্কৃতি এবং উদারপন্থী প্রথা একই সাথে বিদ্যমান থাকে বলেই সমাজে একটা আমুল পরিবর্তন হয়। এবং এই সময়ে একটা চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। এর ফলাফল হতে পারে ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক।
যেমন ভারত এখন পশ্চিমা আগ্রাসী সংস্কৃতি দ্বারা প্রবলভাবে আক্রান্ত। আবার একই সাথে উদারপন্থী সামাজিক প্রথার দ্বারাও আকৃষ্ট। এতে একদিকে ভারত ক্রমেই সেক্যুলার রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে অন্যদিকে বেড়ে চলেছে ধর্ষণের মতো ভয়াবহ ব্যাপার। প্রথা এবং সংস্কৃতির দ্বন্দ্বে যেটাকে ভারতের মানুষ অগ্রাধিকার দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে, সেদিকেই রচিত হবে ভারতের ভবিষ্যৎ।
তৃতীয়ত এবং সর্বশেষ যে বিষয়টি আসে তা হলো ধর্ম। ধর্ম যদিও সংস্কৃতি এবং প্রথার একটি সংকলিত রূপ ছাড়া কিছুই না, বর্তমান ধর্মগুলোর বিধ্বংসী আগ্রাসন ভাইরাসের মতো, প্যারাসাইটের মতো ছড়িয়ে পরছে, আগ্রাসন চালাচ্ছে। এটা যে কেবল আক্ষরিক ক্ষমতা প্রদর্শন এবং যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে তা নয়। আদর্শগত দিক থেকেও সামাজিক প্রথা এবং সংস্কৃতির মিলনে সৃষ্টি ধর্ম অন্যান্য সংস্কৃতি এবং সামাজিক প্রথাকে ভয়ানকভাবে বদলে দিচ্ছে। স্থান কাল পাত্র ভেদে ধর্ম নিজেও বদলে যাচ্ছে। যেমন বাংলাদেশের ইসলাম ধর্ম আর ফিলিস্তিনের ইসলাম ধর্ম এক নয়। নিজ নিজ সংস্কৃতি এবং প্রথার প্রভাবে এরা উভয়ই এদের অরিজিন আরব ইসলাম থেকে বিচ্যুত। এবং এই কারনেই আফগান অথবা ইরানি পদ্ধতিতে ইসলামি জিহাদ বাংলাদেশে সম্ভব না। আবার বাংলাদেশের ‘স্পিরিচুয়াল ইসলাম’ লেবানন বা সিরিয়ার মতো জায়গায় রীতিমতো ব্লাসফেমী। lasix tabletten
মানবিক হওয়া, মানবিক গুণাবলী অর্জন করা এবং নৈতিকতার মানদণ্ড নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে মানুষ তার সংস্কৃতি, প্রথা এবং ধর্মের উপর সমানভাবে নির্ভরশীল। যেমন, ‘সদা সত্য কথা বলা’ এক ধরণের নৈতিকতা যা সকল সংস্কৃতিতে, প্রথায় এবং ধর্মে স্বীকৃত। এখন আমি যদি প্রশ্ন তুলি, ‘আমার কেন সত্য বলতেই হবে?’ – আর সকলে যে পাগল ভাববে তা বলে দিতেই পারি। online pharmacy in perth australia
অংকুর বলছেনঃ
কথাটা ঠিক ।
ঠিক কথা বলেছেন । ইসলামে যা কিছু আছে বেশিরভাগ মানুষ তা না বুঝে উল্টোটা বুঝে । এরকম সুন্দর একটি লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । লেখাটি প্রিয়তে নিলাম
ইলোসিয়া মৌনিন বলছেনঃ
:নক্ষত্রলোকের দেশে যাবে?: :নক্ষত্রলোকের দেশে যাবে?: :-bd :-bd :-bd
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
যৌক্তিক বলেছেন ।
আসলে কম্পিউটার সফটওয়্যার এর মত ধর্মও ক্রমশ আপডেট হচ্ছে! বিভিন্ন রীতি নীতি আচার অনুষ্ঠানের সংযোজন-বিয়োজন ঘটতেই আছে । আর এই ধারাবাহিকতা কেয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে…
আজ যারা প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাসী নয় তারাই হয়তো একসময় একজোট হয়ে নতুন এবং বিজ্ঞান সম্মত আধুনিক এক ধর্মের সৃষ্টি করবে! আবার সেখানেও ভাঙ্গন ধরবে…. আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক হবে… চলবে
তারিক লিংকন বলছেনঃ
— কারণ মানব সন্তান জন্মগতভাবে সৎ এবং মানবিক। উদাহরণ দিলেই বুঝতে পারবেন। কোন মানুব শিশু প্রথমে গরু জবাই করাও সহ্য করতে পারে না এমন কি ঘোষ খাওয়াসহ অনেক ছোট ছোট অনৈতিক কাজও করতে পারে না। পরে সমাজের মূল্যবোধ এবং নানান বিষয়ের সাথে খাপ খাওয়াইতে খাওয়াইতে মানুষ নষ্ট হয়ে যায়।
আরেকটা কারণে মানুষ মানবিক এবং মানবতাবাদী হবে। লক্ষ বছর আগে যখন মানুষ সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করত না এমন নৃশংস ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিল বা অভ্যস্ত ছিল তখন মানুষ নিজেই নিজের অস্তিত্বের সংকটে ছিল। পরে মানুষ মানবতাবাদী হয়েছে অর্থাৎ নিজের জন্য অপরের অধিকার নিশ্চিত করতে শিখেছে।
এই মানবিক অনুবেদনই মানব সন্তানের একটা জীনগত মানবীয় গুণাবলী এখন। তাই মানব সন্তানের সহজাত বৈশিষ্ট মানবিকতা। aborto cytotec 9 semanas
এই বিষয়ে আপনার অবতারিত বিষয়ের সাথে অনেকাংশেই একমত। কিছু যুক্ত করব, সারভাইবাল অব দ্যা ফিটেস্ট কেবল প্রাণী জগতের জন্যে না এমন এবস্ট্রাক্ট বিষয়ের জন্যও প্রযোজ্য। আধুনিকতা ডিঙ্গিয়ে যেমন উত্তরাধুনিকতা এবং পুরানো হতে চলেছে ঠিক একইভাবে সকল সংস্কৃতিও নিজের প্রয়োজনে অর্থাৎ টিকে থাকার প্রয়োজনে গ্লোবাল কালচারের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াইতে বাধ্য… 2nd course of accutane side effects
— এক কথায় প্রথমে বলি নৈতিকতা এবং নৈতিকতা বোধের জন্ম আপনারবর্ণীত সকল কিছুরই পূর্বে। কিন্তু কেন এখন আমরা উল্টাটা মনে করি। একটা নিজস্ব বিশ্লেষণ বলিঃ
মানুষ যখন উৎসব, পালা-পার্বণ, নববর্ষ কিংবা নানান বিয়ে বা অন্যান্য উৎসবের রীতিতে কখন অভ্যস্ত হয়? যখন সে এমন উৎসবকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক বা প্রথাগতরূপ দেয়ার প্রয়োজনবোধ করল তখন থেকে। যেমন প্রথমে আমরা মনে করলাম ভার্সিটি লাইফের শেষ দিন একটা কনসার্ট করে র্যাগ প্রোগ্রাম করব পরে ৪/৫ ব্যাচের অনুষ্ঠানিকতার হাতধরে একদিন এইটা প্রথায় পরিণত হয় আসলে এইটা একটা উপলক্ষ্য মাত্র। অনুরূপে মানুষ যখন তার নৈতিকতাবোধ এবং নৈতিকতাকে আনুষ্ঠানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকরূপ দিতে চাই তখনই কেবল প্রথা এবং ধর্মীয় রীতিনীতির উদ্ভব ঘটে। pills like viagra in stores
অর্থাৎ এইটা বুঝলে চলবে না যে নৈতিকতাবোধ ধর্মের সম্পত্তি বরং ধর্মসকল নৈতিকতাবোধ এবং মানবীয় নৈতিকতার সম্পত্তি। যখন মানুষ বা মানবজাতি যথেষ্ট শিক্ষা এবং জ্ঞানের পর্যায় অতিক্রম করবে করবে তখনই কেবল এইসব মানবিকতা এবং নৈতিকতাবোধের জন্য কোন যথা-তথা-প্রথার প্রয়োজন পরবে না আর তখনই ধর্মসকল বিকল হয়ে পরবে।
ধন্যাবাদ অরফিয়াস চমৎকার একটা আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%-
অর্ফিয়াস বলছেনঃ
দুঃখজনক ভাবে, আপনার পর্যালোচনায় ভুল আছে।
মানুষ কখোনোই জন্মগত ভাবে মানবিক না । আর সব প্রাণীর মতোই পাশবিক
মানুষের আদিমতম উদাহরণ গুলো স্মরণ করলেই আসলে বুঝতে পারবেন। হিংস্রতা বা পাশবিকতার স্বভাবসুলভ বহিঃপ্রকাশ মানুষের চিরন্তন। আমরাই বরং নৈতিকতা নামক একটা আরোপিত ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছি। accutane price in lebanon
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ free sample of generic viagra
:-bd :-bd :-bd :-bd :-bd
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
পড়লাম কিন্তু প্রথমে যে প্রশ্ন গুলো করছেন তার উত্তর ঠিক ভাবে খুজে পেলাম না।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
আবার না হয় পড়ে দেখেন… :-”