“Stealth Freedom” ইরানী নারীদের লুকিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ
514
বার পঠিতকয়েকদিন আগে ফেবু ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে একটি পেজের দিকে নজর পরল । নামটি আরাবিক । যেখান থেকে পেজটি শেয়া করা হয়েছিল সেখানে লেখা হয়েছিল পেজটি সম্পর্কে ।
আমরা সবাই ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কঠোর পর্দা প্রথার কথা জানি । ৭ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে সব নারীদের বোরকার মাঝে বন্দি জীবন কাটাতে হয় । হিজাব ছাড়া নিজেকে জনসম্মুখে উন্মক্ত করলে আপনাকে ৭০ টি বেত্রাঘাত আর ২ মাসের জেল হবে । কিন্তু কেও কেও এই ঝুকি টি নিচ্ছেন ।
যদিও ইরানে ফেসবুক নিষিদ্ধ, কিন্তু প্রক্সি সার্ভার আর ভিপিএন ব্যাবহারের মাধ্যমে সেখান থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব । ফেসবুকে ইরানি নারীরা হিজাব না পরে বরঞ্চ সেটি গলায় জড়িয়ে বা মাথার উপর উরিয়ে তার ছবি তুলে আপলোড করছে ।
মে মাসের ২ তারিখে ইরানীয়ান সাংবাদিক Masih Alinejad এর একটি ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে এই আন্দোলনের সুচনা হয় । টুইটারে সেটি এই হ্যাশতট্যাগের মাধ্যমে #آزادییواشکی (: #stealthfreedom) ছড়িয়ে পড়ে । propranolol clorhidrato 10 mg para que sirve

এই ছবির মাধ্যমেই আন্দোলনের সূত্রপাত ।
এই আন্দোলনের সুচনাকারী আলিনেজাদ যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত অবস্থায় বাস করেন । তিনি বলেন যে “আমি নারীদের কে তাদের ব্যাক্তিগত মুহূর্তের সেলফি তুলে পাঠাতে বলেছিলাম । আমি যখন ইরানে ছিলাম, আমি আমার স্কার্ফ খুলে ফেলতাম যখন আমি একা থাকতাম এবং চিন্তাকরতাম আমার মতন আর কত ইরানীয়ান নারী একই কাজটি করত ।”
হিজাব নিয়ে ইরানীয়ান মহিলারা এর আগেও সোশাল মিডিয়াতে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন । কিন্তু এটাই এজাবতকালে সবচেয়ে জোরাল আন্দোলন ।
এই আন্দোলনের শুরু থেকে আলিনেজাদ ইরানীয়ান সরকার থেকে নানা ধরনের চাপের সম্মুখীন হয়ে আসছেন । ইরানীয়ান সংবাদ মাধ্যম তার এই কাজের কট্টর সমালোচনা করে । তিনি আরও বলেন যে এই কাজে তার কোন রাজনৈতিক উচ্চভিলাষ নেই । “ইরানের কোন রাজনৈতিক দল এই হিজাব আইন নিয়ে কোন পরিবর্তনের চিন্তা করে নাই । দুঃখজনক ভাবে ইরানীয়ান মহিলারা সেইসব মুক্তমনা রাজনীতিবিদদের ভোট দিয়েছিল যারা এই আইনের সংস্কারের কথা বলেছিল, কিন্তু তেমন কোন সংস্কার ঘটে নাই ।”
পেজ লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/StealthyFreedom
সুত্রঃ ইন্টারনেট
অংকুর বলছেনঃ
নারীদের এই বিপ্লবের কথা পড়ে ভালো লাগল । এই বিপ্লব ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি না , ধর্মীয় গোড়ামির প্রতি , স্বেচ্ছাচারিতার প্রতি । :-bd :-bd :-bd funny viagra stories
ত্রিভুজ বলছেনঃ
ধন্যবাদ । :গোলাপ নিন:
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
কেবলমাত্র বোরকা বা পর্দা বিরুধী আন্দোলন কখনো নারীদের প্রকৃত মুক্তি এনে দিতে পারবে না ।
যেসব ভিনদেশী নারী বিপ্লবীরা বিভিন্নভাবে উস্কানি দিয়ে পর্দাপ্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মুসলিম দেশের নারীদের উদ্ভুদ্ধ করছেন আমি মনে করি, নগ্নতাকে প্রকাশ করে নারীদেরকে হেয় করা আর ধর্মবিদ্বেষীতা ছাড়া তাদের আর কোন ভাল উদ্দেশ্য নেই ।
ত্রিভুজ বলছেনঃ
এই আন্দোলন কিভাবে নগ্নতাকে প্রকাশ করল ? আমি তা বুঝতে পারলাম না ।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
clomid trying to get pregnantআপনি শিরোনামেই বলেছেন,
লুকিয়ে কিছু করে কি স্বাধীনতা পাওয়া যায়?
বোরকা কিংবা পর্দাহীনতাই কি নারীর মুক্তি? বোরকা, হিজাব কিংবা পর্দানশীন থেকেও পুরুষের মত সামাজিক, রাষ্ট্রীয় কাজে অংশ নেয়া অসম্ভব?
ত্রিভুজ বলছেনঃ
হয়তোবা সম্ভব । কিন্তু তাই বলে একজন নারীর উপর “বোরকা/হিজাব পরতেই হবে” এই ধরনের আইন কেন চাপিয়ে দেয়া হয় ? যার ইচ্ছা পড়বে, যার ইচ্ছা পড়বে না । তাহলেই তো সবাই খুশি থাকে ।
আর লুকিয়ে স্বাধীনতায় নগ্নতা প্রকাশ করে । হাসকর আপনার যুক্তি ! এই আন্দোলনে বলা হয়েছে যাদের হিজাব পরতে ভালো লাগে না জেন তারা হিজাব না পড়ে ছবি সোশাল মিডিয়াতে আপলোড করে । কই, কাপড় খুলে ফেলতে তো বলা হয় নি ?
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
ভাইজান, কথায় আছে… বসতে দিলে শুতেও দিতে হয় । এইবার বলছে হিজাব খুলে ফটু দাও, পরের বার বলবে সবকিছু খুলে ব্রা আর পেন্টি পরে পোজ দাও, এরপর বলবে পুনম পান্ডে কিংবা সানী লিওনের মত ছবি তুলে পোষ্ট দাও, এরপর বলবে বয়ফ্রেন্ডকে সাথে নিয়ে একটা ভিডু আপলোড দাও….
সবশেষে সবগুলো প্রমাণ একত্র করে সামাজিক সাইটে দিয়ে বলবে, ইরানী মুসলিম নারীরা তাদের ধর্মকে প্রত্যাখান করে অত্যাধুনিক হতে চায়! তাদেরকে অত্যাধুনিক হতে সে দেশের সরকার বাধা দিচ্ছে!
এতে কি তাদের কি লাভ হল? ঐ নারীর জীবন আরো বিপন্ন হল এবং ইসলাম ধর্মকে তুলোধোনা করার সুযোগ সৃষ্টি হল ।
আপনি হয়তো মনে করতে পারেন, আমি বেশি বুঝে ফেলেছি? এমন মনে করলে করতে পারেন । আমি পর্দাহীনতাকে কখনো স্বাধীনতা বলিনি বলবো না । হ্যা, ধর্মীয় গোঢ়ামীর শৃঙ্খল থেকে নারীর মুক্তির প্রয়োজন এবং আমিও মনে প্রাণে সেটা চাই । তবে এভাবে নারীর মর্যাদা হেয় করে নয়, নারী সামাজিক জীবনকে বিপন্ন করে নয়, ব্ল্যাক মেইলিং করে নয় ।
ও হ্যা, নারী মুক্তির অগ্রদুত বেগম রোকেয়া কিন্তু কখনো নারীদের বোরকা খুলে পোজ দিতে বলেননি!
ধন্যবাদ ।
ত্রিভুজ বলছেনঃ otc viagra uk
pharmacy tech practice test online freeতার মানে আপনি কি কাওকে জোর করে হিজাব পরানোকে সমর্থন করেন ? আমি বিশ্বাস করই যার ইছা হিজাব পড়বে যার ইছা সে পড়বে না, এতে সমস্যার কি ?
তারিক লিংকন বলছেনঃ
শাহিন ভাই। মানুষ যেমন জেলখানায় থাকাতে বন্দিত্ব মনে করে আমার কাছে পর্দাপ্রথা একই ধরণের একটা বন্দিত্ব। আপনি ৫/৭ দিন নিজেকে এমন বরকার মাঝে বন্ধি করে রাখুন না দেখবেন কেমন লাগবে?
অ্যাঁরে শাহিন ভাই মেয়েদের ক্যান বোরকা বা হিজাব করতে হবে?
আপনার আমার মত পুরুষ থেকে রক্ষা করার জন্য?
চিড়িয়াখানার দুইটা কনসেপ্ট আছে এক খানে বন্য পশুরা বন্ধী থাকে মানুষ দেখতে যায় আরেক প্রকারে পশু একটা নির্দিষ্ট স্থানে বন্ধী থাকে সেখানে মানুষ নির্দিষ্ট পথে তাঁদের দেখতে থাকে। একটা প্রচলিত ধারার চিরিয়াখানা অপরটি সাফারি পার্ক।
এখন বলেন পুরুষ থেকে নারীদের রক্ষার জন্য নারীদের হিজাব-পর্দা পড়া উচিৎ নাকি পুরুষদের নির্দিষ্ট স্থানে বন্ধী রাখা উচিৎ? আসলে যতদিন পুরুষরূপী রাজদণ্ডের অধিকারী হায়েনাদের একটা সাফারি পার্কে না পাঠানো যাচ্ছে ততদিন মানব সমাজ মুক্ত হচ্ছে না…
আপনার নিচের আলোচনায় আমার মন্তব্যের অপশন নাই তাই এইখানে করলাম!! ধন্যবাদ, আশাকরি উত্তর দিয়ে যাবেন…
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
লিংকন ভাই, আপনার ব্যাখা হয়তো যৌক্তিক কিন্তু বাস্তবের সাথে অমিল! আমি নিজের মা-বোনকে যেমন সুরক্ষিত দেখতে চাই তেমনি অন্যদের বেলায়ও অনুরুপ আশা করি ।
আমি আগের বক্তব্যেও বলেছি, ধর্মের গোঁড়ামি থেকে নারীদের মুক্তি প্রয়োজন তবে পর্দাহীনভাবে নয় । আমি মনে করি পর্দাহীনতা এক ধরণের অশ্লীলতা । আপনি বোটানিকাল গার্ডেনে যান, সংসদ ভবন এলাকায় যান, দেখবেন আধুনিকতা আর মুক্তির নামে সেখানে এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে যেখানে নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে বেড়ানোটাই কঠিন ।
আর আপনি বলেছেন বোরকার কথা! বোরকা তো ইসলাম ধর্মেই পর্দার জন্য স্বীকৃত কোন পোশাক নয় ।আল-কোরানে বলা হয়েছে হিজাবের কথা ।বোরকা আর হিজাবের মধ্যে ব্যপক পার্থক্য আছে । বোরকায় সবকিছু ঢাকা থাকলেও হিজাবে হাতের কব্জি, মুখ ও পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত খোলা রাখার বিধান আছে ।
এই পোষ্টে মূলত বোরকা খুলে সামাজিক সাইটে ফটোসেশনের মাধ্যমে ইরানি নারীদের মুক্তির চেষ্টাকে হাইলাইট করা হয়েছে । আমার বক্তব্যও পোষ্টের বিষয়বস্তু অনুসারে প্রাধান্য পেয়েছে ।
লিংকন ভাই, ইরানি কঠোর ইসলামতান্ত্রিক দেশের নারীদের কথা কি আলোচনা করবেন? আপনি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক দেশ ভারত-বাংলাদেশের দিকে তাকান । আইনিভাবে বোরকা প্রথাহীন এসব দেশের নারীরা কি খুব সুখে আছে? এরা কি মুক্তি পেয়েছে? এরা কি বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে না? ইউরোপে কি নারীমুক্তি শতভাগ ঘটেছে? ইউরোপ-আমেরিকায় কি নারী নির্যাতন বন্ধ? মোটেও না! বরং তুলনামূলক বিচারে ইরানে নারী নির্যাতনের অভিযোগ আরো কম! ধর্ষনের অভিযোগও কম!
আসলে বোরকা বা পর্দা নয়, নারী মুক্তির মূল প্রতিবন্ধক হচ্ছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা । আমরা বোরকা বা পর্দার বিরুধীতা না করে নারীদের বিরুদ্ধে আরোপিত ধর্মীয় ও সামাজিক অন্যান্য রীতিনীতির বিরুধীতা করতে পারি । যেমন : হিল্লা বিয়ে, একতরফা তালাক, যৌতুক, স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর সাদা কাপড় পরনের বিধান, বিধবা হলে অলঙকার ত্যাগের বিধান, সিধুর-সাতপাকের বিধান ইত্যাদি ইত্যাদি।
পর্দা নারীদের জন্য একপ্রকার সৌন্দর্য্য, এই সৌন্দর্য্যের বিরুধীতা আমি করতে পারি না ।
ধন্যবাদ । ভাল থাকুন ।
চাতক বলছেনঃ
চমৎকার একটা তথ্য দিলেন ভাই তবে আরও বিস্তারিত হলে ভাল হত।
নারীর মুক্তি না হলে সভ্যতা এবং মানুষের মুক্তি সম্ভব না। :)>- :)>- :)>-
ভাল লিখেছেন %%- %%- %%- accutane prices
ত্রিভুজ বলছেনঃ
ধন্যবাদ । :ফুর্তি:
তাওহিদ মিলটন বলছেনঃ
তোরা দেখ, দেখ, দেখরে চাহিয়া
দুনিয়া থেকে হিজাবপ্রথা যাচ্ছে উড়িয়া…
চাতক বলছেনঃ
:হা হা হো হো হা হা: :হা হা হো হো হা হা: :হা হা হো হো হা হা: :হা হা হো হো হা হা: :হা হা হো হো হা হা: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি:
ত্রিভুজ বলছেনঃ buy viagra blue pill
:এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম:
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
হেব্বী পাঙ্খা হইছে মিলটন ভাই! ventolin spray precio mexico
শেহজাদ আমান বলছেনঃ can you die if you take too much metformin
ইরান কট্টর ইসলামী দেশ থেকে একটি সেকুল্যার দেশে পরিণত হোক, এই প্রত্যাশা করি। pregnant 4th cycle clomid
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
ধর্মীয় গোড়ামি থেকে একদিন বেরিয়ে এসে নারীদের স্বাধীন জীবন দেবে ইরান রাষ্ট্রটি এ আশাই করি।