কষ্ট ত্বত্ত

কষ্টগুলো হালকা পাতলা
অবহেলার একটু বাতাস বইলেই এসে গায়ে লাগে।
কষ্টগুলো ধূলিকনার মত ক্ষুদ্র
হঠাৎ করেই এসে পড়ে, চোখ খচখচ করে।
কষ্টগুলো সূক্ষ্ম শব্দের মত
শব্দোত্তর তরঙ্গ সৃষ্টি করে মাথায় যন্ত্রনা ধরায়।
কষ্টেরা সোডিয়ামের মত
চোখ বেয়ে পড়া একবিন্দু পানির ছোয়ায় ফুস করে জ্বলে উঠে।
কষ্ট জমে জমে বহু পুরনো ফসিল হয়
কষ্টের বিশাল বিশাল গাছপাথর হয়।
অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ওজন বাড়ে, ভার বাড়ে।
বুকের বাম পাশে তীব্র ব্যাথা করে,
চেহারা নীলবর্ণ ধারন করে।
কষ্টের বিষবাষ্প জমতে জমতে
একসময় এসিড রেইন হয়।
নির্মল পরিবেশ ঝলসে যায়, কুকড়ে যায়।
কষ্ট জমে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে
চোখে জ্বালা ধরায়, নিশ্বাসে কষ্ট হয়।
তাই কষ্ট জমিয়ে রাখতে হয় না;
কষ্টকে কখনো লুকিয়ে রাখতে হয় না
কষ্ট লাল রংয়ের হাইড্রোজেন বেলুনে করে নীল আকাশে উড়িয়ে দিতে হয়।
নীল আকাশের বিশালতায়
কষ্ট হাইড্রোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে 
নিষ্ক্রয় হয়ে পর্যায় সারনীর ১১৩ তম মৌল হয়।
আর সেই নতুন মৌল আবিস্কারের নেশায় আমরা জমানো কষ্ট উড়াই।
লাল রঙের বেলুনে করে দূর আকাশে উড়ে যায় আমাদের গাঢ় নীল কষ্ট!!