আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি; আমি রিচার্ড ফাইনম্যানের কথা বলছি…
1263
বার পঠিতপৃথিবীর ইতিহাসে যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছেন অনেক জ্ঞান তাপস। তাঁরা মেধাশক্তির ছড়ি ঘুরিয়ে পৃথিবীর সভ্যতার বিচ্ছুরন ঘটিয়েছেন সারা মহাবিশ্বে। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই মানুষ আজ হয়ে উঠেছে এই মহাবিশ্বের সবচেয়ে আলোচিতএবং স্বঘোষিত সম্রাট। যুগে যুগে মানুষের এই সাহসের সঞ্চরন ঘটিয়েছেন মহামনীষীরা। তাঁদের মাঝেই একজন স্যার রিচার্ড ফাইনম্যান। বিংশ শতাব্দীর পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম পুরোধা, আইনস্টাইনের যোগ্য উত্তরসূরি এবংনিঃসন্দেহে এক মহামানব। নানারূপ কুসংস্কারকে পাশ কাটিয়ে যারা শৈশব থেকেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন আধুনিক বিজ্ঞানের প্রতিভারূপে তাঁদের মাঝে রিচার্ড ফাইনম্যানের নাম চলে আসে সর্বাগ্রে। পান্ডুলিপির শুরুতেই আমি আমার আলোচ্য বিষয়গুলো বর্ণনার প্রয়োজনে প্রারম্ভিকার শ্রাদ্ধ করছি এখানেই।
আজ স্যার রিচার্ড ফাইনম্যানের জন্মদিনঃ১৯১৮সালের ১১ মে নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ডায়নামিক পদার্থবিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান। তিনি পড়াশোনা করেছিলেন ফার রকাওয়ে হাইস্কুলে। হাই স্কুলে তাঁর আইকিউ ছিলো ১২৫।তিনিমাত্র ১৫ বছর বয়সেই অর্জন করেছিলেন ত্রিকোনমিতি, বীজগণিত, অসীম সিরিজ, বিশ্লেষনী জ্যামিতি, ডিফারেনশিয়াল এবং ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাস। এম-আই-টিথেকে বিএসসি ডিগ্রি পান ১৯৩৯ সালে। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে পরামর্শকজন হুইলারের তত্ত্বাবধানে তিনি পিএইচডি লাভ করেন ১৯৪২ সালে। কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন ১৯৪৫ থেকে ১৯৫০পর্যন্ত। তারপর ১৯৫০ থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ক্যালটেকে অধ্যাপনা করেছেন। কোয়ান্টাম ইলেকট্রো-ডায়নামিক্ )QED) এর অন্যতম জনক তিনি। ১৯৬৫সালে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন যে কাজের জন্য – মাত্র তেইশ বছর বয়সেই সেকাজের সূত্রপাত। পৃথিবীর প্রথম পারমাণবিক প্রকল্প – ম্যানহাটান প্রজেক্টের হিউম্যান-কম্পিউটার হিসেবে কাজ করেছেন ফাইনম্যান যে ন্যানোটেকনোলোজি এখন ওষুধ থেকে শুরু করে জীবনের হাজারো ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ সেই ন্যানো-টেকনোলজির প্রাথমিক ধারণার উৎপত্তি ফাইনম্যানেরহাতে। মৌলিক কণার কার্যকলাপ বোঝার জন্য ফাইনম্যান - ডায়াগ্রাম সবচেয়েকার্যকরী পদ্ধতি।
ব্যক্তিগত জীবনে ফাইনম্যানঃপিএইচডিডিগ্রী নেয়ার সময়ই ফাইনম্যান বিয়ে করেছিলেন আরলিন গ্রিনবামকে। আরলিন টিউবারকুলেসিস রোগাক্রান্ত ছিলেন। ১৯৪৫ সালে মারাগেলেন আরলিন। ফাইনম্যান প্রচন্ড ভালোবাসতেন তাঁর স্ত্রীকে। তিনি সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি স্ত্রী বিয়োগ। মৃত্যুর দুইবছর পর আরলিনকে একটি চিঠি লিখেছিলেন ফাইনম্যান। পোস্টের প্রাসঙ্গিকতায় আমি সেই চিঠির বঙ্গানুবাদ উল্লেখ করছি।
অক্টোবর ১৭, ১৯৪৬
প্রিয় আরলিন,
খুব ভালোবাসি তোমায়। জানি,এই বাক্যটি শুনতে তোমার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু বাক্যটি লিখার পিছনে শুধু তোমার ভালোলাগাই একমাত্র কারন নয়।আমি লিখি,কারন প্রতিবার উচ্চারনে আমার হৃদয় এক অনিন্দ্যসুন্দর উষ্ণতায় ভরে উঠে।
অনেক সময় গড়িয়েছে যখন আমি তোমায় সর্বশেষ লিখেছি। হ্যাঁ! তা প্রায় দুইবছর। কিন্তু আমি জানি তুমি আমায় ক্ষমা করবে,কারন তুমি জানো আমি কতটা বাস্তবমুখী। আমি ভেবেছিলাম, এভাবে তোমায় লিখার আর কোনো পার্থিব অর্থ হয়না।
কিন্তু প্রিয়তমা, ভুল সবই ভুল। এখনই সময় সেটা করার যেটা আমি এতদিন করিনি নিজের অবহেলায়, এবং আমি সবসময়ই এমন করে এসেছি তুমি সেটা জানো। কিন্তু এখন তোমাকে খুব করে বলবো,ভালোবাসি তোমায়। ভালোবাসতে চাই তোমায়। আমি ভালোবাসবো তোমায়।
আমি এখনো ঠিক বুঝতে পারছিনা আমার মৃত স্ত্রীকে এত করে ভালোবাসা আসলেই কোনো অর্থবোধক বিষয় কিনা। কিন্তু আমি এখনো তোমায় ভরিয়ে দিতে চাই ভালো লাগার উষ্ণতায়। আমি চাই,তুমি আমায় খুব করে ভালোবাসো,আমায় অনুভব কর। আমার ব্যক্তিজীবনের সমস্যা গুলো নিয়ে তোমার সাথে আলোচনা করতে চাই আমি। আমার ক্ষুদ্র কিছু প্রজেক্টে আমি তোমার সাহায্য চাই। আমি এই মুহুর্তের আগপর্যন্ত কখনো ভাবিনি যে,আমরা সম্মিলিত ভাবেই এটা করতে পারি যেটা আমাদের করা উচিত ছিলো। আমরা একসাথে কাপড় বানানো শিখেছিলাম,এমনকি চাইনিজও! অথবা একটা মুভি প্রজেক্টর! আমি কি এখন কিছুই করতে পারিনা? না! আমি বড় নিঃসঙ্গ। তুমি ছিলে আমাদের সকল ওয়াইল্ড এডভেঞ্চারের “আইডিয়া ওমেন”। যখন তুমি অসুস্থ ছিলে তখন তুমি এই ভেবে উদ্বিগ্ন ছিলে যে,তুমি আমাকে কিছু একটা দিতে পারোনি,যেটা আমার জন্য খুব প্রয়োজন ছিলো। কি দরকার ছিলো এত উৎকণ্ঠার? আমি তখন তোমায় বলেছিলাম,আমার আসলেই কিছু প্রয়োজন নেই,কারন আমি অনেককে ভালোবাসি না,তোমাকেই অনেক রকম ভাবে ভালোবাসি।এবং,এটাই এখন চূড়ান্ত সত্য যে,তুমি আমায় কিছুই দিতে পারনি ভালোবাসা ছাড়া যাতে করে আমি অন্য কাউকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তোমার ভালোবাসা আমার সামনে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়! কিন্তু আমি চাই,তুমি সেখানে এখন দাঁড়াও! প্রিয়তমা,জীবিত অন্য সকল কিছুর চেয়ে মৃত তুমিই এখন আমার কাছে অধিকতর শ্রেয় সম্পদ।
আমি জানি তুমিআমায় আবারও বলবে যে আমি বোকা। এবং বলবে তুমি পূর্নাঙ্গ সুখের জন্যই আমাকে চাও,কিন্তু সেটা আমার রাস্তায় থেকে নও। বাজি ধরে বলতে পারি,তুমি শুনে খুশি হবে যে তোমার মৃত্যুর দুই বছর অব্দি আমি নতুন কোনো নারীর কাছে নিজের মন বিক্রি করিনি। কিন্তু তুমি হয়তো এটা নিতে পারবেনা এমনকি আমিও,কারন আমি অনেক সুন্দর নারীর মুখোমুখি হয়েছি এবং অনুভব করেছি সবচেয়ে সুন্দরদেরও,তাদের সাথে সাক্ষাতে মনে হত আমার আর একা থাকা উচিত নয়। কিন্তু কিছুদিনের মাঝেই বুঝতে পারি,তারা সবাই নিতান্তই আবর্জনা তোমার তুলনায়। তুমিই আমার জীবনে একমাত্র অবশিষ্ট সম্বল। এবং,তুমি বাস্তব।
প্রিয়তমা স্ত্রী আমার! অনেক ভালোবাসি তোমায়।
ইতি,
তোমার রিচার্ড
পরিশিষ্ঠঃ আমাকে ক্ষমা কর, আমি এই চিঠি তোমায় পৌঁছে দিতে পারছিনা। আমি তোমার নতুন ঠিকানাটা জানিনা।
কিন্তু বাস্তব মুখী রিচার্ড ফাইনম্যান নিজেই হারিয়ে গেলেন বাস্তবতার নিগূঢ়তায়।১৯৫২ সালে তিনি লুইস বেল নামক একজনকে বিয়ে করেন। কিন্তু সেটা ছিলো সংক্ষিপ্ত এবং ব্যর্থ। বেল তাঁকে ডিভোর্স দিলেন। মজার ব্যাপার হল, তিনি ডিভোর্স পেপারে অভিযোগ করেছিলেন, brain injury and viagra
He begins working calculus problems in his head as soon as he awakens. He did calculus while driving in his car, while sitting in the living room, and while lying in bed at night.
এরপর তিনি গিনেথ হাওয়ার্থ নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। ফাইনম্যানের মৃত্যু পর্যন্ত তাঁরা একসাথে ছিলেন। তাঁদের প্রথম সন্তান কার্লের জন্ম ১৯৬২ সালে। তাঁরা কন্যাসন্তান দত্তক নেন এবং নাম রাখেন মিশেল।
ফাইনম্যান উপভোগ করতেন ইন্টেলেকচুয়াল যুদ্ধ। দাবা খেলতেন। অধিকাংশই জিততেন। হারলে সেটাকে হেসে উড়িয়ে দিতেন। যেন হেরেও বেশ মজা পেয়েছেন। এই পর্যায়ে একটি প্রাসঙ্গিক ভিডিও শেয়ার করি।
ফাইনম্যান দূরারোগ্য ক্যান্সারের বিরল দুইটিফর্ম লিপোসারকোমা এবং ম্যাক্রোগ্লোবিউলাইনেমিয়া তে ভুগছিলেন। তাঁর সর্বশেষ সার্জারিতে তিনি ১৯৮৮ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি মাত্র ৬৯ বছর বয়সে তাঁর চিরচেনা পার্থিব জগত ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর জীবনের সর্বশেষ উক্তিটি ছিলো,
I’d hate to die twice. It’s so boring!
আমি কোয়ান্টাম ইলেকট্রো ডায়নামিক্স (QED) এর কিছু সংক্ষিপ্ত বর্ননা দিবো। প্রাসঙ্গিক ভাবেই, ফাইনম্যানের ডায়াগ্রামের মত অভূতপূর্ব আবিস্কার সম্পর্কে এই টুকু ধারনা থাকা উচিত বলে মনে করছি। তাছাড়া ফাইনম্যানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার নিয়েও কিছু কথা বলবো। পপকর্ণ নিয়ে বসুন তাহলে!
প্রথমেই ফাইনম্যান ডায়াগ্রামঃ kamagra jelly paypal zahlen
ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম
ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম হলো মৌলিক কণিকা সমূহের মধ্যে সংঘটিত বিক্রিয়াসমূহ দেখানোর জন্যে ব্যবহৃত একপ্রকার স্থান-কালিক চিত্র। চিত্রে বিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ফোটনের গতিপথ দেখানো হয় বক্ররেখা দিয়ে, আর ইলেকট্রন বা অন্যান্য মৌলিক কণিকা যেমন পজিট্রন, মেসন ইত্যাদি মৌলিক কণিকার গতিপথ দেখানো হয় সরলরেখা দিয়ে। বিক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেসব ঘটনা বা পরিবর্তন সংঘটিত হয়তা চিত্রের নীচ থেকে উপরদিকে পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রদর্শিত হয়। তড়িচ্চুম্বকীয় বলের পদার্থবিদ্যাগত তত্ত্ব হচ্ছে Electrodynamics। মূলত এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন কিংবদন্তী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল।আর একটা বড় ব্যাপার হচ্ছে ম্যাক্সওয়েলের তত্ত্বটি আপেক্ষিক তত্ত্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল । ম্যাক্সওয়েল এর এই তত্ত্ব কে আবেলীয় ক্ষেত্রতত্ত্ব বলে ।এই ধরনের ( আবেলীয় ক্ষেত্রতত্ত্ব ) তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য এই যে , এখানে যেকোন কোয়ান্টাম সংখ্যা বা চার্জ যুক্ত কণা একটি সুদূর প্রসারী ক্ষেত্রসৃষ্টি করে এবং সেই ক্ষেত্রের শক্তি ঐ কোয়ান্টাম সংখ্যার সমানুপাতিক ।উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে দুইটি ইলেকট্রন একে অপরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলো, একসময় তারা একটি ফোটনবিনিময় করে এবং এর পরে আবার নিজ পথে চলে যেতে থাকে এই চিত্রে দুইটিইলেকট্রনের মিথস্ক্রিয়া দেখান হয়েছে । ফাইনম্যান শুধু QEDসংশোধনই করেন নাইএকটি চমৎকার সচিত্র পদ্ধতিও আবিস্কার করেছিলেন। তাঁর এই ডায়াগ্রাম এখনশুধু QED তেই নয় বরং সকল ধরনের কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্বে ব্যবহার করা হয়। QEDতে এই পদ্ধতিকে Mόller Scattering বলে । আমরা বলতে পারি “ফোটনআদান-প্রদানের মাধ্যমে” এই মিথস্ক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় । এমনভাবে যখন ইলেকট্রন ও প্রতি ইলেকট্রনের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া হয় তখন একে বলে Bhabha Scattering। ইলেকট্রনের এই মিথস্ক্রিয়াকে আমরা তুলনা করতেপারি কুলম্বের সূত্রের সাথে।
কি ভাবছেন? এই ধরনের ডায়াগ্রাম চাইলেই যেকোনো ভাবে আঁকা যায়? আহারে! তা হবে কেন? ডায়াগ্রামগুলো কিন্তু নিজের ইচ্ছা মত আঁকা হয়না ! এসব ডায়াগ্রাম গঠিত হয় নির্দিষ্ট গাণিতিক নিয়ম মেনে। এভাবে নির্দিষ্ট ইলেকট্রনের জন্য নির্দিষ্ট ডায়াগ্রামআঁকতে হয়। ধরা যাক একটা ইলেকট্রনের আদি ভরবেগ আমরা জানি , তাহলে বিক্ষেপনের পরে এই ইলেকট্রন কত শেষ ভরবেগ কত? ভাবছেন, আরে, গতিসূত্র ব্যবহার করেই তোকরে যায়! উঁহু! এটা কোয়ান্টাম ফিজিক্স! তাই মানটা বের করতে হবে সবগুলো ডায়গারাম হতে প্রাপ্ত মান যোগ করে! কিন্তু আগেই বলেছি! অসীম সংখ্যক ডায়াগ্রাম সম্ভব। তাই, হিসেবটাও অত্যন্ত জটিল। ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম যদিও QED তত্ত্বে অনেক জটিলতা দূর করেছে তবে এই ডায়াগ্রামের যাহায্যে QED তত্ত্বের একটা খুবই গূরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতা দূর হয়না । এই অসীম মান দূরকরার জন্য পদার্থবিদরা একটা পদ্ধতি বের করেন এর নাম হচ্ছে পুনঃসাধারণীকরন। যাই হোক, এই টুকু জানলেই চলবে। আর বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাবো না।
এইবার আলোচনা করি ম্যান হাটান প্রকল্প নিয়েঃ পৃথিবীর প্রথম পারমাণবিক প্রকল্প ম্যানহাটান। ম্যানহাটান প্রজেক্ট মূলত উৎপত্তিলাভ করে ১৯৩৯ সালে। এই প্রকল্পে প্রায় এক লক্ষ ত্রিশ হাজার কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন এবং ২০১৪ সালের ইউএস ডলার কারেন্সিতে এর ব্যয় হয়েছিলো প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলার। এই খরচের ৯০% প্রয়োজন হয়েছিলো কেবল পরমানু প্রকল্পের বিল্ডিং ফ্যাক্টোরিস এর জন্যে এবং ফিসাইল ম্যাটেরিয়াল তৈরীর কাজে। বাকি মাত্র ১০% খরচ হয় পুরমাণু বোমার উন্নয়ন এবং সৃষ্টির কাজে। আমেরিকা, কানাডা ও ব্রিটেন জুড়ে মোট ৩০ টি সাইটে এই প্রকল্পের কাজ সম্পাদিত হয়েছিলো। এখানে দুই ধরনের পারমানবিক বোমা নিয়ে কাজ করা হয়েছিলো। একটি ফিশান অস্ত্র তৈরী করা হত ইউরেনিয়াম-২৩৫ যেটা প্রকৃতিতে প্রাপ্ত ইউরেনিয়ামের আইসোটোপের মাত্র ০.৭%। পদার্থবিজ্ঞানী রবার্ট উইলসনের আহ্বানে প্রজেক্টের কাজে যোগ দিতে হলো ফাইনম্যানকে। প্রকল্পের তত্ত্বীয় বিভাগের প্রধান ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী হ্যান্স বেথে। টেকনিক্যাল কম্পিউটেশান গ্রুপের লিডার নির্বাচিত হল রিচার্ড ফাইনম্যান। তখন তার বয়স মাত্র তেইশ। এই প্রজেক্টের উৎপত্তি আলবার্ট আইনস্টাইন এর লেখা প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে জার্মান পারমাণবিক বোমার সাবধান বাণী হিসাবে ঐতিহাসিক চিঠি থেকে । আর এই প্রকল্পের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কয়েকজন উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞানীর নাম ঘেঁটে বের করলাম।
- নীলস্ বোর (1885-1962)
- জেমস ফ্রাঙ্ক (1882-1964)
- পওল উইগনার (1902-1995)
- ই . ও . লরেন্স (1901-1958)
- হ্যান্স বেথে (1906-2005)
- রিচার্ড ফাইনম্যান (1918-1988) নোবেল: 1965 fluoxetine hydrochloride 20 mg reviews
- ওপেনহাইমার (1904-1967)
- জেমস্ চ্যাডউইক(1891-1974)
- আইজেক রাবি (1898-1988)
- জোসেপ রোটেলবাট (1908-2005)
- লুইস আলব্রেজ (1911-1988)
- ওয়েন কেমব্রেলিয়ান (1920-2006)
- ডগলাস ককক্রপ্ট(1897-1967)
- আর্থার কম্পটন (1892-1962)
- লিও জে রেনেটার (1917-1986)
- নরমান রেমেজি (1915-2011)
- গ্লেন টি সেবার্গ ( 1912-1999) budesonide vs prednisone for cats
- ইমিলিও সেগ্রে (1905-1989) dosage of zoloft for severe depression
- হ্যারল্ড উরে (1833-1981)
- ওয়াইস্কফ্ (1908-2002)
- পার্লস (1907-1995)
- অটো ফ্রিশ (1904-1979)
- আর্থার সি ওয়াল (1917-2006)
- চার্লস ক্রিচফিল্ড (1910-1994)
- রবার্ট উইলসন (1914-2000)
এছাড়াও আরো অনেক বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন এই প্রকল্পে। ম্যানহাটানের কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে কমিকস, গেইম এবং মুভি। মার্শাল ব্রিকম্যান পরিচালিত The manhattan project মুভিটি রিলিজ হয় ১৯৮৬ সালে। জন লিথগোম, ক্রিস্টোফার কলেট অভিনীত ১৩ মিলিয়ন ডলার বাজেটের মুভিটির দৃশ্যায়ন হয় নিউ ইয়র্কের রকল্যান্ড কাউন্টিতে।
বিখ্যাত গেইম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউবিসফট এর পৃষ্ঠপোষকতায় আরুশ এন্টারটেইনম্যান্ট ম্যানহাটান প্রজেক্ট নিয়ে নির্মান করে গেইম Duke Nukem: Manhattan Project ম্যানহাটান প্রযুক্তি নিয়ে অসংখ্য প্রবন্ধ আছে গুগলের কাছে। তাই, বিস্তারিত বলে পোস্ট আরো ভারী করবোনা।
এইবার ফাইনম্যানের ধ্বংস আর সৃষ্টির QED নিয়মঃ রিচার্ড ফাইনম্যানের বিখ্যাত সেই ডায়াগ্রাম নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা করেছি। এইবার আরেকটু খানি বিজ্ঞানের ছোঁয়া দেয়া যাক। বস্তুত, হিগস বোসন কণা (ঈশ্বর কণা) মহাবিশ্বে ভর সৃষ্টির জন্য দায়ী। শক্তি ও ভরের এই পারস্পরিক রূপান্তরের রূপ রেখা ব্যাখ্যা করা যায় ফাইনম্যানএর সেই ডায়াগ্রাম দিয়ে। চলুন, এক পলক দেখে নেয়া যাক!
প্রথমেই ধরে নিই, কোলাইডারে একটা কলিশন রেকর্ড করা হলো যেখানে একটা ইলেক্ট্রন আর একটা এন্টি ইলেক্ট্রন মুখোমুখি আঘাত করলো। তাহলে আমরা ডায়াগ্রাম অনুসারে লিখতে পারি যে, e+ e- → μ+ μ-
আগেই বলা হয়েছে এটি একটি মিথস্ক্রিয়া যাকে কুলম্বের সূত্রের সাথেও তুলনা করা যায়। এই মিথস্ক্রিয়াতে তড়িৎচৌম্বকীয় অথবা দুর্বল নিউক্লিয় বল কার্যকর। দুইটি আহিত কণিকা তাদের আধানের কারনে একে অপরের উপর যে আকর্ষন বা বিকর্ষন বল প্রয়োগ করে তাকে তড়িৎ চৌম্বক বল বলে। আচ্ছা, ভালো কথা, বল কি প্রয়োগ করে নাকি অনুভব করে? ভাবছেন এই প্রশ্ন কেন? বস্তুতযদি পরমানু বা আয়নের Consciousnesss নিয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন তাহলে “অনুভব করে” হবে সবচেয়ে পারফেক্ট। আবার, যে স্বল্প পাল্লার ও স্বল্প মানের বল নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে মোউলিক কণা গুলোর মাঝে ক্রিয়া করে অনেক নিউক্লিয়াসে অস্থিতিশীলতার উদ্ভব ঘটায় তাকে দূর্বল নিউক্লিও বল বলে। how to treat doxycycline sun rash
তাহলে আমরা কোলাইডারে সংঘর্ষের প্রসেসটির প্রস্হচ্ছেদের নানা অংশের প্রোবাবিলিটি নির্নয় করতে পারি ফাইনম্যানের ম্যাথম্যাটিক্যাল মডেল দিয়ে । সূত্রটি হলো: N=Lσ
যেখানে N হলো কতগুলো ইভেন্ট সংঘটিত হলো আর L হলো এক্সিলারেটরের পার্টিক্যাল বীমের তীব্রতা এবং সংকীর্নতা আর σ হলো নির্নয়কৃত গুচ্ছ বীমগুলো প্রস্হচ্ছেদ।
তাত্বীকভাবে ফাইনম্যানের নিয়ম আর স্ট্যান্ডার্ড মডেল দিয়ে যতগুলো ভবিষ্যতদ্বানী তত্বীয় পার্টিক্যাল পদার্থবীদরা করেছেন তা এক্সিলারেটর কর্তৃক সম্পাদিত পরীক্ষামূহের ডাটার সাথে হুবহু মিলে যায়। এখানে বিজ্ঞানীরা শুধু দেখতে চান এই ডাটার সাথে কোনো প্রকার পার্থক্য খুজে পাওয়া যায় কিনা, এবং পাওয়া গেলেই তখন বলা হয় এটা “নতুন পদার্থবিজ্ঞান”। বলা বাহুল্য, এখনও পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড মডেল খুবই নিখুতভাবে ভাবিষ্যতদ্বানী করে গেছে।
যাই হোক, এছাড়াও ফাইনম্যানের অতিশীতলকৃত তরল হিলিয়ামের চরমপ্রবাহমানতা ক্রিয়াকৌশল ব্যাখ্যা, প্যাট্রন মডেল এসব নিয়ে আলোচনা করতে গেলে হয়তো রাত আরো গভীর হবে। বস্তুত নিজেও ভালো করে এই দুটি জিনিস জানিনা। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে গেলে, “নিজে যাহা জানিনা তাহা অন্যকে শিখাইতে গেলে কেবলই কপটতা শিখানো হইবে।”
রবীন্দ্রনাথ যেমন বিশাল একটি সমুদ্রের নাম, ঠিক তেমনি ফাইনম্যান। এই দুইজন মহামানবের কীর্তি ব্যাখ্যা করতে গেলে আব্দুল আলীমের সেই বিখ্যাত পদ্মানদীর গানটির একটি লাইন মনে পড়ে যায়, “বল আমারে তোর কি রে আর, কুল কিনারা নাই?” সত্যিই, ফাইনম্যানের কোনো শেষ নেই, কোনো শুরু নেই। ফাইনম্যান শুধুমাত্র ফাইনম্যান; পদার্থবিদ্যার সুপারহিরো। আজ এই মহামনীষীর জন্মদিন। ফাইনম্যানের চিঠির ভাষায় বলেই শেষ করি, “আমি এখনো ঠিক বুঝতে পারছিনা মৃত ফাইনম্যানকে এত করে ভালোবাসা আসলেই কোনো অর্থবোধক বিষয় কিনা। কিন্তু আমি এখনো ফাইনম্যানের উষ্ণতায় তিক্ত করে নিই আমার রিক্ত অধর।”
ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল……… ভালো থেকো ফাইনম্যান, ভালো থেকো।
সংযুক্তিঃ
- আপন আলোয় ফাইনম্যান
- ফাইনম্যানের ভালোবাসা
- ল্যাম্ব বিচ্যুতি
- স্ট্রিং থিয়োরি furosemide prednisone drug interactions
- কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান
- ফাইনম্যানের উক্তি
তথ্যসূত্রঃ
- উইকিপিডিয়া
- ফাইনম্যানের ওয়েবসাইট
- ফাইনম্যান বায়োগ্রাফি
- জিরো টু ইনফিনিটি ম্যাগাজিন
- ডায়াগ্রাম
- Quantam man by লরেন্স ক্রাউস
- রালফ লেইটন সম্পাদিত ফাইনম্যানের QED: The Strange Theory Of Light and Matter
- ফাইনম্যান by জিম ওত্তাভেনি এবং লিল্যান্ড মাইরিক
ইলোসিয়া মৌনিন বলছেনঃ
অনেক কিছু জানতাম না। ধন্যবাদ ইলেকট্রন এই তথ্যবহুল পোস্টের জন্য। \:D/ \:D/ :-bd
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
clobetasol cream online pharmacyকষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ইলোসিয়া।
মাশিয়াত খান বলছেনঃ
pharmacy technician flashcards online:জয় গুরু: :জয় গুরু: ou acheter du viagra en ligne
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা। vibramicina 100mg doxycycline
তারিক লিংকন বলছেনঃ
অসাধারণ!! সভ্যতার এই কারিগরের অসামান্য জীবন গাঁথার এই উপাখ্যান স্টিকি করা হোক! আশাকরি কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবেন।
রিচার্ড ফাইনম্যানকে শ্রদ্ধাবনত শতসহস্র স্যালুট :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু:
আর ইলেকট্রন ভাই অনবদ্য একটা কাসজ করেছেন! সবাইকে এমন মহৎ মানুষের জীবন দিয়ে অনুপ্রাণিত করবার জন্য অফুরন্ত %%- %%- %%- %%- %%- %%- :এতো দিন কই ছিলি?: :এতো দিন কই ছিলি?: :এতো দিন কই ছিলি?: :এতো দিন কই ছিলি?: :এতো দিন কই ছিলি?: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :জয় গুরু: :জয় গুরু:
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য। সত্যি বলতে কি, এই পোস্ট টা দিতে যে পরিশ্রম হয়েছে সেটা অন্য কোনো পোস্টে কখনো হয়নি। পরিশ্রম সার্থক হবে যদি কেউ কিছুটা হলেও ধারনা পায়।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
দারুণ বলেছেন।। এই কষ্ট বৃথা যাবে না…
:এতো দিন কই ছিলি?: :এতো দিন কই ছিলি?: :এতো দিন কই ছিলি?: :এতো দিন কই ছিলি?: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন:
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
পোস্টটা পড়বার সময়ই বুঝতে পারছিলাম কি কষ্টটাই না করতে হয়েছে আপনাকে লেখাটা সাজাতে… :-SS নিশ্চিত থাকুন, আপনার কষ্ট একটুও বৃথা যায়নি… :-bd :এতো দিন কই ছিলি?:
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
পুরোপুরি সহমত লিংকন ভাই… :-bd
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য।
আশরাফুল করিম চৌধুরি বলছেনঃ
দারুন।
স্যালুট রিচার্ড ফাইনম্যান।
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
অভিনন্দন আপনাকে।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
রিচার্ড ফাইনম্যানকে স্যালুট ।
ফাইনম্যান সম্পর্কে অজানা অনেক কিছু জানলাম ।চমৎকার এবং অত্যধিক পরিশ্রমী একটি পোস্ট লিখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই ।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
বিনা বাক্যে সহমত শাহিন ভাই… :-bd
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
un diabetico e hipertenso puede tomar viagraপাঠকদের অনুরোধে শীঘ্র স্টিকি করায় সভ্যতার কথনীয়াকে ধন্যবাদ ।
ডন মাইকেল কর্লিওনি বলছেনঃ
কথনিয়াকে একরাশ %%- %%- %%- %%-
চাতক বলছেনঃ
সভ্যতার কথনীয়াকে %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%- %%-
“মাশিয়াত আপুর পোস্টটা কি
করা যায় না স্টিকি?”== :প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…: :প্রতীক্ষায় আছি…:
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
accutane cost in canadaসভ্যতায় গতকাল এত বেশি মাস্টারপিস এসেছে কথনীয়া সম্ভবত বিভ্রান্ত হয়ে গেছেন।
চাতক বলছেনঃ
acne doxycycline dosageI’d hate to die twice. It’s so boring!
আজ এই ১১/১২ দিনের পুঁচকে বাংলা ব্লগে যে পরিমান ভাল পোস্ট এসেছে অনেক পুরাতন ব্লগে এক সপ্তাহেও এই পরিমাণ পোস্ট আসে না। সভ্যতাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর ইলেকট্রন দাদা আমি পুরাটা শেষ করতে পারি নি। মাথা গরমের সাথে সাথে চিঠিখানা পড়ে দু’গাল বেয়ে উষ্ণ জলধারা বইছে বুঝতে পেরে আপাতত পড়া বন্ধ। দেখি কাল পুরাটা পড়ে আবার কিছু বলব। ভাল থাকবেন। :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি:
আর সভ্যতার সকল কারিগর বিশেষ করে ফাইনম্যানকে স্যালুট :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: :জয় গুরু: inj lasix uses
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। ফাইনম্যানের প্রতি সশ্রদ্ধ ভালোবাসা।
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
আজ এই ১১/১২ দিনের পুঁচকে বাংলা ব্লগে যে পরিমান ভাল পোস্ট এসেছে অনেক পুরাতন ব্লগে এক সপ্তাহেও এই পরিমাণ পোস্ট আসে না…
সহমত চাতক… :-bd :-bd :-bd
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
শেষ পর্যন্ত এই অধপতন!
…অ্যান্ড অ্যানাদার ইলেকট্রন প্রোডাকশন… অ্যান্ড অ্যানাদার ব্লক বাস্টার পোস্ট! synthroid drug interactions calcium
তারিক লিংকন বলছেনঃ
আর দেখেন কি চমৎকার করে প্রিয় হুমায়ুন আজাদের কবিতার ছন্দে বৈজ্ঞানিককে উইস করল!! মাইন্ডব্লোয়িং… ইলেকট্রন :-bd :-bd :-bd :-bd :দে দে তালি: :দে দে তালি:
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
হাহাহাহা। হঠাৎ করেই মনে হল, লাইনটা লিখি, আর ঝটপট লিখে দিলাম!
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
হাহাহাহা। মাথায় এলো, আর লিখে দিলাম আরকি!
জন কার্টার বলছেনঃ
চমৎকার লিখেছেন ইলেকট্রন……
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ কার্টার ভাই!
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
আসাধারণ এক পোস্ট। আপনাকে তো ধন্যবাদ জানাচ্ছিই সাথে মডারেশন প্যনেলকেও জানাচ্ছি পোস্টটি স্টিকি করার জন্য……
ফাইনম্যানের জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ও তার প্রতি রইল শ্রদ্ধা ……
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
ধন্যবাদ জয়। সময় নিয়ে পোস্টটা পড়ার জন্য তোমার জন্য গোলাপ রইলো।
নীহারিকা বলছেনঃ
যদিও আমি বিজ্ঞানের ছাত্রী না । তবু লেখায়া পড়ে খুব ভালো লেগেছে । নামেই তার সার্থকতা । ফাইন ম্যান!
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
-কিংবদন্তী, তোমার নাম কি?
-নামেই আমার পরিচয়!
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
কি বলবো !!!! এক কথায় দারুন !!! :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd
খুবই কষ্ট সাধ্য একটা কাজ করেছেন আর পড়েও অনেক কিছু জানতে পারলাম সেই সঙ্গে লেখাটা প্রিয়তে নিলাম…
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোস্ট টি পড়ে দেখার জন্যে।
কিরন শেখর বলছেনঃ
নিঃসন্দেহে বিজ্ঞান ভিত্তিক অনেক ভালো একটি পোস্ট। তবে আমি অসাধারণ বলতে নারাজ। যারা বিজ্ঞানের ছাত্র না তাদের কাছে বিষয় টা বুঝতে বেশ বেগ পেতে হবে। আমি ম্যানহাটন প্রকল্পের সাথে ফাইম্যান এর সম্পৃক্ততা ভালো করে বুঝতে পারিনি। বা তার দায়াগ্রাম টা কিভাবে বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে ভুমিকা রেখেছে আরও সহজিকরনের। তাই বলে আমি আপনাকে নিরুৎসাহিত করছি না বিজ্ঞান নিয়ে পড়া অন্যতম সেরা একটি পোস্ট এটি।
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
অসংখ্য ধন্যবাদ কিরণ ভাই পোস্টটা পড়ার জন্য।
প্রথমত, আমি এই পোস্টে কোনো গভীর বিজ্ঞান বা পিউর সায়েন্সের ব্যবহার করিনি। ফাইনম্যানের ডায়াগ্রামটিকে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করার সর্বাত্মক চেস্টা করেছি। এবং অনেক গুলো টেক্সট লিঙ্ক যুক্ত করেছি যাতে কেউ সহজেই সঙ্গাগুলো পড়ে আসতে পারে। বস্তুত এর চেয়ে সহজ ভাষায় আমি আসলেই ব্যাখ্যা করতে পারিনি। এটা অবশ্যই আমার ব্যর্থতা। যেহেতু ডায়াগ্রামটি কোয়ান্টাম ফিজিক্স এবং কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশানের ক্ষেত্রে মহা আবিষ্কার এবং এটি QED তত্ত্বকে সম্পূর্ণ করেছে তাই এই অসাধারন আবিষ্কার নিয়ে কিছু লিখার লোভ সামলাতে পারছিলাম না। দ্যাটস ইট।
ম্যানহাটান প্রকল্প মানব সভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্ববহ এবং ধ্বংসাত্মক প্রকল্প। পৃথিবীর প্রথম অ্যাটম বম্ব তৈরীতে নিউক্লিয়ার ফিশান বিক্রিয়ার আবিষ্কার এই প্রকল্পেই হয় এবং আইনস্টাইনের ভর শক্তি রূপান্তর মতবাদ সর্বপ্রথম মানুষ পার্থিব কাজে লাগাতে শিখে। কিন্তু বস্তুত আমেরিকা একে কাজে লাগিয়েছে অন্য ভাবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতায় মানুষ ম্যানহাটান প্রকল্পের বিপরীত এবং অন্ধকার দিক সম্পর্কে অবগত হয়। হুমায়ূন আহমেদের বইতে পড়েছি, এমনকি রবীন্দ্রনাথও তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছিলেন,
ম্যানহাটান প্রজেক্ট নিয়ে কথা বেশি বাড়াইনি পোস্টের প্রয়োজনে। কারন পোস্টটি ফাইনম্যানকে নিয়ে দেয়া এবং আমার উদ্দেশ্য ছিলো ফাইনম্যানের সংক্ষিপ্ত একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটা নির্মান করা যেটা এই পোস্ট লিখতে গিয়ে আমি নেটের কোথাও খুঁজে পাইনি উইকিপিডিয়া ছাড়া।
যাই হোক, ভুল গুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এবং আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন: :গোলাপ নিন:
মস্তিষ্ক প্রক্ষালক দার্শনিক বলছেনঃ
ন্যানোটেকনোলজি তে বাংলাদেশের পথিকৃত সুলতান স্যার এর ক্লাশ পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল জীবনে।