লাল ডাক্তার, হলুদ সাংবাদিক এবং…
570
বার পঠিতডাক্তার নামক প্রজাতির প্রতি আমার বিদ্বেষ খুব ছোটবেলা থেকে। ক্লাস টু’তে থাকতে যখন দাঁত তুলতে গিয়ে চেম্বারের ভেতর থেকে আরেক রোগীর তীব্র চিৎকার শুনছিলাম, তখনই এদের প্রতি প্রচণ্ড ভয় ঢুকে গিয়েছিল। বড় হয়ে যৌক্তিক মানসিকতা গড়ে ওঠার পর সেই বিদ্বেষ বা ভয় ভেঙ্গে যাবার কথা ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তা হয় নি।
ক্লাস ফোরে ওঠার পর চলে গিয়েছিলাম গ্রামে। সবচেয়ে কাছের হাসপাতাল ছিল নুরুল্যাগঞ্জ ইউনিয়ন হাসপাতাল। কিন্তু, কখনও সেখানে পা দেয়া হয়নি। কারণ, সপ্তাহে সেখানে ডাক্তার থাকতেন তিন দিন। তাও দু’ঘণ্টা। বাকি সময় জেলা শহরের ক্লিনিকে। সপ্তাহে এই তিন দু’গুণে ছয় ঘণ্টার মধ্যে একেক রোগীর জন্য ত্রিশ সেকন্ড বরাদ্দ করে “স্রেফ প্রেসকিপশন” দেয়া হত। নতুন কেউ যদি ওষুধ চাইতো, তাহলে তার ফার্মেসির কথা বলে দেয়া হত।
আরও বড় হলাম। শহরে এলাম। হ্যাংলা-পাতলা হলেও তখন বেশ নীরোগই ছিলাম। আর ডাক্তার-ভীতিও কাটেনি। তাই হালকা অসুস্থ হলেও ডাক্তারের ধারেও ঘেঁষতাম না। বাধ্য হয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগল ক্লাস এইটে — হাত ভাঙ্গার পর। শুক্রবার — তাই সব ক্লিনিকও বন্ধ। চট্টগ্রাম মেডিকেলে গেলাম। সেই ভাঙ্গা হাত নিয়ে সিরিয়াল ধরে সাড়ে তিন ঘণ্টা বসে থাকলাম। যেহেতু আরও গুরুতর রোগী ছিল, তাই এক্ষেত্রে ডাক্তারদের দোষ দেয়া যায় না। তবে, পরের চেকআপের সময়গুলোতে যখন ডাক্তারদের ক্লিনিকে সময় দেবার সুবাদে রোগীদের বিশাল লাইন পড়ে যেত, সেক্ষেত্রে ডাক্তার বিদ্বেষটা চওড়া হলে কেউ নিশ্চয়ই আমাকে দোষ দেবেন না।
আরও বড় হলাম। ডাক্তারের কাছে যাবার দুর্ভাগ্য আরও একবার হল। সাইনোসাইটিসের সমস্যা। মোটামুটি তিন বেলা ওষুধ খেয়েই পেট ভরে ফেললেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হল না। কিন্তু, এর মাঝে আরও ভয়াবহ জিনিস আবিষ্কার করলাম। বছর দু’য়েক আগে ছোট বোন হয়েছে। আম্মুর প্রেশারে সমস্যা ছিল। তাই একটা ওষুধ চেঞ্জ করে দিয়েছিল। তো আমাকে দেখানোর ফাঁকে আম্মু নিজের রেগুলার চেকআপটাও সেরে নিচ্ছিল। তো রেগুলার ডাক্তার কোন কারণে ছিল না। ভারপ্রাপ্ত ডাক্তার আবিষ্কার করলেন, আম্মুর প্রেশারের ওষুধটা বদলে যেটা দেয়া হয়েছে, সেটা আসলে শরীরের কোথাও ফুলে গেলে দেয়া হয়। Just imagine, আম্মু তখন প্রেগন্যান্ট। একটা ভুল ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থেকে কী হতে পারত!
ক’দিন আগে বড় কাকী এসেছিল। তার ডায়াবেটিসের সমস্যা। এমতাবস্থায় কোথাও কেটে গেলে বেশ সমস্যা হয়। ফরিদপুর জেলার সবচেয়ে বড় হাসপাতালেই দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু, পরিস্থিতির কোন উন্নতি হচ্ছিল না। পরে বারডেমে নিয়ে আসা হয়। জানা গেল ভুল চিকিৎসা চলছিল। এবং আরও সপ্তাহ খানেক চললে, গোড়ালি অবধি কেটে বাদ দেয়া লাগত।
ক’দিন ধরে দেখছি, ডাক্তার আর সাংবাদিকদের মধ্যে তুমুল বিবাদ। ফ্রেন্ড লিস্টে সাংবাদিক সেভাবে না থাকলেও হবু ডাক্তার আছে প্রচুর। তাদের স্ট্যাটাসে প্রায়শই অভিযোগ পাই, চিকিৎসা সঠিক না ভুল — সেটা ঠিক করার সাংবাদিক কে? আমার দেখা এই ভুল চিকিৎসাগুলোর সনদপত্র কিন্তু সাংবাদিকরা দেয়নি। ডাক্তাররাই দিয়েছে।
তাদের আরও অভিযোগ, তাদেরই কেন কেবল গ্রামে থাকতে হবে? হ্যাঁ, কথা সত্য। সহপাঠী মেধাবী মধ্যে কেবল তাদেরই গ্রামে পাঠানোর জন্য সবার যত তোড়জোড়। কিন্তু, ডাক্তারি পেশাটা কোন খাতে পড়ে জানেন? “সেবা খাত।” সেবা — শব্দটার অর্থ জানেন? যে নিজের জন্যে না, অন্যের জন্য বাঁচে। নিজের পেশাটা ঠিক করার আগে সেটা মাথায় রাখা উচিত ছিল। একজন পুলিশ যেখানে প্রশ্ন তুলতে পারে না গ্রামে থাকা নিয়ে, একজন বিজিবি যেখানে প্রশ্ন তুলতে পারে না পরিবার-স্বজন ফেলে সুদূর সীমান্তে পড়ে থাকতে, সেখানে একজন ডাক্তার কোন অধিকার বা সাহসে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আমার জানা নেই। শহরে বাস করতে চাইবার প্রবণতা বাংলাদেশের সেবা খাতের সবারই আছে। কিন্তু, ডাক্তারদের মাঝে সেটা যতটা নির্লজ্জ, সেটা আর কোথাও দেখিনি।
তাদের আরও অভিযোগ, যেখানে সেখানে সাংবাদিকদের অনুপ্রবেশ নিয়ে। সম্প্রতি না’কি DMC তে সাংবাদিকদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভাল কথা, বেশ কিছুদিন আগে “নিজের অফিসে” গোপনে ক্যামেরা বসিয়ে কথিত সংবাদ সংগ্রহ করায় “সাংসদ” গোলাম মাওলা রণি সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলে। তার জের ধরে একজন সাংসদকে জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছিল। কোন ডাক্তারের কর্মস্থলে গোপনে ক্যামেরা বসিয়ে সংবাদ সংগ্রহের মত খবর আমি এখনও কোথাও শুনিনি।
তাহারা আরও বলেন, যে সকল ডাক্তার কসাই, রোগীদের প্রতি যত্নশীল নয়, হাসপাতাল অপেক্ষা ক্লিনিকে বেশি সময় দেয়, তারা নিতান্তই সংখ্যালঘু। আজকের পুরো অনলাইন সরগরম হয়ে আছে DMC তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর ইন্টার্র্নিদের মধ্যে ঘটা সংঘর্ষ নিয়ে। ঘটনা হয়তো ঘটিয়েছে খুব বেশি হলে দশ বারোজন ছাত্র। নিউজ কিন্তু করা হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবেই। পুরো আটাশ হাজার শিক্ষার্থীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে টেনে আনা হচ্ছে, দশ জনের জন্য। ডাক্তারদের মাঝেও এমন। দেশের হাজার হাজার ডাক্তারের মাঝে শ’খানেকই যথেষ্ট সবাইকে ডোবানোর জন্য। আর উপযাচক হিসেবে তো সাংবাদিকরা আছেই।
আর দেশে এত মহানুভব ডাক্তার থাকতে, আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে একজনেরও দেখা পেলাম না কেন, সেটাও দুর্ভাগ্যের বিষয়। আসলে এই অনলাইন জগতটা একটা কুয়োর মত। আমরা যারা এই কুয়োর মাঝে বসবাস করি, তারা স্রেফ ছোট্ট একটা গোল আকাশই দেখতে পাই। তার বাইরের বিশাল পৃথিবী আমাদের চোখে পড়ে না। কুয়ো থেকে বের হও। পৃথিবীটা দেখ। তাতে ছড়িয়ে পড়। এবং তাকে বদলে দাও।
কয়েক দিন আগে, এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এক কোণায় বসে আমি ফেসবুকাচ্ছি। অন্য পাশে তুমুল রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক চলছে। তো এর মাঝে এক বৃদ্ধ লোক আব্বু পুলিশে আছে জানতে পেরে বললেন, কিছু মনে করবেন না ভাই সাহেব। বাংলাদেশের পুলিশ জাতটাই হারামি।
কৌতূহলী হয়ে তার দিকে মনোযোগ দিলাম। যা জানা গেল তা হচ্ছে, তার ছেলেকে খুনের মামলায় না’কি ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশের পেছনে তার এক লাখ বিশ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু, ছেলে ছাড়া পায়নি। পরে আব্বু নিজে থেকে খানিকটা খোঁজখবর করল। জানা গেল, সেই বৃদ্ধ লোক এলাকার এক পাতিনেতাকে ধরেছিল। সে পুলিশের হাতে হাজার দশেক গছিয়ে দিয়ে, বাকি এক লাখ দশ হাজারই মেরে দিয়েছে। এদিকে সেই লোক গালাগালি করে যাচ্ছেন পুলিশকে “সৎ দুর্নীতি” না করার জন্য।
বাংলাদেশের ডাক্তার রোগীদের মাঝে সাংবাদিক নামক প্রজাতিটাও এই পাতিনেতাদের মতই। বড় সাংঘাতিক প্রজাতি এটা। ডাক্তার আর রোগীদের মাঝে উপযাচক হয়ে এদের অনুপ্রবেশ ঘটে গেছে। আর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে শিক্ষা আর সচেতনতার হার যে পরিমাণে কম, তাতে সাংবাদিকদের জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা, সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভবই বলা যায়। তাই, এগিয়ে আসতে হবে ডাক্তারদেরই। এই অনলাইনের মানুষগুলোকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন। আমি জানি, এই দুনিয়াটা যত ছোটই হোক না কেন, একদিন বাংলাদেশটা বদলে যাবে এদের হাত ধরেই। তাই, যখন দেখি এই মানুষগুলোই রক্তের জন্য দৌড়াচ্ছে, নিজের টাকায় রোগীদের ওষুধ কিনে দিচ্ছে — তখন অনেক আশাবাদী হতে ইচ্ছে করে। আশা করি, তারা যখন ছড়িয়ে যাবে পুরো বাংলাদেশটাই বদলে যাবে। তবে, সবার আগে নিজেদের ত্রুটিগুলো খুঁজে নিতে এবং মেনে নিতে শিখলে সেটা সবার জন্যেই মঙ্গল।
অংকুর বলছেনঃ
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই :-bd :-bd :-bd :-bd :-bd
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
ধন্যবাদ আপনাকে!
দুরন্ত জয় বলছেনঃ
সেই পরিবর্তণের অপেক্ষায় রইলাম।
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
achat viagra cialis franceআমাদের সকলেরই প্রত্যাশা সেটাই।
ফাতেমা জোহরা বলছেনঃ
চমৎকার লিখেছেন… :-bd
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
ধন্যবাদ আপনাকে।
এসজিএস শাহিন বলছেনঃ
ভাল বলেছেন ।
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ side effects of quitting prednisone cold turkey
%%- %%- %%-
তারিক লিংকন বলছেনঃ
প্রথমের শব্দচয়নটা খুবই অবেজেকশনাবল… ডাক্তার প্রজাতি কথাটা মানতে পারলাম না! সকল ডঃ খারাপ না। আমি প্রকৌশলী হিসেবে বলতে পারি দুনিয়ার সকল দেশের ৭০% + উন্নয়ন বাজেটের অর্থ প্রকৌশলীদের হাত দিয়ে যায়! তারপরও শিক্ষা মহান দায়িত্ববোধ নিয়ে আসলেও আমাদের ছাত্ররা আজ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য মূল্যবোধ অর্জনে ব্যর্থ হয়ে অর্থ উপার্জনে নিজেকে উজাড় করে দেয়। এইখানে কোন পেশাকে ছোট করে দেখার কিছু নাই!! ব্যক্তি করাপ্টেড পেশা না…
“আর দেশে এত মহানুভব ডাক্তার থাকতে, আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে একজনেরও দেখা পেলাম না কেন, সেটাও দুর্ভাগ্যের বিষয়।”— আসলেই আপনার হতাশ হওয়ার কারণ আছে। আমি অনেক মহৎ ডাঃ কে চিনি ব্যক্তিগতভাবে।
আপনার বিশ্লেষণ আক্রোশপূর্ণ হইছে গঠনমূলক হয় নি!! :প্লিজ, টেল মি মোর: :প্লিজ, টেল মি মোর: :প্লিজ, টেল মি মোর: :তার ছিঁড়া: :তার ছিঁড়া: :তার ছিঁড়া: :তার ছিঁড়া: :তার ছিঁড়া: :রোমহর্ষক: :রোমহর্ষক: :রোমহর্ষক: :রোমহর্ষক: :রোমহর্ষক: :রোমহর্ষক:
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
ব্যক্তি করাপ্টেড পেশা না…
যে প্রশ্নের উত্তরটা ব্লগে দেয়া আছে, সেটা আবার টেনে এনে ত্যানা পেচানোর কোন মানে খুঁজে পেলাম না। আমার উত্তরের ভুল ধরে দিলে খুশি হব, কিন্তু অলরেডি যে উত্তরটা দেয়া আছে, তাতে কর্ণপাত না করে, তালগাছ আমার – করে গেলে তো হবে না।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
ক্লান্ত-দা,
হোয়াই সো সিরিয়াস? একটু আলোচনা করি আসেন। আমি প্রথমেই বললাম যে ডাঃ পেশাকে আমি ছোট বেলা থেকেই ডাক্তারদের দেখতে পারি না। তারপর যতই আপনি গঠনমূলক আলোচনা কর না কেন। শেষে যখন আবার আপনি আবার বললেন “বাংলাদেশের ডাক্তার রোগীদের মাঝে সাংবাদিক নামক প্রজাতিটাও এই পাতিনেতাদের মতই। বড় সাংঘাতিক প্রজাতি এটা”। তাতে করে আপনার গঠনমূলক প্যারাটিও বিদ্বেষপূর্ণ সমালোচনার জন্য মূল্যহীন হয়ে পরেছে।
যাহোক একে বোধহয় ত্যানা প্যাঁচানো বলে না, ক্লান্ত-দা!!
:-j :-j :-j :কস কি মমিন?: :কস কি মমিন?:
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
এবং কেন দেখতে পারি না, সেটাও পোস্টে বিস্তারিতই বলেছি। এর কোন অভিযোগটা আপনি অস্বীকার করবেন?
অর্বাচীন দাড়কাক বলছেনঃ
:দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি:
চাতক বলছেনঃ
আপনে ভাই কাউয়ার মত না বুইঝা কাকা করেন কেন! এইখানে হাতে তালি দেয়ার মত কি লিখেছেন। আমার ভাল লাগে নি। :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :কাঁচা টেকা: :কাঁচা টেকা: :কাঁচা টেকা: :পুঁজিবাদ-পুঁজিবাদ: :পুঁজিবাদ-পুঁজিবাদ: :পুঁজিবাদ-পুঁজিবাদ: :পুঁজিবাদ-পুঁজিবাদ: :পুঁজিবাদ-পুঁজিবাদ:
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
আপনার ভাল না লাগলে, সেই লেখা অন্য কারও ভাল লাগতে পারবে না? দারুণ যুক্তি তো!
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
ডাক্তার দেরই কেন এত মহানুভব হতে হবে? এটা আট দশটা পেশার মতই একটা পেশা। মূলত প্রায়োগিক ভাবে বলতে গেলে প্রত্যেক খাতই কিন্তু সেবা খাত। রিক্সা চালক থেকে শুরু করে পাইলট, কিংবা দুধ বিক্রেতা হতে শুরু করে পলিটিশিয়ান, সব খাতই কিন্তু সেবা খাত। অথচ, মানুষের কড়া দৃষ্টি কেবল ডাক্তারদের উপরই ন্যাস্ত কেন বুঝলাম না। সত্যি কথা, আমি জীবনে যত ডাক্তার দেখেছি সবাই সৎ ছিলো। হ্যাঁ, ওদের ভিজিট ৫০০, তারা ৫ মিনিট রোগী দেখে, সিরিয়ালে দাঁড়াতে হয়, কিন্তু তাও তারা তাদের পেশার দৃষ্টিকোন হতে সৎ। তারা ডাক্তারি পড়েছে টাকা রোজগারের জন্য, ভিক্ষার থালা নিয়ে রাস্তায় নেমে ফ্রি চিকিৎসা দেয়ার জন্য নয়। তারা চাইলে ফ্রী চিকিৎসা দিবেন, না চাইলে দিবেন না। তাদের সেই অধিকার আছে। কিন্তু এই ছলে তাকে অসৎ বলা যায়না। সরকার চাইলে ডাক্তারের ভিজিট নিয়ে আইন পাশ করুক। কিন্তু যতক্ষন সেটা না হচ্ছে, আমি ডাক্তারদের অনৈতিক কিংবা দুর্নীতিবাজও বলতে পারিনা। thuoc viagra cho nam
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ
শুধু ডাক্তার! সেবা খাতের কোন পেশার ওপর আমাদের কড়া দৃষ্টি নেই, আমি ঠিক জানি না। তারা সবাই দুর্নীতিগ্রস্থ। তবে আমার এই পোস্টটা ডাক্তারদের নিয়ে লেখা বলে তাদের নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। আর তার চেয়ে বড় কথা, সেবা খাতের বাকি সবাই নীরব সম্মতি দিয়ে নিজেদের দুর্নীতির কথা মেনে নিয়েছে। কিন্তু, ডাক্তাররাই এক্ষেত্রে হাস্যকরভাবে সরব। তাই, তাদের নিয়ে লেখাটাই যৌক্তিক মনে হয়েছে।
৫০০ টাকা ভিজিট নেয় বলেই সৎ। আমি আমার পোস্টের কোথায় ক্লিনিকের বা নিজের অফিসে রোগী দেখা ডাক্তারদের (সরকারী ডাক্তারের বাইরে রোগী দেখা বাদে) নিয়ে লিখেছি, খুঁজে পেলাম না। পুরো লেখাটাই সরকারী ডাক্তারদের নিয়ে লেখা এবং তারা সরকার থেকে তাদের বেতন পাচ্ছে। টাকা আয় করার জন্য পড়াশোনা করেছে ভাল কথা। টাকাটা তো সরকারের কাছ থেকে আসছে। কিন্তু, সেবার বেলায় তথবৈচ কেন?
কোন এক কালে সময় সুযোগ হলে কোন একটা সরকারী হাসপাতাল থেকে ঘুরো আসার সাজেশন থাকলে। সাধ না মিটলে রুরাল সাইটে যেতে পারেন। তারপর ডাক্তারদের নিয়ে উঁচু গলায় কথা আশা করি আর বলবেন না।
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
আমি ভাবছিলাম পোস্টে বেসরকারি ডাক্তারদের নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। সরকারি ডাক্তার হলে তো আমি আরো বেশি নিশ্চিত! বিগত আড়াই বছর ধরে সরকারি ডাক্তারদের সরকার নতুন স্কেল দবে বলে ঘুরাচ্ছে। কিন্তু স্কেলের দেখা নাই। আশার কথা হল স্বাধীন পে কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু, তাও লাভ হচ্ছে বলে মনে হয়না। এদিকে আটা রুটির চাইল ডাইলের দাম হু হু করে বাড়তেছে অন্যদিকে ডাক্তাররা মান্ধাতার আমলের বেতন নিয়ে বসে আছে। কই যাবে এরা? এরা চেম্বার খুলে প্রেক্টিসও করলেও দোষ, আবার হাসপাতালে সিরিয়াল দিয়ে রোগী দেখলেও দোষ! আমি এমনও দেখেছি রোগীরা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ডাক্তারদের গালি দিচ্ছেন। কেন! এখানে ডাক্তারের দোষটা কোথায়? হাসপাতাল কি মুদি দোকান নাকি সবাই একসাথে এসে চিল্লাবে? প্রতি তিন বছর পর পর সরকারি ডাক্তারদের TADA ভাতা দেয়া হয়। আশ্চর্যের কথা, বিগত পাঁচ বছরও সেটার দেখা নাই! হোমিওপ্যাথির কবিরাজরা এলোপাথিক ডাক্তারদের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে! সরকারি ডাক্তাররা বেসরকারিদের চেয়ে হাজার গুনে ভালো আছে নৈতিক দিক থেকে। কিছুদিন আগে আমার নানুআফুর কিডনির সিরাম ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ায় CSCR নিয়ে গেছিলাম। আমি দেখছি সেখানে বেসরকারি ডাক্তারদের অবস্থা। একবার এসে জাস্ট চোখে দুইটা টিপ মারবে, পায়ের টিবিও ফিবুলায় টিপ মারবে, পেটে পানি জমছে কিনা দেখার জন্য আরেকটা টিপ মারবে পেটে। তিন টিপ মেরেই ১২০০ টাকা। প্রতি টিপ ৪০০! পরে খবর নিয়ে জানতে পারি যে, এই টিপের হাদিয়ার ৫০০ টাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বাকি ৭০০ এর মাঝে ১০০ টাকা ডাক্তারদের সমিতি ফান্ডের। বাকি ৬০০ টাকা ডাক্তারের। বেশি হয়ে গেল? সরকারি ডাক্তাররা কত হাদিয়া নেয়? সরকারের কাছ থেকেই বা কত হাদিয়া পায় তারা? নতুন বেতন স্কেল কেন দেয়া হচ্ছেনা ডাক্তারদের! কোথায় তাদের সিলেকশান গ্রেড! কোনো উত্তর নাই! শুধু তারা একটু প্রাইভেট প্রেক্টিস করে, কয়টা চাল রুটির ব্যবস্থা করলেই যত দোষ!
এইবার আসি সেবা খাতের প্রশ্নে। নীরব সম্মতিতে সবাই মেনে নিছে তারা দূর্নীতিবাজ? এই “সবাই” কারা? কেউই মেনে নেয় নাই আসলে। আচ্ছা, বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজের প্রফেসররা কোচিং করায় কেন? আমি নিজেও তো কোচিং করছি তাদের কাছে! তারা কোনো কোচিং সেন্টারের আন্ডারে থেকে কোচিং করায়। মাসে ৫০০/১০০০ করে নেয়। তারাও দূর্নীতিবাজ? না। হাহাহা। missed several doses of synthroid
অবাক বিষয়, ডাক্তারকে গালি দিয়েই মানুষ সেই আবার ডাক্তারের কাছেই যাবে। কিন্তু, এটাও জানি, যে মানুষটা গালি দিলো, সে নিজে একসময় ডাক্তার হলে সেও তথাকথিত “দূর্নীতিবাজ” না হয়ে পারবেনা। আসলেই কেউ বুঝেনা, ডাক্তারি কোনো মহান সাধনা না, কিংবা প্রেয়সীর দিলের বেদনা না। ডাক্তারিও একটা পেশা। এনার্জি বিস্কুটের দাম ১৫ টাকা, ডাক্তারের ভিজিটও তেমনি ৫০০ টাকা। এনার্জি বিস্কুট বাসায় খাওয়া যায়, বাসেও খাওয়া যায়, ডাক্তারি জ্ঞান থাকলে সেই জ্ঞান হাসপাতালেও বিতরন করা যায়, হাস মুরগীর খামারেও বিতরণ করা যায়। অন্য আট দশটা পেশার মত এটাও জাস্ট একটা পেশা। পলিটিশিয়ানরা মানুষকে পেইন দিয়ে যদি পাঁচ হাজার কোটি টাকা নিতে পারে, ডাক্তাররা না হয় পেইন কিলার দিয়ে ৫০০ টাকা নিক! নিতেই পারে! আবার তারা ইচ্ছা করলে ফ্রীতেও পেইন কিলার দিতে পারে। আমার এখানে উচ্চবাচ্য করার অধিকার আছে বলে মনে হয়না।
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলছেনঃ ovulate twice on clomid
বাংলাদেশে যারা সরকারী চাকরীতে যারা নিয়োজিত আছে, তাদের কেই বা পর্যাপ্ত বেতন পায়? কিন্তু, একটা ট্রাফিক পুলিশ যখন লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভারের কাছ থেকে একশ টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়, আমরা কিন্তু ঠিকই চিল্লায় উঠি। টাকা খেয়ে যখন ঠিকাদারী পাইয়ে দেয়, তখন ঠিকই চিল্লায় উঠি। তাহলে বেতন কম বলে, ডাক্তারদের কাজকে কেন যাস্টিফাই করা হবে?
অ্যাজ আপনি যখন একটা ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলার সময় সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা তুলবেন, সে হয় কোন কথা বলবে না, অথবা মিনমিন করে আপত্তি জানিয়ে বলবে – সবাই এমন না। কিন্তু, জোর গলায় কখনও কিছু বলবে না। যখন, কোন রাজনীতিবিদকে তাদের দুর্নীতির কথা বলবেন, সরাসরি অস্বীকারের ধৃষ্টতা দেখাবে না। অন্তত আমি কখনও দেখিনি। কিন্তু, ডাক্তারাই সব সময় তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এলেই গর্জে ওঠে। যেন তারা একেবারে ধোঁয়া তুলসিপাতা।
আর তাদের ওয়ার্ক আওয়ারে কার্যালয়ে পাওয়া না যাওয়া, সরকারী ওষুধ হাওয়া হয়ে যাওয়া, ভুল চিকিৎসা, গ্রামে না থাকতে চাওয়ার মানসিকতা – এগুলো বহুল প্রচলিত অভিযোগ। আমরা যারা সারা জীবনই শহরের বাস করে এসেছি, তাদের এ নিয়ে ধারণা থাকবে না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, শুধু ঢাকা শহর বা সাতটা বিভাগীয় শহর নিয়েই বাংলাদেশ না। ছিয়াশি হাজার গ্রাম নিয়েই বাংলাদেশ। cialis new c 100
ইলেকট্রন রিটার্নস বলছেনঃ
synthroid drug interactions calciumআপনি তুলনামূলক তত্ত্ব দিয়ে ডাক্তারদের আবারও এক তরফা দোষ দিয়ে গেলেন! ব্যাপারটা সত্যিই খুব হাস্যকর! সরকারি চাকুরীতে বেতন অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর। সরকারি সচিবালয় কিংবা আমলাতন্ত্রের চাকুরী গুলোতে ঘুষ বলে একটা ব্যাপার থাকে। ডাক্তারী পেশায় ঘুষের ক্ষেত্রটা আমার জানা নেই। তারা শুধু একটু প্রাইভেট প্রেক্টিস করলেই দোষ হয়ে যাবে? এ কেমন কথা? এই পেশার পেছনে একজন ডাক্তারকে কতটা ডেডিকেশান দিতে হয় জানেন?
আমার নানু আফুকে নিয়ে একজন ডায়াবেটিস বিষেষজ্ঞের কাছে গিয়েছিলাম প্রায় ইন মাস আগের কথা। রাত সাড়ে দশটা বাজেও ডাক্তারের চেম্বারে হেব্বী লাইন। ডাক্তার গড়ে দশমিনিট করে রোগী দেখছেন। সবাই বিরক্ত হয়ে কানাকানি করতেছিলেন এই বলে,”কিসের ডাক্তার আল্লায় জানে! একটা রোগী দেখতেই দশ মিনিট কাটায় দেয়!”
আমি শুনে একটু হাসছিলাম! কি আজিব মানুষ আমাদের দেশের! বেশি সময় ধরে রোগী দেখলেও দোষ! আবার কম সময় ধরে রোগী দেখলেও দোষ! কই যাবে ডাক্তাররা একটু বলুন! সিরিয়ালে রোগীরা দাঁড়ালে বলবে,”আমাদেরকে দাঁড়া করাইয়া রাখছে!” আবার সিরিয়াল ব্যবস্থা না থেকে যদি মুদি দোকান ব্যবস্থা থাকে তাও সবাই বলবে,”ডাক্তারের রুচি নাই! চেম্বারকে মাছ বাজার বানাই রাখছে!”
আমারও এতসব যুক্তি শুনে আসলেই মাথা ঘুরাচ্ছে! ডাক্তাররা পরের কথা। আপাতত আমি কোন জায়গায় গিয়ে লুকাবো সেটাই বুঝে উঠতে পারতেছিনা!
তারিক লিংকন বলছেনঃ
“সত্যি কথা, আমি জীবনে যত ডাক্তার দেখেছি সবাই সৎ ছিলো”
—- :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি: :কুপায়ালাইছ মামা-ভিক্টরি:
সেটাই!! নীতিমালা না করে দিয়ে তাকে আমি কীভাবে পরামর্শ দিব। আমাদের তো কোন প্রকারই ভোক্তা অধিকার আইন নাই। না সেবা পণ্যের না উৎপাদিত পণ্যের! কীভাবে বুঝাব ইলেকট্রন দাদা!!
ঋতানৃত তূর্য্য বলছেনঃ
বাহ! বিতর্ক দেখা যায় ভালোই জমেছে! আপাতত গ্যালরিীতে বইলাম…
tome cytotec y solo sangro cuando orino
শঙ্খনীল কারাগার বলছেনঃ
আমরা ডাক্তারদের কশাই বলি,চামার বলি,লোভী বলি আরো কতকি বলি। অবশেষে নিজেদের মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে ডাক্তার পাত্র দেখে পুলকিত হই।
তারিক লিংকন বলছেনঃ
:কস কি মমিন?: :কস কি মমিন?: :কস কি মমিন?: :কস কি মমিন?: :কস কি মমিন?: :চুইট!! এক্কখান চুম্মা: :চুইট!! এক্কখান চুম্মা: :চুইট!! এক্কখান চুম্মা: :চুইট!! এক্কখান চুম্মা: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :এতো হাসি আমি কই রাখুম: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি: :দে দে তালি:
আশরাফুল করিম চৌধুরি বলছেনঃ
যে দেশের সামগ্রিক সেবা খাত অনুন্নত আর প্রশ্নবিদ্ধ সেই দেশের ডাক্তারদের নৈতিকতা নিয়ে আলোচনা কি হাস্যকর না?
ডাক্তারদের চিকিৎসা পদ্ধতি, পরিবেশ, গলাকাটা আয় ব্যয়ের হিসাব করতে গেলে সেই সব ডাক্তারদের বেড়ে ওঠার পরিবেশ আর সামগ্রিক অবস্থান চিন্তা করা উচিত।
আমরা এক আজব জাতি।
মন চায় তো দেই গালি,
মন চায় তো দেই তালি।